ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ঃ শরীয়া আইন-ফতোয়া বৈধ কিন্তু আওয়ামী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদে অবৈধ!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৪:৫৫:১৫ বিকাল
ভারতের মুসলমানদের জন্য পরিচালিত শরীয়াহ আদালতকে বৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতিরা বলেছেন, মুসলিম কাজী ও মুফতিদের ফতোয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়। তাদের নিজস্ব ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। ... ফতোয়া জনগণের কল্যাণ করে।
খুবই তাৎপর্যপূর্ণ রায় এটি। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিষয়টিকে স্বীকার করে নিয়ে বলেছে আদালত বা সরকার ফতোয়াতে বাঁধা দিতে পারে না। বিভিন্ন ধর্ম বিশেষ করে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক অনেক বিষয়ে মুসলমানরা ইসলামের আলোকে সমাধান চায়। এসব সমাধানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে তা তারা মানার চেষ্ঠা করে। কিন্তু বাংলাদেশে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর এমন কিছু বিচারপতি নামে আওয়ামীপতিদের নিয়োগ দিয়েছে যারা সুযোগ পেলেই ফতোয়ার বিরুদ্ধে বলে, রুল ইস্যু করে। এমনকি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে বাংলাদেশের হাইকোর্ট ফতোয়া নিষিদ্ধ করে রায়ও দিয়েছিল!
তথাকথিত সুশীলরা তো আরো এককাটি সরস, তারা এমন ভাবভঙ্গী নেয় ফতোয়ার মতো খারাপ কোন কিছুই এদেশে আর নেই! মুসলিম ছাত্রীদের কোন শিক্ষক হিজাব মানতে বললে, ওড়না পরতে বললেও সেখানে তারা ফতোয়া খুঁজে পায় এবং এর বিরুদ্ধে মিডিয়ায় ঝড় তোলে এবং তথাকথিত বিভিন্ন নারী সংগঠন, এনজিও বিশেষ করে সুলতানা কামালদের আইন ও শালিস কেন্দ্র, আওয়ামী এমপি বেবি মওদূদ সহ আওয়ামী লীগের পৃষ্টপোষকতায় সারাদেশে শরীয়া আইন, ফতোয়া ইত্যাদি নিষিদ্ধের দাবী তোলে এবং তা এখনও অব্যহত আছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেমন আওয়ামী লীগ ইসলামকে নিষিদ্ধ করেছে, সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছে তেমনি ব্যাক্তিগত পর্যায়েও ইসলামের চর্চা বন্ধ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ভারতের মতো হিন্দুত্ববাদী দেশের বিচাপতিরাও স্বীকার করে নিয়েছে "এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়। তাদের নিজস্ব ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।"
কিন্তু ৯০% মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে ধর্ম, শরীয়া, ফতোয়া ইত্যাদি রাজনৈতিক বিষয় তো হতেই পারছে না এমনকি ব্যাক্তিগত বিষয়ও যেন হতে পারবে না! এই হলো আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতা! আওয়ামী লীগ এমন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বাংলাদেশের মুসলমানের উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে তাতে ব্যাক্তিগত বিষয়েও ধর্মের মতামত নেয়া যাবে না, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একেবারে সংবিধান সংশোধন ও আদালতের রায়ের মাধ্যেমেই ইসলামকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দূর্ভাগ্য এদেশের মুসলমানদের!
এরপরও কি এদেশের মুসলমানরা আওয়ামী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে সচেতন হবে না?
বিষয়: বিবিধ
১৮৪৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো, ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন