তারেক রহমানের জন্মদিন এবং কিছু কথা।
লিখেছেন লিখেছেন সাদা ২০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৩:২১:৩২ দুপুর
তারেক রহমানের আজ ৪৯ তম জন্মদিন ।জন্মদিনের শুভেচ্ছা তাকে।তিনি বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র।তাই ছোট বেলায় থেকে তিনি রাজনৈতিক আবহে বড় হয়েছেন এবং তার বেশিরভাগটাই ক্ষমতা কেন্দ্রিক।তাই তিনি শুধুমাত্র একজন রাজনিতিবিদ এ দেশের ক্ষমতার পালাবদলেরও একজন চাক্ষুষ সাক্ষী।তাকে বলা হয় বি,এন,পির ভবিষ্যত কান্ডারী।সেই সুবাদে তাকে অনেকে তাকে দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী বলেও সম্বোধন করেন।তাকে নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনা দুটোই করা যায়।তাকে নিয়ে আলোচনা থেকে সমালোচনাটাই জনগনের নিকট বেশি প্রচলিত।তিনি ছিলেন হাওয়া ভবনের প্রতিষ্ঠাতা এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ হাওয়া ভবনের কি কাজ ছিল তা তিনি কখনো জাতীর কাছে খোলাসা করে বলেননি ।তাই হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক যে সুবিধাবাদী শ্রেনীর উতপত্তি ঘটেছিল, তা নিরোসনে এবং মিডিয়াতে তা আরো রং লাগিয়ে প্রচার করার বিপক্ষে তার কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।ফলে আজো তাকে হাওয়া ভবনের গ্লানি বইতে হচ্ছে।
পত্র পত্রিকা পড়ে যতটুকু জেনেছি তিনি বি,এন,পি কে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন এবং তৃনমুল পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।তার এই উদ্যেগ এর কথা মিডিয়াতে খুব একটা প্রচার পায়নি।কিছুদিন আগেও তার সাংগঠনিক চিন্তাধারা নিয়ে একটা বই বের হয়েছে যুক্তরাজ্য কিন্তু এই বইটি এখনও বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।আশা বি,এন,পির নেতৃবৃন্দ ভেবে দেখেবেন।
তার আর একটা দূর্বলতা তা হলো মিডিয়াকে অনুকুলে না আনা বা অনুকুলে রাখার মত মিডিয়া প্রতিষ্ঠা না করা।বি,এন,পির মিডিয়া সেল বলে কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না ,আর থাকলেও তার কার্যক্রম কি তা একমাত্র তারাই ভালো জানেন। ভার্চুয়াল জগতে বি,এন,পি মনা লোকদের উপস্থিতি নেই বললেই মনে হয়।দেখা যাচ্ছে আন্দোলন সংক্রান্ত ,জনমত গঠন বা অন্যান্য তথ্য পরিবেশনে জামাত -শিবিরের উপরেই বি,এন,পি কে বেশি নির্ভর করতে হচ্ছে।
তারেক রহমানের ব্যক্তিক জীবন সম্পর্কে আমি খুব একটা জানি না।তবে যতটুকু শোনা যায় তাতে ইতিবাচক কিছু পাওয়া যায় না।হয়তোবা এ তথ্য গুলো তার প্রতিপক্ষের মিথ্যা প্রপাগান্ডা।কিন্তু এ মিথ্যাকে মিথ্যা প্রমান করার জন্য তার কোন সুহ্রুদ বা বন্ধু এগিয়ে আসেনি।
শেষ কথা এই যে,তারেক রহমান এর জন্মদিন,জেল মুক্তি দিবস বা অন্য কোন দিবস নিয়ে বি,এন,পি বা এর অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা যত খানি নাচানাচি করে তার ১ ভাগও করেনা তাকে একজন জনমানুষের নেতা হিসাবে রুপায়ন করার বা সমাজের সর্বোস্তরের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য নেতা আবির্ভুত হওয়ার প্রচেষ্টা।
বিষয়: বিবিধ
২৩৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন