চার-ছক্কা হই হই, লজ্জা-শরম গেলো কই? (-শেষ পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ২৫ মার্চ, ২০১৪, ১২:০৬:৩১ দুপুর
পূর্বের লেখা: চার-ছক্কা হই হই, লজ্জা-শরম গেলো কই
http://lighthouse24.org/blog/post/viewPost/?postid=602
পূর্ব প্রকাশের পর-
এবার একটি ভয়ের কথা বলি!
ফ্ল্যশ মব, গ্যাংনাম ষ্টাইলের নাচ-গানের পরকালীন ক্ষতির কথা না হয় পরেই বলি। দুনিয়াতে এই সকল অপসংস্কৃতি তার উদ্যোক্তা ও আয়োজকদেরকে কি কি বড় বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন করেছে তা তথ্য-প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সাথে সংশ্লিষ্টদের জানাটা খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। আজকের পাশ্চাত্য দেশ গুলোতে রাজপথে নেমে প্রকাশ্যে এমন ধরণের নাচ-গান থেকে সৃষ্ট সন্ত্রাস, অশ্লীলতার পরবর্তীয় প্রতিক্রিয়ার বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনার নেটে সার্চ দিন। যে ভয়ংকর তথ্য পাবেন তা বিবেকবানদের জন্য যথেষ্ট।
আমরা সবাই 'প্রাকৃতিক' বিভিন্ন দুর্যোগের কথা শুনি ও জানি। যদিও সুশীল ও মহান আল্লাহকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় ভুলে থাকতে ইচ্ছুকদের কাছে 'আল্লাহর গযব' অপেক্ষা 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ' শব্দটি বেশি প্রিয়।
তো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানেই মাঝে মাঝে মহান আল্লাহর গযব সুশীলদের 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ' হয়ে দেখা দেয়। কখনো তা ঝড়-ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছাস, ভূমিকম্প, অগ্নেয়গিরি বিফ্ফোরণ, অগ্নুৎপাত, আকাশ হতে বিজলীর সাথে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ জমিনে নিক্ষিপ্ত হওয়া, পানীর স্তর নিচে নেমে যাওয়া, জমীন হতে ফসল উৎপন্ন হওয়া কমে যাওয়া, নানাবিধ রোগ-ব্যধির প্রাদুর্ভাব ইত্যাদি বিভিন্ন আসমানী, জমীনী বালা মুসিবতকে আমরা যতই বিভিন্ন ঠুনকো অজুহাতে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করি না কেন, এগুলো যে দিন দিন বিশ্ব মানবতাকে সীমাহীনভাবে ভোগাচ্ছে এবং তাদেরকে নানাবিধ ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন করছে তা বলাই বাহুল্য।
অবিশ্বাসী এবং নিফাকের বীজ অন্তরে ধারণকারী মুনাফিকরা এড়িয়ে যেতে চাইলেও ঐতিহাসিক সত্য হচ্ছে অতীতের সকল ধরণের আসমানী আযাব-গযব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ যমীনে এসেছিলো মানুষের পাপাচার ও অন্যায়-জুলুমের কারণেই।
মহান আল্লাহর একটি রুলস আছে। তিনি তার সৃষ্টির উপর অকারণে কোনো বিপর্যয় দেন না। ষ্টেপ বাই ষ্টেপ মানুষের অবাধ্যতা ও গুনাহের কারণে তার প্রাপ্য অনুযায়ী তাকে শাস্তি দেন। দুনিয়াতে ও আখেরাতে। উভয় স্থানেই তিনি ন্যয় বিচারক।
অপকাশ্য গুনাহ ও পাপাচারের শাস্তি এক রকম। আর প্রকাশ্য গুনাহ ও পাপাচারের শাস্তি আরেক রকম।
যখন কোনো জাতি প্রকাশ্য অশ্লীলতা, বেহায়াপনায় মেতে ওঠে তখন তাদেরকে বহনকারী যমীন আর সহ্য করতে পারে না। যমীনও দুলে ওঠে। ফলে হয় ভূমিকম্প। সাগরের তলদেশ তপ্তহয়ে জন্মদেয় সুনামী কিংবা এমন কোনো ভয়াবহ আযাবের।
যখন কোনো সম্প্রদায় প্রকাশ্যে মহান আল্লাহর আদেশ অমান্য করে তখন তার রাগ ও ক্রোধও বেড়ে যায়। তাই তিনি অবাধ্য সম্প্রদায়কে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে একটু বেশিই কঠোরতা করে থাকেন -তাদের পাপের পরিমাণ অনুসারে।
আযাবের পাশাপাশি সেই জাতি ও জনগণের উপর থেকে মহান আল্লাহর রহমতও উঠে যায়।
এইডসের সূচনাও কিন্তু হয়েছিলো প্রকাশ্য পাপাচার থেকেই। হযরত মূসা আ. এর ধারাবাহিক বিজয় এক সময় থেমে গিয়েছিলো কিছু ইহুদী নারীর অশ্লীল পোষাকে বের হওয়া ও পুরুষদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পরার কারণে।
সুতরাং আজ যারা ফ্ল্যাশ মব কিংবা পথে-ঘাটে, রাস্তায়-অফিসের সামনে, জনসমক্ষে হঠাৎ বেড়িয়ে এসে প্রকাশ্যে ''চার-ছক্কা হই হই...'' বলে নেচে-কুদে একাকার করে ফেলছেন সেই সকল নারীদের একবার ভেবে দেখা দরকার যে আসলে ''তাদের লজ্জা-শরম গেলো কই''।
এভাবে পর্দা ও শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে, মহান আল্লাহর এক অমোঘ বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা আমাদের সমাজে এমন প্রকাশ্য পাপাচারের সূচনা করে দিচ্ছেন তারা কি একবারও নিজেদের ভবিষ্যত এবং এই দেশ ও জাতির কপালে এঁটে দিতে যাওয়া ভয়াবহ মহা বিপদের সামান্যও আঁচ করতে পারছেন?
আসলে এসবের একেবারে মূলে আছে অভিশপ্ত ইহুদীদের পরিকল্পনা আর মুশরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা। সাথে ''ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার'' মতো আমাদের দেশের কতগুলো বেকুব ক্যামেরার সামনে পাগলের মতো খানিক্ষন লম্ফ-ঝম্ফ করে নিজেদেরকে বিশ্বজয়ী নর্তক-নর্তকী আর জোকারে পরিণত করতে পারার আনন্দে বিভোর হচ্ছে।
কিন্তু তাদেরও মনে রাখা দরকার এই পাপের আযাব কিন্তু তাদেরকেই আগে ভোগ করতে হবে।
কিছু না বলে চুপ করে থাকা 'নিরপেক্ষ' ভাবধারীদেরও নিজেদের অবস্থান পুন:বিবেচনা করা দরকার। না হলে সর্বগ্রাসী জাতীয়, সামাজিক অবক্ষয় আর বিপর্যয়ের সর্বগ্রাসী থাবায় এক সময় তিনিও যে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে পরিস্থিতির সত্যিকার ভয়াবহতা ও এর প্রশমনে বাস্তবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার তাওফীক দিন। উম্মাহর নেতৃবৃন্দ ও অভিভাবকদেরকেও মহান আল্লাহ সজাগ ও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও জনসচেতনা সৃষ্টির তাওফীক দিন, আমীন
বিষয়: বিবিধ
২১৮৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জানি না এ জাতির ভাগ্যে সামনে কি আছে!
লজ্জা-শরম বাদ দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত পাশ্চাত্যের এই ছবির মতোই কি আমাদের মা-বোনরা আধূনিক হয়ে জামা-পাজামা সব ছেড়ে দিবে?
আফ্রিকান একটি ফ্ল্যাশ মব থেকে আক্রমণ চালানো হয় সাদা চামড়ার লোকদের উপর। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফ্ল্যাশ মবের যে অনেক অসাধারণ কার্যক্ষতা তা বোঝাই যাচ্ছে।
অনলাইনে এমন ঘটনা আরো অনেক আছে।
এটা কিছুদিন আগে ঢাকার শাখারী বাজারে হয়ে যাওয় হিন্দুদের হলি উৎসবের একটি ছবি। এই ছবিতে যারা আছেন তাদের কয়েকজন নাকি আবার মুসলিম!
হোলি হিন্দুদের ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক বিষয়। একে এবার মুসলিমদের মধ্যেও ঢোকানো হচ্ছে। বিশেষত: এই ফ্ল্যাশ মবের মাধ্যমে হলির সেই ঢলাঢলি শুরু হয়ে গেছে...
আপনার কষ্টের কারণটি বোঝা গেলো না!
আপনার কষ্টের কারণটি বোঝা গেলো না!
কে গীবত করেছে?
সুনির্দিষ্ট লিঙ্ক চাচ্ছি।
খুব ভালো বলেছেন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন