গান-বাজনা নয়, শহীদদের জন্য ২৬ তারিখ নফল সাদাকা, দু'আর মাহফিল করুন
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ২২ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫০:৫৮ সকাল
৭১ এ আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। পাকিস্তানের জালিম শাসকগোষ্ঠীর সীমাহীন নির্যাতন ও শোষণের হাত থেকে এই দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য, মজলুম মানবতাকে মুক্ত করা এবং এদেশে একটি সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র কায়েমের প্রত্যাশায় অগণিত শহীদের মহান আত্মত্যাগ ও শাহাদাতের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
গান-বাজনা কখনোই শহীদ কিংবা মৃতব্যক্তিদের জন্য কোন উপকার বয়ে আনে না। বরং এগুলোর দ্বারা তারা আরো কষ্ট পান।
একজন মানুষ মৃত্যুবরণ করা কিংবা এই পৃথিবী হতে চলে যাওয়ারপর তার জন্য এই জগতের লোকদের দু'আ ও তাসবীহ, যিকির ইত্যাদি উপকারে আসে। একইভাবে তাদের রুহের মাগফেরাতের জন্য নফল দান, সাদাকা, অসহায়দের আহার, বস্ত্রদান ইত্যাদি ফলদায়ক হয়ে থাকে।
তাই আসুন!
আমরা আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের জন্য গান-বাজনার আয়োজন না করে সেই অর্থ গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দিই। সকলে এ দিন যার যতোটুকু সম্ভব কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ ও যিকির আদায় করে সকল শহীদদের সর্বোচ্চ মাকাম প্রাপ্তি এবং নিজেরাও যেনো ইসলামের জন্য, মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষার জন্য শহীদ হতে পারি -মহান আল্লাহর দরবারে সেই দু'আ করি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই গানটা অনেক সুন্দর, পবিত্র,
কিন্তু দেশকে ভালবাসা শুধু গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কিভাবে বাস্তবভাবে ভালবাসা যায় এই পথটা হয়তো কেউ বলছেনা, সবাই এখন ইতিহাস গড়ার প্রত্যয়
আমাদের বর্তমান নারীরা যে গত ১৯৭১ সালের যুদ্ধের থেকেও যে ধর্ষিত হচ্ছে এই খবর কেউ রাখছে, এখন ধর্ষিত হচ্ছে পিতা কর্তৃক সন্তান, ভাই কর্তৃক বোনের, ড্রাইভার কৃর্তৃক পেসেন্জারের, সব ক্ষেত্রে এখন যুদ্ধের চেয়ে বয়াবহ,
আইনের শাসন নিশ্চিত না করে যদি ডাকাত আর পুলিশকে ফুলের মালা গলায় দেয়া হয় তা হলে যতই গান করুন না কেন দেশকে ভালবাসা হবেনা, খরচ হবে আমাদের টাকা,
লাখ লাখ যুব ভাইদের বেকার রেখে যদি ঢুল আর বাজনা নিয়ে নাচা নাচি করেন তাহলে আপনাদের কার্যকলাপ দেখে গ্রেনেজবুক অব ওয়ার্লড আপনাদের স্থান দিতে পারে কিন্তু আমাদের বেকার ভাইদের চাকরী দিতে পারবেনা
মন্তব্য করতে লগইন করুন