সাংবাদিক নামের এই অকর্মাদের পত্রিকাগুলো বেতন দেয় কি জন্য?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:১২:১৭ দুপুর
আজ ইমেইলে একজন একটি লিংক দিয়ে বলে জনকন্ঠে আপনাকে নিয়ে কি লিখেছে দেখুন। দেখলাম। আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই পেলাম না! সেই কপি-পেস্ট! সম্ভবতঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ২০০৯ সালে এই বিষয়ে রিপোর্ট করেছিল। এরপর থেকে শুরু। বছর খানেক পরপর বিভিন্ন পত্রিকা একই বিষয় কপি-পেস্ট করে প্রকাশ করে চলেছে! একবার দেখলাম দৈনিক সমকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্ট কপি-পেস্ট করে প্রকাশ করলো অন্য শিরোনামে। এরপর প্রকাশ করলো দৈনিক কালের কণ্ঠ, জাস্ট শিরোনাম ভিন্ন। আজ দৈনিক জনকণ্ঠ সেই একই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আরেক শিরোনামে! যতটুকু মনে পড়ে হুবহু একই রিপোর্ট জনকণ্ঠ আরেকবার প্রকাশ করেছিল বছর দু'বছর আগে। এমনকি banglanews24.com কপি-পেস্ট করে সেই রিপোর্টটি ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশ করেছিল। ওরা যে কপি-পেস্ট করে তা আবার বলেও না! জাস্ট শিরোনাম পরিবর্তন করে নিজের নামে তা চালিয়ে দেয় আর কথিত জাতীয় প্রতিকাগুলোও সেই ধরনের কপি-পেস্ট মার্কা রিপোর্টকে শীর্ষ শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করে!
একটি বিষয় বুঝতে পারিনা, কথিত সাংবাদিকরা জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম নিয়ে রিপোর্ট করতে সিরিয়াস আগ্রহী কিন্তু একটু কষ্ট করে খোঁজখবর নিতে আগ্রহী নয় কেন?! শুধুমাত্র কপি-পেস্টই যেন তাদের ভরসা! এরা যে কিভাবে সাংবাদিকতা করে বুঝিনা! আবার পত্রিকাগুলোও কিভাবে ওই সব সাংবাদিক নামের অকর্মাগুলোকে বেতন দেয়?! তাও আবার নাকি ওসব জাতীয় পত্রিকা! কি আজব সব সাংবাদিক ও আরও আজব সব পত্রিকা!
অবশ্য এসব নূতন কোন বিষয় নয়, জামায়াত-শিবির-ইসলামের বিরুদ্ধে রিপোর্টের জন্য বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীল মিডিয়া ও তাদের সাংবাদিকদের একমাত্র ভরসা কপি-পেস্ট! ওরা কখনও খোঁজখবর নিবেনা, কেউ একজন "চিলে কান নিয়েছে" টাইপের চিৎকার দিয়ে উঠবে আর তথাকথিত সাংবাদিক নামের অকর্মারা তা প্রচার করতে থাকবে এবং ওরা নাকি সুশীল ও প্রগতিশীল সাংবাদিক!
বিষয়: বিবিধ
২৬৪৮ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই নিন আপনার জন্য পুষ্প
আসল বিষয়টা হল, জামায়াত শিবির নিয়ে যা কিছুই লিখুন না কেনো, সত্য বা মিথ্যার কোনো বালাই থাকুক বা না থাকুক কারো কিছুই যায় আসেনা। কোনো সাংবাদিক, সম্পাদক বা প্রকাশকের কিছুই হয়না এবং কখনোই হয়নি। তারা বছরের পর বছর ধরে এমনই মিথ্যা লিখে লিখে কাদের মোল্লাকে কসাই কাদের বানালো, সাঈদী সাহেবকে দেইল্যা রাজাকার বানালো, মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে বাচ্চু রাজাকার বানালো। অথাচ যারা এইসব মিথ্যা কল্প কাহিনী বার বার লিখে লিখে মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করতে পারলো (অন্তত কিছু মানুষের কাছে তারা পেরেছে) ওদের টিকিটিও কেউ ছুঁতে পারলো না।
জামায়াত শিবির শুধু মুখেই 'ডাইরেক্ট একশন' শ্লগান দেয় কাজের বেলায় আসলে গোড়ার ডিম। এজন্য মাঝে মাঝে জামায়াত শিবিরকে নপুংসক মনে হয়েছে। যদিও আমি ডাইরেক্ট একশনের পক্ষে না। তবে ইন্ডাইরেক্ট একশন কি নেয়া যেতনা??
হায়রে জামাত-শিরিব! একটা লাঠিও আইনতে পারলা না তোমার স্রষ্টা থেইক্যা? নমরুদ আর ফেরাউনের আর কত পেদানী খাইবা?
কই জামায়াত কখনো এগুলোর প্রতিবাদ করেনি। ইনডাইরেক্ট কেন হবে। ডাইরেক্ট অনেক কিছু করার আছে। ছিল। যা হাতছাড়া হয়েছে।
বিশ্বস্ত ও দায়িত্বশীল সূত্রে প্রাপ্ত খবর
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1980/ohidul/38304#.U14JhqK3TDc
বেআক্কেল কোথাকার! তোদেরকে এজন্য কি রাম গোপালের তরফ থেইক্যা অতো মাল সাপ্লাই দেওন অইছে?
আশার বিষয় হচ্ছে গ্লোবালাইজেশনের এ যুগে নবীন প্রজন্ম যেমন সত্য জানতে তথ্য প্রযুক্তির স্রোতে পাল তুলে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি প্রবীণরাও মিথ্যাবাদীদের গাজাখুরী সংবাদ ও মিথ্যাচারকে ঘৃণাভরে পরিত্যাগ করেছে। আজকাল চায়ের দোকানের আড্ডায়, হাটবাজারে, বন্ধুবান্ধবদের খোশ গল্পেও মিথ্যাবাদীদের নিয়ে উপহাস করে। কিন্তু এসব মিথ্যাবাদী গোয়েবলসীয় জারজরা তাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের ঘৃণাকে বুঝতে অক্ষম।
আপনার বিরুদ্ধে এই ধরনের অপসাংবাদিকতার নিন্দা জানাচ্ছি ।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
কপি পেষ্টে উভয়েরই লাভ। চ্যাংড়া সাংবাদিক বিনা পরিশ্রমেই পারিশ্রমিক পেল আর হলুদ মিডিয়া টাইকুনেরাও সাংবাদিক হারানোর ভয় মুক্ত রইল। পশাপাশি বস্তপচা গল্প গুজব দিয়ে পত্রিকারও কাটতি বাড়িয়ে নিল।
এরা তর্কে, যুক্তিতে কুলায়ে উঠতে পারে না, তাই নিষিদ্ধ করা ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারেনা, পথও দেখেনা। আঈন গত ভাবে নিষিদ্ধ করা কঠিন বলে আবদারের মাধ্যমে আহলাদ পুর্ণ করে। অনেক ধন্যবাদ
কেন বাবা সাংবাদিক!
আর কিছু বলার নেই আপু!
ধন্যবাদ আপনাকে, আশা করি আপনার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন