বাংলাদেশের মানবাধিকার ও নারী অধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টিতে এদেশের মুসলিম নারীদের কোন অধিকারই থাকতে নেই?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২১ জুন, ২০১৪, ০৫:৪৭:৫৮ বিকাল
বাংলাদেশে নানা নামে, নানা স্টাইলে মানবাধিকার, নারী অধিকার সংগঠন অনেক। তাদের কাজ নাকি মানবাধিকার বিশেষ করে নারী অধিকার সংরক্ষণের জন্য কাজ করা। তাদের ভিতর সবচেয়ে বেশি কথা বলেন সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানদের মতো তথাকথিত সুশীলরা (যদিও মাঝে মাঝে জনগণ বলে আওয়ামী অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলে) প্রমূখ। কুরআন তালিমের ঘরোয়া প্রোগ্রাম থেকে ২৪জন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্রীকে কোন কারণ ছাড়া আটকের পর চিন্তা করেছিলাম মানবাধিকার কমিশন, নারী অধিকার সংগঠনগুলো কথা বলবে, প্রতিবাদ জানাবে অন্ততঃ বিবৃতি হলেও দিবে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ৩/৪দিন হয়ে গেলো দেশের একটি মানবাধিকার সংগঠন, কমিশন এমনকি নারী অধিকার সংগঠনগুলো একটি বাক্যেও ব্যয় করলো না নীরিহ ছাত্রীদের আটকের প্রতিবাদে।
ওই ছাত্রীরা কি কাউকে খুন করেছে? কোথাও বোমা মেরেছে? তাদের অপরাধ কি? পুলিশের ভাষ্য মতে তাদের কাছে থাকা একটি ল্যাপটপে নাকি ইসলামী বই পাওয়া গিয়েছে! বাংলাদেশে হাজারো তরুণ-তরুণীর কম্পিউটার যেখানে ভর্তি ন্যুড ছবি, অশ্লীল গল্প, উপন্যাসে সেখানে এই ছাত্রীদের কম্পিউটারে পাওয়া গিয়েছে ইসলামী বই এবং এই অপরাধে ৯০% মুসলমানের দেশে এতগুলো ছাত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করলো, মামলা দিলো, রিমান্ড চাইলো, কারাগারে পাঠালো অথচ কোন একটি মানবাধিকার ও নারী সংগঠন সামান্য প্রতিবাদ করলো না?! তাহলে তারা কার বা কিসের অধিকারের জন্য কাজ করে?!
কোথায় তাদের বিবেক? কোথায় তাদের আওয়াজ? অবৈধ হাসিনা সরকারের মতো নারী সংগঠনগুলোও কি মনে করছে কুরআন পড়া, ইসলামী বই রাখা অপরাধ? কোন এক অজপাড়া গায়ে পরকিয়া বা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের কারণে কোন পুরুষ-নারীকে হাতেনাতে ধরে যদি সামাজিক ভাবে বয়কট করা হয় বা শালিশ করা হয় এমনকি কোন স্কুলে ছাত্রীকে ওড়না পরতে বললেও নারী সংগঠনগুলো সারাদেশ তোলপাড় করে তোলে, বিবৃতির সুনামি তৈরি করে, আদালতে রিট করে, দলবল নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সেখানে ছুটে যায়, আরো কতকিছু! অথচ এতগুলো ছাত্রীকে কোন অপরাধ ছাড়াই খোদ ঢাকা শহরে পুলিশ গ্রেফতার করলো তারপরও কেউই কোন কথা বললো না!
কেন তারা কথা বললো না? তারা আসলে কথা বলেনি, কারণ ছাত্রীগুলো মুসলমান, শুধু নামে নয় কাজেও মুসলমান। ঠিক এই কারণে আমাদের দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো নারী তো বটেই মানুষই মনে করছে না ওই ২৪জন ছাত্রীকে। তাদের দৃষ্টিতে মুসলমানরা মানুষই নয় তাই তাদের আবার কিসের মানবাধিকার! মুসলিম নারীদের আবার কিসের অধিকার?!
এরপর আরো নিশ্চয় কারণ আছে-
আমাদের দেশের তথাকথিত নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে নারী হবে পণ্য, নারী হবে খোলামেলা, নারী হবে নষ্ট পুুরুষের মনোরঞ্জনের বস্তু, সেই নারীরা কেন হিজাব করবে, পর্দা মানবে, কুরআন পড়বে! যে নারী কুরআন মানবে সে তো নষ্টদের নষ্টামির সহযোগী হবে না, লম্পটদের লালসা পুরণের বাহন হবে না। তাই কুরআন পড়ুয়া নারীদের পক্ষে তথাকথিত সুশীলরা কোনদিন কথা বলে না! ইসলাম মানে এমন নারীদের তথাকথিত নষ্ট সুশীলরা যখন চাইবে তখন পাবে না, ব্যবহার করতে পারবে না। তাই মানবাধিকার কমিশন কেন ওদের পক্ষে কথা বলবে? সুশীলরা কথা বলবে পতিতাদের পক্ষে, লেসবিয়ানদের পক্ষে, নগ্নদের পক্ষে কারণ ওরা সবসময় নষ্টদের আনন্দ দেয়। তাই মানবাধিকার কমিশন বলুন, সুলতানা কামালরা বলুন কেউই মুসলিম নারীদের পক্ষে একটি কথাও বলেনি!
কি ভয়ংকর ও নষ্ট মানসিকতা এদেশের মানবাধিকার ও নারী অধিকার সংগঠনগুলোর!
বিষয়: বিবিধ
২১৬১ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুরুতে এমন জুলুম নির্যাতন আসবে । তবে তাতে ভড়কে না গিয়ে সাহসের সাথে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে ।
লাগাতার দুই/তিন দিন হরতাল দিতে হবে এর প্রতিবাদে এবং পিকেটিং করতে হবে সিরিয়াসভাবে ।
বিশাল বিশাল মিছিল করতে হবে আর সমাবেশ করতে হবে ।
কথা ও কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে যে তথাকথিত নারীবাদীরা আসলের নারীদের বন্ধু না , ইসলাম মনষ্ক নারীরাই নারীদের প্রকৃত বন্ধু ।
আমাদের বোনদের জন্য তোমরা কিছু বলবা না সেটা জানি। তোমাদের মানবিধাকার কর্মী না বলে পতিতাকর্মী বলা উত্তম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন