জীবন খুবই ছোট, সেটিকে পৃথিবীতেই নরক বানানোর প্রয়োজন কি?!

লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ০৭ জুন, ২০১৪, ০৭:৫২:০২ সন্ধ্যা



আপু মন খারাপ নাকি?

হুমম... সামান্য।

কেন কি হয়েছে?

আর বলিস না, আমার ডিউটি ছিল বিকালে। তোর ভাইয়া সন্ধ্যায় ফিরে তাইফকে (আপুর ৫বছরের বাচ্চা) নাকি দেখেছে কাজের মেয়ে সহ টিভি দেখতে। আমার শাশুড়ি বাসায় ছিল। তিনি ইমার্জেন্সি আমার ননদের বাসায় গিয়েছে। খুব বেশি সময়ের জন্য না। কিন্তু এর মধ্যেই তোদের ভাইয়া বাসায় গিয়ে দেখে কাজের মেয়েটি জি বাংলা দেখছে আর তাইফ সেখানে বসা। এরপর আমি বাসায় ফিরার পর সেকি রাগ। কেন কাজের মেয়েকে শাসন করি না, কেন সে বাচ্চার সামনে টিভি দেখছে! ইত্যাদি, ইত্যাদি...

তারপর?

তারপর আর কি, সে আবার কাজের মেয়েকে কিছু বলবে না, বাচ্চাও তো আর বড় না যে তাকে রেগে কিছু বললে বুঝবে। যা রাগ দেখানো আমার উপর দেখালো আর কি! ওর ধারনা আমি ওই মেয়েটিকে লাই দিতে দিতে মাথায় তুলেছি! আচ্ছ বল, কাজের মেয়ের যে ক্রাইসিস, তাদেরকে কি বেশি বকাবকি করা যায়?!

এটা ঠিক, বেশি বললে যদি চলে যায় তারপর তো মহা সমস্যা। তবে কাজের মেয়েদের একটু শাসন করতে হয় এবং বাচ্চাকে নিয়ে যেন কখনই টিভি না দেখে।

সেটা ঠিক আছে, তাই বলে এত রাগ দেখাবে আর বকাবকি করবে? বেশি যখন রাগারাগি করছে তখন আমিও করেছি। মেজাজ আর কতক্ষণ ঠিক রাখা যায় বল? রাত দশটার পর বাসায় গিয়ে কি এত কথা শুনতে ভাল লাগে? কিন্তু দেখ, বেশি বকেছে সে অথচ এমন ভাব নিয়ে আছে যেন আমি বেশি রাগারাগি করেছি!

তার মানে সকাল পর্যন্ত রাগ ভাঙ্গেনি এবং কথা বলা শুরু হয়নি?!

হ্যাঁ, তবে এবার ওর পালা, গতবার আমার ছিল, আমি আগে কথা বলে ঠিক করে ফেলেছি এবার ওকে শুরু করতে হবে আগে!


আমাদের একজন সিনিয়র আপু ও তার হাজবেন্ড, উভয়ই ডাক্তার। এক ছেলে। সুখী পরিবার। কিন্তু ঝগড়া যে নেই তা বলা যাবে না। সেটা ছাড়া নাকি পরিবার জমে না! কিন্তু আপু এবং ভাইয়ার ভিতর একটি অলিখিত আইন আছে। খুবই স্ট্রং আইন!

১। ঝগড়া, খুনসুটি হবে কিন্তু তা রুমের ভিতরেই থাকবে। অন্য কারো সামনে করা যাবে না। বিশেষ করে বাচ্চার সামনে।

২। আওয়াজ কম হবে এবং তা বেড রুমের বাইরে যাবে না। কোন ধরনের খারাপ. অশ্লীল গালি দেয়া চলবে না।

৩। বিশেষ বিশেষ সময়ে আপু একটু বেশি রাগারাগি করলে ভাইয়া চুপ থাকবে। (আমাদের একজন টিচার বলতেন, তোমাদের ম্যাডামের সাথে আমার এত ভাল সম্পর্ক কেন জানো? কারণ তার মেজাজ খিটখিটে হওয়ার সময়ে আমি কখনোই তার কথার বাইরে যাই না!)

৪। উভয়ের পিতা-মাতার ব্যাপারে কেউ কটু কথা বলবে না, আপু তার শশুড়-শাশুড়ির ব্যাপারে ভাইয়ার কাছে কোন অভিযোগ করবে না, ভাইয়াও আপুর মা-বাবার ব্যাপারে করবে না! পিতা-মাতা নিয়ে কথা বললে নাকি মেজাজ উভয়ের চরমে উঠে!

৫। আইনের সবচেয়ে বড় বিধি হলো, ঝগড়ার পর একবার আপু নিজ থেকে কথা বলে পরিবেশ স্বাভাবিক করে নেবে, আরেকবার আপুর হাজবেন্ড করবে (ঝগড়া যার কারণেই হোক না কেন)। এভাবে পালাবদল করে তারা ঠিকঠাক করে নেবে।


এ পর্যন্ত তারা ওই নিয়ম মেনে চলছে। মাঝে মাঝে আইন কিছুটা ভঙ্গ যে হয় না তা নয় তবে তা খুবই মাইনর এবং তারা চেষ্ঠা করে নিজেদের ঠিক করে নেয়া আইন মেনে চলার। ব্লগে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক দায়িত্ব, অধিকার, স্বামী নির্যাতন না স্ত্রী নির্যাতন ইত্যাদি নিয়ে কয়েকটি পোস্ট দেখে আপুর ব্যাপারটি মনে পড়লো। আপু ও তার স্বামী সব বিষয়ে একমত হন বা সব সময় সবকিছুই ঠিকঠাক মতো চলে তা নয়। ঝগড়া হয়, ভুল বুঝাবুঝি হয়। কিন্তু তারা সহনশীল। নিজের ও পরিবারের অন্যান্যদের মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন। পরস্পরকে সম্মান করে। ভালবাসে। নিজেদের ভবিষ্যৎ বংশধর সম্পর্কে সচেতন। ঝগড়া হলেও তার ইফেক্ট যেন সন্তানের উপর না পড়ে তা বিবেচনা করে। কোন কোন বিষয়ে একমত হতে পারে না বলে, অন্য সবকিছু ভুলে যান না।

তাই মনে হচ্ছে দুজনের বুঝাপড়া যদি ঠিক মতো হয়, বুঝাপড়া করে নেয়া যায় তাহলে উভয়ে-উভয়কে সম্মান করবে, পারস্পরিক সমস্যাগুলো বুঝবে, একসাথে সমাধানের চেষ্ঠা করবে। অপ্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব পরায়নতা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যদি না দেখায় তাহলে জীবন অনেক সহজ বলে মনে হবে। তারপরও আসলে জীবন সহজ না, কিন্তু নিজেরা নিজেদের ভিতর ঝামেলা করে বা ঝামলে লাগলে তা দীর্ঘসময় ধরে টেনে নিয়ে সেই কঠিন জীবনকে আরো কঠিনতর করার প্রয়োজন কি?

অনেক সময় কে সেরা বা কে বস তা নিয়েও নাকি ঝগড়া বাঁধে। আসলে মায়া-মমতা দিয়ে সন্তানকে মানুষ করার ক্ষেত্রে মা শ্রেষ্ঠ, আর শাসনের মাধ্যমে করার ক্ষেত্রে পিতা শ্রেষ্ঠ। পরিবারকে সাজানোর ক্ষেত্রে নারীই উপযুক্ত আর পুরুষ পরিবার চালানোর ক্ষেত্রে। উভয়েই উভয়ের ক্ষেত্রে অতুলনীয়। এসব ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ কে তা রিলেটিভ বিষয়। বিষয়টি অনুধাবন করলে তো স্বামী-স্ত্রী একজনকে আরেকজনের উপর ডিকটেটরশীপ চালাতে হয় না!

বাইরে প্রয়োজন না থাকলে মেয়েদের যতবেশি সম্ভব ঘরে সময় দেয়া উচিত। আবার দুজনকেই যদি বাইরে সময় দিতে হয় তাহলে উভয়ের পরামর্শ করা উচিত কি করে সন্তান ও পরিবার ঠিক রাখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত পিতা-মাতা, যারা পরিবারে সময় দেয় না, দিতে পারে না তাদের সন্তারনাই নষ্ট হয়। তাই এখন কে কখন কিভাবে সময় ম্যানেজ করবে তা ভাবা উচিত। প্রফেশনের কারণে বাইরে সময় দিবে কিন্তু তার মানে যেন এমন না হয় অনৈতিকতার খপ্পড়ে পরে একদিকে সন্তান ও পরিবারের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হতে থাকবে অন্যদিকে নজর থাকবে শুধু ক্যারিয়ারের দিকে।

জীবন খুব অল্প সময়ের, ঝগড়া-মারামারি করে সেই জীবনকে পৃথিবীতেই নরক বানানোর কি প্রয়োজন?

বিষয়: বিবিধ

২২৯৮ বার পঠিত, ৫৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

231951
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:০৮
ভিশু লিখেছেন : Chatterbox ইশশশশ্‌ ... খুব মনের মতো কথাগুলো বলেছেন আপুজ্বি, একদম হবু ননদের মতো! সব কনেরা যদি এভাবে ভাবতেন?! বর পক্ষের অনেক সুবিধা আর কনে পক্ষেরও বিশাল শান্তি হতো! তাইফরাও গড়ে উঠতো মানুষের মতো মানুষ হয়ে! মহান আল্লাহ আপনার লেখার মতো আপনার পরিবারকেও আলোকবর্তিকা ও আদর্শ পরিবার হিসেবে কবুল করুন! আমীন...Praying Good Luck Happy Rose Rolling Eyes Sad
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:০৯
178685
পুস্পিতা লিখেছেন : কনে-বর উভয়কে ভাবতে হবে একসাথে!
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:১০
178686
ভিশু লিখেছেন : ও...আচ্ছা!
Day Dreaming
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:১৬
178688
ভিশু লিখেছেন : এক্সেপশনাল বর-কনেদের জম-জমাট মেলা এই ব্লগের সব ইয়ে-টিয়েদের ভাবানোর জন্য মূল্যবান এই পোস্টটি ১টু স্টিকি কর্লে আরো ভালো হতো!
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
178699
পবিত্র লিখেছেন : ১টু স্টিকি কর্লে আরো ভালো হতো!
১টু কেন্নো!? পুরোটাই কর্তে হবে!!! তাও তিন দিনের জন্য!!Happy
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১৭
178732
লোকমান লিখেছেন : স্টিকি করে দিলাম এবার খুশি তো ??
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৭
178743
ভিশু লিখেছেন : @পবিত্র: ইয়েস...তিন্দিনের জন্য!
Happy Good Luck Angel
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৮
178744
ভিশু লিখেছেন : @ লোকমান: ভাইয়া! গাম আছে আপনার কাছে?! করে দিন না ১টু প্লিজ X ৩! Rolling Eyes Worried Day Dreaming
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৪১
178767
ভিশু লিখেছেন : Rolling Eyes আহারেহ! ছবিটা দেক্সেন? Worried মনে হচ্ছে বরটা কাঁদছেন, আর কনেটা কি ফেরোসাস? Surprised
231954
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:১৬
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : সুন্দর উদাহরন দিয়ে লিখলেন আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২৩
178690
পুস্পিতা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
231959
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২৫
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার লিখায় আল্লাহ তায়ালা আরো শক্তি বাড়িয়ে দেবেন সেই দোয়া করি
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২৯
178691
পুস্পিতা লিখেছেন : আাপনাকে অনেক ধন্যবাদ...
231961
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২৬
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমিও জারিফার আম্মুর সাথে হালকা ঝগড়া করি। ওনিও করেন...তবে বেশীক্ষণ রাগ করে থাকতে পারিনা। কারণ আমি দেখছি যে সন্তান লালন-পালন করতে একজন মা কে কত কষ্ট করতে হয...তারপর উপর যদি স্বামীর বকা খেতে হয় তাহলে সংসারটা নরকের মত মনে হবে।
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৩২
178695
পুস্পিতা লিখেছেন : ঝগড়া নাকি বিবাহিত জীবনের অংশ। তাই এটি বেশ-কম হবে। কিন্তু কোন পক্ষ থেকে বাড়াবাড়ি না করার মধ্যেই রয়েছে সফলতা। স্বামী-স্ত্রীর সহজ মন অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৪
178741
লোকমান লিখেছেন : আমি ঝগড়া করি না।
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৩
178811
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : এরকম ঝগড়া করার কেউ আমার নাই....
231969
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
পবিত্র লিখেছেন : জীবন খুব অল্প সময়ের, ঝগড়া-মারামারি করে সেই জীবনকে পৃথিবীতেই নরক বানানোর কি প্রয়োজন?
এ দুটো লাইন খেয়াল করলেই অনেক ঝগড়া-বিবাদ থেকেই দুরে থাকা যাবে!

চমৎকার লিখেছেন আপু! খুব ভালো লাগলো!! Happy Happy
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
178696
পুস্পিতা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
231975
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৩৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : দৈনন্দিন বাস্তবতার আলোকে দেখা একজন সুদক্ষ, অভিজ্ঞ ও সুক্ষ্মদর্শীর বিচারে আপনার যে মূল্যায়ন সেটাই সকলের কাম্য এবং পালনীয় হওয়া উচিৎ। অকারণে কোলাহল, ঝগড়া ঝাটি শুধু অহেতুক অশান্তি ও বিপদ ডেকে এনে। যদিও আর জন্য উভয়কেই ধৈর্য, সংযম, বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী হওয়া প্রয়োজন। অনেক ধন্যবা। খুব ভালো লাগলো লিখাটি।
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৪২
178698
পুস্পিতা লিখেছেন : সংসারের ঝামেলা এড়াতে উভয়ের সহনশীলতা প্রয়োজন। এখানে শ্রেষ্ট্রত্বের গৌরবে সফলতা আসে না।
231983
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
আহ জীবন লিখেছেন : স্বামী স্ত্রী উভয়েরই উচিৎ তার নিজের বেক্তিত্ত টা কে দুজনেরি চাওয়া পাওয়ার কাছে ভালবেসে বিলীন করে দেওয়া। তবে দুজনকেই বুঝবান হতে হবে। একতরফা কোন কিছুই ভাল নয়। এতে হতাশা বাড়ে।
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৫০
178701
পুস্পিতা লিখেছেন : অবশ্যই উভয়কে সচেতন হতে হবে...
231986
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৫৩
আমি আমার লিখেছেন : ভালো লাগলো Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৫৫
178711
পুস্পিতা লিখেছেন : ধন্যবাদ...
231988
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৫৬
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনীয় পোস্ট, আমরাও চেষ্টা করছি এরকম।
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৫৮
178714
পুস্পিতা লিখেছেন : সফলতা কামনা করছি।
১০
232008
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১৮
চোরাবালি লিখেছেন : অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত পিতা-মাতা, যারা পরিবারে সময় দেয় না, দিতে পারে না তাদের সন্তারনাই নষ্ট হয়।-- সিঠক বলেছেন। আমি মাঝে মাঝে কিছু মানুষের আচরণ দেখে যে মানুষের থর্থের প্রয়োজন কত? অর্থ এমন একটা জিনিস যার প্রয়োজনেরে শেষ নেই-- যদি অর্থনীুতির ভাষায় যাওয়া যায় তা হলে -- মানুষ অভাব সৃষ্টি করতে পারে ধ্বংশ বা শেষ করতে পারে না।
তাই বাচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য যে কোন একজনকে বাসায় থাকা জরুরী বলেই মনে করি।

আর ইয়ে মানে আমরা দ'জন ঝগড়া করি অনেক অনেক বেশী; আবার দু'জন আলাদাও ঘুমাতে পারি না যতই ঝগড়া হউক। বাসায় না থাকলে পুরুাই মরুভূমি মনে হয়
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২১
178737
পুস্পিতা লিখেছেন : বাসায় না থাকলে যখন পুরাই মরুভূমি মনে হয় তাহলে বুঝা যাচ্ছে আপনারা সুখী। সিনিয়র আপুরা বলে ঝগড়া নাকি তরকারীর ঝালের মতো। তবে বেশি করলে বা বাড়াবাড়ি যখন ঝগড়ার ভিতর ঢুকে যায় তখন তা ভয়ংকর হয়ে উঠে।
১১
232017
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৫
লোকমান লিখেছেন : অলিখিত আইনগুলো আমার খুব ভালো লাগলো। ভাবছি এই অলিখিত আইনগুলাে আমি লিখিত আইন করে নিবো।
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৮
178745
পুস্পিতা লিখেছেন : হুমম... দুজনে মিলে লিখে নিতে পারেন। তবে বাংলাদেশে লিখিত আইন অনেক কিন্তু কেউই মানতে চায় না, আর ইউকে তে নাকি লিখিত সংবিধানই নেই, অলিখিত যা আছে তা সবাই মেনে চলে।
০৯ জুন ২০১৪ সকাল ১১:১১
179380
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : দিনকে দিন বৃদ্ধের মতো বুড়া হইতাছে বাট বিবাহের কোন খবর নাই সে কিনা আবার আইন নিয়ে ভাবছে লিখিত করা যায় কিনা। বলি, এভাবে আর কতদিন? বুড়ি টাইপের কাউকে গলার মালা করে নিন। তারপর একতরফা জগড়া হজমের প্রস্তুতি নিন, ব্যাস। সংসারে শুধু শান্তি আর শান্তি।<:-P
০৯ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৯
179590
লোকমান লিখেছেন : দাদী কেমন আছেন দাদা?
১২
232023
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পোষ্টটি ভাল লাগল এবং বক্তব্যগুলির সাথে একমত। আর কিছু বলব না....
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৯
178747
পুস্পিতা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ...
১৩
232067
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৪
ইমরান ভাই লিখেছেন : সকল প‍্রসংশা আল্লাহর জন‍্য যিনি পুরুশ ও নারি বানিয়েছন পরস্পরের জন‍্য।
আর তিনি কিছৃ জায়গায় পুরুষকে দিয়েছেন নারিদের চেয়ে সম্মান আবার নারিকেও দিয়েছেন তান যথাযথ সম্মান।

দুজনে মিলেই = ১০০
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৯
178799
পুস্পিতা লিখেছেন : দুইজনে মিলেই ১০০। এটিই মনে রাখা উচিত সবারই।
১৪
232068
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৪
ইমরান ভাই লিখেছেন : সকল প‍্রসংশা আল্লাহর জন‍্য যিনি পুরুশ ও নারি বানিয়েছন পরস্পরের জন‍্য।
আর তিনি কিছৃ জায়গায় পুরুষকে দিয়েছেন নারিদের চেয়ে সম্মান আবার নারিকেও দিয়েছেন তার যথাযথ সম্মান।

দুজনে মিলেই = ১০০
১৫
232079
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১০:২৮
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ব্লগে নাকি পুরুষদের সম্মান নিয়ে কথা হয় না, তাই আজ প্রথমেই সকল পুরুষের প্রশংসা দিয়ে শুরু করলাম। প্রশংসা ও সম্মান সকল পুরুষের প্রতি। হাহাহাহাহাহা দারুন তো!
কারো সাথে ঝগড়ার মতো কেউ এই অধমের নাই, তাই সে অন্য বিষয়ে ভাবছে!
১৬
232105
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১১:১৮
হতভাগা লিখেছেন : এত সব নিয়ম মেনে যদি ঝগড়া করতে হয় তাহলে ঝগড়ারই বা দরকার কি ? আর এরকম নিয়ম যারা মানে তারা ঝগড়া করে না ।

িইসলাম আমাদেরকে একটা নিয়মের মধ্যে দিয়ে চলতে বলে । এর ব্যাত্যায় হলে পরিবারে অশান্তি নেমে আসবেই , কারণ এসব নিয়ম আল্লাহর বানানো । আল্লাহই ভাল জানেন মানুষের অতীত ,বর্তমান এবং ভবিষ্যত ।

আপনার আপু শরিয়ত অনুযায়ী সংসার করছেন না । স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বামীর সম্পদের হেফাজত করা তার উচিত ছিল আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে । সূরা নিসা - আয়াত ৩৪ ।

সেটা সে করেনি , কারণ স্বামীর সন্তান তার মায়ের সঙ্গ পাচ্ছিলো না ঐ সময়ে । সেখানে তাকে সময় দিচ্ছিল কাজের মেয়েটি । যেটা মা হিসেবে আপনার আপুরই করার কথা ছিল সেটা করছে কাজের মেয়েটি । এখন উনার স্বামী যদি উনাকে যে উপহার দিতেন সময় সময় তা যদি কাজের মেয়েটিকেই দেন তাহলে কি আপনার আপু সেটা ভালভাবে নেবে ?

স্বামী সামলাবে বাইরের দিক আর স্ত্রী ভেতরেরটা - এটাই থিম আমাদের শরিয়তে । বিশেষ কোন আবশ্যকতা যদি পড়ে তাহলে স্ত্রী চাকুরীতে নামতে পারে এবং তা অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিয়ে ।

আপনার আপুদের কি কঠিন সময় যাচ্ছিল বা উনার স্বামী কি সংসার টানতে পারছিলেন না বলে স্ত্রীকে চাকুরি করতে পাঠিয়েছেন তার নিজের সংসারের সাথে কম্প্রমাইজ করে ?

যেহেতু স্বামীরাই খরচ করে তার স্ত্রীর জন্য সেহেতু স্ত্রী হিসেবে আপনার আপুর তার স্বামীর বাধ্য হওয়া উচিত ছিল ।

া আপনার আপু যেহেতু চাকরি করছে সেহেতু ধরে নেওয়া যায় যে আপনার আপু উনার স্বামীর অনুগত নন । তাহলে স্ত্রী যদি অনুগত না থাকে তাহলে উনার তার জন্য ব্যয় করা কি উচিত ?

যেখানে স্বামীরই কর্তৃত্ব করার কথা সেখানে দুইজনেই এ সমান হয় তাহলে সেই দাম্পত্য জীবন হয়ত বা ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক গঠিত হয়েছে তবে শরিয়ত মোতাবেক চলছে না । যেহেতু স্বামীকেই কর্তৃত্ব করার কথা বলা আছে সেখানে স্ত্রীকে বসিংয়ে আনার কোন সুযোগ শরিয়তেই দেয় না ।

আল্লাহ পিতার সম্পত্তিতে ভাই পাবে দুই বোনের সমান এটা বলে দিয়েছেন । এখানে পিতার কোনই সুযোগ নেই তার সম্পত্তি ছেলে মেয়ে উভয়ের মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে দেবার ।

হয়ত আপনার আপু এত বছর ধরে ডাক্তারী পড়েছে কি বসে বসে খাবার জন্য - এই ধোঁয়া তুলে চাকরিতে যায় , তাহলে তার বিয়ের আগেই ডিসাইড করা উচিত ছিল তার কাছে সংসার আগে না কি ক্যারিয়ার / চাকরি আগে । কারণ একটা আরেকটার বিপরীত । একটা ধরলে আরেকটা হয় না । কেউ হয়ত বলবে যে উনারা দুটৈ সামাল দিচ্ছেন । কিন্তু তারা এটা বোঝেন না যে এখানে তারা প্রতারণা করছেন তার স্বামীর সাথে , প্রতারনা করছেন তার সন্তানের সাথে।

এরকম ফ্যামিলির সন্তানেরা বা তাদের বংশধরেরা পরবর্তীতে ডিরেইলড হয়ে যায় ।

াআজাদ সাহেবের রত্ন গর্ভা মায়েদের কজন ক্যারিয়ারিস্ট ? তাদের কাহিনী শুনলে জানা যাবে যে , তারা ঘরেরটা সামলিয়েছে এবং তাদের স্বামীরা সামলিয়েছে বাইরের টা ।


নারীদের অবস্থানই হচ্ছে ঘরের ভেতরে । যখন থেকেই তারা ঘরের বাইরে বের হয়েছে তখন থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে ।
১৭
232110
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১১:২৭
চক্রবাক লিখেছেন : খুব ভালো পোস্ট, ভবিষ্যতে প্রয়োগ করে দেখব। Good Luck
১৮
232157
০৮ জুন ২০১৪ সকাল ০৭:১৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ পড়লাম। আমার ধারনা, উভয়ের বোঝাপড়া জরুরী কিন্তু সেই বোঝাপড়া তখন পরিপূর্ণতা পায়,যখন তারা উভয়ে একই ধরনের চিন্তায় চিন্তিত। কনসেপ্টচুয়াল মিল থাকলে উভয়ের বোঝাপড়া খুব দারুন হয়।

আর একে রেগে গেলে অন্যে চুপ থাকলে সেটা জ্বলে উঠতে পারেনা। ধৈর্যের উপরে জিনিস নেই। উপরের উপদেশ বা আইনটি বেশ কার্যকরী মনে হয়েছে।
১৯
232168
০৮ জুন ২০১৪ সকাল ০৭:৩৭
শেখের পোলা লিখেছেন : জীবনকে সুখী সুন্দর করতে হলে সমঝতার বিকল্প নেই, আর বড় হতে চাইলে নিজেকে ছোট ভাবতে হবে৷ কেননা; আপনারে বড় বলে বড় সেই নয়/লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়৷শেষ লাইনে বলা হয়েছে; "বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে"৷
২০
232244
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
egypt12 লিখেছেন : আপনার বক্তব্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভালো লাগলো আপনার উদাহরন দেয়া পরিবারের সমঝোতা দেখে এসব উদাহরন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
২১
232258
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:০১
ভিশন২০২১ লিখেছেন : Give Up Give Up Give Up
২২
232364
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৭
দিগন্তে হাওয়া লিখেছেন : ভাল লেগেছে Good Luck
২৩
232411
০৮ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ। বাহ, আপনি শুধু ডাক্তার নন, একজন সমাজবিজ্ঞানীও বটে।

সুন্দর শিক্ষণীয় পোস্টটি স্টিকি করা হোক। Rose Rose Rose Rose
২৪
232452
০৮ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আমার সুযোগ থাকলে আপনাকে একটা বড় উপহার দিতাম। তবে তার চাইতে ও বড় করে দোয়া করছি।
অনেক উপকার হল।
আামাদের নিজেদের একটি আইন আছে। তাহল
আমরা কেউ কারোর ব্যক্তিত্বে আঘাত করি না। নিয়ম হল - রাগের মাথায় কেউ এটা করলে অন্যজন তা স্বরণ করিয়ে দেই।
চলছে ভাল। আপনার ট্রিপ্স গুলো আরো কাজে লাগবে। শোকরান।
২৫
232527
০৮ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৫৬
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : স্বামী স্ত্রী দুজনেই যদি সারাদিন অফিস করে তাহলে বাচ্ছাকে সময় দেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে, দিনের বেলা দুজনেই বাহিরে থাকে, তাই সময় ভাগ করে নিয়ে বাচ্ছাকে সময় দেয়া সহজ কাজ নয়, সে সময়টাতে বাচ্ছারা কাজের লোকের সাথেই থাকে, হিন্দী সিরিয়াল একদিন দুদিন দেখতে দেখতে নেশার মত কাজ করে, আর হিন্দি মুভি সিরিয়াল নেশার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তাই তাদের ধমক দিয়ে তা থেকে বিরত রাখা যথেষ্ট কঠিন কাজ। তাই সন্তাঙ্কে সঠিক ভাবে গড়ে তোলার বেড়ে উঠার বয়সটাতে দুজনের একজন কে চাকুরির ব্যাপারে ছাড় দিতে হবে।
২৬
232616
০৯ জুন ২০১৪ রাত ০১:১০
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৭
232625
০৯ জুন ২০১৪ রাত ০১:৫২
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : ভালো লাগল, অনেক ধন্যবাদ।
২৮
232627
০৯ জুন ২০১৪ রাত ০২:১৩
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : খুব ভাল লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯
232700
০৯ জুন ২০১৪ সকাল ১১:১৮
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : প্রথমেই প্রশংসার ফুল বর্ষন করছি বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষনীয় লেখনীর জন্য।

অতপর, লিখিত/অলিখিত আইন দিয়ে হয়তো সম্পর্কগুলোকে সুন্দর সাজানো যায়না। প্রয়োজন দুজনের মধ্যে দারুন বোঝাপরা, একে অপরকে সম্মান করা, একে অপরের প্রতি ত্যাগী হওয়া, সঙ্গীকে নিজের অস্তিত্ব মনে করে তাকে সুখী করার চেষ্টা করা, তিলাতি সুখ ভাগ করে ভোগ করা তেমনি পাহাড় পরিমান বিপদে একসাথে পথচলা - এই সব মিলেই হতে পারে সার্থক দাম্পত্য জীবন।
৩০
233342
১০ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
আফরা লিখেছেন : জীবন খুব অল্প সময়ের কিন্তু এই অল্প সময়ের জন্য আমাদের চাওয়া আর পাওয়া অনেক বেশী থাকে সে জন্যই এই আমাদের ছোট্ট জীবনে নেমে আসে নরক ।লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে আপু ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File