আয় আল্লাহ! তুমি মিশরের মুসলিমদের রক্ষা করো!
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ০৪ জুলাই, ২০১৩, ০১:১৮:১৫ রাত
মিশর আজ এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। ইতিহাসের অনেক ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু মিসর আজ এক নতুন অবস্থায় উপনীত হয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুরসী অনেক নমনীয়তা ও উদারতা দেখাতে দেখাতে ক্ষেত্র বিশেষে ইসলামী শরীয়ার সীমানা ছাড়িয়ে গেলেও তিনি বামপন্থী ও সাম্রাজ্যবাদীদের সন্তুষ্ট করতে পারেন নি। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর কিছু গাদ্দার অনুচরদের কাজে লাগিয়ে সেখানকার মুসলিম জনতা ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে।
পরিস্থিতি কখন কোন দিকে মোড় নেয় কিছু বলা যায় না। তবে সেনাবাহিনী যদি জনআকাঙ্খার বিপরীতে গুটি কতেক ক্রীড়নকের ইশারায় আত্মঘাতি কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মনোযোগী হয় -যেমন তারা অতীতেও অনেক করেছে- তবে নি:সন্দেহে এটি খুবই মর্মান্তিক একটি পরিণতি ডেকে আনবে।
তবে উম্মাহর গাদ্দারদের স্মরণ রাখা দরকার যে, অতীতের যে কোনো সময়ের চাইতে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতি ও অবস্থার মাঝে অনেক ব্যবধান। অনেক পার্থক্য। অতীতের গাদ্দাররা কিছুদিন ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন করতে পারলেও বর্তমান গাদ্দারদের জন্য সেই সুযোগ আর তেমন হবে না। কারণ তিউনিশিয়া, সিরিয়া, ইরাক, আফগানসহ সারা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে প্রান্তে আজ গণতন্ত্র ও মানবরচিত শাসনের শৃংখল থেকে মুক্তি পেতে লাখো-কোটি জনতা জেগে উঠেছে। সুতরাং মিসরের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বামদের খুব সতর্কতার সাথে সামনে বাড়া উচিত। মুরসীর প্রথম মেয়াদে সহজেই তারা ক্ষমা পেয়ে গেলেও বিদ্রোহী ও মজলুম জনতা কিন্তু তাদেরকে আর ক্ষমা করবে না।
সাথে সাথে জনাব মুরসীকে মহান আল্লাহ আরো বিচক্ষণতা দিন, যাতে তিনি গণতন্ত্র আর মানবরচিত সংবিধান নয় বরং আল্লাহর দীন ও কুরআন-সুন্নাহর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হন।
আমরা মিসরের পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। তবে আল্লাহ কি চান তাই হলো সবচাইতে বড় বিষয়। কারণ আল্লাহ যদি এই উম্মাহর আরো রক্ত ঝড়াতে চান এবং তার বিনিময়ে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা দেয়ার ইচ্ছা করে থাকেন -যেমনটি রক্তাক্ত মুসলিম ভূখন্ডগুলো দেখে মনে হচ্ছে- তবে তাই হবে। আমরা শান্তি শান্তি বলে যতই আওয়াজ করি না কেন, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় তাগুত ও কুফুর সুড়সুড়ি দিয়ে নিজেদেরকে এই ধরা থেকে সমূলে উৎপাটিত হওয়ার ব্যবস্থাই করবে।
বদরের সেই ঘটনা যার নমুনা হয়ে আছে-
وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ الشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ اللهُ أَنْ يُحِقَّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَيَقْطَعَ دَابِرَ الْكَافِرِينَ (7) لِيُحِقَّ الْحَقَّ وَيُبْطِلَ الْبَاطِلَ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ (8)
অর্থ: "আর স্মরণ করো সেই সময়ের কথা, যখন মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য দু'টি দলের (আবূ সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলা ও আবূ জাহেলের যোদ্ধাদলের) একটির উপর বিজয় দানের ওয়াদা করেছিলেন, আর তোমরা তো চাচ্ছিলে তোমাদের জন্য যেনো নিষ্কন্টক (আবূ সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলা'র উপর বিজয়) বিষয়টি হয়। কিন্তু আল্লাহ চাচ্ছিলেন স্বীয় কালিমার দ্বারা সত্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন এবং কাফিরদের মূল উৎপাটন করে দিতে। যাতে সত্য সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাতিল বাতিল হিসেবে সাব্যস্ত হয়। যদিও এটি অপরাধীদের কাছে কষ্টকর মনে হয় না কেন।" (সূরা আনফাল, আয়াত ৭-৮)
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন