বিনোদন কি? ইসলামে কি বিনোদনের সুযোগ নেই?
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ২৯ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:০৭:৫৬ দুপুর
(ইদানিং ফেসবুকে তথাকথিত নাস্তিক নামক কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর আস্ফালন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অবশ্য তাদের সবার পুঁজি মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বিষয়। যার অনেক গুলো সম্পর্কেই আমি লিখেছিলাম এক সময়। এটিও তেমনই একটি লেখা। অনেক আগে নাস্তিকদের সাথে বিতর্কের সময় লেখা এই লেখাটি এখনও সামু ব্লগেও আছে। যদিও আমি সেখানে ব্যান। আশা করি ফেসবুকের ফ্রেন্ডদের এটি সামান্য হলেও উপকারে আসবে।)
অপসংস্কৃতি আর বেহায়াপনার বিপক্ষে কথা বলতে গেলেই, উন্মাতাল অশ্লীলতা আর অনৈতিক বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে লিখতে গেলেই সমাজের একটি অংশ থেকে প্রতিবাদ আসে। আসে মৌলবাদের অভিযোগ। প্রগতি বিরোধী ও প্রাচীনপন্থী খেতাব পাওয়ার বিষয়টি তো খুবই পুরনো কথা।
তবে সহজ সরল সাধারণ মানুষ যখন বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের বক্তব্যে দ্বিধান্বিত হয়ে সত্য জানতে চান, তখন আর নিজেকে গুটিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। ইসলাম ও বিনোদনের মধ্যকার সম্পর্কটিও এমনই একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়। অপসংস্কৃতির বিপক্ষে কথা বলতে গেলে প্রাসঙ্গিকভাবেই এ বিষয়টি এসে পরে যে, তাহলে ইসলামে কি বিনোদনের কোনো সুযোগ নেই?
ইসলামে বিনোদনের সুযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে আলোচনার আগে সংস্কৃতি কাকে বলে এবং বিনোদন বিষয়টি কি, তা সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। তাহলে খুব সহজেই ইসলামের সাথে সংস্কৃতি ও বিনোদনের সম্পর্কটিও সহজভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হবে।
প্রচলিত সহজ অর্থে সংস্কৃতি হচ্ছে এমন কিছু কর্মকান্ড, যার মাধ্যমে মানুষ সভ্যতার শিক্ষা পায়। বর্বরতা ও উগ্রতা পরিহার করে ভদ্র হয়। কারো মতে, সংস্কৃতি হচ্ছে এমন বিষয়, যা মানুষের মন ও মননকে সুসভ্য করে গড়ে তোলে।
আর বিনোদন বলতে সহজ অর্থে আমরা বুঝে থাকি এমন ক্রিয়া-কলাপ, যা মানুষকে আনন্দিত করে, প্রশান্তি এনে দেয়। অবসাদকে পেছনে ফেলে স্বচ্ছ ও প্রশান্ত হৃদয়ে নব উদ্যমে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে যেতে বিনোদন মানুষকে সহযোগিতা করে।
উপরোক্ত অর্থের আলোকে এবার আমরা যদি সংস্কৃতি ও বিনোদনকে পাশাপাশি রেখে বিবেচনা করি তাহলে বিষয়টি এমন দাঁড়ায় যে, ‘সাংস্কৃতিক বিনোদন’ হতে হবে এমন কিছু মৌলিক কর্মকান্ড, যা কিছু সুন্দর ক্রিয়া-কলাপের মাধ্যমে মানুষের আত্মাকে প্রশান্তি দিয়ে তাকে সুসভ্য ও ভদ্র হতে সহযোগিতা করবে। ক্লান্তি আর অবসাদকে খুবই সাবলীলভাবে ব্যক্তির অজান্তেই দূরে সরিয়ে দিবে এবং শরীর ও মন উভয়কেই এক অনাবিল, অপার্থিব শান্তি এনে দিবে।
যদি সংস্কৃতি ও বিনোদনের অর্থ এটিই হয়ে থাকে, সংস্কৃতি ও বিনোদন বিষয়ে যদি আমার এই আত্ম উপলব্ধি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে আমি সর্বোচ্চ দৃঢ়তার সাথে এবং চূড়ান্ত স্পষ্টভাবে বলতে পারি যে, সংস্কৃতি ও বিনোদনের মূল উৎসই হচ্ছে -একমাত্র ইসলাম। ইসলাম ছাড়া, ইসলাম সমর্থিত পন্থা ও পদ্ধতি ছাড়া সংস্কৃতি ও বিনোদন বলতে পৃথিবীতে আর কিছু নেই। ইসলাম অসমর্থিত ও বিরুদ্ধ যে কোনো পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার কার্যকলাপকেই সংস্কৃতি কিংবা বিনোদন বলে প্রচার করার চেষ্টা হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে তা চূড়ান্ত পর্যায়ের অসভ্যতা, অভদ্রতা আর অপসংস্কৃতির আখড়া ছাড়া কিছুই নয়।
চলবে...
পরের পর্বে : সংস্কৃতি ও প্রগতির উৎস একমাত্র ইসলাম কেন?
বিষয়: বিবিধ
১৫০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন