নাস্তিকদেরকে ঈমান ও বিশ্বাসের পথে আনতে হলে (এসো ঈমানের পথে... ১)
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:২৯:৩১ দুপুর
(অনেক আগের একটি লেখা। পাঠকদের উপকারে আসতে পারে বিবেচনায় রিপোষ্ট করলাম। )
নাস্তিকতা ও এতদ সংক্রান্ত বিষয়ে আমার সম্পৃক্ত হওয়ার সূচনা হয় ইন্টারনেটে সোনার বাংলা নামক একটি ব্লগে জনাব শুভজিৎ ভৌমিক নামক এক ভাইয়ের মন্তব্য থেকে। গত ২১ শে ডিসেম্বর (সম্ভবত: ২০০৯-১০) আমি "বিল ক্লিন্টন থেকে বার্লুসকোনি : নৈতিক স্খলনে পশ্চিমা নেতৃবৃন্দের জয়ধ্বনি" শীর্ষক একটি পোষ্ট করি। আমার উক্ত পোষ্টের শেষের বক্তব্য ছিলো-
“কিন্তু আশ্চর্য জনক হলেও সত্য যে, মুসলমানদের মধ্যে কারো ব্যাপারে যখন কোন দোষ-ত্রুটি বা অভিযোগ পাওয়া যায় কিংবা ইসলামি খিলাফত থাকাকালীন খলীফাদের ব্যক্তিগত জীবনের নারী ঘটিত বিষয়াবলীকে পাশ্চাত্যের মিডিয়া এবং তাদের এদেশীয় এজেন্টরা যেভাবে ইসলাম ও ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দূর্বলতা ও দোষ হিসেব চিত্রিত করে, পক্ষান্তরে গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীদের অন্যায় অপরাধ গুলোর ব্যাপারে তারা কিন্তু সেভাবে বলেনা যে, এটি গণতন্ত্রের দোষ। বরং ক্লিনটন ও বার্লুসকোনি প্রমুখদের অন্যায়-অপরাধ গুলোকে তাদের ব্যক্তিগত বিষয় বলে পাশ কাটিয়ে যায় আর মুসলিমদের কোন ব্যক্তির অপরাধকে পুরো ইসলামের উপর চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করে।
-আমার পোষ্টের এই অংশের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন জনাব শুভজিৎ ভৌমিক সাহেব। তিনি আমার পুরো বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে না পড়ে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিকভাবে মহানবী সা. এর একাধিক বিয়ে করা এবং ইসলামে মুসলমানদেরকে চারটি বিয়ের অনুমতি দেয়ার বিষয়ের উপর অশ্লীল শব্দে আপত্তি তোলেন। আমি সেই মন্তব্যটি আমার পেজ থেকে মুছে দেই এবং তার জবাবে বলি
-এটা আপনি কি যুক্তি দিলেন? ১৩ খানা বিয়ে কে করেছে, কার কথা বলছেন? আপনি কি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা. এর কাজের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলছেন? আপনি কি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন, তার রাসূলকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হসিবে মানেন? আমি আপনার যুক্তির বিপক্ষে ১০১ টা যুক্তি দিতে পারবো। আমি আপনাকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ করছি। শালীন যুক্তি প্রমাণের আলোচনায় আসেন। দেখি আপনার পেট থেকে কতগুলো যুক্তি বের হয়। তবে তার আগে আপনি নিজের পরিচয়টি পরিস্কার করেন। মুসলমান হলে আপনার সাথে তর্কের বিষয় হবে একরকম, আর নাস্তিক বা অমুসলিম হলে অন্য রকম। নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে চোরের মতো এর ওর পোষ্টে অহেতুক ক্যাচাল না করে সাহস থাকলে বীরের মতো সামনে আসেন।
-এরপর শুভজিৎ ভৌমিক সাহেব আমার প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে, নিজের আদর্শিক পরিচয় না দিয়ে আমার লেখায় উল্টো আরো কিছু অশ্লীল শব্দে আপত্তি করেন। আমি সেটিও মুছে দেই এবং তাকে আবারও নিজের আদর্শিক পরিচয় তুলে ধরে যুক্তি-প্রমাণ নির্ভর আলোচনায় আসার চ্যালেঞ্জ করি। কিন্তু এরপর তিনি আর আমার লেখায়ও কোন মন্তব্য করেন, আমার চ্যালেঞ্জেরও কোন জবাব দেননি।এরপরের ঘটনা গত ২৩ শে ডিসেম্বরের। ঐদিন একই ব্লগে জনাব আবুল ইহসান ভাইয়ের- “মাদরাসা শিক্ষার কফিনে আরও ক'টি পেরেক।” -শীর্ষক লেখাটি পড়তে গিয়ে দেখি সেখানেও জনাব শুভজিৎ ভৌমিক সাহেব উপস্থিত। তিনি ইহসান ভাইয়ের লেখার বিষয় বস্তু না বুঝে বা বুঝেও না বুঝার ভান করে সেখানেও তার স্বভাব সুলভভাবে বিভিন্ন ফালতু প্রশ্ন জুড়ে দিয়ে বসে আছেন। আর অন্যরাও তার প্রশ্নের জবাব দিয়ে শুভজিৎ সাহেবকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছেন। তখন আমার কাছে একটি বিষয় কি−য়ার হয় যে, শুভজিৎ সাহেব এবং ওনার মতো অনেক আধো নাস্তিক-পুরো নাস্তিক ভাইয়েরা আমাদের ইসলামিক ভাইদেরকে ফালতু কাজে এবং অনর্থক বিষয়ে ব্যস্ত করে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করা এবং আমাদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্যই এই কাজ করে থাকেন। তাই আমি সেখানে জনাব আবুল ইহসান ভাই এবং শুভজিৎ ভৌমিক ভাইয়ের উদ্দেশ্যে এই কমেন্ট করি-“আবুল ইহসান ভাইকে বলছি, নাস্তিক বা অবিশ¡াসীদের সাথে বিতর্কের আগে তাদেরকে বলবেন নিজেদের পরিচয়টি স্পষ্ট করতে। এ ব্যপারে যারা নাস্তিক ও বিধর্মীদের সাথে বিতর্ক করেন তাদের উদ্দেশ্যে একটি কথা: মুসলিম ভাই, আপনি কোন নাস্তিকের সাথে বিতর্কের আগে তাকে জিজ্ঞেস করুন সেকি আস্তিক না নাস্তিক। যদি আস্তিক হয় তাহলে সে কোন মতাদর্শের অনুসারী। হি, ন্দেুঞ্ঝ বৌদ্ধ, খৃষ্টান না অন্য কিছু। দয়া করে তার প্রকৃত পরিচয় তার থেকে পরিস্কার ভাবে না জেনে তার সাথে বিতর্কে জড়াবেন না। কেননা তাহলে কতক্ষণ অহেতুক ফাও প্যাচাল করে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই হবে না। কারণ সে আপনাকে ঠেকাবার জন্য কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি টানবে, কিন্তু আপনি যখন তার বিপক্ষে কোন কুরআন হাদীস থেকে কোন দলীল দিবেন তখন সে সেটা মানবে না। কারণ সে তো আল্লাহ ই বিশ্বাস করে না। রাসূলকেই মানেনা। তাই তার সাথে আলোচনা করা আগে তার থেকে জেনে নিন সে কি?
সে নাস্তিক হলে আগে তার সাথে আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করুন। এবিষয়ে একটি পোষ্ট ইনশা আল্লাহ অচিরেই পাবেন।
আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার এবং আমার লেখা গুলো পড়ে সে বিষয়ে আপনার মন্তব্য ও পরামর্শ চাই। ধন্যবাদ। আর জনাব শুভজিৎ ভৌমিক ভাইকেও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আমি আপনাকে একটি বিষয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, আমার পোষ্টে আপনি ১৩ টি বিয়ে আর ৪ টি বিয়ের উপর যেই আপত্তি তুলে ছিলেন তার ও অন্যান্য বিষয়ে যৌক্তিক আলোচনা করার জন্য এখনও আমি প্রস্তত আছি। তবে তার আগে আপনি আপনার পরিচয় পরিস্কার করুন। সবাইকে ধন্যবাদ।”-
আমার মন্তব্যের জবাবে শুভজিৎ ভৌমিক সাহেব লেখেন- “জনাব, আমি আপনার কাছে একটা বিষয় জানতে চাই। বিতর্ক করার ক্ষেত্রে কারও ব্যক্তি পরিচয় প্রাধান্য পায়, নাকি তার যুক্তি প্রাধান্য পায়?
আস্তিক, নাস্তিক, হিন্দু, মুসলিম যাই হোক না কেন, যুক্তি সবার জন্যই এক। আমি মনে করি না আমার ব্যক্তি পরিচয় খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার যুক্তি। সেটি যদি ঠিক থাকে, বিতর্ক করা সম্ভব। কিছু সংখ্যক মানুষের মগজে অমুসলিম বিদ্বেষ এত গভীরভাবে ঢুকে গেছে যে, অমুসলিম যদি সত্যি কথাও বলে, তাও তার কাছে অসত্য হয়ে যায়। আর আপনি কোন জায়গায় কি ওপেন না ক্লোজ চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, সেইটা আমার মনে নাই। আবার করেন। আপনার তো আবার বদভ্যাস আছে, কমেন্ট মুছে দেয়ার।”
তার এই মন্তব্যের জবাবে আমি লিখি
-আমি আপনার ব্যক্তি পরিচয় জানতে চাই নি। আমি আপনার আদর্শিক পরিচয় জানতে চেয়েছি। আর এটা আমার ব্যক্তিগত কোন খায়েশ থেকে নয়। বরং আপনি কোন ধরণের যুক্তি-প্রমাণ গ্রহণ করবেন সেটি নিশ্চিত হয়ে সেভাবেই আপনার সাথে আলোচনা করার জন্য জিজ্ঞেস করেছি। কারণ আপনার আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে আপনি ইসলাম সম্পর্কে যত প্রশ্ন আর আপত্তি উত্থাপন করেন সবগুলোই ইসলামিক লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য। বাস্তব সত্য গ্রহণ করার জন্য নয়। আমাকে ঠেকাবার জন্য আপনি কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি টানবেন, কিন্তু আমি যখন আপনার সামনে কুরআন হাদীস থেকে আরো ১০ টি উদ্ধৃতি দেবো তখন আপনি বলবেন কুরআন? আমি তো আল্লাহকেই মানি না (নাউযুবিল্লাহ।)
তাই আপনি যদি নাস্তিক কিংবা বিধর্মী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সাথে আমার প্রথম আলোচনা হবে আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে। তাও যদি আপনি সত্য জানতে এবং মানতে প্রস্তুত থাকেন তাহলে। আরেকটা বিষয়, আমি আপনার আদর্শিক পরিচয় জানতে চেয়েছি একারণে নয় যে, আমি অমুসলিম বিদ্বেষী। বরং আমি অমুসলিম ও নাস্তিকদের হিতাকাঙ্খী। কারণ তারা ভুল পথে আছে। আর আমার কোন ভাই যখন ভুল পথে থাকে তখন আমার নৈতিক দায়িত্ব হলো তাকে সুপথে ফিরিয়ে আনা। কিন্তু সে যদি গোঁয়ার, একরোখা এবং সত্যকে সত্য হিসেবে বুঝেও গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে তাহলে তার জন্য আফসোস করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। আমি আপনার জন্য দোয়া করি, মহান আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিন। আমরা যেন জান্নাতে একসাথে থাকতে পারি সেই তাওফীক আমাদের সকলকে দিন। আমীন।
এরপর শুভজিৎ ভৌমিক সাহেব বলেন- “-আপনার আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে আপনি ইসলাম সম্পর্কে যত প্রশ্ন আর আপত্তি উত্থাপন করেন সবগুলোই ইসলামিক লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য।- আমি মনে করি না যে এখানে বিভ্রান্তির কোনও সুযোগ আছে। আমার বক্তব্য আমি সবসময় স্পষ্ট ভাবেই দিয়ে আসছি। আপনি এক পথে সত্যের সন্ধান করছেন, আমি আলাদা পথে করছি। আপনি আপনার মতাদর্শ প্রচার করার জন্য আপনার মতামত ব্যক্ত করছেন, আমিও তাই করছি। মানুষের কাছে যেটি ভাল মনে হবে, মানুষ সেটিই নেবে। নিজের মতামত প্রচার করাকে কি আপনি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হিসাবে দেখেন?
ইসলাম সম্পর্কে এই পর্যন্ত ব্লগে আমি যত বিতর্ক করেছি, সবগুলোতেই কোরানের আয়াত উধৃত করেছি এবং কোরানের উপর আমার শ্রদ্ধা আছে। আপনিও কোরান সম্পর্কিত যে কোনও আলোচনা আমার সাথে করতে পারেন। আমার বিশ্বাস অনুযায়ী কোনটি সত্য বা কোনটি মিথ্যা, সেটি জনগণের আদালতে তুচ্ছ। দেখতে হয়, প্রকৃত সত্য বা মিথ্যা কোনটি।
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে আমার পড়াশোনা খুব কম, তাই এই নিয়ে বেশি বিতর্কও করি না। যেহেতু বিজ্ঞান সৃষ্টিকর্তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও শক্ত অবস্থান দেখাতে পারেনি, তাই আমারও এই নিয়ে আপাতত কনফিউশনে থাকা ছাড়া গতি নেই। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনওটাই করি না, নিউট্রাল। আমার বিশ্বাস, প্রচলিত কোনও ধর্ম পালন না করেও মানুষ বিবেকের কাছে পরিষার থেকে একটা জীবন সৎপথে পার করে দিতে পারে। মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করে দিতে পারে, এমন কোনও সীমারেখায় আমি আস্থা রাখি না। এখনও পর্যন্ত কোরান-বেদ-গীতায় যা দেখেছি, তাতে পৃথক ধর্মাবলম্বীদের জন্য ঘৃণা চোখে পড়েছে। এই বিষয়টিকে আমি সমর্থন করতে পারি না। আমার মতে, আমরা একটাই জাতি, মানুষ জাতি। মানুষের মঙ্গল কামনায় আপনার ইচ্ছাকে আমি প্রাণভরা সাধুবাদ জানাই এবং আপনারও মঙ্গল কামনা করি।” -
তার জবাবে আমি বলি- “আপনার সকল বক্তব্যই বিভ্রান্তিতে ভরপুর এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্যই আপনি এই ব্লগে ইসলামিক ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করেন। আপনার কথায় আমি পরিস্কারভাবে বুঝতে পেরেছি যে আপনি নাস্তিক। কারণ আপনি বলেছেন,
১.। -“যেহেতু বিজ্ঞান সৃষ্টিকর্তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও শক্ত অবস্থান দেখাতে পারেনি, তাই আমারও এই নিয়ে আপাতত কনফিউশনে থাকা ছাড়া গতি নেই।”- তার মানে আপনি আল্লাহর অস্তিত্বকে বিজ্ঞান দ্বারা সার্টিভাইড করতে চাচ্ছেন। অর্থাৎ বিজ্ঞান যদি বলে যে আল্লাহ আছে তাহলে আপনি বিশ্বাস করবেন। আপনার কাছে আল্লাহর চেয়ে বিজ্ঞান বড়, আর যার কাছে আল্লাহ চেয়ে বিজ্ঞান বড় সে অবশ্যই নাস্তিক।
2 আপনি আরো সুস্পষ্ট করে বলেছেন যে, -আমি ঈশ¡রে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনওটাই করি না, নিউট্রাল।- ইসলামের দৃষ্টিতে আল−াহকে বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের ক্ষেত্রে নিউট্রাল বলে কিছু নেই। আল্লাহকে যে বিশ্বাস করবে সে আস্তিক বা ঈমানদ্বার। আর যে কনফিউশানে থাকবে সে নাস্তিক। যদিও সে নিজেকে নাস্তিক বলে প্রকাশ করতে লজ্জা করে না কেন। কোনো চোর যদি একটি মোবাইল চুরি করে ধরা খেয়ে বলে যে, আমি আপনার মোবাইলটি না বলে নিয়েছি, তাহলে বিচক্ষণ লোক ঠিকই বুঝে নেবে যে, তার না বলে নেয়া মানে চুরি করা। যা সে বলতে লজ্জা পাচ্ছে। আপনার বক্তব্যের আরো বিভ্রান্তি আছে। যেমন আপনি বলেছেন, -ইসলাম সম্পর্কে এই পর্যন্ত ব্লগে আমি যত বিতর্ক করেছি, সবগুলোতেই কোরানের আয়াত উধৃত করেছি এবং কোরানের উপর আমার শ্রদ্ধা আছে। আপনিও কোরান সম্পর্কিত যে কোনও আলোচনা আমার সাথে করতে পারেন।”- আপনি যেহেতু আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যাপারেই সংকিত বা সংশয়ে আছেন, তার প্রিয় রাসূলের বিভিন্ন বিষয়েই আপনার অগাধ আপত্তি তাহলে আপনার মতেই আপত্তিকর আল্লাহ এবং তার রাসূল সা. (নাউযুবিল্লাহ) যার উপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে- তার উপর আপনার অগাধ শ্রদ্ধা থাকে কিভাবে? এটা তো সুস্পষ্ট পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। আমাদের ভাষায় মুনাফিকি। আর আমি আজকেই আপনার কাছে প্রথম শুনলাম যে, যে আল্লাহকে বিশ্বাস করেনা, রাসূলকে মানে না, সে নাকি আবার কুরআনের উপরও শ্রদ্ধা রাখে? সত্যিই সেলুকাস!
আসলে আপনি কুরআনও বিশ্বাস করেন না। তবে যেহেতু কুরআন থেকে দলীল দিলে যেহেতু ইসলামিক লোকজন বেশি খায়, সরি গ্রহণ করে তাই তাদের মাঝে নিজেকে খুব সমজদার এবং কুরআন গবেষক হিসেবে জাহির করার জন্য কুরআনের সাংকেতিক এবং ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ গুলো তুলে ধরেন আর সে বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন। বিগত ১৪০০ শত বছরে কুরআনের ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য আপনার থেকেও অনেক বেশী জ্ঞানী পন্ডিত চেষ্টা করেছিলো, কিন্তু তাদের কারো পরিণামই ভালো হয়নি। কেননা, সে যেই রবকে জীবদ্দশায় অবিশ্বাস করেছিলো, মৃত্যুর পর কিন্তু তাকে তার সেই রবের কাছেই ফিরে যেতে হয়েছে। তাই আপনার প্রতি আমার সর্বশেষ অনুরোধ হলো, আপনি আপনার স¡বিরোধী মুনাফেকী চরিত্র ত্যাগ করে সত্য কথা বলুন। নিজে নাস্তিক হলে দৃার সাথে প্রকাশ্যে গর্বভরে স¡ীকার করুন আপনি নাস্তিক এবং নাস্তিক হিসেবে যেহেতু আপনি কুরআন হাদীসে বিশ¡াস করেন না, তাই তা দিয়ে দলীল না দিয়ে আপনার সাথে তখন আল−াহর অস্তিত্ব এবং কুরআনের বুদ্ধিবৃত্তিক ও যেঞ্ঝ ক্তিক প্রমাণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করবো, দেখবেন বিজ্ঞান কিভাবে স্রষ্টার অস্তিত্বের কাছে লেজ গুটিয়ে মাথা নত করে এবং ইসলাম কিভাবে বিজ্ঞান সম্মত শ্রেষ্ঠ মতাদর্শ ও একমাত্র গ্রহণযোগ্য জীবন ব্যবস্থা। আর আমার সাথে বিতর্কে আসার আগে আপনার প্রতি করজোড়ে বিনীত নিবেদন, যদি আপনি সত্য গ্রহণ করতে চান এবং সত্যিই ইসলামের প্রকৃত স¡রূপ জানতে চান তবেই এই চিঠির রিপ্লাই দিবেন, অন্যথায় নয়। যদি সত্য আপনার বিপেক্ষে গেলেও মিথ্যা ও নাস্তিকতা নিয়েই আপনি পরে থাকতে চান তবে প্লিজ এবং প্লিজ আমাকে বিরক্ত করবেন না। আমার অন্য অনেক কাজ আছে। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিন। আমি সত্যিই আপনার চূড়ান্ত কল্যাণ কামনা করি। তাই কিছু অপ্রিয় সত্য কঠিন শব্দ প্রয়োগে বাধ্য হয়েছি। আশা করি কষ্ট পেলে আমাকে মাফ করবেন।”-
এরপর তার থেকে এখন পর্যন্ত আমার এই বক্তব্যের আর তার উত্তর পাইনি। আমার এই লেখাটি শেষ করার আগে পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যারা নাস্তিক বা বিধর্মীদের সাথে ডিবেট করেন তারা আমার এই পোষ্টটি ভালো করে পড়ে প্রথমে সেই নাস্তিক বা বিধর্মীর থেকে তার আদর্শিক অবস্থান ক্লিয়ার হয়ে তারপর সে নাস্তিক হলে প্রথমে তার সাথে আল্লাহর অস্তিত্ব, এরপর রাসূলের রাসূল হওয়া, তারপর কুরআনের বুদ্ধিবৃত্তিাক প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করুন। ইনশাআল্লাহ সুফল পাবেন বলে আশা করা যায়, যদি সে সত্যিই সত্য গ্রহণে আগ্রহী হয়ে থাকে। আর না হলে সে আপনাকে এড়িয়ে চলবে। উভয় অবস্থাই আপনার জন্য উত্তম।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সহায় হোন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৭ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাজ্জাকল্লাহ খহায়ের
ফেসবুকেও বানান গুলো ঠিক করে দিয়েছি।
উদাহরণ দিচ্ছিঃ
১। তাসলিমা নাসরীন তার মায়ের মাজারভক্তি ও মাজারে দেখা নানা কুকর্মের কারণে সে ইসলামকে ঘৃণার চোখে দেখেছে। অথচ মাজার ব্যবসা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম এটা সে জানেনা।
২। আরজ আলী মাতুব্বর এর কিছু লেখা আছে। সেখানে একস্থানে সে মানুষের ভাগ্য ও শবেবরাত নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। অথচ শবেবরাত কুরআন ও সহীহ হাদীস সমর্থিত কিছু নয়।
কই না তো।
তবে আপনার আগমন অবশ্য আমার ব্লগে অনেক দিন পরেই আজ হলো।
হ্যাঁ আপনার কুইজে বিজয়ী হওয়াটা নিয়ে অনেক মজা করেছিলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন