জেল তো অনেক দূরে ফাঁসিতেও ওরা দূর্বল হবে না...
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:২০:৫৮ রাত
আপীল বিভাগে মাওলানা সাঈদীর মামলা রায়ের জন্য পেন্ডিং রাখার পর থেকে অনেকেই জিজ্ঞেস করেছিল, কি হবে?! গতকালও কয়েকজন একই প্রশ্ন করেছে। বলেছি মাওলানা সাঈদীকে মুক্ত করে দেয়ার দুঃসাহস আওয়ামী লীগ ও ভারত কখনোই রাখে না। হয় তাকে আটকিয়ে রাখবে নয় সুযোগ পেলে হত্যা করবে। আর বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মানও তেমন কোন উঁচু স্তরের নয় যে সরকারের মনোভাবের বাইরে তারা কিছু করবে, অন্ততঃ রাজনৈতিক মামলার ক্ষেত্রে। তাই অবৈধ হাসিনা সরকার সাঈদীকে ছেড়ে দেয়ার মতো দুঃসাহসিক কাজ করবে তা কেউই বিশ্বাস করেনি। আবার সরাসরি হত্যা করে জনগণের সরাসরি মুখোমুখি হওয়ার মতো সাহসও তাদের নেই। তাই 'তথাকথিত আমৃত্যু জেল' ধরনের একটি রায়ই আওয়ামী লীগের কাম্য ছিল এবং শামসুদ্দীন চৌধুরী, এসকে সিনহার মতো বিচারপতি নামের আওয়ামীপতিরা সেই ধরনের একটি রায় দিয়ে সাঈদীকে যতদিন সম্ভব আটকে রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
কিন্তু এরপর?! আটকে রেখে, হত্যা করে কি পৃথিবীর ইতিহাসে কোন আদর্শকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে?! বিশেষ করে ইসলামকে?! হাসিনার বুদ্ধিদাতারা খুবই কাঁচা একটি পরামর্শ তাকে দিয়েছে। কারাগারে আটকে রাখলে যদি জামায়াত-শিবিরকে ধ্বংস করা যেতো তাহলে এই হাসিনার গত পাঁচ/সাত বছরেই সম্ভব হতো। বরং আরো শক্তিশালী হয়েছে এবং তা হাসিনা নিজেও স্বীকার করতে বাধ্য। তাহলে তারপরও কেন হাসিনা সেই দূর্বল পথ থেকে বের হয়ে আসছে না?! কারণ হলো হাসিনার উপর ভর করে আছে নষ্ট বাম ইনু-মেননরা, শাহরিয়ার কবির-মুনতাসির মামুনের মতো ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকরা। ওরা সরাসরি কখনোই ইসলাম ও জামায়াতকে ফেইস করার সাহস রাখে না। ফেইস করার মতো শক্তি-সমর্থনও তাদের নেই। তাই বাঁকা পথে কিছু একটা করার প্রচেষ্ঠা। কিন্তু বাঁকা পথে যে বেশিদূর যাওয়া যায় না তা বুঝার মতো বোধও তাদের নেই। সেখানেই হয়েছে সবচেয়ে বড় সমস্যা। শেখ হাসিনার পিতাকে সেই ধরনের বাঁকা পথে নিয়ে কিছু একটা করতে চেয়েছিল। পরের ইতিহাস তো সবারই জানা। ইন্নালিল্লাহ পড়ার মতোও কাউকে পাওয়া যায়নি। এবার কি হয়, কতোটুকু তারা পারে তা সময়ই বলে দিবে।
তবে একটি বিষয় হাসিনাও তার বুদ্ধিদাতাদের আবারও মনে রাখা উচিত, আমৃত্যু কারাদন্ড তো খুবই ছোট বিষয় সাঈদীর মতো আরো শত সাঈদীকে হত্যা করলেও ইসলামের কোন ক্ষতিই তারা করতে পারবে না, পারেনি। বরং এসব করে জনগণের যে ঘৃণা তারা দিনের পর দিন তৈরি করছে তাতে সেই ইন্নালিল্লাহ পড়ার মতোও কাউকে পাওয়া যাবে না। সাঈদী, নিজামী সহ জামায়াতকে ধ্বংস করতে গিয়ে হাসিনা, ইনুদের অবস্থা এমন হয়েছে তারা আর জীবনেও জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারবে না, জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো মুখও নেই। পতন অনিবার্য, শুধু যতদিন সম্ভব, যতটুকু সম্ভব অবৈধ ক্ষমতাকে উপভোগ করে যাওয়া ছাড়া কোন উপায়ই নেই।
অন্যদিকে যত অপপ্রচারই করা হোক, মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করা হোক, সাঈদীদের জনগণ সত্য পথের যাত্রী হিসেবেই গ্রহণ করবে, স্মরণ রাখবে, তাদের আদর্শ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে। আর নষ্ট কমিউনিস্ট ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা বিলীন হয়ে যাবে। সাঈদী, কাদের মোল্লারা সত্যের বাস্তব সাক্ষী দিয়ে নূতন প্রজন্মকে বুঝিয়ে দিচ্ছে এ পথ সহজ কোন পথ নয়। যে পথের আহবান আমরা জানিয়েছি সে পথ কতো কঠিন তা নিজেরাই বাস্তবে বুঝিয়ে দিচ্ছি। সকল নবী-রাসুলরা এভাবেই জাতিকে সত্য ছিনিয়েছে। এই পথ সেই পথ যে পথ সোজা চলে গিয়েছে জান্নাতে। তাই জেল তো অনেক দূরে ফাঁসিতেও ওরা দূর্বল হবে না, সত্যের পথ ছেড়ে যাবে না...
বিষয়: বিবিধ
২৫৪২ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অথচ মাওলানা সাঈদির বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ই মিথ্যা। তাকে এভাবে কারাদন্ড দেওয়াকেও কিভাবে কিছু লোক জামায়ত এর সাথে আওয়ামি লিগ এর আঁতাত দাবি করে??
"তাকে বলা হল, "জান্নাতে প্রবেশ কর" সে বলল, "আফসোস, যদি আমার কওম জানতে পারত"৷(সুরা ইয়াসীন/২৬)
অনেকদিন পর এলেন, ধন্যবাদ৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন