banglanews24.com এর সম্পাদক, সাংবাদিকদের বিবাহিত জীবনে কি চরম সমস্যা শুরু হয়েছে?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২৪ মে, ২০১৪, ০৫:৩০:১৪ বিকাল
আমাজনের গহিনে বসবাসরত গোত্রগুলো জামা-কাপড় পরতে অনাগ্রহী হয়ে উঠছে, মন্তব্যেটি হাস্যকর মনে হয়না? কারণ ওরা তো আদতেই জামা-কাপড় পরে না, জামা-কাপড়ের সংস্কৃতি-সভ্যতাই ওদের ভিতর গড়ে উঠেনি। তাই নূতন ভাবে জামা-কাপড়ের ব্যাপারে ওদের অনাগ্রহের কথা অবান্তর! এখন আমাজনের অধিবাসিদের দেখিয়ে যদি কেউ জামা-কাপড় না পরতে বলে তাকে কি মানসিক ভাবে সুস্থ বলা যায়?!
সকালে মেইল চেক করতে গিয়ে banglanews24.com এর একটি লিংক পেলাম। যে কারণে অনাগ্রহ বিয়েতে! শিরোনামে ওদের একটি খবরের লিংক। এটি কোন সাধারণ নিউজ নয়, ওদের নিউজরুম এডিটর নিজে ফিচার আকারে বিষয়টি প্রকাশ করেছে। খুবই আশ্চর্য হলাম, এই ধরনের নিউজ দিয়ে ওরা আসলে কি বলতে চায়? ওরা নিউজটি করেছে আমেরিকার কোন এক সংগঠনের কথিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে। এখানেই যত প্রশ্নের উদ্রেক।
যে সমাজের দুই-তিনটি বাচ্চাকাচ্চা হওয়ার পর তাদের মা-বাবা হয় বিবাহে বসে বা অন্যসঙ্গী খুঁজে নেয়, টিনএজ বয়স থেকে যেখানে ছেলে-মেয়ে ফ্রি সেক্স লাইফ উপভোগ করে, যে সমাজে অহরহ সিঙ্গেল প্যারেন্টের বসবাস, যে দেশে সন্তানের পিতা কে তা মা-বাবা জানে না, যেখানে লক্ষ লক্ষ পিতা-মাতার পরিচয় বিহীন সন্তানের বসবাস, বিয়ের বহির্ভূত সম্পর্ক আইনত ও সামাজিক ভাবে বৈধ, পিতা-মাতা সন্তানের ওই ধরনের সম্পর্ককে খারাপ মনে করেনা, যে দেশে বাস্তবেই বিয়ের চেয়ে লিভটুগেদার করে বেশি মানুষ, সেই ধরনের একটি সমাজ ও দেশের কথিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে অধিকাংশ মানুষ বিয়েতে অনাগ্রহী তা বাংলাদেশিদের জানানোর উদ্দেশ্য কি?!
এমন ভাবে নিউজটি প্রকাশ করা হয়েছে, সারাবিশ্বের সকল মানুষের জীবনে বিয়েই সব সমস্যা তৈরি করে। বিয়ের মতো এত বড় আপদ মানবজীবনে আর নেই! তাই বিয়ে পরিতাজ্য!
আচ্ছা বিয়ে পরিতাজ্য তো বুঝলাম, এখন মানুষকে কি করতে হবে? সেই প্রশ্নের উত্তরও banglanews24.com শেষের প্যারায় দিয়েছে, "অর্থবহ জীবন-যাপনের জন্য বিয়ে না করে সিভিল ইউনিয়ন কিংবা অংশীদারিত্বের (লিভ টুগেদার) মাধ্যমে বসবাসের পন্থা বেছে নিচ্ছে অনেকে। বিষয়টি সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলোতে পুরুষ সমকামী (গে) দম্পতিরা এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও সাধারণ যুগলরাও প্রবেশ করছেন।"
অর্থাৎ বিয়ে বাদ দাও, লিভটুগেদার করো! ছেলে-মেয়েতে বিয়ে বাদ দাও, সমকামী হও! মুসলিম প্রধান একটি দেশের প্রতি এদেশেরই একটি মিডিয়ার প্রকারান্তরে আহবান এসব!
এই ধরনের একটি রিপোর্ট বছরখানেক আগে কথিত গবেষণার উপর ভিত্তি করে প্রথম আলোও প্রকাশ করেছিল, বিয়েতে নারীর অনাগ্রহ যে কারণে শিরোনামে। প্রথম আলোর সাথে সাপে-নেউলের সম্পর্ক থাকলেও banglanews24.com কিন্তু জনগণকে বিয়েহীন করার ক্ষেত্রে প্রথম আলোর সাথে একমত। শুধু একমত নয় তারা আরো একধাপ এগিয়ে বলতে চেয়েছে শুধু নারী নয়, নারী-পুুরুষ উভয়েরই বিয়েতে আগ্রহ নেই, তাই বাদ দাও এসব, লিভটুগেদারই বেস্ট! লিভটুগেদারও যদি পছন্দ না হয়, সেখানেও যদি কিছুটা দায়িত্ব নিতে হয়, সেটিও বাদ দাও! যত্রতত্র অবাধ যৌনতা, অসভ্যতায় লিপ্ত হয়ে যাও এবং আধুনিক হও! banglanews24.com কি এ আহবানই জানাতে চেয়েছে?! বিয়ে প্রথা তুলে দাও, অবাধ ও বেপরোয়া যৌনাচারে উৎসাহী হও!
মুসলিম প্রধান এই দেশে তথাকথিত সুশীল মিডিয়াগুলো কি আনতে চায়? তারা কোন দিকে নূতন প্রজন্মকে ঠেলে দিতে চায়? কোন সুস্থ মানুষ কি এই ধরনের প্রচারণা চালাতে পারে? তাই চিন্তা করছি সম্পাদক ও তাদের সাংবাদিকদের বিবাহিত জীবনে কি চরম কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে? তাদের স্ত্রী-স্বামীরা কি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে? তারা কি লিভটুগেদারে লিপ্ত হচ্ছে? তাদের পরিবার কি ওই কথিত গবেষণার মতোই বিয়ের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে? তাই লেজকাটা শিয়ালের মতো তারা চাচ্ছে এদেশের সব মানুষ ওই ধরনের অসভ্যতায় লিপ্ত হোক? তারা কি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে?
আরেকটি উদ্দেশ্যেও থাকতে পারে, banglanews24.com যেহেতু আওয়ামী ধর্মনিরপেক্ষতার বড় সাপোর্টার আর বাংলাদেশে আওয়ামী ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থই হলো ইসলামী মূল্যবোধ, রীতিনীতি ধ্বংস করে অনৈতিকতায় নূতন প্রজন্মকে লিপ্ত করা। সেই ধরনেরও একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কি এসব রিপোর্ট করা হচ্ছে?!
বিষয়: বিবিধ
২৪৯৮ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই জটিল বিষয়ে নিয়ে আপনার আলোক পাথ কে তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি--
নৈতিকতা ধ্বংসকারি এই মিড়িয়াগুলোর ব্যাপারে সচেতনতা মুলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
ইসলাম এসব থেকে বারবার কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছে। কারণ আল্লাহ চান, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবেই বেঁচে থাকুক।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি এনায়েত আলির ছাগলরা দিত....
ইসলাম ধর্মে বিয়ের পর সংসারের যাবতীয় খরচের দ্বায়িত্ব স্বামীর । এজন্য সে বাইরে থাকে অফিস বা ব্যবসার কাজে ।
স্ত্রীদের কাজ স্বামীর অবর্তমানে তার সংসারের হেফাজত করা আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে ।
মানে স্ত্রী দেখবে ঘরের ভিতরেরটা আর স্বামী বাইরেরটা ।
এভাবেই চলে আসছে আমাদের বাংলাদেশী মুসলিম সমাজে । স্বামীই হচ্ছে পরিবারের প্রধান আর স্ত্রী স্বামীর অনুগত থাকে ।
সমস্যা শুরু হয়েছে তখন থেকেই যখন স্ত্রীরা ঘরের বাইরে এসে চাকরি করা শুরু করেছে ।
যেখানে স্বামীরই ঘরের বাইরে কাজ করার কথা এবং স্ত্রীর ঘরের ভেতরে , সেখানে দুইজনেই ঘরের বাইরে কাজ করলে ঘরের ভেতরের কাজ করার কাউকে পাওয়া যায় না ।
স্ত্রী ঘরের কাজ না করে বাইরের কাজ করে , এর ফলে সে তার স্বামীর হক থেকে নিজেকে কৌশলে সরিয়ে রাখছে । তবে ঠিকই স্বামীর কাছ থেকে ভরণ পোষন নিতে কসুর করছে না । চাকরি করে সে যে স্বামীকে বন্চিত করছে তার হক থেকে তার জন্য সে কোন ফাইনানসিয়াল কমপেনসেশনও করে না ।
ফলে দেখা যায় যে স্বামীর ভরনপোষনও সে নিচ্ছে , নিজেও কামাই করছে কিন্তু সংসারে দিচ্ছে না ; এবং স্বামীর সংসারেরও সে ঠিকঠাক দেখভাল করছে না চাকরি করার সুবাদে ।
আগে বউয়েরা শুধুই সংসারে কাজ করতো বলে টাকার জন্য স্বামীর কাছে ঠ্যাকা থাকতো । ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বামীর বসিং মেনে চলতে হত ।
এখন বউয়েরা চাকরি করছে , টাকার জন্য তার আর স্বামীর কাছে হাত পাততে হয় না । ফলে এটা খুব স্বাভাবিক যে এখনকার চাকরি করা বউয়েরা স্বামীর বসিং কখনই মানবে না যতই শরিয়তে বলা থাকুক না কেন ।
চাকরি না করেও যে তারা শরিয়তবিরোধীভাবে কর্তৃত্ব করে স্বামীদের উপর , চাকরি করলে বা টাকা কামালে সে তো ধরাকে সরা জ্ঞান করবে , স্বামী কোন ছার !
ফলে স্বামীরা যখন দেখবে যে , শরিয়ত মোতাবেক সে দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করলো , স্ত্রীর ভরনপোষনেরও দায়দ্বায়িত্ব নিয়েছে কিন্তু সেখানে তার স্ত্রী চাকরি করে তার সংসারের দেখভাল করছে না এবং উল্টো তার উপর কর্তৃত্ব করছে - তখন সে হিসেব করবে যে বিয়ে করে আসলেই তার কি লাভ হয়েছে ?
আগের প্রজন্মের লোকেরা এখনকার প্রজন্মের চেয়ে ধর্মভীরু ছিলেন বেশী ।
এখনকার প্রজন্ম যখন দেখে যে তাদের ইমিডিয়েট পূর্বসূরীরা বিয়ের ফলে যথেষ্ট সাফার করছে এডজাস্টমেন্ট নিয়ে , তখন বিয়ের প্রতি তাদের মনে একটা বিরুপ মনোভাব এসে যায় ।
তারা চায় কিভাবে এরকম একটা নিশ্চিত লোকসানের পথে না গিয়ে , কোন দায়দায়িত্বের বেড়াজালে নিজেকে আবদ্ধ না করে জীবনকে পরিপূর্ণ রুপে উপভোগ করতে ।
কোন শিক্ষিত মেয়ে কি বিয়ে করে তার চেয়ে কম শিক্ষিত বেকার ছেলেকে ?
একজন ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার ছেলে বিয়ে করতে পারে একজন মেট্রিক / আন্ডার মেট্রিক মেয়েকে - মেয়ে তার সংসার কিভাবে চালাতে পারবে সেটাই মুখ্য , চাকরি নয় । এরকমটা হর হামেশাই হয়ে থাকে ।
একজন ডাক্তার মেয়ে বা ইন্জিনিয়ার মেয়ে কি কখনও মেট্রিক ফেল ছেলেকে বিয়ে করবে ? তার কর্তৃত্ব মেনে নেবে ? অথচ শরিয়ত কিন্তু বলে স্ত্রীকে স্বামীর অনুগত থাকতে ।
চাকরি করে সাবলম্বী হবার ফলে মেয়েরা এখন বিয়ে বিমুখ আর ছেলেরা যখন দেখে যে বিয়ের মত একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে তার কোনই লাভ নেই , আছে অশেষ লোকসান - তখন সেও বিয়ে বিমুখ হয়ে যায় ।
কিন্তু মজা তো উভয়েই চাখতে চায় , তাই লিভ টু গেদার বেস্ট অপশন হিসেবে আসে। ভাল লাগলো এক সাথে থাকলো , ভালো লাগা কেটে গেল তো ছেড়ে গেল ।
শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই এখন সামনে এসে গেছে ।
ব্যক্তি যদি ঠিক থাকে , সঠিক পথে চলতে চায় তাহলে তাকে আল্লাহই সাহায্য করে । শয়তানরা তাকে ফাঁদে ফেলতে পারে না ।
পাড়ার পোলাপানরা টিজ করলে (আপুটাকে লাইক করি) হুলস্থুল পড়ে যায় , আর শাহরুখ এসে কিস করলে গর্বে বুকটা ভরে যায় ।
খুব সিম্পল সিম্পল ব্যাপার , সোজা হিসাবগুলো আমরা পাত্তাই দিতে চাইনা ।
স্বভাবতঃই আজকের ধর্মহীন কিংবা মেকিধর্ম সম্পন্ন বাংলাদেশে - আমি প্রতারনা ও মিথ্যার এই প্রতিভূদের তথা দজ্জালদের বিরুদ্ধে কার্যকর কিছু করা যাবে বলে মনে করছিনা।
মুসলিম হিসাবে আমার ইদানিং মনে হয়, আমাদের উচিত কোরান হাদীসের আলোকে আখেরী জামানা বোঝার, বিশ্লেষন করার এবং আমাদের করনীয় স্থির করা। ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
মিতা হকের স্বামী খুব অসস্থ। কিছুক্ষন পর মারা যাবে। আর সে চলে গেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সুতরা আপতত দৃস্টিতে এরা বিয়ে করলেও এদের দাম্পত্য জীবনটা অনেকটা নোংরা লিভ টুগেদারের মতই।
ধন্যবাদ আপনাকে। এসব ইসলামী মুল্যবোধ সম্পকে আসলে আরও লিখা উচিত।
ওরা যদি ভালবাসে
ভালবেসে কাছে আসে
তবে তারা যাবে কদ্দুর????????
মন্তব্য করতে লগইন করুন