নতুন সরকার ডা. ইমরান এইচ সরকার !

লিখেছেন লিখেছেন সত্য চিরন্তন ০২ মার্চ, ২০১৩, ১২:৩৪:৩৭ রাত

***

শাহবাগ থেকে তিনি ফাঁসির রায় ঘোষণা করছেন, দেশ কিভাবে চলবে নির্দেশ জারি করছেন। জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেয়ার মতো ভাষণ দিচ্ছেন। জনগণকে কখন কি পালন করতে হবে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে কি করতে হবে, কোন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, কোন কোন হাসপাতাল ও ব্যাংকে যাওয়া যাবে না ইত্যাদি একের পর এক নির্দেশ ডা. ইমরান জারি করেই যাচ্ছেন।

***

সমাবেশ থেকে প্রতিদিন তিনি বক্তৃতা করছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন, বিচারকের মতো রায় দিচ্ছেন আর টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তা সরাসরি সম্প্রচার করে চলেছে। ডা. ইমরান যেন এক প্যারালাল প্রধানমন্ত্রী, যেন প্যারালাল কোনো বিচারক।

গতকাল শুক্রবার ডা. ইমরান শাহবাগ থেকে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠান, গাড়ি-বাড়ি যে যেখানে থাকেন সেখানেই যেন জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়। এর আগে তিনি নির্দেশ দেন সরকারি-বেসরকারি সব স্কুলে যেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় এবং জাতীয় পতাকা তোলা হয়। তিনি নির্দেশ দেন গণমাধ্যমসহ ৩৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও বর্জন করতে হবে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন, নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম বন্ধ করতে হবে। তিনি নির্দেশ দেন সারাদেশে মোমবাতি জ্বালাতে হবে। নির্দেশে ছিল হরতালে দোকানপাট, ব্যাংক বীমা খোলা রাখতে হবে, যানবাহন রাস্তায় বের করতে হবে।

***

বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ডা. ইমরান রায় দেন রাজাকারের ফাঁসি হবে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হবে। মওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে রায়ের আগের দিন তার ঘোষণা ছিল—সাঈদীর ফাঁসি হবে, উত্সব করে মিষ্টি খেয়ে আনন্দ মিছিল নিয়ে বাড়ি ফিরব।

***

ডা. ইমরান সারাদেশে তিন মিনিট নীরবতা পালনের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ পালন করে সরকারের গোটা নির্বাহী বিভাগ।

***

মন্ত্রী, সচিবসহ সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তসাশিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের কার্যক্রম বন্ধ রেখে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে যান। শাহবাগের কথিত এ জাগরণ মঞ্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও নামানোর ঘোষণা দেয় হয়। সরকার ডা. ইমরানের এ ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বাধ্য করছে।

ডা. ইমরান এইচ সরকার !

এড় পরিচয় দেখুন>>

ছাত্রলীগ নেতা থেকে শাহবাগের আন্দোলনে : রংপুর মেডিকেল কলেজের ৩১তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন ইমরান। ২০০৬-২০০৭ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে তিনি। ২০০৮ সালে ইন্টার্নি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এনেস্থেসিয়া ডিগ্রি নেন। বর্তমানে তিনি স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য। গত বিএমএ নির্বাচনে স্বাচিপের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন ডা. ইমরান।

শেয়ার করুণ

আমার দেশ থেকে নেওয়া।

লিক দিলাম

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/03/02/190237#.UTDuvaI3ucg

বিষয়: রাজনীতি

১৭১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File