টকশো এবং মানবতা!!
লিখেছেন লিখেছেন সাদা ২৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৩১:৫৩ দুপুর
ডঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি তিনি।চিকিতসক হিসাবে কেমন তিনি তা আমি জানিনা।তবে মানুষ হিসাবে তার একটা ধারনা পেলাম মোহনা টিভির টকশোতে।রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ প্রবেশে তার বেশ আপত্তি এমনকি তাদের কোনরূপ সাহায্য সহযোগিতা করতেও।কারন তারা নাকি এদেশে জঙ্গিবাদ ছড়াচ্ছে।যদিও এ পর্যন্ত যতগুলো ধরা পড়েছে বা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে একজনও রোহিংগা খুজে পাওয়া যায়নি।টক শো আর একজন আলোচক ছিলেন কাজী সিরাজ।খ্যাতিমান সাংবাদিক।তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে মুসলিম সেণ্টিমেন্টের দোহাই দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের পক্ষে কথা বলতে চাইলেন।কিন্তু সঞ্চালকের কাছে তার কথাটি মনে হলো মনঃপুত হয়নি।তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বললেন বিশ্বের অনেক জায়গাতেই তো মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে তাদের সবাইকে কি বাংলাদেশ আশ্রয় দিতে পারবে। কি চমতকার যুক্তি !! জানিনা রাতের বেলায় তারা বালিশ মাথার উপরে দিয়ে ঘুমায় নাকি নিচে দিয়ে ঘুমায়।আর চিকতসক মহোদেয়ের মতে এদেশকে মুসলিম অধ্যুসিত দেশ বলা মহা অন্যায়ের।তার মতে এদেশের কোন ধর্ম নেই।তিনি সত্য বলেছেন ।আসলেই এদেশের কোন ধর্ম নেই।ধর্ম থাকলেতো এভাবে বিপন্ন মানুষদের নিয়ে কেউ উপহাস করতে পারে!!!
এদেশে শিল্পী-সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিমনা নামক একটি গ্রুপ আছে।এরা রবীন্দ্রনাথের স্ট্যান্ডার্ডে মানবতা নির্ধারন করে,অর্থের ওজনে লেখালিখি করে,সুবিধা শেয়ারিং এ আরেকজনের কেয়ারিং এ ব্যাস্ত থাকে।এরা মানবতার সংগা নির্ধারন করে জাত,কূল ও গোত্রভেদে।তাই এদের কাছে রোহিঙ্গারা একপ্রকার অচ্ছুৎ ,অপাংতেয় বা দাস প্রজাতির।তাই রোহিঙ্গাদের পক্ষে দু কলম লিখলে বা তাদের প্রতি সহানুভুতিশীল হলে তাদের কলমের জাত যেতে পারে ,এমনকি কূলীন সমাজ থেকে বিচ্যুতও হতে পারেন ।তাই এরা ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায় নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গা নিয়ে তার শত ভাগের এক ভাগও নয়। রোহিঙ্গাদের জন্মই যেন আজন্ম পাপ।
বিষয়: বিবিধ
১১০১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ডঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, এই লোকটা মুসলিম কিনা, সন্দেহ। নাস্তিক মনে হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন