জাফর ইকবালের "সাম্প্রতিক ভাবনা" নিয়ে আমার ভাবনা।
লিখেছেন লিখেছেন সাদা ১০ জুলাই, ২০১৩, ০২:১০:২৭ দুপুর
গতকাল জাফর ইকবাল সাহেবের সাম্প্রতিক ভাবনা নিয়ে জনকন্ঠএ একটা কলাম প্রকাশিত হয়েছে ।কলামটি পড়ে আমার কাছে বেশ বিভ্রান্তিকর মনে হল।তিনি কিছু জায়গায় ইসলামের জায়গান গেয়েছেন আবার কিছু জায়গায় যারা ইসলাম নিয়ে বিরুপ ,অবমাননাকর মন্তব্য করে তাদেরকে বেশ প্রশংসা করেছেন।তিনি লিখেছেন হেফাজতে ইসলাম নারীদের চরম অসম্মানিত করেছেন।আমি জাফর সাহেবকে সবিনয়ে প্রশ্ন করতে চাই এ পর্যন্ত কতগুলো নারী হেফাজতের লোকদের দ্বারা ধর্ষিত হ্যেছে।সেঞ্চুরিয়ান মানিক বা জমির চাচারা কাদের প্রোডাক্ট?তিনি জানতে চেয়েছেন হেফাজত কেন শাহবাগের তরুনদের উপর কেন এত ক্ষ্যাপা।হেফাজত শাহবাগের তরুনদের উপর ক্ষুদ্ধ নয়।শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চ শুরু হয় ৬ ফেব্রয়ারী আর হেফাজত তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে স্বঘোষিত নাস্তিক ব্লগার থাবা বাবা নিহত হবার পর তার ব্লগ নিয়ে।আর শাহবাগের গণজাগরন মঞ্চ যেহেতু এরকম কিছু পথভ্রষ্ট নাস্তিক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তাই তাদের অবস্থান এর বিরুদ্ধে চলে যায়।
এরপর তিনি ধর্ম নিয়ে কিছু ভালো কথা লিখেছেন ।লিখেছেন ধর্ম আমাদের জীবন থেকে বেশি দূরে নেয়।আমরা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বা অসুস্থার জন্য দোয়া চাই।মৃত্যুর পর মৃত মানুষের জন্য কোরান খতম করি।এ ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নেই।তবে যে মানুষের জন্য কোরান খতম করা হচ্ছে জীবদ্দশায় তিনি কোরানের উপর তার আস্থা কতখানি ছিল তাও বিবেচনা করা উচিৎ।
তিনি তার কলামে লিখেছেন "মুক্তিযুদ্ধের সময় মায়েরা তাদের সন্তানের মাথায় হাত রেখে ‘ফী আমানিল্লাহ’ বলে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন"।হেফাজতও সে কথা বলে।কিন্তু দুঃখ লাগে যখন সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতারা সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম উঠালে হরতাল দিতে চায়,বলে দেশ ইসলামের জন্য স্বাধীন করা হয়নি ,তার কোন প্রতিবাদী কলাম তখন দেখা যায় না।
তিনি লিখেছেন "একজন মানুষ যদি শুধু নিজে থেকে নিজেকে নাস্তিক হিসেবে ঘোষণা দেয় তাহলে হয়ত তাকে নাস্তিক বলা যায় অন্যদের পক্ষে কোনভাবেই একজনকে নাস্তিক বলা সম্ভব নয়।"এ কথায় আমি সম্পূর্ন একমত।অন্য প্যারাতে লিখেছেন"আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান যখন আনুষ্ঠানিকভাবে শাহবাগের তরুণদের নাস্তিক ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছিলেন তখন তার ভিতরে কোন অপরাধবোধের জন্ম হয়েছিল বলে আমার মনে হয় না।"এত বড় স্ববিরোধী কথা তিনি কিভাবে লিখলেন আমি জানি না।তিনি তার স্নেহাশীষ আসিফ মহিউদ্দিন এর পিঠ চাপরে দেন তার ব্লগ আর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে।তিনি কি দেখেননি উনি কি লিখেছেন ,ওনার খাটের তলায় বসে আল্লাহ্ কি করেন ।কই তখনতো তিনি আসিফ সাহেবকে সাবধান করেননি বা এর প্রতিবাদে কিছু বলেননি।আর মাহমুদুর রহমান এর প্রতিবাদ করেছে বলে তার দোষ হয়ে গেছে।জাফর সাহেবের কুবুদ্ধির তারিফ করতে হয়।
তিনি মাহমুদুর রহমান সাহেবের গ্রেফতারের পক্ষে ওকালতি করেছেন আবার চারজন ব্লগারের মুক্তির জন্য আক্ষেপ করছেন ।তারা যে ধর্মপ্রান মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে দিয়েছে এ ব্যপারে তার কোন ক্ষোভ নেই।কত বড় দলান্ধ!!
শাহবাগের তরুনরা সবাই নাস্তিক এ কথা আমিও বিশ্বাস করিনা ।কিন্তু জাফর সাহেবের জানা উচিৎ যে দলের নেতা নাস্তিক সে দলের কর্মীরাও নাস্তিক হওয়াই স্বাভাবিক।আর গণজাগরন মঞ্চএর নেতারা কি ধ্যন ধারনায় পূষ্ট তা আপনি ভালো করেই জানেন বলি মনে করি।
আর তাকে সবিনয়ে জানাতে চাই হেফাজতের নেতারা কারো ব্যক্তিগত ধ্যান ধারনা বা বিস্বাসের উপর ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করেনি।তারা ক্ষুদ্ধ যখন এ সকল কুলাঙ্গাররা আল্লাহ এবং তার রাসুলকে নিয়ে অবমাননা উক্তি করেন,জোর করে নাস্তিক্যবাদকে চাপিয়ে দিতে চায়,বিচারের নামে ইসলামী প্রতিষ্টানগুলোকে ধবংস করতে চায়।
তিনি একটি এস,এম,এস এর উদাহারন দিয়েছেন তবে তা বিশ্বাসযোগ্য ভাবে উপস্থাপন করেননি ।এক্ষেত্রেও তিনি ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন।
আর ৫ই মে কোরান পোড়ানোর ঘটনায় তিনি খুবই আহত হয়েছেন তবে তদন্ত ছাড়াই সরাসরি হেফাজতের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন।আর ৬ মে ভোর রাতে নিরীহ আলেমদের উপর যে হামলা হয়েছে এ ব্যাপারে তার কলামে উনি কিছুই লিখেননি ।সত্যি বিচিত্র তিনি! বাটপারি বা জোচ্চুরিরও একটা সীমা আছে।তিনি মনে হয় সে সীমাও অতিক্ক্রম করেছেন।
বিষয়: বিবিধ
২২৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন