হাসিনার লেন্দুপ দর্জি হওয়ার নগ্ন বাসনা জেগেছে?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৬:১৭:৫১ সন্ধ্যা
শাড়ি এখনও বাঙ্গালী নারীর প্রধান পছন্দের পোষাক। বাস্তবে শাড়ি পরা ও সামলানো বেশ কঠিন হলেও বিভিন্ন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের ধরণ অনুযায়ী মেয়েরা শাড়ি সিলেক্ট করে পরতে পছন্দ করে। আমাদের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তা করেন। তিনি প্রধানতঃ শাড়িই পরে থাকেন। শাড়ি শুধু তিনি পছন্দ করেন তা নয় ভারত সফরের সময় তিনি ভারতীয় রাজনীতিবিদদের আমাদের জামদানী শাড়ি গিফট করেছেন বলেও জানা যায়। শাড়ি শেখ হাসিনার প্রধান পোষাক হওয়ায় শাড়ির ব্যাপারে তিনি খুব সচেতন বলেই ধরে নেয়া যায়। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজ দেশের স্বাধীনতার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি পোষাক নিয়ে আরো সচেতন থাকেন তা বলা যায়। ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। কিন্তু সেই বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা হুবহু ভারতীয় পতাকার মতো তৈরি শাড়ি পরে উপস্থিত হয়েছেন, বক্তব্য দিয়েছেন- বিষয়টি বিশ্বাস করতে মন চায়নি। তাই বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি খুব গভীর ভাবে দেখেছি। রং এর মিলের সাথে সাথে ভারতীয় পতাকার মাঝখানে যে বৃত্তটি আছে সে বৃত্তটিও হাসিনার শাড়িতে আছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সচেতন ভাবেই নিজে তৈরি করে নিয়েই ভারতীয় পতাকার আদলে তৈরি শাড়ি পরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। ওই শাড়ি যে শেখ হাসিনাকে খুব মানিয়েছে তা নয়, ওই ধরনের অনুষ্ঠানে নিজের সাথে মানানসই শাড়ি পরে যাওয়াটা ছিল স্বাভাবিক। না মানানোর পরও শেখ হাসিনা উদ্ভট কালারের ভারতীয় পতাকার ওই শাড়ি পরে কোন বার্তা জাতিকে দিতে চেয়েছে?!
১। মনমোহন, সোনিয়া, প্রণব মুখার্জির ষড়যন্ত্রে এবার অবৈধ ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগ এখনও ভয়ে আছে তারা আগের মতো সমর্থন মোদি থেকে পাবেন না। হয়তো পাচ্ছেও না। তাই এবার শেখ হাসিনা গত বারের চেয়েও বেশি ভারত প্রেমী বলে নিজেকে মোদির কাছে উপস্থাপন করতে চায়। ক্ষমতা উপভোগের উদগ্র/নগ্ন/নির্লজ্জ বাসনা হাসিনাকে পেয়ে বসেছে। প্রয়োজনে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুই ধ্বংস করে দেয়া হবে কিন্তু গণভবন হাসিনার চায়! আর সেই গণভবন ধরে রাখতে হাসিনা এখন মোদীর চেয়েও বড় ভারত প্রেমী সাজতে চাচ্ছে।
২। সম্প্রতি হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সরাসরি সেনাপতি প্রায় সবাইকে রাজাকার বলে অভিহিত করতে শুরু করেছে। কিন্তু মুজিব, হাসিনা ও আওয়ামী নেতা যারা যুদ্ধ না করে বিভিন্ন ভাবে নিরাপদে ছিলেন তারাই হয়ে উঠেছে মুক্তিযোদ্ধা! অর্থাৎ যারা বাংলাদেশের পক্ষে ছিল, স্বাধীনতা এনেছে তারা রাজাকার! তারা মানে আওয়ামী লীগ আসলে বাংলাদেশের মূল স্বাধীনতা চায়নি, তারা চেয়েছিল বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়ে গেলে যেন ভারতের অধীনস্ত হয়! কিন্তু আলটিমেইটলি তা হয় নি। মুজিব ও ইন্দিরার সেই চাওয়া বাস্তবায়িত হয়নি। ভারতের অনেক চাপের পরও বাংলাদেশ এখনো ভারতের কাছে বিলীন হয়ে যায়নি। তাই আওয়ামী লীগ তাদের সেই মৌলিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটাচ্ছে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিন ভারতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতিদের রাজাকার হিসেবে অভিহিত করে। আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাওয়া রাজকারি আর বাংলাদেশকে ভারতের অধীনস্ত করার নাম মুক্তিযুদ্ধ?!
৩। আসলে মুজিব পরিবারের মূল চাওয়া সিকিমের লেন্দুপ দর্জি হওয়া। শেখ মুজিব চেয়েও পারেনি জনগণের সচেতনতার কারণে। মুজিব কন্যা হাসিনা এবার সেই পথেই চলছে। হাসিনা বুঝে গিয়েছে ১৯৭২-৭৫ সালে এদেশের জনগণ যেভাবে সচেতন ছিল বর্তমানে হাসিনা-ভারতের যৌথ ষড়যন্ত্রে ততটাই অসচেতন। তাই হাসিনা এবার সরাসরি নেমে পড়েছে তার লেন্দুপ দর্জি হওয়ার নগ্ন বাসনা পূরনে। সে কারণে প্রায় ২০কোটি মানুষের এদেশে হাসিনা এত বড় দুঃসাহস দেখায় বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতের পতাকা গায়ে জড়িয়ে। আর একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে বাংলাদেশে এখন সিকিম হওয়ার সবকিছুই বিদ্যমান। ভারতের তৈরি করা সরকারী দল ও বিরোধী দল দ্বারা গঠিত হয়েছে বাংলাদেশের সংসদ। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনী মূল কাজ বাদ দিয়ে যেন এখন দেশের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট বিজনেস হাউস। সীমান্তে বিজিবি ফাংশন করছে না বরং যাদের থেকে দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব সেই ভারতই নাকি ট্রেনিং দেয় বিজিবিকে! জনগণ যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি অসচেতন। এটিই হাসিনার শ্রেষ্ঠ সময় লেন্দুপ দর্জি হওয়ার। বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিন বাংলাদেশের কথিত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভারতীয় পতাকা গায়ে সে বার্তাই জাতিকে দিচ্ছে?!
বিষয়: বিবিধ
২৭৯২ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধু যদি লেন্দুপ দর্জির জিবন থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহন করতেন।
অনেক ভাল পর্যালোচনা করেছেন আপু ।
কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী গালাগালিতে প্রধান ?এবং কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজ দেশ থেকে দাদাদের দেশকে বেশি ভালবাসেন ?
ইতিহাস অধ্যায়ন করে যে শিক্ষা না নিয়ে ভুলে যায় তার জন্য সামনে পতন ছাড়া আর কোন পথ থাকে না।
ধন্যবাদ আপু ।
এর মাধ্যমে অন্তরের সুপ্ত বাসনারই প্রতিফলন ঘটেছে শুধু!এতো আশ্চর্য্য হওয়ার কিছুই নেই!
বীজ অনুযায়ীই ফল ধরে!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন