প্রথামিক শিক্ষা বইয়ের ধারাবাহিক ভুল কি অনিচ্ছাকৃত না ইচ্ছাকৃত না তাওহীদমুক্ত-তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ জাতি গঠনের পরিকল্পিত প্রয়াস:-
লিখেছেন লিখেছেন সত্য চিরন্তন ১৭ মার্চ, ২০১৩, ১০:৪৭:৫৪ রাত
নাম ইসলাম শিক্ষা পালটে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা করার কি লাভ হল !!!
আল্লাহর নিকট সবচে বড় অপরাধ হলো শির্ক (অর্থাৎ কাউকে আল্লাহর স্বত্বা বা গুনের অংশিদার বা সমকক্ষ সাব্যস্ত করা)। (সুরা লুকমান ১৩ দ্রষ্টব্য) মহান আল্লাহ শির্ক ছাড়া অন্য যেকোন অপরাধ (শর্তসাপেক্ষে) ক্ষমা করবেন, কিন্তু শির্কের অপরাধ তিনি ক্ষমা করবেন না। (সুরা নিসা ৪৮ দ্রষ্টব্য) মুসলমানের সাথে অন্য ধর্মের প্রধান পার্থক্যই হলো মুসলমানরা তাওহীদ (একত্ববাদ) বিশ্বাস করে, আর অন্যরা সবাই কোন না কোন ভাবে শির্ক করে থাকে।
ক্লাস নাইনের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে দেবদেবিকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করার সরল অর্থ হলো, ভবিষ্যত প্রজন্মকে শির্কের ময়লাময় মানসিকতায় গড়ে তোলা। সরকার অবশ্য ইতিমধ্যে বিষয়টাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে স্বিকার করেছে এবং অনলাইন সংস্করণে সংশোধনও করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে আমি কোন অবস্থাতেই মানতে নারাজ। কারণ নিয়মানুযায়ী কোটি শিশুর হাতে যাওয়া সরকারী বইগুলো প্রেসে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বেশ কয়েকজন পণ্ডিতের হাতে নিবিড়ভাবে সম্পাদিত হয়। ছোট্ট একটি পুস্তিকায় এতোবড় ভুল কয়েকজন পণ্ডিতের কারোই চোখে পড়েনি; বিষয়টি অবিশ্বাস্য। কোন বানান জাতীয় ভুল হলে হয়তো মেনে নেওয়া যেতো।
আমার ধারণা, অত্যন্ত চাতুরতার সাথে উৎকট দুর্গন্ধময় ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে এই কাজটি করা হয়েছে। ক্লাশ নাইনের বইয়ের ভুল নিয়ে সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই পঞ্চম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইতেও ভুল তথ্য দিয়ে ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃত করে তথাকথিত সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠার প্রমাণ মিলেছে। বইটির ৫৮নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ‘ইসলাম এত উদার যে, মহানবী (সা.) ইয়াহুদি, খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের মদিনা মসজিদে এবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছেন।’ এথেকে পরিস্কার হয়ে যায় যে, ভবিষ্যত প্রজন্মের মাথায় ময়লাময় ধর্মনিরপেক্ষতার বিজ বপনের জন্য সজ্ঞানেই এসব করা হচ্ছে।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন