মাহমুদুর রহমান !ক্ষমা করুন আমাদের।
লিখেছেন লিখেছেন সাদা ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:১২:০৭ দুপুর
আমি জানি আমার এ পোষ্টটি নিতান্তই আত্মপ্রবঞ্চনামুলক ,নিজের দায়িত্ব থেকে পার পেয়ে যাবার একটা অজুহাত মাত্র।নিরীহ, শান্ত,ভদ্র এই সব বিশেষনে বিশেষায়ীত হতে আগ্রহী আমরা মধ্য-মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত কোন প্রকারের সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নই।অন্যায় দেখলে মুখ লুকিয়ে অন্য রাস্তায় হাটা ধরি।মসজিদে গিয়ে ঠিকই নামাজ পড়ি বা বাসায় নামাজ আদায় করি।কিন্তু আল্লাহ বা রাসুলের অবমাননা হলে চুপ করে ঘড়ে বসে থাকি।আর বসে বসে ভাবি আল্লাই তাদের বিচার করবে।আর যারা প্রতিবাদ করবে ,রাস্তায় বেরোবে তাদেরকে বলব মৌলবাদী,জংগী।তারা যদি দাড়ি,টুপিধারী মাদ্রাসা পড়ুয়া বা মাদ্রাসার শিক্ষক হয় সাথে আরেকটা লবক যোগ হবে "অজ্ঞ"। আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেনী মানুষদের জীবনের মূল লক্ষ্য কি ?ভালো কোন চাকরি বাগিয়ে নেওয়া বা চাকরির উচ্চপদের জন্য তেল মারা।
এরকম ই এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মাহমুদুর রহমান।চাকরিও করেছেন সরকারি -বেসরকারি সর্বোচ্চ পর্যায়ে।জীবন ছায়াহ্নে এসে শুরু করলেন লেখা -লেখি তারপর পত্রিকার সম্পাদক হওয়া।যেহেতু তিনি পেশাজীবি সাংবাদিক নন তাই হয়ত জানতেন না সাংবাদিকতা করতে কত দাড়ি,কমা-সেমিকোলন এর প্রয়োজন হয় ।দাড়ি,কমা -সেমিকোলনের মাঝে কত দেওয়া নেওয়ার সম্পর্ক থাকে মাহমুদুর রহমানের মত একজন চান্স এডিটর তা কিভাবে জানবেন।তার বড় দোষ তিনি যা দেখেন তাই তার পত্রিকায় ছাপান।আরেকটা বড় দোষ তিনি আল্লাহ কে দেখেন না অথচ তাকে বিশ্বাস করেন ।মেনে চলতে চেষ্টা করেন তার রাসুলের দেওয়া নির্দেশনাগুলোকে।বড় বোকা তিনি!!!!অন্য সব মধ্য -বিত্ত শ্রেনীর মানুষদের মত নন,যারা নিজেদের পার্থিব স্বার্থ হাসিলের জন্য অধর্মের কাছে নত স্বীকার করি,পুলিশের পিটুনি থেকে রক্ষা পাবার জন্য বা জেলে যাওয়ার হাত থেকে বাচার জন্য অধর্মের শিখন্ডিদের বাসায় দাওয়াত করে ,একসাথে ছবি তুলে দেওয়ালে টানিয়ে রাখে।কত চালাক আমরা এই শ্রেনীর মানুষেরা।আর মাহমুদুর রাহমান কত বড় বোকা!!!!!তিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে জানেন না,চোরকে চোর বলতে ভয় পাননা,আল্লাহ ও তার রাসুলের সম্মানের জন্য নিজের জীবন কে উৎসর্গ করতে পরোয়া করেন না।আরে এখন কি সেই যূগ আছে,যুগ পালটে গেছে না।আত্মস্বীকৃত নাস্তিকদেরকেও আমরা জোড় করে আস্তিক বানিয়ে দিচ্ছি,আর বলছি আস্তিক -নাস্তিক বিচার করার দায়িত্ব আল্লাহর ।আর মনে মনে বলছি "যদি উনি থেকে থাকেন"।আসলে আমাদের ঈমান হয়ে যাচ্ছে গাড়ী,মোবাইল বা অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রীর মত বছর বছর তার ব্রান্ড চেইঞ্জ হচ্ছে।মাহমুদুর রহমানের মত এরকম ইমানদার ব্যক্তি হয়ে দুনিয়াটাকে কি নরক বানাবো নাকি!!!!
আর এই মাহমুদুর রাহমান রহমান যদি শহীদ ও হয় তাহলেও কি আমরা কিছু মাত্র বদলাব?আমরা তার মৃত্যুতে হয়ত একটা মিছিল বা বড় জোর একটা হরতাল ডাকব।তারপর যেরকম আছে আবার সেরকম হয়ে যাব।রিমান্ডে নিয়ে আপনার উপর অমানুষিক নির্যাতন হয়েছে ,আপনি কষ্ট পেয়েছেন,যন্ত্রনায় আর্তনাদ করেছেন, তাতে কারোকি এসে গেছে!আপনি দেশপ্রেমিক সেনা-বাহিনী নিয়ে লিখতেন,ইমানদার মুসলমানদের নিয়ে লিখতেন ,সব চেয়ে বেশি লিখতেন দেশের স্বার্থ নিয়ে, বড় ভুল করেছেন আপনি।
সেনাবাহিনী এখন অস্রকেনার কমিশন নিয়ে ব্যস্ত,তাদেরই এক অফিসার যিনি কিনা গম চুরির দায়ে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়েছেন পরে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সেও আপনাকে ছবক দেয়।বড়ই আশ্চর্য এই দেশ ! আর কত বড় বোকাই না আপনি!
বিষয়: বিবিধ
১২৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন