সবকিছুই যেন হাস্যকর, কিন্তু ভাবনার ।

লিখেছেন লিখেছেন বিবেকের কান্না ২০ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৩৬:৩৮ বিকাল



রাত ৯টা । গতকাল । ঠিক শাহবাগ মোড়ে রিক্সা থেকে নামলাম। মৎস্য ভবন মোড়ের দিক থেকে শাহবাগে আসলাম। মোড়ে নেমেই কানে ভেসে এলো গানবাজনার শব্দ। তাকিয়ে দেখি গুটিকয়েক মানুষ সেখানে গানবাজনা উপভোগ করছে।

আসার পথে দেখলাম, অন্ধকার হলেও শিশুমেলার কাছাকাছি ৩জন মহিলা পুলিশ ও ৩জন পুরুষ পুলিশ রাস্তায় বেঞ্চের উপর বসে অলস সময় কাটাচ্ছে। শাহবাগ মোড়েই দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের রায়ট কার। আশে পাশে আরো পুলিশ/র‌্যাব নিñিদ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। হাস্যকর হলেও ঐ গুটিকয়েক মানুষের জন্যই যত আয়োজন। এ আয়োজন দেশের মানুষের অর্থসম্পদ ব্যয় করে নিজেদের কুকর্মগুলোকে মানুষের দৃষ্টি হতে আড়াল করার জন্য।

ঢাকা শহরে এ রকম ১০০/২০০ জন মানুষের জটলা প্রায়ই চোখে পড়ে। দেখা যায় কোন হকার মলম বিক্রি করছে নতুবা গাছ গাছালির রকমারী ঔষধ বিক্রি করছে। এ সব হকারের কাছে নাকি সব ঔষধই পাওয়া যায়। তবে অসুখ ভাল হয় কিনা কে জানে। ফুটপাথের এসব হকারের ঔষধে সব অসুখ ভালো না হলেও শাহবাগের ঐ হকারদের ঔষধে কিন্তু আমাদের জাতির সব অসুখই ভাল হবে ! মাসাধিক কাল যাবৎ তারা মোটামুটি ভাল একটা ব্যবসা করে গেল। আয় রোজগার নাকি ভালই হয়েছে। খাওয়া দাওয়াসহ আরো অনেক কিছুই নাকি একদম ফ্রি ছিল। ব্যবসা এখন গুটানোর পথে। শুধু কপাল পুড়েছে ওখানের আদি ব্যবসায়ী ফুল বিক্রেতাদের। তারা নাকি বেচাকেনা ভাল করতে পারে নি।

গুটিকয়েক নাস্তিক্যবাদীদের লম্ফঝম্ফকে পুরো বাংলাদেশের মানুষের আবেগ বা দাবী বলে চালিয়ে দেবার নির্লজ্জ প্রচেষ্টা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যেতে হয়। হলুদ মিডিয়ার বদৌলতে পুরো জাতিকে বিভ্রান্ত করে আজ আমাদের সমাজকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দেশকে এক গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। তাদের এই অপচেষ্ঠা দেরীতে হলেও মানুষ বুঝতে পেরেছে এবং প্রতিবাদ করছে। শতবার বললে নাকি একটি মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দেয়া যায়। ঠিক একই পলিসি নিয়ে তারা মিথ্যার বেসাতি গেয়েই চলেছে। তবুও সত্যের বিজয় অবসম্ভাবী।

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File