আহারে কামারুজ্জামান, যদি বাঙ্গালিয়ানার নামে যুবকদের অন্ততঃ নারীর বস্ত্রহরণ শিখাতে পারতেন, এভাবে ফাঁসিতে মরতে হতো না…
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:৫২:৫৬ বিকাল
আহারে কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লারা! খুবই আফসোস হয় আপনাদের জন্য। জাতির সংস্কৃতিমনা পুরুষরা চায় বাঙ্গালীয়ানার নামে প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার মানুষের (নাকি পশু?!) সামনে নারীর বস্ত্রহরণের মাধ্যামে উল্লাস করতে আর আপনারা যুবকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন কিভাবে নারীকে রক্ষা করতে হয়, সম্মান দিতে হয়! আজ যদি তথাকথিত সংস্কৃতিমনা, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল, আধুনিকদের মতো নারীর কাপড় ছিড়ে উলঙ্গ করে উল্লাস কিভাবে করতে হয় তা যুবকদের শিক্ষা দিতেন তাহলে নিশ্চিত আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হতেন! এভাবে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে মরতে হতো না! হাসিনার পাশে বসে জাতিকে নীতিবাক্য শুনাতে পারতেন! ঢাবি'র বর্তমান ভিসি আরেফিন সিদ্দিকীকে দেখেন না?! আপনার একই বিভাগের থার্ডক্লাস মার্কা ছাত্র। কিন্তু দেখেন কতো সুন্দর করে তিনি প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের নামে নারীর বস্ত্রহরণের সুযোগ প্রগতিশীলদের জন্য করে দিচ্ছেন আর নির্বিঘ্নে ভিসিগিরি করে যাচ্ছেন!
নারীকে যদি পণ্য হিসেবে দেখতেন, সাজিয়ে-গুজিয়ে সুন্দর করে সেই পণ্যকে সবার নাগালের মাঝে নিয়ে আসার শিক্ষা যদি আপনারা দিতেন তাহলে নিশ্চিত আপনি আজ বাঙ্গালীর আধুনিক (?!) প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হতে পারতেন! কেন ইকবাল সোবহানকে দেখেন না?! এদেশের মানুষের টাকায় নিজের চৌদ্দপুরুষের ভরণপোষনের ব্যবস্থা করছেন আর ধর্ষনলীগকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন!
দেশের প্রগতিশীল, আধুনিক (?!) প্রধানমন্ত্রী বাঙ্গালিয়ানার নামে চাচ্ছেন এ জাতিকে যৌনসর্বস্ব একটি জীব হিসেবে তৈরি করতে আর আপনারা কিনা সেই লক্ষ্য পুরণে বাঁধা দিয়ে জাতিকে নৈতিক চরিত্রের ট্রেনিং দেয়ার চেষ্ঠা করছিলেন! এসবই তো সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধ। আপনাদের ফাঁসি হবে না তো কি দেশরত্ন (?!) হাসিনার স্নেহধণ্য ছাত্রলীগের (নাকি ধর্ষকলীগ?!) সেঞ্ছুরী মানিকদের হবে?!
প্রগতিশীল ঘাদানিকদের মতে নারীরা হবে যুবকদের নষ্ট লালসা পূরণের জন্তু বিশেষ। ঘাদানিক প্রগতিশীলরা যখন চাইবে তখনই “চাহিবা মাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে” স্টাইলে নারীরা বাধ্য থাকবে নিজেদের বিলিয়ে দিতে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক, রাস্তা, সংসদ, বঙ্গভবন, গণভবন সব জায়গায় নারীদের বস্ত্রহরণ প্রগতিশীলদের মতে ওদের সংবিধান সম্মত অধিকার! আর আপনারা কিনা এসবের বিরুদ্ধে যুবকদের সচেতন করছিলেন! এত বড় সাহস, আপনাদের এসব কর্মকান্ড যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ না হয় তাহলে কি টিএসসির সামনে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ কর্তৃক নারীর বস্ত্রহরণ মানবতাবিরোধী অপরাধ হবে?!
প্রগতিশীল ও নারীবাদীদের মতে নারী হলো টিস্যু পেপারের মতো। কই কথিত নায়িকা হ্যাপির পক্ষে কোন প্রগতিশীল, আধুনিক, বাঙ্গালী পুরুষ দাঁড়িয়েছে?! সেই লম্পট ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে করা মামলায় রুবেল নির্দোষ বলে পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে, রুবেলকে স্বয়ং শেখ হাসিনা নাকি নির্দেশ দিয়ে জামিন করিয়েছে, কোন নারীবাদী তো একটি বিবৃতি দিয়েও প্রতিবাদ জানালো না! একবারও বলেনি যে, দোষ শুধু হ্যাপীর নয়, রুবেলেরও আছে! বরং তারা সবাই রুবেলকে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়ে হ্যাপির বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেছে! প্রগতিশীলদের ওসব ভন্ডামির বিপরীতে কামারুজ্জামানরা নাকি চায় নারীকে সম্মান দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে! এখন ফাঁসিতে কামারুজ্জামানরা না গিয়ে রুবেলরা যাবে?!
পহেলা বৈশাখ নাকি বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব! হিন্দুয়ানী সব সংস্কৃতিকে ৯০% মুসলমানের দেশে বাঙ্গালীর সংস্কৃতির নামে চালিয়ে দেয়ার নাম নাকি প্রগতিশীলতা ও আধুনিকতা! আর এসব বাঙ্গালীয়ানার আবশ্যিক আইটেম হলো নারীর বস্ত্রহরণ! প্রতিবছর নানা স্টাইলে নানা প্রলোভনে প্রগতিশীলরা নারীকে বের করে নিয়ে আসে নিজের নষ্ট লালসা পূরণের সুযোগ তৈরির জন্য। আর এসব নষ্টামির বিরুদ্ধে বলার কারণে কামারুজ্জামানরা হয়ে গিয়েছে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপারাধী! এখন প্রগতিশীলরা যাচ্ছে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসবের নামে নারীর বস্ত্রহরণের উল্লাসে যোগ দিতে আর কামারুজ্জামানরা যাচ্ছে ফাঁসির দড়ি গলায় নিতে! এর নামই বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ...
বিষয়: বিবিধ
৯০৮১ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথমালুরা এখন উটপাখিতে পরিণত হয়েছে!...
আর ললনারা যারা গিয়েছে তারাও নিজেদের বিলিয়ে দিতেই গিয়েছে....
কোন ভদ্র ঘরের মেয়ে জেনে বুঝে ওই জায়গায় সন্ধ্যার পর যাওয়ার কথা না।
এহেন অপ কর্ম দেখেও তথাকথিত নারীবাদীরা মুখে কুলুপ এটে বসে আছে কেন? অনেকেই এমন প্রশ্ন করছে।
আসলে নারীবাদীদের মনের খাহেশই মূলত নষ্ট বাম আর ধার্মহীন আল এর ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা পুরা করেছে, তাই তারা মুখ লুকিয়ে মুচকি হাসছে।
যাদের আশা, ছাত্রলীগ পুরা করেছে তারাও খুশি। তবে ফাঁকতালে কেউ যদি ভিক্টিম হয়ে থাকে তাহলে সেটা তাদেরই দোষ। কারণ, এধরণের অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা যে হরহামেশাই ঘটে, তাই যারা এ থেকে মজা পেয়ে অভ্যস্ত তারা যাবে আর যারা অভ্যস্ত নয় তাদের এমন অনুষ্ঠানে না যাওয়াই ভালো।
অসাধারণ লেখা। বাস্তবধর্মী লেখা।
এই উৎসব এর স্বার্থকতা এই!
চমৎকার উপস্থাপনা। যথার্থই বলেছেন। পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। জাজাকাল্লাহু খাইর।
লিটন নন্দী নিশ্চয় ইসলামের আলোকে অনুপ্রানিত কেউ নন। অথচ তিনিই বিপন্নকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন, নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। অন্য দিকে ইসলামে অনুপ্রানিত ঝাকবাঁধা মুমিনের দল নবী মোহাম্মদ স্টাইলে (গনিমত) নারী ধর্ষনের নেশায় ঝাপিয়ে পরল। লজ্জা, লজ্জা.......
আমি তখনই মুক্তমনা, যখন আমার চিন্তা করার জন্য, গবেষণা করার, লেখালেখি করার, বক্তব্য দেয়ার জন্য শত শত বিষয় থাকার পরেও শুধুমাত্র ‘ইসলাম’ নামক বিষয়টি আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে বেছে নিতে পারবো। সৃজনশীল, মার্জিত পরিশীলিত ভাষার পরিবর্তে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষের নামে মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল নোংরা ভাষার প্রয়োগ করে কালিমা লেপন করার চেষ্টা করতে পারবো। মুক্তমনা আমি তখনই!!
ভালো লেগেছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন