নারীদের তেঁতুল বানালো কে, মাওলানা শফিরা না তথাকথিত সুশীলরা?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ০৯ জুন, ২০১৪, ০৩:৩৯:১১ দুপুর
প্রশ্ন- নারীর চাকরির উদ্দেশ্য কি? বা নারীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হয় কি জন্য?
উত্তর- কেন বসদের মনোরঞ্জনের জন্য! বসদের আকর্ষন করার জন্য! বসদের খুশি রাখার জন্য! নারীদের আর কি কাজ সেখানে!
প্রতিক্রিয়া- কি অসভ্য কথাবার্তা?! নারীদের আপনারা কি মনে করেন? আপনাদের এসব বাজে কথার উদ্দেশ্য হলো নারীদের ঘরে আবদ্ধ করে রাখা! নারীদের অপমান করা!
উপরের কথাবার্তাগুলো পড়লে কি মনে হয় না কাঠমোল্লা টাইপের কেউ নারীদের চাকরি নিয়ে ওই মনোভাব পোষন করে?!
হ্যাঁ, তাইতো মনে হচ্ছে! মোল্লারা তো সব সময় ওই রকম! তাদের কাজই নারীর অগ্রযাত্রায় বাঁধা সৃষ্টি করা। ওই ধরনের ফালতু কথাবার্তা মাধ্যমে মোল্লারা চায় নারীদের সেই মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিতে! এই ধরনের মনোভাব যারা পোষন করে তাদেরকে আর যায় হোক নারী অধিকারপন্থী বলা যায় না! নারীর চাকরী পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য- এই ধরনের বাজে কথা কিভাবে বলা হয়? কি অসভ্য ও বর্বর তারা!
হুমম... আসলেই তো অসভ্য ও বর্বর! কিন্তু এবার যারা নারীর ব্যাপারে ওই ধরনের মন্তব্য করেছে তারা কিন্তু কাঠমোল্লা নয়! মোল্লারা কখনোই ওই ধরনের মন্তব্য করেনি। এসব কথা যারা বলেছে তারা এদেশের সবচেয়ে সুশীল, আধুনিক, প্রগতিশীল, নারী অধিকারপন্থী বলে দাবীদার মিডিয়া! নারীদের চাকরি নিয়ে প্রথম আলো অভিসার থেকে অফিসে শিরোনামে ও banglanews24.com বসকে আকর্ষণে যে রঙে ঠোঁট রাঙাবেন! শিরোনামে একই দিন দুটি রিপোর্ট করে। মোটামুটি তারা যা বলতে চেয়েছে তা হলো-
১। রঙিন ঠোঁটের হাসিতে যদি একবার বসের হৃদয় নাড়া দিতে পারেন, তবে পদোন্নতির পথ পরিষ্কার! লাল ঠোঁটের অভিব্যক্তি কেবল অভিসারের দিন কিংবা নৈশ নিমন্ত্রণের জন্য তুলে রাখার দিন শেষ।
২। গাঢ় ও আবেদনময়ী মেকআপ মেখে বসদের প্রতি দুর্বলতার ভান করে আচরণ করলে কর্মস্থলে পদোন্নতির পথ গতিশীল হয়।
৩। বসদের মন পটানোর জন্য ছোট সাইজের ব্লাউজ ও হাই হিলের জুতা পরা।
৪। বসের সঙ্গে ‘ফ্লার্ট’ করা বা বসকে আকৃষ্ট করতে পারাটা চাকরিতে উন্নতির একটা অন্যতম চাবিকাঠি।
অর্থাৎ নারীর অন্য কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই, ছোট-খাট, খোলামেলা ড্রেস পরে, উগ্র মেকআপ নিয়ে, ঠোঁট লাল করে, বসের সাথে ফ্লার্ট করে, বসকে আকৃষ্ট করতে পারলেই নারী সফল! এসব করবেন তো জিতবেন, না হলে হারবেন! বসরা নারী কর্মীর কাছে এসবই চায়, এসব যে নারী দিতে পারবে তারাই শুধু এগিয়ে যাবে! অফিসে নারী নিয়োগ দেয়া হয় এসবের জন্যেই!
এসব কথা কিন্তু কোন কাঠমোল্লার নয়, গ্রাম্য কোন অশিক্ষিত মানুষের নয়! এসব পরামর্শ আমাদের দেশের উচ্চমার্গীয় সুশীলদের! যারা নারী অধিকার নিয়ে সারাদেশ তোলপাড় করে! ওদের নারী অধিকারের শ্লোগানের আসল উদ্দেশ্য কি, সুশীলরা ঠিক কোন পথে নারীকে তথাকথিত প্রগতির পথে নিয়ে যেতে চায় তা একেবারে উদাহরণ সহ বলে দিলো!
হেফাজত ইসলামের মাওলানা সফি সাহেব নারীদের সতর্ক করে বলেছিল নারী, তোমরা ঘরের বাইরে অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দাও, খুব প্রয়োজন না হলে ঘরে থাকো, নিজের পরিবারকে সময় বেশি দাও। বাইরে যেতে হলেও এমন ভাবে যাও, যাতে তোমার সৌন্দর্য সবার সামনে উম্মূক্ত না হয়ে পড়ে। কারণ বাইরে লম্পট পুরুষরা তোমাদের তেঁতুলের মতো মনে করে, তোমাদের গিলতে চায়!
এটা বলার পর তথাকথিত সুশীলদের কি চিৎকার, গালাগালি! নারীকে তেঁতুল বলেছে মোল্লারা! বলেছিলাম না ওরা নারী অধিকারের পরিপন্থী! মোল্লাদের দৃষ্টি নারী যোগ্যতার দিকে নয়, ওদের দৃষ্টি শুধু নারীর শরীরের দিকে ইত্যাদি ইত্যাদি!
শফি সাহেব কি বলতে চেয়েছিল আর সুশীলরা কি বুঝলো! শফি সাহেব নারীদের সতর্ক করেছিল লম্পটদের যে লালসার ব্যাপারে সে লালসাই কি প্রথম আলো ও banglanews24.com এবার প্রকাশ করে দেয়নি? নারীকে কে তেঁতুল বানাতে চায়? মোল্লারা না সুশীলরা? তথাকথিত নারীবাদীদের ঠিক এসব নষ্ট ও অশ্লীল লালসা থেকেই তো নারীদের মুক্ত রাখতে চেয়েছিল শফি সাহেবরা। যারা নারীদের সম্মান দিতে চাইলো তারা হয়ে গেলো অপরাধী আর যারা নারীদের নানা রঙ্গে, আঙ্গিকে, স্টাইলে, কৌশলে ভোগ করতে চায় তারাই হলো সুশীল!
এসবের মাধ্যমে সুশীলরা কি আবারও প্রকাশ করে দিলো না, ওদের দৃষ্টিতে নারী আসলে পণ্য, ওই পণ্যেকে যার সুযোগ আছে, ক্ষমতা আছে সে তার ইচ্ছে মতো ব্যবহার করবে, নারী শরীর সর্বস্ব জীব, নারীর কাজই নষ্টদের লালসা পুরণ করা। নারীর আর কোন যোগ্যতা নেই, কাজ নেই, নারীর একমাত্র যোগ্যতা- শরীর ও তা কত বেশি আকর্ষনীয় ভাবে পুরুষের কাছে তুলে ধরতে পারা! যে বেশি আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করতে পারবে, যত্রতত্র বিলিয়ে দিতে পারবে, সেই নারীই সফল! এসবই কি ওরা বলতে চায়নি ওই রিপোর্টগুলোর মাধ্যমে?
তাহলে নারীদের অসম্মানিত করলো কে, তেঁতুল বানালো কে, মাওলানা সফিরা না সুশীলরা?
বিষয়: বিবিধ
৯৯৫৮ বার পঠিত, ১২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কি আর বলব ?ভ্যারি স্যাড এন্ড ন্যস্টি কাহিনী । ভাল লাগে না ।এ নিয়ে কথা বলতে / লিখতে ।
আর যার কাছ থেকে সে Un due privilage নিতে চায় তাকে তো satisfy করতেই হয় ।
কখনও কি সুশীলদের এই ভন্ডামীর বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছেন ?
এন্টি শফিরা তো করে দেখিয়েছে ।
আর এসব না করলে আমরা কিভাবে বুঝবো যে আপনারা এন্টি শফি নন ?
আমার এক পরিচিত, তার অধীনস্ত দুই নারী কর্মী – তাদের দু’জনকেই সে পরিচিত ভোগ করেছে। এদের মধ্যে একজনের চাইতে আরেকজনের ডিমান্ড সে পরিচিত-র কাছে একটু বেশী। তো এ ব্যাপারটা – যার ডিমান্ড কম সে সহ্য করতে না পেরে – বাকযুদ্ধ করতে করতে শেষ পর্যন্ত ড্রেসিং রুমে গিয়ে দুই নারী কর্মী চুলাচুলি পর্যন্ত করেছে।
বিষয়টা যখন জানা-জানির পর্যায়ে চলে এসেছে, আমার সে পরিচিত, সে জায়গা ছেড়ে গিয়ে নতুন জায়গায় মৌজে চাকরী করে যাচ্ছে ...
.
.যদি হুজুর রা এসব বেহাপনা দেখে সতর্কতা করতে চায় তাহলেই হুজুররা তেতুলবিরোধী হয়ে যায়!
.
.
.আর শুশিলরা লিটনের ফ্ল্যাটে নিয়ে তেতুল চাটনি বানালেও দোষের কিছু না!
.মাইন্ড করবেন না কেউ
.
ধন্যবাদ আপাকে সুশীলদের মুখোশ উন্মাচনের জন্য।
ইসলাম যেখানে নারীকে দিয়েছে সম্মান ও মর্যাদা,নারীর নিরাপত্তার জন্য দিয়েছে পর্দাপ্রথা।
আর নারীকে যারা টাকায় কিনতে পাওয়া যাওয়া সস্তা প্রোডাক্ট মনে করে সে বিকারগ্রস্তরাই নারীর পর্দা প্রথার বিরোধীতা করে।
বাংলানিউজ২৪.কম এর এ রিপোর্ট দেখেও যদি আমাদের বোধোদয় না হয়, তাহলে আর কবে হবে?
বিপরীতে আহমদ শফি সাহেবদের সাথীরা এই বিষয়টাকে গণমানুষের সামনে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়। আপনাকে এজন্য মন থেকে দোয়া করি। মোবারকবাদ।
ধন্যবাদ রইলো বরাবরের মতো সাহসী লেখনীর জন্য...
দেশের টেলিকম সেক্টরে দির্ঘদিন চাকরির সময় দেখেছি অনেক ক্ষেত্রে স্রেফ নারি হওয়ায় যোগ্যতর ছেলেকে বাদ দিয়ে নিযুক্তি বা প্রমোশন দেয় হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই নারিদের অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজন আছে। যেমন প্রাইমারি শিক্ষা,নার্সিং,অফিস ম্যানেজমেন্ট। অভিজ্ঞতাতে দেখেছি নারিরা এই সব ক্ষেত্রে অনেক ভাল করে। কিন্তু যখন সমানাধিকার! প্রতিষ্ঠার নামে নারিদেরকে পন্য বানান হয় তখন যোগ্যতার আর কি মুল্য?
যে প্রতিষ্ঠান যোগ্যতার মুল্য না দিয়ে স্রেফ ইম্প্রেশন আর আকর্ষন এর জন্য কাউকে অনুপযুক্ত পদে নিয়োগ দেবে তার ধ্বংসও হতে বেশি সময় লাগবে না।
এই সুশিল রা কেবল দেশের সমাজ-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চাচ্ছেনা। সেই সাথে দেশের অর্থনিতিরও বারোটা বাজাতে চেষ্টা করছে।
০ আর এজন্যই মনে হয় প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষক হতে ছেলেদের লাগে ডিগ্রী পাশ আর মেয়েদের মেট্রিক পাশ । মানে , একজন মেট্রিক পাশ করা মেয়ের যোগ্যতা একজন ডিগ্রী পাশ ছেলের সমান !
বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে আছে সমসাময়িক দেশগুলোর তুলনায় এটা এখন বুঝলাম ।
উচ্চতর ডিগ্রি থাকলেই কাজের জন্য বেশি যোগ্য হয়না। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে উচ্চশ্রেনির জ্ঞান এর প্রয়োজন নাই। যেটা প্রয়োজন শিশুদের সাথে সহজে মিশে যাওয়া এবং শিশুদের মানসিক অবস্থা বুঝে তাদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া। এই জন্য উচ্চ ডিগ্রিধারি পুরুষের চেয়ে সল্প শিক্ষিত একজ মহিলাই ভাল করবেন কারন প্রকৃতি নারিদেরকে যে মাতৃত্ববোধ দিয়েছে সেটা পুরুষদের দেয়নি।
ওরা সুশীল নয়. ওরা কুশীল।
নারীদের কো উপভোগ করতে
পারবেন বিদায় তারা আহমদ
আহমদ শফীর বিরুদ্বে খারাপ
মন্তব্য করেছে,
ওরা হল ব্যশ্যার ম্যনেজার।
আহমদ শফী সাহেব খুব সুন্দর
কথা বলেছেন,
এতে মর্যাদা রক্কা হয়।
„„„„ধন্যবাদ সুন্দর লিখাতে,,,,
ব্যাক্তিগতভাবে আমি পোষ্টের সাথে ছবিটার - প্রচন্ড বৈসাদৃশ্য দেখছি - এবং এটা ভাবার চেষ্টা করলাম - ছেলেদের হিজাব বোধ ও মেয়েদের হিজাব বোধ এ প্রচন্ড পার্থক্য।
দয়া করে কি ছবিটা সরিয়ে ফেলে যে সকল ভাই হিজাব মেইনটেইন করতে চায় - তাদের প্রতি একটু সুবিচার করা যায় - শুধু মাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তে?
চমৎকার যুক্তি!!
নারীদের যে ভোগ্যপণ্য বানাচ্ছে এই সুশীলরা, তা নারীরাই বুঝতে চায় না।
খুব সময়োপযোগী যথার্থ, স্পষ্ট ও বলিষ্ট বক্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে! রইলো স্টিকি পোস্টের অভিনন্দন...
এটা যুক্তরাজ্যের একটা অনলাইন জরিপ, যা আমাদের মিডিয়া প্রকশ করে কী খারাপ করলো, বুঝলাম না বোন?
বরং এমন নিউজ প্রকাশ করে ইসলামের পক্ষেই পর্দার পক্ষেই তারা কাজ করেছে বলেই আমার ধারণা। তারা যদি এর পক্ষে মতামত দিতো, তাহলে তাদের দোষ দেয়া যেতো??
আমি আপনার চিন্তার সাথে একমত নই--তথ্যপ্রবাহ বপ্নধ করা যায়না। যেমন-আপনি এ রিপোর্ট না পেলে কি পোস্ট দিতে পারতেন? তাহলে আপনার উপকারই তো হলো বরং? আমিও উপকৃত হলাম আপনার মাধ্যমে
বরং তথ্যমন্ত্রীর নিকট লেখাও যেতে পারে সঠিক সমাধানের লক্ষে্।
আরেকটি কথা, প্রথম আলো অনেক ইসলামবিরোধী নিউজ করলেও এ দুটো নিউজে কিন্তু তারা নিজের কোনো মতামত লিখেনি যে, এ নিউজ তারা সমর্থন করে? কাজেই তাদের মিছেই অভিযুক্ত করা হচ্ছে অন্ততঃ এ পোস্টে যার যুক্তি পাইনি ভাই।
আশা করি, আমার মনোভাব কী বুঝতে পারছেন যে, যাকে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা, এমনটি করা ঠিক নয়।
@শাহ আলম বাদশা, উপরের উদৃতিটা আমি নিয়েছি বাংলানিউজ২৪ এর পরিবেশিত সেই নিউজ থেকে। এ জরিপের মধ্যে কথিত সুশীলরা আমাদের কি শিক্ষা নিতে উৎসাহী করলো? এসব জরিপের ফলাফলই বা এখানে ফলাও করে প্রচারের পেচনে হেতু কি? বাংলানিউজ২৪ কর্তৃপক্ষের আসল মতলব ধরা সম্ভব যদি একটু আন্তরিকতার সাথে বিষয়টা খেয়াল করি। শাড়ী ব্লাউজ, পেটিকোট হচ্ছে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদের অধিকাংশ নারীদের পছন্দের কাপড়। এ অঞ্চলের নারীরা শাড়ীর সাথে ব্লাউজ পরিধান করেন নিজস্ব সকিয়তা ও আঞ্চলিক রুচি অনুযায়ী। পশ্চিমা নারীরা শাড়ী ব্লাউজ পড়ে না। তারা স্কার্টসহ তাদের কৃষ্টিকালচারের রেওয়াজ অনুযায়ী কাপড় চোড়প পরিধান করে। কিন্তু কথিত সুশীল মিডিয়াবাজরা এখানে উক্ত জরিপের সাথে ব্লাউজ চোট্ট সাইজের পড়ার নসিহত বিতরণটা কাদের উদ্দেশ্য করলেন?
আমার মুল্কথা কেউ হয়তো বুঝতে পারেননি কিংবা আমি বুঝাতে পারিনি ভাই।
আপনাদের সাথে ১০০% সহমত করেই বলি--পুষ্পিতার পোস্টের সাথে দু'মিডিয়ায় প্রকাশিত বিদেশী জরিপের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাইনি বলেই আমি কিছুটা দ্বিমতপোষণ করেছিমাত্র। তাহলে উদ্ধৃতি দেই পোস্টের ''এসব কথা যারা বলেছে তারা এদেশের সবচেয়ে সুশীল, আধুনিক, প্রগতিশীল, নারী অধিকারপন্থী বলে দাবীদার মিডিয়া!'' বলে যা বলা হয়েছে তাকি সত্যি? এসব কি অই দু'মিডিয়ার কথা নাকি জরিপের কথা!!! কেনো একজনের কথা আরেকজনের গায়ে চাপাবো?
অনেক প্রত্যাশিত ধরণের মন্তব্য আসা মানে এই নয় যে, এই পোষ্টটি খবরের সঠিক মূল্যায়ন করেছে । আমি মনে করি, তারা লিংকগুলো না দেখে-ই এবং বিশ্লেষণ না করে-ই মন্তব্য করে চলেছে । কারণ, পোষ্টদাত্রীর উপর তাদের এমন প্রগাঢ় আস্থা গড়ে উঠেছে যে, তিনি এখন ভিন্নতর ব্যাখ্যা করলে-ও তারা তথ্যসূত্র পরখ না করে-ই উনার কথা-ই সব সময় সঠিক মনে করবে (gullibility) । এটা এক ধরণের অন্ধ তাকলীদ (hero worship) বা অনুকরণ।
এর চেয়ে-ও নারীদের মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর আরো নিম্ন পর্যায়ের (বা বলতে পারেন নিম্নাঙ্গের ! ) লেখা ও ছবি কিন্তু বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে হরদম প্রকাশিত হচ্ছে । দৈনিক মানবজমিন তো এ বিষয়ে প্রতিদিন-ই যৌন সুড়সুড়ি প্রদায়ক মুখরোচক খবর ও ছবি ছাপছে-ই । কিন্তু সেগুলো বাদ দিয়ে এই নিউজের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদান মোটেই বাঞ্ছনীয় মনে হয়নি । যারা আগ বাড়িয়ে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য তিলকে তাল বানিয়ে ফেলতে পারঙ্গম তাদের বেলায়-ই কেবল সেটা মানায় । আর হ্যাঁ, রিপোর্টে শাড়ীর কোনো উল্লেখ নেই তবে ব্লাউজের উল্লেখ আছে যা পশ্চিমা দেশের মেয়েরা পড়ে থাকে কিন্তু তা দেখতে আমাদের দেশের মেয়েদের পড়া শরীরে আটসাটভাবে লেগে থাকা ব্লাউজের মতো নয় বরং ঠিলা পোষাক যা কোমর (midriff) সম্পূর্ণ ঢেকে রাখে ।
নারীদের ব্যাপারে সব সুশীলের দৃষ্টিভঙ্গীকে ঢালাওভাবে একই কাতারে ফেলা ঠিক নয় । ফরহাদ মজহার, বদরউদ্দিন উমর বা শফিক রেহমানের মতো নাস্তিক ও সেক্যুলার চিন্তা-ভাবনার সুশীলদেরকে কি যৌনবিকারগ্রস্ত নারীলোলুভ বলা যাবে ? আর যে ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা পড়ে কি বিকারগ্রস্ত সুশীলদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে ? যে যুবক ব্যভিচারের জন্য মহানবীর (সাঃ) কাছে আবেদন করেছিলো তার সাথে তিনি কিরূপ ব্যবহার করেছিলেন ? নিশ্চয়-ই খোঁচা মারা নয় !
বাংলাদেশে অধুনা ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গজে ওঠা অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো (এমনকি সুপরিচিত জাতীয় দৈনিকগুলো-ও এ থেকে বাদ যাচ্ছে না ) বিজ্ঞাপন থেকে অনায়াসলদ্ধ উপার্জন-কে আঁকড়ে ধরার জন্য (যার সাথে পাঠক সংখ্যা ও ওয়েব র্যাঙ্কিং অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ) কিছু চটুল ও চিত্তাকর্ষক খবরাদি বক্স আইটেমে বাহারী রঙিন কালির শিরোনামে (musthead) প্রকাশ করে থাকে -- যার অধিকাংশ-ই পুরুষদের দুর্বল অনুভূতিকে (base instinctযেমন, সুপ্ত যৌন-কামনা) টার্গেট করে । এতে কাজ দেয় বলে বিষয়টি এখন বহুলভাবে যত্রত্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে ।
দেশীয় বাংলা নিউজ পোর্টাল না হয়ে বিডি-টুডে-এর মতো বিদেশকেন্দ্রিক বাংলা পোর্টাল হলে-ও তো তার প্রভাব পাঠকদের উপর পড়বে । ইন্টারনেটের কল্যাণে মানুষ এখন পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মুদ্রিত বা ভার্চুয়াল জগতের খবরাখবর জেনে ফেলতে পারছে ! সেটাকে কিভাবে সামাল দেয়া যাবে ? এই রিপোর্ট-কে হাইলাইট করে বরঞ্চ নিউজ পোর্টালগুলোকে আরো লাইম লাইটে নিয়ে আসা হলো । নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি মানুষের আসক্তি বেশী থাকায় অনেকে এখন ঐ ধরণের ওয়েবসাইটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। যতো যা-ই (যেমন, Internet filter) করা হোক, তাকওয়া-ই মানুষ-কে পদস্খলন থেকে রক্ষা করার মোক্ষম অস্ত্র ।
এখানে আরেকটি বিষয় আমার কাছে দৃষ্টিকটু লেগেছে - পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক লাগানো দন্ত বিকশিত করে থাকা কোনো হাস্যোজ্জ্বল নারীর মুখাবয়ব ব্যবহার । এ রকম রক্তমাংসের কোনো রমণীর চিত্তাকর্ষক ছবি না দিয়ে অনায়াসে উপযুক্ত কোনো ছায়াচিত্র (silhouette) ব্যবহার করা যেতো ।
মূলত তারা বহু পর্ব থেকেই মুসলিমকে উপাদানশূণ্য করে ভ্যানিশ বা দূর্বল করার পরিকল্পনা করেছিল। ইন্সটিংক্টকে উসকে দিয়ে জাতির মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি করতে পারলে তাদেরকে গুলি করে মারা লাগেনা।
আমি চুনোপুটি প্রথম আলোকে বা সুশীলদের দেখার আগে তাদের বাপ-দাদা বা কনসেপ্ট সাপ্লাইকারীদেরকে দেখী।
এটা স্পষ্ট যে, ক্ষমতা প্রতিপত্তি যদি ইসলামের অধীনে থাকত,তবে এই আলো-মালো-মতিরা প্রদিনি ইসলাম নিয়ে বড় বড় চমৎকার কলাম লিখত। যদিও সেটা তাদের ভাল লাগত না,কিন্তু এরা দমে থাকত।
তবে সমস্যা হল, তারা মানুষকে এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, নারীকে তার দেহ প্রদর্শন করেই ক্রেডিট নিতে হবে এবং এটিই তার অধিকার। আমাদের আলেমদের সীমাবদ্ধতা হল,তারা সময়োপযোগীভাবে আবেদন সৃষ্টিকারী দাওয়াহ করতে পারেননি,অথবা পেরে উঠেননি।
ইনশাআল্লাহ সুদীন আসবে।
নিশ্চই কষ্টের পরে আসে স্বস্তি,,,অবশ্যই কষ্টের পরে আছে স্বস্তি-আয়াত..
এই পোস্টটি স্টিকি করার জন্য মডু মামাদের ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
ভাবে উত্তেজিত করে,যদি সে হিজড়া না হয়ে থাকে ।
তার পরও কি স্বার্থে একজন মেয়ে বুক না ঢেকে গলায়
ওনা পেচিয়ে রাখে ? স্কিন টাইল্স পড়ে উরুদেশ
দেখিয়ে যুবকদের বিগড়ে দিয়ে সে কি মজা পায় ?
যখন কোন দর্ঘটনা হবে সমাজ তাকে কোথায়
তুলে রাখবে ? পত্রিকার পাতায়
রগরগে করে সে ঘটনা রসিয়ে রসিয়ে উপস্থাপন করবে ।
আর সে নারীটি হবে জীবন্ত লাস
ছাড়া আর কিছু না ।
সামাজে শিক্ষার হার বেড়ছে তাহলে নৈতিক আচরন
নিম্নমুখি কেন ? আজকাল ডিশ
সংস্কৃতি আমাদের কি পিছিয়ে দিচ্ছে না এগিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরা ভারতীয়
টিভি চ্যানেলে আসক্ত। তাদের নিম্ন মানের
মেগা সিরিয়াল কে অনেকে মেয়েদের জন্য নেতিবাচক
বলে আখ্যায়িত করেন।
ভারিতয় মেয়েদের মত পোশাক পরিচ্ছদ কি আমাদের
দেশের সাথে যায় ? দেশের মেয়েরা এখন
অনেক শিক্ষিতা । তাদের চিন্তা চেতনা আধুনিক।
অনেকেই অধিকার সচেতন । আজকাল খুব
শোনা যাচ্ছে মেয়েরা সমঅধিকার চায়।
নারী বাদী লেখকদেরও জয় জয়কার । কিন্তু কেন এই ইভ
টিজিং ? পত্রিকা খুল্লেই ধর্ষণ , হত্যা নিত্ত দিন এর
খবর । একজন মেয়ে কে যখন পোশাকের
জন্য ইভ টিজিং এর স্বীকার হতে হয় , সেটা দুঃখ জনক
। হাল আমলের পোশাক আশাক আমাদের
বাংলাদেশের সামাজিক ব্যাবস্থার সাথেও সমঞ্জস্য
পূর্ণ নয়। লক্ষ করলে দেখা যায় আজকাল
স্কুল, কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেয়ে গলায়
ওড়না দিয়ে থাকেন । এটা কোন
রুচি বা কি ধরনের প্রবণতা? বুকের ওড়না যদি গলায়
থাকে তাহলে ওড়নার দরকার কি ? এর পর
যদি তাকে কোন ছেলে টিজ
করে তাহলে ছেলেটাকে ইনফ্লুয়েন্স করেছে কে? পোশাক
পড়ার
দিকে যদি শালীনতা না থাকে তাহলে অন্যকে দোষ
না দেয়া সমীচীন । অনেক মেয়ে আজকাল
চুরিদার , শর্ট কামিজ , ফাতুয়া পড়েন । পোশাক গুল
যথস্ট আট শাট কিম্বা খোলা মেলা ধরনের।
কামিজ -স্যালয়ারেও এসেছে বিরাট পরিবর্তন ।
নানা টাইপের কাটিং ,খাদের মত গলা কাটা-পিঠ
খোলা। নগ্নতা কি খুউব জরুরি? অবাক করা ব্যাপার
হচ্ছে মশারির মত স্বচ্ছ ওড়না আর
শাড়ি আছে কত গুলা । সেসব অধিকাংশ তরুণীর
গায়ে উঠে আসছে বিভিন্ন পার্টিতে। এম্নিতেই
শাড়ির ব্যাপারে কথা আছে বুক , তল পেট বা পীঠ
পুরা ঢাকা যায় না। এর ওপর
মশারী মার্কা শাড়ি পড়লে কি দশা । এছাড়া স্লিভ লেস
বা আরও আপত্তি কর পোশাক
চলে এসেছে। প্রতিটা মেয়ে নিরাপদ আর সুন্দর অধিকার
নিয়ে বাঁচুক । এই প্রত্যাশা থাকল ।
পাঠক ভাইদের বলব আপনার বোন স্ত্রীর দিকে ক্ষেয়াল
করবেন, পোষাক পরিচ্ছদের
কারনে তারা যেন বিপদ মূখি না হন.
সাধারণ মুসলমান হিসাবে আল্লাহর ভয়ে দ্বীনি বিষয়ে সঠিক ভাবে জানিয়া আমল করার জন্য একজন হক্কানী-আমলদার আলেমের সরনাপন্ন হাওয়াটা খুবই স্বাভাবীক। হক্কানী আলেম তাকেই বলে যিনি নিজে হকের উপর থাকেন বাতিল কি তাহা পরিচয় করিয়ে দেন, শিক্ষা দেন অন্যকে। আমলের ক্ষেত্রে নিজে সঠিক ভাবে নিয়মিত আমল করেন, কোনো অলসতা অবহেলা যেই আলেমের মধ্যে নাই।
আমার ছোট্ট জ্ঞান মতে সাধারণ বই পুস্তক পড়ে কিংবা অনুবাদিত কোরান হাদিস পড়ে নিজে নিজে আলেম না বনে আমরা আওয়ামেরা অর্থাৎ মাদ্রাসায় নিয়মিত কোরান/হাদিস পড়ে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা যাদের নছীব হয় নাই তাদের উচিত হক্কানী আলেমদের কাছে গিয়ে হারাম/হালাল, ফরজ/ওয়াজীব, সুন্নত/মোস্তাহাব এবং জিকির আজাকার সম্পর্কে দিক নির্দেশনা নিয়ে আমল করাই উত্তম।
আল্লামা সফি সাহেব নারী/পুরুষ সৃষ্টিগত ভাবে আল্লাহপাক যেই আকৃষ্টতা দান করেছেন তাহা সহজ ভাবে বুঝানোর জন্য তেতুঁলের সাথে তুলনা করেছেন নারীকে। প্রধানমন্ত্রী সহ আওয়ামীরা ও তাদের সহচড় নাস্তিকেরা বাক্যটিকে অতিরঞ্জিত করে হেফাজতে ইসলাম থেকে রাজনৈতিক যেই ফায়দা নিতে চেয়েছিল তাতে ব্যর্থ হয়ে তেতুঁল নিয়ে মাঠে নেমেছিল অর্থাৎ নিজেদের কূচক্রান্তের ব্যর্থতাকে ঘোষনা করে হেফাজতে ইসলামকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল। নাস্তিকেরা জানেনা, যাদের দ্বীলে আল্লাহর ভয় আছে তাদের দ্বীলে দুনিয়ার ভয়ের জন্য জায়গা থাকেনা। অস্ত্রধারী জালেমের সাথে মোকাবিলা করার জন্য নিরহ আল্লাহ ওয়ালারা একমাত্র আল্লাহর সাহার্য্য পাওয়ার প্রতিক্ষায় (ছবর) থাকেন। ছবরের নেয়ামত দুনিয়া/আখেরাতে অপরিসীম, অপরিসীম, অপরিসীম। আজ এই নাস্তিকেরাই নিজেকে নিজে তেতুঁল বানাইয়া দুনিয়াবাসীর সামনে হাজির হয়েছে, এটি মহান আল্লাহর তরফ থেকে শাইখূল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ সফি সাহেবদের (দাঃবাঃ) ছবরের নেয়ামত নয় কি???
- কম সুন্দর, নিজের প্রতি অযন্তশীল, ফেস কাটিং আকর্ষনীয় নয় এমন ছাত্রীটিই কিন্তু ক্লাসের মধ্যে ভাল ফলাফল কারিনী হয়।
ব্যাপারটি সর্বদা এমনটি নয়, তবে বেশী মাত্রায় এমন ঘটে সন্দেহ নাই।
কোন কোম্পানীর অফিসে ঢুকার পর অবশ্যই একজন হাস্যময়ী, লাস্যময়ী, সদা হাস্যোজ্জ্বল তরুণীকে পাওয়া যাবে। দেখা যাবে তার দাপটে অনেক যোগ্য কর্মকর্তা কাৎ-চিৎ হচ্ছে। গভীরে গেলে দেখা যাবে তার একাডেমিক কেরিয়ার তেমন ভাল ছিলনা। অথচ এখানে চেহারাকে পূজি করে উত্যক্তকারী পদে বসে আছেন।
চাকুরীতে এই ধরনের চিন্তা ধারা এখন বিষ ফোড়ার মত সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষিত নারীদের দেহ, সৌন্দর্য দিয়ে কাষ্টমার আকৃষ্ট করা আর দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটের ট্রাকের ড্রাইভার আকৃষ্ট করার মাঝে মৌলিক কোন তফাৎ নেই।
শফি হুজুর নারীদের ঘরে থাকতে বললে, লম্পট সুশীলদের চক্ষু শীতল হবে কিভাবে? সে কারনেই তারা শফি হুজুরের পিন্ডি চটকাচ্ছে!
আসলে সুশীলরা মেয়েদের তেঁতুলের চেয়ে ভালো কোনদিন মনে করেনি। তাসলিমা নাসরিনের দ্বিখন্ডিত তো তা ই বলে।
পুস্পিতাকে ধন্যবাদ
সুশীলদের অবস্থা দেখুন। নারীর পথরোধ করে বলছে "দেখাও তোমার রূপের ঝলক, না দেখালে খবর আছে।"
এই অনুষ্ঠান টিভিতে সুশীলরা করবে আর দেখবে নারীর রূপের ঝলক।
নারী সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে সুশিল মিড়িয়ার বিরুদ্ধে
তবে দুঃখের বিষয় এটা যে, আমাদের তথাকথিত সে অগ্রগামী নারীরা কিন্তু এগুলো করার জন্যই কর্মক্ষত্রে যাবার অধিকার চায় এবং প্রতিযোগীতা করে; দুই একটা এক্সেপশন আছে – যাদের আসলেই চাকরী করা প্রয়োজন, সেটা আলাদা।
এরা নিজের ঘর কাজের লোকের কাছে লীজ দিয়ে, পরের ঘর (মানুষের লাভের আকাঙ্ক্ষায় বানানো অফিসের) দাসী হিসেবে নিজেদের নিয়োজিত করতে কুন্ঠাবোধ-তো করেই না বরঞ্চ সম্মানিত বোধ করে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন