ভাগ্যিস উনারা বলেননি, মেয়েরা ন্যুডিস্ট হলেই ইভটিজিং সর্বাধিক প্রতিরোধ করা যাবে...
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৭:১৭:৫৭ সন্ধ্যা
১। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে লেখাপড়ার সুযোগ পেলে ইভটিজিংয়ের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলা সহজ হবে।
২। ছেলেমেয়েদের সহজভাবে মিশতে দিলে মেয়েদের প্রতি ‘দুর্বার আকর্ষণ’ হ্রাস পাবে এবং এতে ইভটিজিং কমবে!
উপরের কথাগুলো ‘নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বিনোদনমূলক শিক্ষার ভূমিকা’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠকের। বৈঠকটির আয়োজক প্রথম আলো ও ব্র্যাক। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি সচিব সহ অনেক সুশীল ও নারী অধিকারের হর্তাকর্তা!
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মাঝে অন্য কোন বিষয় নিয়ে লিখতে তেমন আগ্রহ বোধ করি না। কিন্তু প্রথম আলো আয়োজিত ওই কথিত গোলটেবিল বৈঠকে যা বলা হয়েছে তা পড়ে প্রথম আলোর সেই চরিত্রের কথা আবার মনে পড়ে গেল। বদলে যাও, বদলে দাও- শ্লোগানের আড়ালে বাংলাদেশের বিশেষ করে নূতন প্রজন্মের নীতি-নৈতিকতা-চরিত্র ধ্বংস করে যৌন সর্বস্ব জীব ও পশুর সমান করে তোলা। নারী অধিকারের নামে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা।
তারই প্রতিফল দেখা গেলো তাদের আয়োজিত গতকালের কথিত সেই গোলটেবিল বৈঠকে। ইভটিজিং প্রতিরোধ করতে পারে নাকি সহশিক্ষা, শুধু সহশিক্ষা চালু থাকলেই হবে না, ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলামেশার সুযোগ দিতে হবে এবং তাতেই প্রতিরোধ করা যাবে ইভটিজিং ও নারীর প্রতি সহিংসতা! নীতি নয়, নৈতিকতা নয়, চরিত্র নয় সর্বস্তরে সহশিক্ষা ও নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশাই পারে ইভটিজিং প্রতিরোধ করতে?! কি আজব ভাবনা!
আচ্ছা প্রথম আলো ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা কি মঙ্গলগ্রহে থাকে?! বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় কি এখন সহশিক্ষা চালু নেই?! প্রাইমারী স্কুল থেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কি ছেলে-মেয়েরা একসাথে লেখাপড়া করে না?! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কি ছেলে-মেয়েরা সহজে মিশতে পারে না?! ওই প্রতিষ্ঠান গুলোতে যেভাবে মিশে তারচেয়ে সহজ মেলামেশা আর কি হতে পারে?! তো সহজ মেলামেশা ও সহশিক্ষা যদি ইভজিটিং ও ধর্ষন কমাতে পারতো তাহলে হাসিনার সাগরেদ ছাত্রলীগের মানিকদের ধর্ষনের সেঞ্ছুরী করতে হলো কেন?! দুই-একটা করেই তারা ক্ষান্ত দিতে পারতো! ওই সহজ মেলামেশা যেখানে ইভটিজিং ও ধর্ষন না কমিয়ে বরং সেঞ্ছুরী করতে উৎসাহ দিয়েছে তাহলে আর কোন সহজ মেলামেশা দিয়ে প্রথম আলো ইভটিজিং কমাবে?!
এরপর মাদ্রাসায় সহশিক্ষা চালু নেই। শিবিরের ছেলেরা আমাদের জানা মতে মেয়েদের সাথে খুব একটা মেশে না। প্রথম আলোর থিউরি অনুযায়ী দেশের সব ইভটিজার ও ধর্ষক হয় মাদ্রাসা থেকে আসবে নয় শিবির থেকে আসবে। অথচ ওসব অসভ্যতার সাথে মাদ্রাসা ও শিবিরের ছাত্ররা জড়িত থাকে বলে ইসলাম ও শিবির বিরোধী প্রথম আলোও লিখতে পারেনি। বরং যত ধর্ষক, ইভটিজার, ছাত্রী লাঞ্ছনাকারী সব এসেছে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্রলীগ থেকে। তারপর মেডিকেলে থাকার কারণে আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা হচ্ছে অধিকাংশ ধর্ষক হয় বিবাহিত নয় এমন কোন নষ্ট চরিত্রের লোক যার হাতে ইতিমধ্যেই অন্য নারী ধর্ষিত বা লাঞ্ছিত হয়েছে। প্রথম আলোর কথা যদি সত্য হয় তাহলে বিবাহিত পুরুষ কেন নারী ধর্ষন করবে?! বিবাহিত পুরুষও কি তাহলে সহজে নারীর (স্ত্রী) সাথে মিশতে পারছে না বলে ধর্ষনে লিপ্ত হচ্ছে?!
মাদ্রাসা ও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা চালু থাকা সাথে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়েরা বিনা বাঁধায় মেলামেশা করার পরও প্রথম আলো ও আওয়ামী সচিব, সুশীলরা কোন ধরনের ‘সহশিক্ষা ও সহজ মিশা’ চালু করতে চাচ্ছে যার ফলে নাকি ইভটিজিং ও ধর্ষন কমে যাবে?! আর কিছুদিন পর উনারা কি তাহলে বলবেন যে বাংলাদেশের নারীরা যদি ন্যুডিস্ট হয়ে যায় তাহলে ইভিটিজিং শব্দটিই এখানে থাকবে না! একদিকে নৈতিক চরিত্র ধ্বংসের সব পথ খুলে দেয়া হচ্ছে অন্যদিকে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে উম্মূক্ত করে দিতে চাচ্ছে এর ফলে যে আসলে ইভটিজিং ও ধর্ষন কমে না তা কি প্রথম আলোদের এখনও বুঝার বাকী আছে?! না, তারা আসলে বুঝে। তারা জেনে-বুঝেই নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে কিভাবে উপস্থাপন করা যায়, কিভাবে সহজে সেই পণ্য নষ্টদের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া যায় তার বিভিন্ন পন্থা আবিস্কারে লিপ্ত। তারা নারীর সামাজিক উন্নতি নয়, পণ্য হিসেবে নারীর উন্নয়ন কিভাবে করা যায়- সে পণ্য সবার কাছে কত সহজে পৌঁছানো যায়, সেটিই প্রথম আলো ও ধর্মনিরপেক্ষ সুশীলদের ভাবনা। তাই আজব আজব সব নষ্ট থিউরি তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে নারী উন্নয়নের নামে...
বিষয়: বিবিধ
৩৪০১ বার পঠিত, ৬১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিঃদ্রঃ শিয়ালের পেট ভরা থাকলে মুরগী শিকারের প্রয়োজন পড়ে না
এটি সত্য। এবং আমাদেরকে বুছতে হবে তারা কি বলতে চাচ্ছেন। যদি নারী পুরুষের বিচরণ অবাধ হয় তাহলে সত্যিই ইভটিজিং এর পরিমান একেবারে কমে যায়। কারন তখন ইচ্ছা করলেই নারীকে পেতে পারে ফলে বিনা কারনে টিজ করার দরকার নেই। যেহেতু তাদের বক্তব্য হল অঅপোষে ব্যভিচার পছন্দনীয় কিন্তু ধর্ষন নিন্দনীয়,তাই তাদের যুক্তিতে তারা ঠিক আছে।
.....আমার কুত্তা ঠেঙ্গানো লাঠি ডা গেল কই........ওইটাতে গু মাখিয়ে.....তবে....ধুম ধাম লাগিয়ে দিলে এসব আওয়াজ বন্ধ হবে
আর এখান থেকে শেখার কিছু নেই। ওরা ওদের মাথা দিয়ে চিন্তা করেনা। তাদেরকে চালায় ভিন্ন কিছু শক্তি। এরা দালাল। এদের রুটি রুজি এর উপরই...।
গ্রামে 'বুইড়া খাটাশ' বলে একশ্রেণীর ইতর লোক কে বুঝানো হয়,যারা লোচ্চা-বদমাইশ!
শিক্ষিতের আড়ালে এরাই সেই 'বুইড়া খাটাশ'!!
কথাটা মন্দ কয় নাই, কারণ অবাধে “মেলামেশা” করতে দিলে আর টিজ করার কি দরকার ।
ফ্রি মিক্সিংয়ের ফলে সেক্স হলে সেখানে যে ছেলেদের একচেটিয়া দোষারোপ করা হয় এখন , তখন তা আর থাকবে না ।
এখন যেমন সবাই রুবেল-হ্যাপীর ঘটনায় রুবেলকে দোষারোপ করছে , তখন এরকম মানসিকতা আর থাকবে না যে এরকম মিউচ্যুয়াল ঘটনায় শুধু পুরুষকেই বলী দেওয়া হয় । সবাই তখন এরকম মানসিকতাতে চলে যাবে যে এরকম ঘটনায় কখনই এক হাতে তালি বাজে না ।
উন্নত বিশ্বে কি টিজিং বা ধর্ষন হচ্ছে না ? বাংলাদেশ থেকে তা অনেকগুন বেশীই হচ্ছে । সেখানে তো আরও বেশী নারী স্বাধীনতা ভোগ করা হয় । সেখানে যে তারপরেও এত ধর্ষনের ঘটনা ঘটে কই এত চাউর তো হয় না বাংলাদেশের মত ? কারণ সেখানকার মেয়েরাও জানে যে এসব কাজ কখনও একার পক্ষে হয় না ।
একটা মেয়ে যদি কোন ছেলে দ্বারা ধর্ষিত হতে যাচ্ছে এই সময়ে যদি সে রাজী না হয় ও তার যোনী পথ দুই পায়ের রান দিয়ে শক্ত করে আটকে রাখে তাহলে কোন বলশালীর পক্ষেও কি সম্ভব মেয়েটির শরীরে কোন আঘাত না করে/ধস্তাধস্তির নিশানা না রেখে তার সাথে সেক্স করার ?
ধন্যবাদ আপনাকে।
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/464029/বন্ধুর-গ্রামে-গিয়ে-গণধর্ষণের-শিকার-কিশোরী
ইভটেজিং বন্ধের জন্য সুশীলদের যে সুপারিস, ছেলে মেয়েদের অবাদে মেলা মেশার সুযোগ দেয়া তাও একটা পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার সুপারিস হল, সুশীলদের প্রাপ্ত বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক-বয়স্কা ছেলে মেয়েদের একটা কেন্দ্রীয় হোস্টেলে একত্রে এক বছর রাখা হোক। এক বছর পরেও বাথরুম বা ডাস্টবিনে যদি সুশীলদের নাতি নাতনিদের ভ্রুন না পাওয়া যায় তাহলে বুঝব প্রেজেক্টের আলোকে ঢাবি, জাবির ছাত্র ছাত্রীদের একই হোস্টেলে থাকার সুযোগ দেয়া যেতে পারে।
এক সুশীলের ঘরে অন্য সুশীলের ছেলে মেয়েদের অবাদে প্রবেশাধিকার দিয়েও বিষয়টা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্র সুশীল বাবুদের মেয়েদের চেয়ে স্ত্রীরা বেশী ঝুকি মুক্ত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ নর মাংশের স্বাধ যদি একবার কেউ পায় সে বারবার নিতে চায়। যদি তাই না হত তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবাহিত শিক্ষরা এমনকি জাফর ইকবাল স্যারেরা মেয়ে সমতুল্য ছাত্রীদের সাথে ঢালাঢলি করত না আর মরহুম হুমায়ুন স্যার সুন্দরী স্ত্রী রেখে মেয়ের অপ্রাপ্ত বয়স্কা বান্ধবী শাওনের সাথে ইয়ে করে বিয়ে করত না।
উনারা আর কি বলবে ? উনারা বলার আগেইত বেশির ভাগ মেয়ে নুড হয়ে গেছে ।
১। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে লেখাপড়ার সুযোগ পেলে ইভটিজিংয়ের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলা সহজ হবে।
২। ছেলেমেয়েদের সহজভাবে মিশতে দিলে মেয়েদের প্রতি ‘দুর্বার আকর্ষণ’ হ্রাস পাবে এবং এতে ইভটিজিং কমবে!
মন্তব্য হল এভাবে,
হিজরা বা নপুংশক হবার আগ পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের দুর্বার আকর্ষন কোনদিন কমেনা। বরং চোখের সামনে উদ্দাম ঘুরতে থাকলে দুর্বার আকর্ষন আরো গতিপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা অশ্লীল নাটক, সিনেমার কল্যানেই সৃষ্টি হচ্ছে। এসব ছবির আবেদন থেকে আকর্ষন দুর্বার হয়ে উঠে এবং যেখানে উভয়ের সমাগম ঘটে সেখানেই বিপত্তি ঘটে।
A whole school policy is the keystone of anti-bullying interventions.
What?
A statement of the right roles, and responsibilities of the all members of the school community. It includes commitment to address bullying, a definition(it is very important for us to know the definition otherwise we can not STOP them), and process of prevent and intervene.
Who
A steering committee to develop and implement whole school policy includes the school principal, representatives from parent council, teachers, and other school staff, and students.
How?
Increase awareness about bullying
Steering committee consults with all school staff, parents, students and community leaders.
Prepare draft policy, consul, final policy
Inform stakeholders about implementation
Insure consistent application and revision of policy, procedures and strategies.
মন্তব্য করতে লগইন করুন