শহীদী ঈদগাহে ফিরে আসছে হেফাজত
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:৩২:১৭ রাত
তথাকথিত কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নাস্তিকদের শাহবাগে উত্থান তারপর ধীরে ধীরে সরকারী-বেসরকারী, জাতীয়-আন্তর্জাতিক অপশক্তিসমূহের প্রত্যক্ষ মদদে তাদের বাড়-বাড়ন্ত আস্ফালন থেকে দাঁড়ি-টুপি, ইসলামী লেবাস-পোশাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবী-দাওয়া পেরিয়ে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ এই দেশ থেকে পর্যায়ক্রমে ইসলামকে মুছে দেয়ার অপচেষ্টা যখন চূড়ান্ত রূপ নিলো, কর্পোরেট দালাল মিডিয়ার মাত্রাতিরিক্ত একপেশে হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে নাস্তিকতাকে বিশ্বাসী মুমিন-মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দেয়ার সকল আয়োজন যখন চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলো প্রায়, কোথাও যখন আশার আলো দেখা যাচ্ছিলো না, চিন্তিত যখন পুরো জাতির বিবেকবান মুসলিম, নিরাপত্তাকামী মানবতা তখনই এক অবিশ্বাস্যভাবে সামনে এলো একটি নাম ‘হেফাজতে ইসলাম।’ সামান্য সময়ের মধ্যেই যা পাল্টে দিতে লাগলো কুফফার ও নাস্তিকদের সকল হিসাব নিকাশ।
ঢাকা থেকে বহুদুরের, সেই সুদূর হাটহাজারী মাদ্রাসার সম্মানিত প্রিন্সিপ্যাল, বয়োবৃদ্ধ আধ্যাত্মিক রাহবার আল্লামা আহমাদ শফী দা. বা. এর নেতৃত্বে জেগে উঠলো বীর চট্টলা। তারা জাগিয়ে তুললো পুরো জাতিকে।
পর্যায়ক্রমে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে শুরু হলো ঢাল-তলোয়ারহীন আপামর মুসলিম জনতার এক অসম লড়াই।
নাস্তিকদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে এগিয়ে আসা হেফাজতের সাথে তাগুতের শুরু হলো সংঘাত। তৈরী হলো ৬ই এপ্রিলের ঐতিহাসিক বিশাল মহাসমাবেশ। যা গাযওয়ায়ে বদরের মতো এই দেশ এবং সারা বিশ্ববাসীকে ইসলাম ও নাস্তিকতার মধ্যকার সুস্পষ্ট পার্থক্য নির্ণয় করে দিয়েছে। নাস্তিকতাকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিন্দিত ও ঘৃণিত একটি বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এরপর ক্ষমতাসীনদেরকে সময় দেয়া হলো দীর্ঘ এক মাস। মাত্র ১৩টি দফা। নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সকল মুমিনের প্রানের এই দাবী গুলোর প্রতি চরম অবহেলা প্রদর্শন ও জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দেয়া চাপের কাছে নতী স্বীকার করে এর পরের কর্মসূচী ৫ মে ঢাকা অবরোধ ও অবরোধ পরবর্তী ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতের মহাসমাবেশে চালানো হলো এক গণহত্যা। শত শত শহীদের রক্তে মতিঝিল হয়ে উঠলো একবিংশ শতাব্দীর এক নতুন উহুদ প্রান্তর আর সেই কারবালার মতো রক্তভেজা প্রান্তর।
কিন্তু জুলুম নির্যাতন আর শাহাদাতের নজরানায় ভেঙ্গে যায়নি হেফাজত, এতোটুকু দুর্বল হয় নি মুমিনের হৃদয়। তাই তো তারা আবারও ঘুরে দাঁড়িয়ে। বারে বারে ফিরে আসছে শহীদী ঈদগাহে। এবার তাদের সবার দাবী একটাই মহান আল্লাহর এই যমীনে আবারও তারই দীন কায়েম করতে হবে। প্রয়োজনে আরো অজুত শহীদ হবে, আহত হবে নিযুত কোটি মুমিন কিন্তু তবুও তারা আল্লাহর দীন, ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কায়েম ও বিজয়ী না করে আর ঘরে ফিরে যাবে না।
ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে স্মরণ হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই ঐতিহাসিক বিপ্লবী কবিতা-
‘শহীদী ঈদগাহে দেখ আজি জমায়েত ভারি,
হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফরমান জারী।’
মহান আল্লাহ আমাদেরকে শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে ইসলামী খিলাফত কায়েমের তাওফীক দিন, আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৩২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন