শামীম ওসমানই বলে দিলো- গুম, হত্যা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশেই হচ্ছে...
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ০৩ মে, ২০১৪, ১০:০৩:১১ রাত
নামে র্যাব, কিন্তু মনে হচ্ছে বিএসএফ বা 'র' দিয়ে গঠিত ডিজিটাল রক্ষীবাহিনী যা সরাসরি ভারত কর্তৃক নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী (নাকি মূখ্যমন্ত্রী?!) শেখ হাসিনার সরাসরি তত্বাবধানে পরিচালিত! প্রতিদিন বিরোধী দল, বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ধরে গুম বা হত্যা করা হচ্ছে। আবার ক্ষেত্র বিশেষে নিজ দলের কিছু প্রতিদ্বন্দীকেও গুম, হত্যা করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের অঞ্চলভিত্তিক কিছু গডফাদারের নির্দেশে। সেই সব গডফাদার আবার সরাসরি শেখ হাসিনার অধীনে! এসব সন্দেহ জনগণের দীর্ঘদিনের!
কিন্তু সেই গোপন বাহিনী যে সরাসরি শেখ হাসিনার অধীনে পরিচালিত হয় তা শেখ হাসিনারই এক লাটিয়াল বাহিনীর প্রধান শামীম ওসমান আজ প্রকাশ করে দিলো। শামীম ওসমানের ভাষায়, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল সহ সাতজনের অপহরণের সাথে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী জড়িত। শামীম ওসমান আরো বলেন, “ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে আমি প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) সব জানিয়েছি।”
অর্থাৎ ওই সাতজনকে কারা অপহরণ করেছে তা শামীম ওসমান জানতো, শুধু তাই নয় সে সাথে সাথে শেখ হাসিনাকেও জানিয়েছিল কিন্তু শেখ হাসিনা কোন এক অজানা কারণে তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেননি এবং পরিণতিতে শীতলক্ষা নদীই ঠিকানা!
এর আগে যারা গুমের পর খুন না হয়ে বেঁচে এসেছিল তারাও বারবার বেঁচে আসার জন্য এমন ভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছিল যেন শেখ হাসিনা বলার পরই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল অর্থাৎ তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার সময় বলে দেয়া হয়েছিল শেখ হাসিনা বলেছে তাই ছেড়ে দিচ্ছি! তা না হলে রাস্তার পাশ বা নদীর পানিই হতো শেষ ঠিকানা!
জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ পোষন করে আসছিল ক্ষমতার শীর্ষ বিন্দু ছাড়া এই ধরনের গোপন বাহিনী এভাবে গুম-হত্যা চালাতে পারেনা। শেখ হাসিনার খুবই আপন (অনেকে বলে ডানহাত) শামীম ওসমানই বলে দিলো শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমেই এসব চলছে। ঠিক যেমন গুম-হত্যা চলেছিল ৭২-৭৫ সালে শেখ মুজিবের হুকুমে "র" কর্তৃক গঠিত মুজিব বাহিনী পরবর্তীতে রক্ষীবাহিনী দ্বারা!
বাংলাদেশে আবার সেই ৭২-৭৫ সাল ফিরে এসেছে শেখ মুজিব কন্যার হাত দিয়ে আরো সর্বগ্রাসী রূপ নিয়ে, সাথে আছে সেই "র" সেই ভারত!
বিষয়: বিবিধ
২১৯৩ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাসিনা নয়তো শামিম এই দুজনের মধ্যে একজন দূষি
তিনিই এখন সবকিছু।
১। তিনি কিংবা নুর হোসেন - ঐ ৭ জন ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করেছেন। যা পলিটিক্যাল লয়ালিস্ট কিংবা ফুট সোলজার করার কথা দুটি কারনেঃ
ক) যদি লিডার (শেখ হাসিনা) আদেশ দিয়েছেন এবং ফুটসোলজার তা কার্যকর করেছে এটা জানানোর জন্য।
খ) ফুট সোলজার নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং লিডারকে জানিয়ে তা জায়েজ করিয়ে নিয়েছে - যাতে লিডার ঝড় ঝন্জা এলে ম্যানেজ করে নেন।
২। র্যাব বা পুলিশের অমুক ব্রাঞ্চ স্থানীয় পলিটিক্যাল কিংবা এক্স ওয়াই জেডকে ধরেছে - যার একটা পলিটিক্যাল কনসিকোয়েন্স আছে - এ্যাজ ও লোকাল পলিটিশিয়ান - তিনি তা তার পলিটিক্যাল লিডারকে জানিয়েছেন - যাতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত লিডার নিতে পারেন।
এর বাহিরে আর যুক্তিসংগত কোন কারন থাকতে পারেনা - শামীম ওসমান শেখ হাসিনাকে ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে জানাবেন।
এখানে আর একটি বিষয় - ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে শামীম ওসমান বিষয়টা জানা এবং ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি তা শেখ হাসিনাকে জানানো - এটা পরিষ্কার প্রমান করে - শামীম ওসমান কাউকে না কাউকে অর্ডার দিয়ে রেখেছিলেন যে - গুম হওয়া বা উঠিয়ে নেওয়া মাত্রই যেন - ওনাকে বিষয়টি জানানো হয় এবং তিনি সে ফোন এর অপেক্ষায় ছিলেন একই ভাবে প্রধানমন্ত্রীও শামীম ওসমানের ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন বলেই মনে হয়। একজন প্রধানমন্ত্রী তার ব্যস্ততার মাঝে ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে এমন ইনসিডেন্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া - এ খুনের সিগনিফিকেন্স যেমন বাড়িয়েছে তেমনি - এখুনের সাথে ওনার সমপৃক্ততা প্রায় নিশ্চিত করছে। সো আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় আবার 'আবদুল কাহার আখন্দের' মত কাউকে দরকার - যিনি মানুষের মনে ও চোখে পেইন্টিং করে চলবেন।
সে দেশে রাজত্ব করে খুনী।[/b
(একান্তই আমার নিজস্ব অভিমত। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশে এটিই আজ চরম বাস্তবতা।)
সম্ভব হলে একবার ঘুরে আসুন সেই লিংকে। ভয়াবহ গ্যাঞ্জাম সৃষ্টিকারী তথ্য পাবেন সেখানে।
এখানেই লিংকা পাবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন