একবিংশ শতাব্দীর নিকৃষ্টতম ভয়াবহতম হত্যাযজ্ঞ : আহতদের পাশে দাঁড়ানো ঈমানের দাবী

লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ০৬ মে, ২০১৩, ১০:২৭:০০ সকাল







গতকাল রাত ২ টা থেকে ভোর পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় যে কি ভয়াবহতম গণহত্যা হয়েছে তা নেটে বিচরণকারী কারো কাছে এখন আর অস্পষ্ট নয়। হাজারের উপরে নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। নিশ্চিতভাবে ৪৩১ জনের শাহাদাতের খবর পাওয়া গেছে। যাদের অধিকাংশের লাশই গুম করে ফেলা হয়েছে। ৩ হাজারেরও অধিক আহত। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশংকা জনক। হাসপাতাল গুলো ভর্তি হয়ে আছে আহত মুসলিমদের যখমী শরীরে। তবে হাসপাতালে আসতে পারার মতো সৌভাগ্য অনেকেরই হয়নি। গ্রেফতার ও হয়রানির আশংকায় আহত হয়েও তারা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। ঢাকার বিভিন্ন মাদরাসায় নিদারুণভাবে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেক মাদ্রাসায় ইতোমধ্যে হামলার সংবাদও আসছে। রাজধানীর পথে পথে চলছে তল্লাশী। বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে দাঁড়ি-টুপি ওয়ালা ব্যক্তিদেরকে মারধর ও হয়রানী গ্রেফতার করা হচ্ছে।

ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাকি হলুদ মিডিয়াগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। গতকাল দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসন শেষ হয় আজ ভোর ৪.৩০ টায়। বিদুৎ ও মিডিয়ার সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে গণহত্যাও চলে রাত ২টা থেকে ভোর ৪.৩০ পর্যন্ত। কিন্তু চরম মিথ্যাচারে অভ্যস্ত হলুদ মিডিয়া গুলো এতো বিশাল সময়ব্যাপী দলীয় সন্ত্রাসী, ডাকাত ও সশস্ত্র, প্রশিক্ষিত, নিয়মিত বাহিনীর বিপক্ষে নিরীহ, নিরস্ত্র অসহায় মুসলিম জনতার প্রতিরোধ যুদ্ধকে মাত্র ১০ বা ১৫ মিনিটের অভিযান বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

গতকালকে আমি নিজে ঘটনাস্থলে ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ দুপুর ১২টা থেকে নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা আগ্রাসীদেরকে পল্টন এবং তারপর দৈনিক বাংলার মোড়ের আগেই আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। বীরের মতো লড়াই করে আমাদের ভাইয়ের ভোররাত পর্যন্ত নিজেদের তাজা রক্তের নজরানা পেশ করেছেন। তারা কেউ পালিয়ে যান নি। কেউ জালিমের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করেন নি। এ এক ইতিহাস। সকালের দিকে সাময়িকের জন্য তারা স্থান পরিবর্তন করলেও ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই নতুন ডাকে আবারও সবাই সমবেত হবে।

ইতোমধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে: - সাইনবোর্ড, মৌচাক, চট্টগ্রাম রোড, মাদানীনগরে তুমুল ধাওয় পালটা ধাওয়া চলছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি করছে।। কেঊ নিরাপদ নয়।

চট্টগ্রাম রোড এ ৬ জন নিহত, কাচপুরে প্রায় ৮-৯ জন

আহত ১২৫+। মাদানিনগর মাদ্রাসা পুড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামীলিগ এর কর্মীরা। সংঘর্ষ চলছে।

এমতাবস্থায় আমরা যারা সুস্থ্য ও আর্থিকভাবে সক্ষম তাদের সবার উপর ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে আহতদের সাহায্যে সর্বাত্মকভাবে এগিয়ে আসা। গত পরশু দিনও আমার পরিচিত যে সকল মাদ্রাসার ছাত্রভাইকে সাভারের বিধ্বস্ত ভবন ও সেই ঘটনায় হতাহতদের জন্য মানুষের দারে দারে ঘুরে ডোনেশন কালেকশন ও সাভারে বিতরণ করতে দেখেছি তাদের অনেকেই গতকাল নিজেরাই আহত হয়েছেন। এমতাবস্থায় তাদের পাশা যে আমাদেরকেই দাঁড়াতে হবে। শাহাদাতবরণকারী ভাইদের ও তাদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ানোও আমাদের উপর ফরজ। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী হতাহতদের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করছি। অনলাইনের ও অন্যান্য সকল স্বচ্ছল ভাইদের প্রতিও একই অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুন। আপনার ঢাকার যে কোনো মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে সেখানে অবস্থানরত আহতদের সহযোগিতা করতে পারেন। অথবা আমার সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন। আজ যারা সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন রাসূলের হাদীস অনুযায়ী তারা দিগুন সওয়াব পাবেন। দান করার সওয়াব এবং দীনের মুজাহিদদেরকে সহযোগিতা করার সওয়াব।

আগ্রহী যে কেউ আমার সাথে যোগাযোগের জন্য মেইল করতে পারেন:


আল্লাহ আমাদেরকে দীনের এই কঠিন সময়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ কাজ আঞ্জাম দেয়ার তাওফীক দিন। দীনের মহান মর্দে মুজাহিদদের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার তাওফীক দিন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১৫৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File