দুটি প্রশ্ন এবং মানবতা।
লিখেছেন লিখেছেন সাদা ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২০:৪৪ সকাল
আচ্ছা ভাবু্নতো কেউ প্রাণ ভয়ে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছে, বেশকিছু লোক তাকে হত্যা করতে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে আসছে আর সে আপনার কাছে হাটু গেরে নিজের জীবন বাচাতে আশ্রয় চাচ্ছে।এরকম এক অবস্থায় আপনি কি সিদ্ধান্ত নিবেন? প্রশ্ন নং -১।
ধরে নিলাম আপনি মানবতার খাতিরে জীবের জীবন বাচানোর তাগিদে ব্যাক্তিটিকে আশ্রয় দিলেন ।তাই বলে কি আপনি তাকে সারা জীবন আপনার বাসায় রাখবেন নাকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশ ডাকবেন এবং পরিস্থিতি শান্ত হলে তাকে তার বাসায় নিরাপদে পৌছে দেওয়ার ব্যাবস্থা করবেন? প্রশ্ন নং-২।
মূলত এই প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন আমরা প্রতিদিনই হচ্ছি।হয়তো স্থান ,কাল,পাত্র কিছুটা ভিন্নতর।যেমন ছিনতাইকারী কারো জিনিষ বা অর্থ ছিনতাই করছে ,আমরা দেখেও না দেখার ভান করছি।ইভটিজাররা মেয়েদের দেখে টিজ করছে ,আমরা তা দেখে হাসছি আর ভাবছি ওতো আর আমার নিজের মেয়ে নয়।আমরা পাশের বাড়ী থেকে নিজের বাসাটিকে বেশ উচূ করছি যেন আমার বাসায় পানি না ঢুকে।কিন্তু রাস্তায় যদি পানি থাকে তবে যে আমাকে পানি পাড়াতেই হবে এ চিন্তা আমরা করছি না।তাই রাস্তায় সবসময় পানি থেকেই যাচ্ছে তা সুয়্যারেজ লাইন আটকে হোক বা অতি বৃষ্টিতে হোক।
আমরা নিজেকে নিয়ে এত ব্যাস্ত যে পাশের বাসার মানুষরা কি সমস্যায় আছে তা জানার সময় আমাদের নেই যতক্ষণ না আমরা সেই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছি।আজ রোহিংগাদের উপর জুলুম অত্যাচার আর আমাদের দেশের এক শ্রেনীর মানুষের মানুসিক অবস্থান দেখে আমি মোটেও আশ্চ্যর্য হচ্ছি না।মনে পড়ে উত্তরায় আগুনে পোড়া এক মহিলা তার শিশু সন্তানসহ ৬ তলা থেকে নেমে সব তালায় যখন দড়জায় কড়া নাড়ছিলেন আর একটু পানির জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন ,তখন কেউ তার সাহায্য এগিয়ে আসেনি বরং সবাই তার মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দিয়েছিল।তাই যে দেশের মানুষ আগুনে পোড়া মানুষকে দেখে মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দিতে পারে সে দেশের সীমান্ত জীবন বিপন্ন মানুষের সহায়তায় খুলে দেওয়া হবে,তা কি করে হয়!!!!
বিষয়: বিবিধ
১১৭৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বৈশ্বিক পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশীকেই সম্ভাব্য শত্রু দেশ হিসেবে দেখা হয় । রোহিঙ্গারা অপরাধ করে হয় মায়ানমার পালিয়ে যাবে না হয় বিদেশে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশের বদনাম কামাবে । ভাষা ও চেহারাগত মিল থাকার কারণে এদের কৃত অপরাধে বাংলাদেশই পঁচান খাবে।
তাই এদেরকে মধপ্রাচ্যের স্টেবল দেশ অথবা আরও পশ্চিমে যেমন নরওয়ে , সুইডেন , ফিনল্যান্ড , ডেনমার্ক এসব দূর্নীতিমুক্ত ,সভ্য , পরোপকারী দেশে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা করানো উচিত।
মন তো চায় মায়ানমারকে দখল করে প্রত্যেক বৌদ্ধকে অনুরুপ শাস্তি দিয়ে সেখানে আমরাও বসতি স্থাপন করি । একটা বৌদ্ধও যেন সেখানে না থাকতে পারে যেমনটা এখন তারা করছে । আমাদের দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য দেশ দখল জরুরি হয়ে গেছে , মায়ানমারের কাহিনী সেই সুযোগ এনেও দিয়েছে।
কিন্তু সেটা কি আপনার আমার বা আমাদের কোন কমিউনিটির পক্ষে বা দেশের পক্ষে সম্ভব? আদৈ কি কোন মুসলিম দেশ বা মুসলিম দেশের কোন জনপদ এমনটা করে ?
এসব কষ্ট সহ্য হয় না আবার এদেরকে আনতে ও রাখতেও পারি না । তাই অবস্থাসম্পন্নদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং সেটা অবশ্যই বাংলাদেশ নয়।
ভালো লাগলো / অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন