নাস্তিকরা কি জীবনে কোনোদিন তরমুজ খায় নি?
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ২২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৫০:৫৭ রাত
তীব্র গরমে অস্থির অবস্থা। মনে হয় সারা শরীর যেনো কেউ জ্বলন্ত আগুনে সিদ্ধ করছে। বিশেষত: রাস্তা অতিক্রম করার সময় গাড়ি আর গাড়ির সারি। মাঝ খান দিয়ে দূরে তাকালে দেখা যায় যেনো চুল্লি থেকে আগুনের তাপ ওঠার মতো গরম বের হচ্ছে। দিন দিন গাছের পরিমাণ কমে যাওয়া, গাড়ি, এসি আর কল-কারখানার সৃষ্ট তাপ প্রাকৃতিক তাপকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুন। এমন তপ্ত দুপুরে বা ক্লান্ত বিকেলে বাসায় গিয়ে যদি ফ্রিজে দেখা যায় ঠান্ড তরমুজ মুচকি হাসছে, তখন যে কি আনন্দ লাগে, বলাই বাহুল্য।
নীল রঙের সুন্দর একটি সুমিষ্ট ফল তরমুজ। মানবজাতির প্রতি মহান আল্লাহর বিশেষ এক নিয়ামত এই ফল। ৯৫% পানি স্তরে স্তরে এক অদ্ভুত অতিপ্রাকৃত ফাইবার স্ট্রাকচারে। চমৎকার স্বাদ, ঘ্রাণ, চাকচিক্যময় সুন্দর অবয়ব আর অশেষ প্রাকৃতিক মহৌষদে এমন নিঁখুত আর দৃষ্টি নন্দন বিন্যাসে মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য সৃষ্টি করে দিলেন এতো মজার নিয়ামত। তাও আবার গরমকালে। যখন একটু পানির জন্য প্রাণ যায় যায় অবস্থা। গরমের তীব্রতায় মনে হয় জগের পর জগ ঠান্ডা পানিও যখন তৃষ্ণা মেটাতে ব্যর্থ তখন সামান্য কয়েক টুকরো ঠান্ডা তরমুজ কতো সহজে যে দেহে প্রাণের সঞ্চার করে তা বলো বোঝানো সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহর অন্য সব নিয়ামত বাদ দিলেও কেবলমাত্র এই একটি চমৎকার নিয়ামত নিয়ে যদি কেউ গবেষণা করে তাহলেই তার জন্য মহান আল্লাহর সন্ধান লাভ করা সহজ হয়ে যাওয়ার কথা। গতকাল যখন কয়েকজন দীনী ভাইদেরকে সাথে নিয়ে তরমুজ খাচ্ছিলাম তখন বারবার স্মরণ করছিলাম সেই মহান প্রতিপালকের কৃতজ্ঞতা, যিনি আমাদের মতো গুনাহগারদেরকে এতো এতো অবাধ্যতার পরও তার এমন প্রশান্তি দায়ক নিয়ামত দিয়ে যাচ্ছেন।
অনেক আগে একটি ঘটনা শুনেছিলাম। (রেফারেন্স অবশ্য জানা নেই) কোনো একদেশে এক ব্যক্তির পেটে টিউমার হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেক টাকা খরচ করে অপারেশন করে তার পেট থেকে সেই টিউমার বের করার পর রোগী সুস্থ্য হলে তাকে ডাক্তার ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন- তুমি কি জীবনে কোনোদিন তরমুজ খাওনি?
রোগী তার অপারগতার কথা স্বীকার করলো। তখন ডাক্তার তার একজন এসিস্ট্যান্টকে দিয়ে একটি তরমুজ আনালেন। তারপর তা কেটে সেই ভদ্রলোকের সেই টিউমারটি স্যম্পল হিসেবে সংরক্ষণ করা ল্যাবে গেলেন। সেখানে গিয়ে সেই টিউমারটি বের করে তার উপর তরমুজ সিঞ্চিত করে বের করা পানি ঢাললেন। বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পর দেখা গেলো সেই টিউমারটি বেশ ছোট হয়ে গেছে।
এটি দেখিয়ে ডাক্তার রোগিকে বললো- 'আপনি যদি তরমুজ খেতেন তাহলে আপনার এই ধরণের টিউমার কোনোদিন হতো না।'
তরমুজের মধ্যস্থিত গুণাগুন যদি আজো গবেষণা করে বের করা হয় তাহলে এগুলোও যে কাউকে চমকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
তাই সেদিন মনে মনে ভাবছিলাম, বাংলাদেশের নাস্তিকগুলোকে এই গরমের দিন ধরে বেঁধে তরমুজ খাওয়ান। এরপর তাকে বলেন এমন একটি আশ্চর্যজনক ফল কিভাবে হলো?
তারপরও যদি মহান স্রষ্টা ও রব সম্পর্কে তার সঠিক বুঝ না আসে তাহলে তার মাথায় একটি মোটা লাঠি দিয়ে বাড়ি দিন। আসা করা যায় এতে তার মতো গবেটের ব্রেণে কিছু পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে!
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৮ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পড়ে এসে বাকি কমেন্ট,
ভালোই তো!
তারপরও যদি মহান স্রষ্টা ও রব সম্পর্কে তার সঠিক বুঝ না আসে তাহলে তার মাথায় একটি মোটা লাঠি দিয়ে বাড়ি দিন। আসা করা যায় এতে তার মতো গবেটের ব্রেণে কিছু পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে! ভালো লাগলো
আগে তো জানতাম না।
এছাড়াও এর গুনাগুন সম্পর্কে আরো তথ্য থাকলে শেয়ার করুন।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
জাযাকাল্লাহ।
এ ব্যাপারে আমার একটি লেখাও আছে।
শেষের কথাগুলোও মজার "যদি মহান স্রষ্টা ও রব সম্পর্কে তার সঠিক বুঝ না আসে তাহলে তার মাথায় একটি মোটা লাঠি দিয়ে বাড়ি দিন। আসা করা যায় এতে তার মতো গবেটের ব্রেণে কিছু পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে!"
সব মিলিয়ে সুন্দর পোস্ট
তারপরও সমাজ বাচাতে কিছু অপারেশন করতে হয় যে...
আজমুল খান ভারত বর্ষের সর্বশ্রেষ্টতম হাকিম ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিধ ও দার্শনিক। তিনি মুসলিম হিসেবে, ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেসের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ভারতের 'জামেয়া মিল্লিয়া ইসলামী ইউনিভার্সিটির' প্রতিষ্ঠাতা ও চ্যান্সেলর ছিলেন।
সকাল সন্ধ্যায় প্রতিদিন মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষ হাকিম আজমুল খান দ্বার উপকৃত হয়েছেন। তিনি ভারতবর্ষে পাওয়া যায় এমন বহু ভেষজ উদ্ভিদের পরিচয় করিয়েছেন। যার দ্বারা আর্য়ূবেদ ও ইউনানী শাস্ত্রের ছাত্ররা আজো উপকৃত হচ্ছে।
হারবাল মেডিসিনের অদম্য অগ্রযাত্রার যারা দুনিয়াতে ভূমিকা রেখেছেন হাকিম আজমুল খান তাদের অন্যতম।
আপনার এই পোষ্টটি নিয়ে কয়েকজন বিদ্রুপ করতে দেখে, আমি সত্য ঘটনাটি সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে উত্তর দিলাম। অনেকে হয়ত আমার এই তথ্যটি পাবেনা।হয়ত তারাও উপকৃত হত, প্রয়োজনে আপনি এই পোষ্টটি পুনরায় রি-পোষ্ট করবেন। ধন্যবাদ
নোট করে রাখলাম।
রেফারেন্সটা উল্লেখ করলে আরো ভালো হতো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন