ব্যাংকের ডিজিটাল দাড়োয়ান ও আমাদের জীবন-যাপন
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ১৩ মার্চ, ২০১৪, ১২:২৮:১৪ দুপুর
যে কোনো অর্থনৈতিকে লেন-দেনের জন্য ব্যাংকে যাতায়াত করেন না এমন লোকের সংখ্যা বর্তমান বিশ্বে প্রায় শূন্যের কোটায়। বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা যারা ব্যাংকে যাতায়াত করে থাকি তারা সব সময়ই যে বিষয়টি সবার আগে প্রত্যক্ষ করি তা হচ্ছে যে কোনো ব্যাংকে ঢোকার আগেই সেখানকার কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড বা খাস বাংলায় 'দাড়োয়ান' সাহেবদের চেক-আপ ও তদারকি।
যেহেতু ব্যাংকে সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরণের লোকজনের আসা যাওয়া এবং প্রতি মুহূর্তে লক্ষ-কোটি টাকার লেন-দেন তাই যে কোনো ব্যাংকের আর্থিক নিরাপত্তা ও গ্রাহকদের সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি দিকও বটে।
জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে পাইক পেয়াদা, দাড়োয়ান, গার্ড বা সিকিউরিটি নিয়োগের এই ধারণা খুবই প্রাচীন। প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন নতুন আবিস্কার সিকিউরিটি গার্ডের আধিক্যের পরিবর্তে রোবট বা যান্ত্রিক নিরাপত্তা বলয় তৈরী করতে পারলেও এই দাড়োয়ান তথা গার্ড রাখার এই প্রাচীন ব্যবস্থাটিকে একেবারে বাতিল করতে পারে নি। মেশিন আর যন্ত্র যতই থাকুক না কেন, সংখ্যায় কম হলেও কিছু না কিছু মানব সিকিউরিটি প্রত্যেকটি দেশে আর বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ সব ক্ষেত্রেই ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও যে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
আমার আজকের এই লেখার মূল বক্তব্য কিন্তু আমাদের তথাকথিত ব্যাংক ও তার দাড়োয়ানদের সম্পর্কে নয়। তবে এটি যে সম্পর্কে সে বিষয়টিতে যাওয়ার আগে এ সম্পর্কে কিছু বলাও দরকার তাই এই অবতারণা।
আমার ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন হয় খুব কম। একেবারে না পারলে তখন। তবে মাঝে মধ্যে যেতে হয়। প্রতিবার যখন আমি ব্যাংকে যাই তখনি দেখি গেটের ভেতরে বাইরে প্রাচীন লম্বা বন্দুক নিয়ে বসে আছে কিংবা টহল দিচ্ছে ব্যাংকের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিয়োজিত আধূনিক সিকিউরিটি গার্ড বা অতীতের ''দাড়োয়ান'' ভায়েরা। কখনো লাঞ্চ টাইমে কিংবা ব্যাংক টাইম শেষ হওয়ার পর ব্যাংকে ঢুকতে চাইলে তারা নিষেধ করেন। কখনো মোটা ফ্ল্যাট কাঁচের গেট লাগিয়ে মাথা নাড়ান। নিষেধ করেন যে টাইম শেষ। এখন আর ভেতরে যাওয়া যাবে না। ভেতরে যারা আছেন এখন শুধু তারাই বের হতে পারবেন মাত্র। আগামী দিন আসুন।
ব্যাংকের ভেতরে কখনো গ্রাহকদের সাথে ক্যশিয়ার কিংবা অন্যান্য কর্মকর্তাদের কোনো বাদানুবাদ কিংবা গ্রাহকদের আভ্যন্তরীণ উচ্চ-বাচ্যের সমাধান দেয়ার জন্যও হেড সিকিউরিটি অফিসার কিংবা তার সহকারীদের মাথা ঘামাতে দেখা যায়। তারা এসে সবাইকে শান্ত করেন।
ব্যাংকে এই দাড়োয়ান নিয়োগের মূল কারণ হচ্ছে এখান থেকে অনেক প্রতি মুহূর্তে অনেক টাকার লেন-দেন হচ্ছে। কেউ এখানে টাকা জমা রাখছেন তো কেউ তুলছেন। ভল্টে বিদ্যমান টাকার ঘাটতি হলে মূল অফিস থেকে সিকিউরিটি গাড়িতে করে বিশাল বিশাল লোহার সিন্দুকে করে টাকা পাঠানো হচ্ছে ঘাটতি মেটাবার জন্য। আর কখনোবা কোনো শাখায় টাকা বেশি হয়ে গেলে তা ফেরত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মূল কেন্দ্রে।
সুতরাং প্রতি মুহূর্তের এই মানি সার্কুলেশনকে যথাযথ গতিশীল ও নির্বিঘ্ন রাখার জন্যই মূলত: এই দাড়োয়ান নিয়োগ। যেনো ব্যাংকের অর্থ অনুচিত কোনো খাতে কেউ জোড় করে নিতে না পারেন কিংবা সত্যিকার কোনো গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুসারে নিজ প্রাপ্য বুঝে নিতে কোনো সমস্যায় না পড়েন সেজন্যি মূলত: এই নিরাপত্তা বলয় এবং সিকিউরিটি অফিসারদের ব্যস্ত সময় পার করা।
একজন সিকিউরিটি অফিসার প্রতিদিন কতো লাখো-কোটি টাকার যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন তার কোনো হিসাব নেই। সারা মাস শেষে একজন ''দাড়োয়ান'' সামান্য যা বেতন পান তার অন্তত: কয়েক লক্ষ গুন অর্থ প্রতি মুহূর্তে তার চারপাশ দিয়ে আবর্তিত হতে থাকে। সামান্য একটি কাঠের টুলে বসে, পুরনো সেই খদ্দের বাজারের একটি পোষাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা ডিউটি পালনকারী গার্ডের পাশের রুমেই থরে থরে লাখ লাখ টাকার বান্ডিল পড়ে আছে। কোটি কোটি টাকার স্তূপ জমে আছে কিন্তু বেচারার তাতে কোনোই হক নেই। সেখান থেকে এক টাকা নেয়ারও কোনো অনুমতি বা সুযোগ নেই।
পকেটে হয়তো আজকের বাজারে টাকাটাও নেই। সকালে বাসা থেকে আসার সময় স্ত্রী আর সন্তানদের বলে দেয়া রাতে একটি ইলিশ মাছ কিংবা এক কেজি গরুর গোশত নিয়ে আসার আব্দারটিও হয়তো আজকে রক্ষা করা যাবে না। সামান্য মিষ্টান্ন বা একটু গোশত-বিরিয়ানীও অনেক দিন যাবতই চেখে দেখার সুযোগ হচ্ছে না। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের পোষাক আশাকের অবস্থাও করুণ। গত কয়েক মাস যাবত অনেক মান-অভিমান সত্ত্বেও স্ত্রী, সন্তান কিংবা নিজের জন্য একটি নতুন ড্রেস কেনার সামর্থ্য তার হয় নি। সামান্য বেতনে দিন এনে দিন খাওয়াটাই যখন কঠিন, মাস শেষে বাসা ভাড়া দিতে হিমশিম অবস্থা তখন জীবন-যাপনের নূন্যতম এই উপকরণগুলোও যেনো বিলাসিতার মতোই পরিত্যজ্য হয়ে আছে আজ অনেক দিন!
আমাদের সমাজের বর্তমান বাস্তবতায় এই দৃশ্যটি আমাদের সবারই অতি পরিচিত। খুবই সহজ সাবলীলভাবে আমরা একে মেনেও নিয়েছি। কিন্তু একই রকম অতি পরিচিত আরেকটি দৃশ্য আমাদের আশ-পাশে দৃশ্যায়িত হচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু আমরা তা দেখছি, তার পাশ দিয়ে আবর্তিত হচ্ছি। কখনো নিজেরাই ''ডিজিটাল দাড়োয়ান'' হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারছি না, উপলব্ধি করার সুযোগও আমাদের হচ্ছে না।
এই সমাজে আমি অনেক ''ডিজিটাল দাড়োয়ান'' কে চিনি ও জানি। যাদেরকে মহান আল্লাহ অনেক সম্পদ দিয়েছিলেন। অনেক টাকা-পয়সার তত্ত্বাবধায়ক করেছিলেন তাদেরকে। কিন্তু তারা নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে নি।
প্রায়ই এমন অনেক ''ডিজিটাল ব্যাংকের দাড়োয়ান'' এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় যাদের পকেটে দু'শ টাকাও নেই। অবশ্য তাদের ক্রেডিট, ডেবিট ও বিভিন্ন স্ক্র্যাচ কার্ড আছে।
নিজ অফিসের ক্যাশ বাক্সে, বাসায় বা ব্যাংকে বিশাল বড় অংকের টাকার স্তূপ জমে আছ। কিন্তু তার পোশাক একটি সাদা জামা আর একটি সাদা লুঙ্গি। খুব দামী পোশাক ব্যবহারের সক্ষমতা থাকলেও তার তাকদীরে আর সেটি সম্ভব হয় নি।
অর্থ-বিত্ত, সম্পদের প্রার্চুয, ফল-ফসল আর দুনিয়াবী আসবাব-উপকরণে তার চার পাশ পূর্ণ ও উপচে পড়া অবস্থা হলেও খাবার টেবিলে তার প্লেট প্রায় শূন্য। সকাল বিকাল দু'টো রুটি আর দুপুরে সামান্য জাউ ছাড়া আর কিছুই সে খেতে পারে না। তার খাবার অনুমতি নেই। সামনে পোলাউ-কোরমা আর কালিয়া-কোপ্তার স্তূপ কিন্তু সেদিকে তাকাতেও তার মানা!
রসগোল্লা, চমচম আর হরকে রকম মিষ্টান্ন তার ফ্রীজে বোঝাই হয়ে থাকলেও সেখান থকেে সামান্য চেখে দেখার সুযোগ তার নেই। কারণ তার উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিস ধরা পরেছে। ডাক্তারের কড়া নিষেধ, মিষ্টির নাম ভুলেও নেয়া যাবে না।
আসলে মানুষ কতোটুকু খাবে, কতটুকু সম্পদ নিজের জন্য ব্যয় করবে বা করতে পারবে তার পরিমাণ কিন্তু মহান আল্লাহ অনকে আগেই নিশ্চিত করে রেখেছেন। আপনি যত কম বা বেশি সম্পদের মালিকই হোন না কেন, আপনার তাকদীরে বরাদ্দকৃত রিজকের বেশিও গ্রহণ করতে পারবেন না আবার বরাদ্দকৃত কিছু অংশ রেখে মৃত্যুবরণও করতে পারবেন না।
অর্থাৎ যাই করেন না কেনো আপনার বরাদ্দকৃত পরমিাণ কিন্তু কখনোই কম-বেশি হবে না। কেবল মাত্র হালাল ও হারাম কোন উপায়ে আপনি এটি অর্জন করবেন সেটি নির্ধারিত হবে আপনার আমল তথা কাজের দ্বারা। এই সুযোগটিও আপনাকে দেয়া হয়েছে আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য এবং পরকালে এর ফলাফল অনুসারে আপনাকে চিরকালীন অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য।
এই দাড়োয়ান আর ঐ দাড়োয়ানের মাঝে ব্যবধান খুবই সামান্য। কিন্তু এদের একজনকে আমরা খুবই তাচ্ছিল্য করি আর অপরজনকে দেই সম্মানের সর্বোচ্চ চূড়া। সম্পদের স্তুপের কাছে থাকা সত্ত্বেও সম্পদ নিজের জন্য ব্যবহার করতে না পারার ক্ষেত্রে উভয়ে সমান হলেও একজনকে আমরা দরিদ্র আর অভাবী বললেও অপরজনকে ধনী বলি।
এই দুই প্রকারের দাড়োয়ানের প্রথম প্রকার আমার খুবই প্রিয় দ্বিতীয়দের জন্য শুধুই আফসোস!
প্রথম প্রকারের ব্যক্তিরা দ্বিতীয়দের থেকে আর্থিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমাদের কাছে দূর্বল বলে বিবেচিত হলেও মানসিকভাবে তারা কিন্তু অনেক শান্তিতে থাকেন। কারণ তারা যে অর্থের দাড়োয়ান তথা তত্ত্বাবধায়ক সেটা তারা নিজেরাও জানেন ও বুঝেন। তাই তারা নিজেদের তত্ত্বাবধানে থাকা সম্পদের ব্যাপারে লোলুপ হয় না। যথেচ্ছাচারী আচরণ করে না।
ফলে তারা মানসকিভাবে থাকে খুবই প্রশান্ত। স্বস্তিতে ও নিশ্চিন্তে, আরামে মাটির উপর শুয়েও তারা নিদ্রা যেতে পারেন। এতে তাদের কোনো সমস্যা হয় না।
কিন্তু দ্বিতীয় প্রকারের ব্যক্তিদের অধিকাংশই থাকে সীমাহীন পেরেশোন। তাদের শান্তি, স্বস্তি নেমে আসে শূন্যের কোটায়। রাতে হাই পাওয়ারের ঘুমরে ওষুধ খেয়ে, আরামদায়ক দুগ্ধ ফেননিভ কোমল বিছানায় শুয়েও তারা নিদ্রা যেতে পারে না। সারা রাতে সামান্য ঘুমও তাদের কপালে নসীব হয় না।
দুনিয়াতে সৎভাবে কোনো মতে চলে যেতে পারলে প্রথমোক্তদের জন্য পরকালে রয়েছে সীমাহীন নিয়ামতের জান্নাত। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরা যদি তওবা ছাড়া এ দুনিয়া ত্যাগ করে তাহলে পরকালে জান্নাত তো দূরের কথা জাহান্নামের দাড়োয়ানিও যে তাদের কপালে জুটবে না সেটি কি তারা জানে?
মহান আল্লাহ সত্যিই বলেছেন,
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ (১) حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ (২) كَلا سَوْفَ تَعْلَمُونَ (৩) ثُمَّ كَلا سَوْفَ تَعْلَمُونَ (৪) كَلا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ (৫) لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ (৬) ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ (৭) ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ (৮)
অর্থ: ''(যে কোনো উপায়ে সম্পদ ও প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে রেখেছে।
যতক্ষণ না তোমরা কবরের সাক্ষাৎ করবে (ততক্ষণ তোমরা সম্পদের উচ্চাভিলাসে মত্ত থাকো)। কখনো নয়, শীঘ্রই তোমরা জানবে। তারপর কখনো নয়, তোমরা শীঘ্রই অবশ্যই জানতে পারবে। কখনো নয়, তোমরা যদি নিশ্চিত জ্ঞানে জানতে!
তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে। তারপর তোমরা তা নিশ্চিত চাক্ষুষ দেখবে (কিন্তু আফসোস! তখন তোমাদের করার কিছুই থাকবে না)। তারপর সেদিন অবশ্যই তোমরা (দুনিয়াতে তোমাদেরকে দেয়া সকল) নিআমত (এর উপার্জন ও ব্যয়) সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।" (সূরা তাকাসুর ১০২, আয়াত ১-৮)
বিষয়: বিবিধ
১২০২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে অনেকে তথাকথিত সম্পদের স্তুপে বসেও সামান্যতম মানসিক শান্তিও লাভ করেননা। কিছুদিন আগে এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে সুখি। এর কারন বোধহয় আমাদের গ্রামীন জনগোষ্ঠি তাদের সাধারন অবষ্থাতে সন্তষ্ট থাকে। কিন্তু শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেনির জন্য এটা প্রযোজ্য নয়।তারা সবসময় উচ্চবিত্তদের অনুকরন করে। আর উচ্চবিত্তরা বিশাল সম্পদ তৈরি করে কিন্তু শান্তিতে সময়কে উপভোগ করতে পারেনা।
আন্তরিক ধন্যবাদ।
..............দ্বিতীয় প্রকারের ব্যক্তিদের অধিকাংশই থাকে সীমাহীন পেরেশোন। তাদের শান্তি, স্বস্তি নেমে আসে শূন্যের কোটায়। রাতে হাই পাওয়ারের ঘুমরে ওষুধ খেয়ে, আরামদায়ক দুগ্ধ ফেননিভ কোমল বিছানায় শুয়েও তারা নিদ্রা যেতে পারে না। সারা রাতে সামান্য ঘুমও তাদের কপালে নসীব হয় না।
অথচ এসব গাফেল মানুষগুলো মনে করে তার কাছে সঞ্চিত অর্থ-সম্পদ সব কিছুই যেন তার। কিন্তু মৃত্যুদূত যখন এসে পাকড়াও করে তখন এসব সম্পদ তার কোন কাজে আসে না।
এটা আমার ই-মেইল।
যোগাযোগ করতে পারেন।
জাযাকাল্লাহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন