না, আমি ভয় পাইনি, হতাশও হইনি- কারণ এটিই জীবনের মূল সফলতা...
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ০৩ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৬:৪৯ সকাল
হঠাৎ করে একের পর এক জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায় আসছে কেন?! আওয়ামী লীগের সাথে সমযোতার যে টোপ দেয়া হয়েছিল তা গ্রহণ না করার জন্য? নাকি জামায়াত-শিবিরকে ভয় লাগানোর জন্য? হতোদ্দ্যেম করে দেয়ার জন্য? জামায়াতকে দূর্বল করার জন্য? এসব চিন্তা থেকে যদি নিরপরাধ জামায়াত নেতাদের হত্যা করার দিকে আওয়ামী লীগ যায় তা হবে সেই ঐতিহাসিক ভুল। গত ৭/৮বছর ধরে প্রায় ৪০০জন জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াত-শিবির দূর্বল হয়েছে? হতোদ্দ্যেম হয়েছে? ভয় পেয়েছে?
শাহাদাত যাদের কাম্য, শাহাদাতের ইচ্ছা যারা হাজার-লক্ষ মানুষের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে, শাহাদাতের মৃত্যু যেখানে একজন মুমিনের চুড়ান্ত লক্ষ্য জান্নাতে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ সিড়ি, সেই মৃত্যুর মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্ঠা?! খুবই হাস্যকর একটি প্রচেষ্ঠা। কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লারা এদেশের ইসলামী আন্দোলনের অগ্রজপথিক। ওদের দেখে এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ তৈরি হয়েছে যারা এদেশের ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তার চুড়ান্ত লক্ষ্যে। এ পথটি কঠিন জেনেই তারা দুনিয়ার সব সুযোগকে পিছনে ফেলে এই কঠিন পথের পথিক হয়েছে। এই ভাগ্য সবার হয় না। আবু জেহেলের হয়নি, ওমরের হয়েছে। আবু জেহেলও মরেছে তার মৃত্যু তাকে ঘৃণার পাত্র করেছে। ওমরকে সারা বিশ্ব আজো স্মরণ করছে চরম সম্মানের সাথে। এখানেই মানবজীবনের সফলতা।
তাই শেখ হাসিনা যদি মনে করে খুন, হত্যা করে জামায়াতে ইসলামীকে দমানো যাবে তা হবে না। আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিয়ে জামায়াতের প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতা কারাগারে। কাউকে কাউকে হাসিনা হত্যা করেছে, কেউ কেউ হাসিনার কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে, কয়েকজনে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী হারিয়ে গিয়েছে? শেষ হয়ে গিয়েছে? দূর্বল হয়েছে? বরং প্রতিটি মৃত্যু, খুন, হত্যা, শাহাদাত জামায়াতকে আরো শক্তিশালী করছে, ভবিষ্যতেও করবে। একটি কথা হাসিনারা ভুলে যান যে জামায়াতে ইসলামী কোন ব্যাক্তি নির্ভর দল নয়। জামায়াতের উপর যে স্ট্রীমরোলার চালানো হচ্ছে তা যদি অন্য কোন দলের উপর চালানো হতো তাহলে এতদিনে তাদের খোঁজও পাওয়া যেতো না। অথচ জামায়াতে ইসলামী অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে এসব শাহাদাতের বিনিময়ে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য শাহাদাত লাগবেই। তা না হলে আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ) শাহাদাতের মৃত্যুর এত মর্যাদার কথা বারবার বলতেন না। অতীতে নবী-রাসুল (সাঃ) যেভাবে আল্লাহর কথার বাস্তব সাক্ষ্য দিয়েছিল ঠিক সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলন।
তাই কামারুজ্জামানকে হত্যা করার যে প্রচেষ্ঠা নেয়া হয়েছে তাতে একটি বিষয় এখনই বলে দেয়া যায় তার মৃত্যু এদেশের ইসলামী আন্দোলনকে দূর্বল নয় বরং আরো অনেক শক্তিশালী করবে। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা আদর্শিক ভাবে পরাজিত হয়ে কুটকৌশলে হত্যার মাধ্যমে ইসলামকে দূর্বল করার যে ষড়যন্ত্র করছে তা কখনোই সফল হবে না। অতীতে হয়নি, বর্তমানে হচ্ছে না, ভবিষ্যতেও হবে না। আল্লাহর কাছে একটি আবেদনই থাকবে, কামারুজ্জামানরা এই কঠিন পথে এসেছে একমাত্র আপনার উপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখে। আপনি যে বিধান কায়েমের দায়িত্ব মানব জাতির উপর দিয়েছিলেন, সেই বিধান কায়েমকে জীবনের লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিল কামারুজ্জামানরা। আপনার পথেই পুরো সময়টি তারা কাটিয়েছে, শেষ পর্যন্ত জীবনটিও তারা দিয়ে যাচ্ছে আপনার জন্যেই। হাসিমুখে মৃত্যুকে তারা গ্রহণ করছে আপনার কাছ থেকে প্রতিদানের আশায়, যা ছিল তাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য। যে আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এদেশের ইসলামী আন্দোলনের কান্ডারীরা নিজেদের জীবনটি পর্যন্ত হাসিমুখে বিলিয়ে দিচ্ছে সে আলোকে আপনি নিভিয়ে দিবেন না। বুকের ভিতরে চেপে রাখা কষ্ট ও কান্নার পরও একটি আশাতে থাকি এসব শাহাদাতের মাধ্যমেই ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়বে সবখানে।
বিষয়: বিবিধ
৩৯৫৯ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মরছে যে বীর লাখে লাখে।
কিসের আশায় করছে তারা
বরণ মরণ যন্ত্রণাকে।
......
......
কেমন করে দুঃসাহসী
চলছে উড়ে স্বর্গপানে।
একেবারে সত্য কথা ও উত্তম যুক্তি। সরকার নিজেরা মরতে ভয় পায় বলে অন্যকে মৃত্যুর ভয় দেখায়, তবে তাদের করুণ পরিনতি পুরো জাতি উপহাস ভরে উপভোগ করবে। সে দিন বেশী দূরে নয়, আমরা শেখ মুজিবের অসহায়, করুন ও মর্মান্তিক মৃত্যু দেখেছি, দেশে চোখের পানি ফেলার মানুষ ছিলনা। এখনও শেখ মুজিবের মৃত্যুতে কান্নার জন্য সরকারকে পিয়াজ সাপ্লাই করতে হয় কেননা কান্নার সাথে হৃদয়ের আবেক জড়িত থাকতে হয়।
আমরা শহীদি দরজা চাই
নিত্য মৃত্যু ভয়ে ভীত ওরা
মোরা মৃত্যু কোথায় খোজে বেড়াই
মরছে যে বীর লাখে লাখে।
কিসের আশায় করছে তারা
বরণ মরণ যন্ত্রণাকে।
.....
.....
কেমন করে দুঃসাহসী
চলছে উড়ে স্বর্গপানে।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
এর পরে কি ? এর পরে কি?
না আর কিছুই নাই সামনে শুধু মৃত্যু নামের একটা পর্দা!!
সেটা উঠে গেলেই যে প্রভূর দরবারে শহীদ হিসেবে হাজিরা!!
আল্লাহুম্মা তাকাব্বালনা।
সেই সর্বোচ্চ আদালত যেখান থেকে প্রমানিত হয়েছিল গোলাম আজম এ দেশের নাগরিক এবং আপনারা সেই কথা মানুষকে শুনাতেন।
নিজের পক্ষে গেলে আডালট নিরপেক্ষ,আর বিপক্ষে গেলে মোটিভেটেড,
জামাতের উপর আল্লাহর গজব পড়ছে,ইসলামের অপব্যখ্যা করার জন্য।
আবার আইনের আশ্রয়ই যদি নিবেন তবে হরতাল,রাস্তায় ভাংচুর কেন ?
মাইরেও জেতবেন কাইন্দেও জেতবেন ?
উমাইয়া শাসনামলে বহু সাহাবায়ে কেরামগনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল,কই অন্য সাহাবারা হরতাল,ভাংচুর করেন নাই।এত বড় জুলুম এর পরেও ধর্য্য ধরেছেন , এটাই ইসলাম।
জামাআতের দশজনকে হত্যার কথা আওয়ামী লীগের নেতারা বলে আসছিলেন ২০০৯ সাল থেকেই--যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়নি, তখন থেকেই । তারপর দলীয় লোকদের দিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন, মিথ্যা চার্জশীট দাখিল, ভুয়া সাক্ষী আনয়ন, এবং ফরমায়েশি রায় পড়ে শোনানো ।
রায়গুলো লেখা হত আগে থেকেই । সেজন্য আসামী পক্ষকে সাক্ষী আনতে দেয়া হত না । কামারুজ্জামানকে কিলিং করার শেষ ধাপ পার করা হল আজকে ।
পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্য যাদেরকে এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে, তারা খুব বিশ্বস্ততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন । জাতি এই বেঈমানদের দীর্ঘদিন স্মরণে রাখবে ।
"হে আল্লাহ্, তুমি তোমার জমিনে ইসলামী আন্দোলনকে চিরজীবি করে রাখ" ।
১৮ বছর বয়সি তরুন এত অপরাধ করল তার টিনএজ এ আর বাকি জিবন কোন অপরাধ করেনি!!!
মিথ্যা অভিযোগে দন্ডদাতা রা অবশ্যই হত্যাকারি।
বাংলাদেশের মানুষ শুধু এই একটি কারণেই হাসিনাকে বার বার চাইবে যে তিনি কারও চোখ রাঙ্গানির পরোয়া করেন নি এদেরকে সাইজ করতে ।
জামায়াতের একটা বিরাট যুগের শেষ হয়ে গেল । এখন যারা আছে তারা জামায়াত করলেও বেশীর ভাগেরও জন্ম স্বাধীনতার পর বা যুদ্ধের সময় ঘটনা ঘটানোর বয়সে ছিল না ।
ফলে তারা এখন সুযোগ পাবে পিউরিফাই হবার এদেশের জন্য যেটা নিজামী-গোলাম আজমদের জন্য পারছিল না ।
জামায়াতের ছেলে মেয়েরা যদি এখন নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে দেশের জন্য পজিটিভ ভাবে - সেটাই হবে তাদের জন্য বেটার অপশন ।
না হলে .... দৌড় চলবেই ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন