বেওয়ারিশ বাংলাদেশঃ হাসিনার মতোই দেশের প্রতি দায়িত্ববোধহীন হয়ে গিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ১১ জুন, ২০১৪, ০৬:০৬:৩৪ সন্ধ্যা
বাংলাদেশ আজ যেন বেওয়ারিশ, এদেশকে যে যেভাবে চায় সেভাবে আক্রমণ করতে পারে, ব্যবহার করতে পারে। তার সর্বশেষ নমুনা দেখালো মায়ানমার সীমান্ত বাহিনী আজ। তারা আজ বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় একটি জাহাজে গুলি করে অনেক মানুষকে হতাহত করেছে। জাহাজটিতে ৩৫০জনের অধিক বাংলাদেশি ছিল বলে জানা যায়। এ পর্যন্ত খবরে বলা হয়েছে ৬জন নিহত এবং আহত অনেকে। কয়েক সপ্তাহ আগে তারা নৃশংস ভাবে বিজিবি'র এক সৈনিককেও হত্যা করেছিল। তার কোন প্রতিক্রিয়া আমাদের সেনাবাহিনী দেখাতে পারেনি। এরপর থেকে মায়ানমার বাহিনী সীমান্ত ও সাগরে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সবসময় খবর প্রকাশ হচ্ছিল সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করেছে মায়ানমার এবং সমুদ্রে তারা যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছে। কিন্তু তার বিপরীতে আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ইত্যাদি বাহিনীর কোন তৎপরতা দৃশ্যমান ছিল?
হ্যাঁ, তাদের তৎপরতা দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু তা অন্য উদ্দেশ্য! সেনাবাহিনী আছে হাসিনার তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারকে রক্ষায়, বিজিবি আছে জামায়াত-শিবিরের পিছনে, নৌবাহিনী যে কোথায় তা কেউই জানে না! মাঝে মাঝে নৌবাহিনীকে দেখি হাসিনাকে তাদের ড্রেস পরিয়ে ফটোসেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাহাজ উদ্বোধন করতে! তাদের সেই জাহাজগুলো এখন কোথায়? ওসব কি খেলনা জাহাজ? এসবের কাজ কি? মায়ানমার বাহিনীর বিপরীতে আমাদের নৌবাহিনী কি করছে? তারা যদি প্রস্তুত থাকতো তাহলে কি মায়ানমার বাহিনী এভাবে গুলি করার সাহস করতো?
আজব এক সরকার চালাচ্ছে এদেশ! ওদের কাজই শুধু গণভবনে কিভাবে এসএসএফ নিরাপত্তায় থাকা যায় তা নিশ্চিত করা! আর বিভিন্ন ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিজের বোন, মেয়ে ও ছেলের কাছে পাঠানো! দেশ, জাতি, মানুষ কোথায় যাবে তার কোন পরোয়া নেই। নিজেদের লালসা পুরণে আজ হাসিনা পুরো দেশকে ভিন দেশের হাতে যেন বন্ধক দিয়ে রেখেছে। আর দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ওরা নিয়োজিত শুধু হাসিনার ক্ষমতার নিরাপত্তায়! ওরা যেন আজ হাসিনার প্রাইভেট নিরাপত্তা বাহিনী, দেশের নিরাপত্তার কোন বাহিনী নয়!
সেনাবাহিনী, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী না ফাংশন করছে ভারত সীমান্তে, না করছে মায়ানমার সীমান্তে, না করছে সমুদ্র সীমানায়! তাহলে ওদের কি কাজ? এদেশের মানুষকে ভারত হত্যা করে চলেছে নিয়মিত, কারো কোন প্রতিক্রিয়া নেই, এখন মায়ানমারও শুরু করেছে। না এখানেও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এদেশের সেনাবাহিনীর কোন ভূমিকা নেই! তাহলে কোথায় তারা আছে? শুধু হাসিনার অবৈধ ক্ষমতা পাহারায়? এ জন্যেই এই বাহিনীগুলোর পুরো পরিবার সহ চালানো হয় এদেশের মানুষের টাকায়? এক হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আজ দেশ রক্ষা বাহিনী ভুলে গিয়েছে পুরো দেশকে? এজন্যেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল? বাংলাদেশ এখন কি বাস্তবে স্বাধীন? বাংলাদেশের সীমান্ত, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, মানুষ কোন কিছুই আজ আমাদের দেশরক্ষা বাহিনীগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাদের কাছে গুরুত্ব রয়েছে শুধু একটিই হাসিনার ক্ষমতা লিপ্সাপূরণে সহযোগিতা করা!
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ কি বেওয়ারিশের মতোই হয়ে গেলো আর স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও হয়ে গেলো হাসিনার মতো অথর্ব?! হাসিনার মতোই তারা আজ দেশপ্রেমহীন ও দেশের প্রতি দায়িত্ববোধহীন হয়ে গিয়েছে?!
বিষয়: বিবিধ
২১০৭ বার পঠিত, ৫৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি অবশ্য সেই ভবিষ্যত পর্যন্ত থাকব কি না সেটাই ভাবছি!
যদি এই একটি মাত্র ভূল না করতো বাংলাদেশের বিগত নয় বছরের করুণ রাজনৈতিক অবস্থা এবং অর্থণৈতিক দৈন্যদশা, এতোগুলো রাষ্ট্রঘাতী ম্যাসাকার কি সফলভাবে করা সম্ভব হতো?
৭১ সালে মূলতঃ দেশকে পরাধীন করার জন্যই হাসিনার পিতা শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধ নামের অসম যুদ্ধ সৃষ্টি করে নিজে পালিয়ে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ্য মানুষ হত্যায় মেথে উঠেছিল যাদের পরামর্শে তাদেরই কব্জায় চলে গেছে আমাদের মাতৃভূমি। আমরা এখন আর স্বাধীন নই। দেশ এখন ইন্ডিয়ান অঙ্গরাজ্য ঘোষণা দেয়াটা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
জনগণ তো ফুটবল। এখন ভারতীয়রা লাথি মারছে আর তখন বার্মিজরা মারবে।
জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে ভারতীয় শাসন পাহারা দিচ্ছে যারা তাদের চৌদ্ধগোষ্ঠীরে .....
লণ্ডন থেকে আগা চৌঃ লিখেছিলেন সেনাবাহিনীতে ৩০% হিন্দু ঢুকাতে হবে।
টাকার কাছে আর রমনীর কাছে এরা হার মেনে গিয়েছে।
সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করেছে হাম্বালীগ,এখন যারা আছে,তাঁদেরকে নিয়ে খেলার পুতুৃলের মত খেলছে মুখোশধারী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি,চেতনাবাজ হাম্বালীগ।
ঘুম ঘুম রাত যায় ঘুম ঘুম দিন
ঘুম ঘুম দিন যায় ঘুম ঘুম রাত
আকাশের তারাগুলো জ্বলে জ্বলে নিভে যায়,
সকালের সোনা রোদ ঢেকে যায় কুয়াশায়।
সব মুখ চুপচাপ কোথাও নেই শব্দ
প্রতিবাদ হীনতায় চারদিক স্তব্ধ।
দানবের হুঙ্কারে দানবের জয়
যেন এই পৃথিবী মানুষের নয়
গোলামীতে কেটে যায় সারাবেলা সারাদিন
ভোর রাতে মারা যায় ধর্ষিতা ইয়াসমিন।
ঘুম ঘুম রাত যায় ঘুম ঘুম দিন-------
ক্ষয়ে সমাজের ক্ষয়ে যাওয়া মুখ
দেখেও তবু কারো জ্বলেনা বুক
ভিনদেশী নর্তকী অশ্লীল নেচে যায়
ধর্ষিতার হাহাকার বাতাসে কেদে যায়।
ঘুম ঘুম রাত যায় ঘুম ঘুম দিন-------
(মাহমুদুজ্জামান বাবুর একটি গান।)
কিন্তু এদের নিয়ে গর্বের কি আছে ? বাংলাদেশে এমন একজন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে যে কি না বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ভারতের ত্রিপুরার কোন বাহিনীর সাথে পারবে , বার্মা সে তো অনেক পরে ।
আপনারা যতই গর্ব করেন না কেন সেনাবাহিনী কিন্তু নিজেদের লিমিট সম্পর্কে জানে । বাইরের দেশে গিয়ে জাতি সংঘের তত্ত্বাবধানে থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা আর বাইরের শত্রুর সাথে একা সরাসরি মোকাবেলা করা এক জিনিস নয় ।
কিন্তু ইসলামকে বিবেচনায় রাখলে দেখলাম - মনটা আর অতটা বিষিয়ে উঠছে না, অতটা খারাপ লাগছেনা।
দেখুন আমরা একে তাকে দোষারোপ করতে পারি এবং করিও - কিন্তু সততার সাথে একটু ভাবলে কি বলতে পারিনা - যেখানে লিটারেলী পুরো জাতি বছরের পর বছর কুফরী করছি, শির্ক করে চলছি এবং চুড়ান্ত রকমের মুনাফিক এর ন্যায় জীবন যাপন করছি - সেখানে এই সব খুনাখুনি, এই সব সামাজিক অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি - ভূখন্ডের সকল কাঠামোই তো ভেংগে পড়বে - এতে আর অবাক হবার কি আছে?
আমার মনে হয় - মুসলমান ও মুমিন দের সময় এসেছে কোরআন ও হাদীসে চোখ ভুলানো এবং ওখানে গাইডেন্স খোঁজা, পরকালে সাকসেস হবার বার্তা আদান প্রদান করা ও যতটা সম্ভব এ্যাকশানে পর্যবসিত করা। ধন্যবাদ।
তাই সেনাবাহীনির অফিসারদের আগে মোরালিটি আপ করতে হবে তাহলে দেখবেন কি দারুন ব্যাপার ঘটে কেননা বাহিনীর এই মাথাগুলোই সব বাকি গুলো আঞ্জাবহ।
তবে মোরালিটি সমৃদ্ধ অফিসারযে নাই তা আমি বলছি না।
ক্ষমতা পাহারায় দেশরক্ষা বাহিনী...........
সচেতন মুলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
যাজাকাল্লাহ খায়ের
হরেক রকম চোরের মেলা বাংলাদেশে। কেউ গরুর হাটে গরু চোর, কেউ পরিবহনের পকেট মার, কেউবা আবার যা পাই তা খাই জাতীয় চোর। এসব চোরদের গায়ে দুর্গন্ধ, বগলে অপরিস্কার লোম আর পরনে ইস্ত্রিবিহীন বস্ত্র। ওদের চোখে দেখা যায়, হাত বাড়ালে ছোয়া যায় এবং চাইলে যখন তখন ব্যক্তি ও সরকারী আইনের আওতায় আনা যায়। এক কথায় ওরা আনওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। চোখের সামনে একদল ক্রিমিনাল অরাজকতা ও অশান্তি সৃষ্টি করবে আর আমাদের তা হজম করতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চয় এ জন্যে ক্ষমতায় পাঠানো হয়না? আফটার অল জনগণের দেখভাল করার দায়িত্বটা যে তাদেরই! সে দায়িত্ব ’সাহসিকতার’ সাথে পালনের জন্যেই বোধহয় এসব চোর, ডাকাতদের নেয়া হয় বধ্যভূমিতে, আর রাতের অন্ধকারে চোরের মত হত্যা করে ছড়িয়ে দেয় ভূয়া, মিথ্যা আর বানোয়াট কাহিনী। বাংলাদেশে কে বেশি বড় চোর, একজন পুলিশ না নয়ারহাট রুটের একজন পকেটমার? কে বেশি সন্ত্রাসী, রাজনীতির ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা একজন বিপদগামী যুবক, না অস্ত্র হাতে একজন পুলিশ, RAB অথবা সেনাবাহিনী? এখানে কে কাকে মারা উচিৎ ছিল, পুলিশ কর্তৃক একজন ছিনতাইকারীকে, না জনতা কর্তৃক পতিতার আঁচল ছিনতাইকারী একজন পুলিশকে?
আমারতো মনে হয় আমাদের দেশের এসব বাহিনীগুলো আজ দেশরক্ষার চাইতে বিশ্বশান্তি রক্ষার দায়িত্বকে অনেক বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে। স্বাভাবিক সেটা-ই দেশ একটা ক্ষুদ্র বিষয়, বিশ্ব অনেক বড়। দেশ তাদেরকে সামান্য রেশনিং এর সুবিধা আর কিছু প্লট ছাড়া কি দিয়েছে? জাতিসংঘ দিচ্ছে অবারিত সুযোগ-সুবিধা, যা দিয়ে দেশের অনেক অংশই কিনে ফেলা যায়!
আমারতো আরও মনে হয় যে – এখন যারা এসব বাহিনীতে ঢুকার জন্য উদগ্রীব থাকে, তাদের একমাত্র লক্ষ্যই হলো কিভাবে দেশ ফেলে দিয়ে জাতিসংঘের মিশনে যাবো, এবং যদি সারাজীবন জাতিসংঘের মিশনে থাকতে পারতাম – কতোই না ভালো হতো; কেনই বা যাবে না? বলেন?
আপনার আমার চরিত্রও কি এর থেকে আলাদা? লক্ষ-লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে আমরা বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করেছিলাম কি সত্যি-ই দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য? নাকি নিজের মর্যাদা আর একটু ভালো থাকার আশায়?
আমাদের সামগ্রীক চরিত্র এর দৃশ্য এগুলো; কার দোষ দিবো আর?
মন্তব্য করতে লগইন করুন