হাসিনা ও নষ্ট বামদের মনে রাখা উচিত জামায়াতে ইসলামী, আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয়…
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২৯ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:২৮:০৫ সন্ধ্যা
হাসিনা-খালেদা শেষ, আওয়ামী-বিএনপি শেষ! ঠিক এ কারণেই হাসিনা-খালেদারা নেতৃত্ব ছাড়তে চান না এমনকি নিজ পরিবারের বাইরে দলের দায়িত্ব সাহস পান না। যত বড় নেতা-নেত্রীই আওয়ামী-বিএনপিতে থাকুক না কেন, হাসিনা-খালেদার পরিবারের বাইরে কেউ ক্ষমতার শীর্ষস্থানে পৌঁছার সুযোগ নেই। কারণ হাসিনা-খালেদা দিবে না। এমনকি কি নৌকার বদৌলতে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের ভাগ পাওয়া ইনু-মেননদের দলেরও একই অবস্থা। ওই সব নষ্টদের দলে এমন কোন পরবর্তী নেতা তৈরি হয়নি যারা নিজেদের জনগণের প্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দেয়ার যোগ্যতা রাখে। এখন নিজেরা যেমন তেমনি ভাবে হাসিনারা জামায়াতে ইসলামীকেও মাপতে শুরু করেছে। ঠিক এখানেই হয়েছে তাদের সবচেয়ে বড় ভুল।
জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করার জন্য কোন ষড়যন্ত্রটি গত ৬বছর ধরে করেনি ভারত, হাসিনা ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নষ্ট বামরা? পেরেছে?! পারেনি। কারণ একটিই, এটি আল্লাহর দল। আর আল্লাহ নিজেই বলেছেন, "তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে করতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তা হতে দিবেন না, তিনি তাঁর আলোকে পূর্ণ না করে ছাড়বেন না, যদিও কাফিররা (হাসিনা, ইনু, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন) তা অপছন্দ করে।" আরেকটি কারণেও জামায়াতকে ধ্বংস করতে পারেনি, জামায়াত কোন ব্যাক্তি ও পরিবার নির্ভর দল নয়। গত ৫/৬ বছর ধরে জামায়াতের পুরো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কারগারে। মৃত্যু-ফাঁসি কেড়ে নিয়েছে দুইজন নায়েবে আমীর, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল সহ অনেককে। জামায়াত দূর্বল হয়েছে? জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছে? হয়নি, কমেনি। আল্লাহর বাণীর বাস্তব ফলাফল। হাসিনা, ইনুদের যতই অপছন্দ হোক, আল্লাহ ইসলামের আলোকে নিভতে দিবে না।
উপজেলা নির্বাচন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী জন আন্দোলন সর্বশেষ গোলাম আযমের জানাজা, ইত্যাদি দেখেও কি আওয়ামীরা বুঝেনি যে জামায়াতে ইসলামীকে দূর্বল করা যাবে না? হ্যাঁ, ওরা বুঝতে পেরেছে, বুঝতে পেরে তারা আরো পাগল হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে তাদের হাতে থাকা একমাত্র অস্ত্র বিচারের নাটকের মাধ্যমে নিজামীর ফাঁসির রায়। তাও আবার সেই রায় দেয়া হয়েছে চরম আওয়ামী বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের মাধ্যমে। এই এনায়েতুর রহিমের ভাই ইকবালুর রহিম বর্তমান অবৈধ সংসদের আওয়ামী সাংসদ-ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এই এনায়েতুর রহিমই দিয়েছে হাইকোর্টে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায়, এই এনায়েতুর রহিম ছিল সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির আওয়ামী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক। শোনা গিয়েছিল বিচারপতি ফজলে কবিরের অবসরের পর অন্য কোন বিচারপতি নাটকের মঞ্চ আওয়ামী ট্রাইব্যুনালে আসতে রাজী না হওয়ায় এনায়েতুর রহিমকেই সর্বশেষ সিলেক্ট করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের সুবিধা/কথা মতো যেন সব রায় দেয়। তার লক্ষণ প্রথম দেখা গিয়েছিল গত ২৪ জুন ২০১৪ ইং। ভারতের নবনির্বাচিত পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে হাসিনা ট্রাম্পকার্ড খেলতে চেয়েছিল নিজামীর রায়ের তারিখ ঘোষণা করে। কিন্তু জামায়াত কোন প্রতিক্রিয়া না দেখানোর কারণে আওয়ামী লীগের কথা মতো রায় আওয়ামীপতি এনায়েতুর রহিম স্থগিত করে দেয়। তখন আরেকবার প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল আসলে আওয়ামীদের রাজনৈতিক নাটকের মঞ্চ। আওয়ামী ট্রাইব্যুনালে সাজা পাওয়া গোলাম আযমের মৃত্যুর পর ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জানাজার পর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে চরম চাপে পরেছিল, হতাশা ফুটে উঠছিল। হাসিনার নির্দেশে তা থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে আওয়ামীপতি এনায়েতুর রহিম। ফলাফল নিজামীর ফাঁসি এবং মিডিয়ায় কিছুদিন হাঁকডাক!
কিন্তু হাসিনার মনে রাখা উচিত কাদের মোল্লা, গোলাম আযম, নিজামীদের মতো বিশাল ব্যাক্তিত্ব তৈরি করেছে জামায়াতে ইসলামী। যে জামায়াত একবার ওই মানের ব্যাক্তিত্ব তৈরি করেতে পেরেছে আরো অনেকবার পারবে, পারছেও। তাই কাদের মোল্লার ফাঁসি, গোলাম আযমের মৃত্যু, নিজামীর ফাঁসির রায়, সাঈদীর আমৃত্যু জেল ইত্যাদি দিয়ে জামায়াতকে দূর্বল করা যাবে না, যায়নি। এটাও মনে রাখা উচিত, হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না, থাকা সম্ভবও নয়। সময় যখন আসবে জনগণ কি করতে পারে তার উদাহরণ এদেশে অনেক। ওই সময় জানাজা পড়া তো অনেক দূরে জনগণ খুশিতে নফল নামাজ পড়বে। সাধু সাবধান…
বিষয়: বিবিধ
২৩৬০ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরা মনে করে তাদের মত ব্যাক্তিপূজাই সকলের ধর্ম।
সারা বিশ্বে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা, আজ জেল এবং জুলুমের শিকার।
"তোমরাইভবে বিজয়ী!যদি তোমরা মুমিন হতে পার!"
ইনশা আল্লাহ সে দিন বেশী দূরে নয়, ইসলামের বিজয় পতাকা পতপত করে বাংলার জমীনে উড়বে........
তথ্যভিত্তক লিখাটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রাক্তন মন্ত্রীপিরষদ সচিব সাদাত হোসেন টক শো বলতছিলেন, আগামী ১৫ বছর পর বাংলাদেশের চিত্র একেবারে বদলে যাবে। সঞ্চালক অনেক চাপাচাপি করলেন কিসের ভিত্তিতে তিনি এই কথা বলছেন। তিনি মুচকি হাসলেন, অন্যরাও হাঁসল।
তার হাসির মাঝে লুকিয়ে ছিল, আগামী ১৫ বছরেরর মধ্যে হাসিনা ও খালেদা মরে যাবেন নতুবা অকেজো হয়ে যাবেন। তখন বাংলার মানুষ নেতা বাছাই করার পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়ে যাবেন। তখন মানুষ আর এইভাবে নেতা নির্বাচন করবেন। তিনি বুঝাতে চাইলেন এই দু্ই নারীই দেশের যত সর্বনাশের মূল।
ধন্যবাদ আপনি যথার্তই বলেছেন.।
ইসলামর আসল শিক্ষাই হোল "সত কাজের আদেশ ও অসত কাজের নিষেধ"
সেটাই না করলে আর কিসের ইসলামি আনদোলনের বুলি কপচানো।
কি বলছেন ? আল্লাহর দল,
আল্লাহর দলই যদি হবে তাহলে এর শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সবার পশ্চিমা শিক্ষিত এবং ইউরোপ আমেরিকায় সেটেল কেন? (কোন মুসলিম দেশে নয়)। এদের কারও সন্তান ভাল আলেম হয়েছে আর দেশে থেকে ইসলামের খেদমতে আছে অথবা আপনাদের ভাষায় ইসলামী আন্দোলনের সামনে আছে এরকম একজনও কি দেখাতে পারবেন।
আল্লাহর দলই যদি হবে তাহলে জামাত শিবির রাস্তার গাড়ী ভাংচুর করে কেন ? (আমেরিকান এম্বেসীর গাড়ী ভাংগার পর জামাত পত্রিকায় সরাসরী ক্ষমা চেয়েছিল)
১৫ বছর পর দেশের পরিস্থিতি বদলে গেলে আরেক বাতিল আসবে,জামাত বাতিল ৮০ বছরেও পারে নাই সামনেও পারবে না।
সে চিন্তা থেকে তারা এটা ভাবছে এক নিজামী,গোলাম আযম।আর সাঈদী দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেই হয়ত জামায়াত ইসলাম ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।তারা যেটা ভাবছে একটা পাগল ও হয়ত সেটা ভাববেনা।
আপনার লেখা খুব ভালো লেগেছে।আপনি চােইলে আমাদের এখানে ও আপনার লেখা গুলো প্রকাশ করতে পারেন।অমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন এবং ই-মেইল করুন :এখানে এবং ই-মেইল করুন:
''হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না, থাকা সম্ভবও নয়। সময় যখন আসবে জনগণ কি করতে পারে তার উদাহরণ এদেশে অনেক। ওই সময় জানাজা পড়া তো অনেক দূরে জনগণ খুশিতে নফল নামাজ পড়বে। সাধু সাবধান…''
তাই যেনো দেখার সৌভাগ্য হয়। আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন