নৌকায় ভোট দিস না বেটা, যা এবার পুড়ে মর আগুনে...
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ১৪ জুন, ২০১৪, ০৯:৩৮:৩৮ রাত
সকালে বিহারী কলোনির ১০জন নারী-শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাটির কারণ নিয়ে তথাকথিত সুশীল মিডিয়াগুলোর লুকোচুরি টাইপের রিপোর্ট দেখেই মনে হয়েছিল এখানে শুধু পটকা নয়, নিশ্চিত অন্য কোন কারণ আছে এবং ঘটনার সাথে আওয়ামীরা জড়িত। পুলিশের একদেশদর্শী ভূমিকাও তা প্রমাণ করছিল। দিন শেষে প্রায় পরিস্কার হয়ে গিয়েছে ঘুমন্ত অবস্থায় নারী-শিশু সহ ১০জনকে পুুড়িয়ে হত্যার সাথে আওয়ামী অবৈধ এমপি'র লোকজনই জড়িত। বিহারী কলোনীর লোকজন নৌকার ভোটার নয়। তারা ঐতিহ্যবাহী ভাবে আওয়ামী বিরোধী, হত্যাকান্ডের মূল কারণ এটি বলে মনে হয়েছে এবং কয়েকদিন থেকে আওয়ামী এমপি এখলাস মোল্লা নাকি বিহারীদেরকে হুমকি ধমকিও দিয়ে আসছিল এবং বিহারী নেতাদের নামে মামলাও দিয়েছে।
তাই পুলিশের উপস্থিতি ও সহযোগীতায় আগুন লাগিয়ে এত জঘন্য হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে শুধুমাত্র পটকার জন্য তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। স্থানীয়রাও তা বিশ্বাস করছে না। কারণ বিভিন্ন উপলক্ষে ফটকাবাজি শুধু বিহারীরা নয়, পুরোন ঢাকার প্রায় সবাই করে। একজন স্থানীয় লিখেছেন এভাবে, "আমি বিহারী পল্লীতে থাকিনা, এমনকি তার আশে পাশেও না। আমার বাসার কাছাকাছি শুধু বিহারি পল্লী না, কোনো চায়না টাউন, রোহিঙ্গা শরনার্থী কেন্দ্র বা ঐ জাতীয় কিছুই নেই, 'খাঁটি' বাঙ্গালি-পল্লী, তারপরেও সারারাত আতশবাজির তীব্র শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেছে বারবার। কখনও কখনও মনে হয়েছে পটকাটা বুঝি আমার জানালাতেই ফুটেছে। অনুমান করতে পারি, এ অভিজ্ঞতা শুধু আমার না, আমার মত অনেকেরই। এবং এটাও সহজে অনুমেয় যে এইসব আতসবাজির জন্য বিহারিপল্লী থেকে কাউকে আনা হয়নি, স্থানীয় 'মুসল্লী'দের নিকটজনেরাই করেছে, অথচ প্রান গেল শুধুই বিহারীদের, তাদের অপরাধ তারা বা তাদের ভাইয়েরা 'স্থানীয় মুসল্লি'দের ঘুম নষ্ট করেছে!"
অর্থাৎ গতরাতে পুরো পুরোন ঢাকায় ফটকাবাজি হয়েছিল এবং তা করেছে সবাই। কই পুলিশ তো বাঙ্গালীদের কাউকে গুলি করেনি। কেউ তো বাঙ্গালীদের বাড়িতে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়নি! কিন্তু বিহারী কলোনীতে কেন? তার মানে স্থানীয়রা যা সন্দেহ করছে তা। আওয়ামী এমপি'র লোকজন কয়েকদিন থেকে বিহারীদের পিছনে লেগেছে। পটকা নিয়ে বিহারীদের উপর পুলিশের বাড়াবাড়ির সুযোগ নিয়ে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সে কারণে নিজের এলাকায় এত বড় ঘটনা ঘটার পরও আওয়ামী এমপি ঘটনাস্থলে যাননি!
বর্তমান বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে আওয়ামী হায়েনারা অন্যদিকে সাধারণ মানুষ এবং আওয়ামী হায়েনারা মনে করছে যখন তখন যাকে তাকে হত্যা করা তাদের হাসিনা প্রদত্ত সাংবিধানিক অধিকার! তাই তারা সারাদেশে নৃশংস কায়দায় মানুষ মেরে জল্লাদের উল্লাস নৃত্য করছে। যারা আওয়ামী বিরোধী তাদের কোন অধিকারই এদেশে নেই! আওয়ামীকে সাপোর্ট করো না?! তোমার কোন অধিকারই নেই, সংবিধানে যা লিখাই থাকুক না কেন! ঠিক যেন কাজী নজরুল ইসলামের 'মানুষ' কবিতাতে বর্ণিত সেই উপসনালয়ের সিন্নির মতো, প্রভুর নামে সিন্নি একমাত্র খাবে পুরোহিত, তার পাশে যতই অভুক্ত লোক থাক না কেন এবং অভুক্তকে বঞ্চিত করা হবে প্রভুর নামেই! বাংলাদেশেও স্বাধীনতার চেতনার নামে এদেশের কোটি কোটি মানুষের স্বাধীনতা হরণ করছে আওয়ামী হায়েনারা!
আজ বাংলাদেশ পড়েছে ভয়ংকর এক ডাইনীর হাতে! প্রভু তোমাকে কি বলেছিলাম, আমাদের বাংলাদেশ নামের এক জল্লাদ খানায় পাঠাতে হবে? এখানে পাঠিয়েছই যখন কেন তুমি এক ডাইনীকে এই সবুজ শ্যামল বাংলায় পাঠালে? যার ভিতর নেই কোন মানুষ্যত্ববোধ, নেই কোন মাতৃত্ববোধ। আছে শুধু হিংস্রতা, লোভ, ক্ষমতার দম্ভ, অহংকার, অশ্লীলতা।
এ কোন পিশাচের কবলে পড়েছে দেশ?! এ কোন জল্লাদিনীর হাতে পড়েছে ক্ষমতা?! কি জঘন্য প্রধানমন্ত্রী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা! ওরা কি মানুষ, মানুষ হলে কিভাবে ওরা ঘুমন্ত নারী শিশুদের এভাবে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে? না ওরা মানুষ নয়। আওয়ামীরা কোনদিন মানুষ ছিল না। ওরা হায়েনা। তার প্রমাণ আবারও রাখলো তারা।
তথাকথিত সুশীলরাও যে আসলে মানুষের কাতারে নেই তাও প্রমাণিত হলো। কোথায় অজপাড়া গাঁয়ে হিন্দুদের বাড়িতে সামান্য ঢিল ছুঁড়লে সারাদেশ ওরা তোলপাড় করে। অথচ খোদ রাজধানী ঢাকায় এত বড় ঘটনা ঘটনার পরও মানবাধিকার কমিশন সহ তথাকথিত কোন নাগরিক সংগঠনের একটি বিবৃতিও এ পর্যন্ত দেখা যায়নি। অর্থাৎ ওরাও আওয়ামীদের হাতে মানুষ পুড়িয়ে মারার সাথে একমত! কারণ মানুষগুলো মুসলিম এবং ওরা আওয়ামী লীগ করে না! শুধুমাত্র, একমাত্র এই অপরাধের (?!) কারণে এতগুলো নারী-শিশুর লাশ দেখেও সুশীলরা কথা বললো না!
প্রভু, মানুষই যদি এ ভুখন্ডে পাঠাবে কেন আওয়ামী হায়েনাদের এখানে পাঠালে?!
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৫ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের ইন্দ্রিয়ের কার্যক্ষমতা লোপ পেয়েছে।
দশ দশটি প্রাণ ।বিহারী হয়ছে কি হয়ছে ?ওরা কি মানুষ না ?কিন্তু আমরা নির্বিকার ?!
"Patriotism is the last resort of a scoundrel"
মিরপুর এর নারি ও শিশু সহ দশটি দগ্ধ লাশ আর আমাদের মিডিয়ার লুকোচুরি এই বাক্যটির সত্যতাকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
ভোটার এবং প্রধান বিরোধীদল বিহীন ইলেকশনের কারনে আওয়ামী পাষন্ডরা খুব বেশী বেড়ে গেছে ।
হে পরওয়ার দিগার এই দেশটাকে হাছিনা ও তার পুত্র জয় থেকে জাতীকে মুক্তি দাও। না হয় মা ছেলেকে রেখে পুরা জাতীতে উপরে তুলে নাও
এটা বলা হয়তো সঠিক নয় - তারপর ও বলতে হয়ে আওয়ামীলীগের এ্যাকশান সংশ্লিষ্ট খবরগুলো দিনকে দিন এতোটাই অমানবিক, এতটা ভয়ংকর লেভেল ও এতটাই পশুসুলভ হয়ে পড়েছে যে - মানুষ আসলেই আওয়ামীলীগ আর মানুষ খেঁকো বিস্ট এর চিন্তাধারায় ও কাজের মধ্যে কোন পার্থক্য খুজে পাচ্ছে না।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন