চুরি/ডাকাতি=মুক্তিযুদ্ধের চেতনা - বাংলাদেশের জন্য আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ০৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:৫২:৫৯ সন্ধ্যা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা! বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চর্বিত বিষয়! এই একটি বিষয় রাষ্ট্রপতি থেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এমনকি ছাত্রলীগের ধর্ষকবাহিনী সবাই চিবুতে থাকে। চরম এক মজার জিনিস! সবাই চিবুতে থাকে কিন্তু স্বাদ যেন কমে না! এমন এক চরম মজার (!) জিনিস বানিয়েছে জাতির পিতা!
সেই চেতনা দিয়ে ভোট চুরি করা যায়, নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা দখল করে নেয়া যায়, উপজেলা নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করা যায়, আরো কত কিছু! শুধু কি তাই, সেই চেতনা দিয়ে সোনালী, বেসিক ব্যাংক সহ আরো কত ব্যাংক ডাকাতি করা যায়! চুরি/ডাকাতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যায়, কেউ কিছু বলবে না! কারণ সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা! বাহ বাহ!
বাংলাদেশকে ভারতের হাতে বন্ধক রাখতে চান?! মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে চালিয়ে দিন! কেউ কিছু বলবে না! কিছু বললেই ট্যাগ লাগিয়ে দিবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে! এরপর চেতনা বাড়ানোর জন্য আরও বেশি করে চুরি! চেতনা, শুধুই চেতনা, চারিদিকে চেতনা, আকাশে-বাতাসে শুধুই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা!
আওয়ামী লীগের কল্যাণে চুরি/ডাকাতি/ধর্ষন/দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ ইত্যাদি যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমার্থক! সব জায়গায় চুরি! সব ধরনের চুরি/ডাকাতির উপর চেতনার প্রলেপ দিয়ে দিলেই কারও কিছু বলার থাকবে না! কিছু বললে যদি যুদ্ধাপরাধী হয়ে যেতে হয়!
মুক্তিযুদ্ধ কথিত সহযোগীতার জন্য বিদেশীদের তথাকথিত সম্মাননা দেয়া শুরু করে ভারতীয় বস্তা ভরা টাকা নিয়ে ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনার গত সরকার। সেই সম্মামনার প্রতিটি ক্রেস্টে এক ভরি স্বর্ণ ও ৩০ ভরি রুপা থাকার কথা থাকলেও সেখানে এক চরম চুরি সংঘটিত করেছে আওয়ামী লীগ! দেখা গেল এক ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) জায়গায় ক্রেস্টে স্বর্ণ পাওয়া গেছে মাত্র সোয়া তিন আনা (২ দশমিক ৩৬৩ গ্রাম)। এক ভরির মধ্যে প্রায় ১২ আনাই চুরি! আর ৩০ ভরি রুপার বদলে দেয়া হয়েছে পিতল, তামা ও দস্তামিশ্রিত সংকর ধাতু, অর্থাৎ পুরোটাই চুরি! যা দেয়ার কথা ছিল তা না দিলেও জনগণের টাকা কিন্তু ঠিকই নিয়ে নিয়েছে আওয়ামী সেই সাপ্লাইয়ার!
কোন জায়গায় চুরি আর বাকি রেখেছে আওয়ামী লীগ?! সেই ১৯৭২ সাল থেকে খাই খাই আওয়ামী লীগ তার চরম রূপে যেন প্রবেশ করেছে! তাদের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি জায়গা, প্রতিটি কাজ যেন চুরি/ডাকাতি/প্রতারণা/অসভ্যতায় ভরা!
বঙ্গভবন থেকে নিয়ে গণভবন, সংসদ থেকে নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর, ব্যাংক, সচিবালয়, মন্ত্রণালয় সব জায়গায় যেন বিশাল বিশাল আওয়ামী চোরে ভরা আর সবাই সেই কথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ! বিদেশীদের সম্মাননার ব্যবস্থা করেছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সেই মন্ত্রণালয়ও যেন চোরদের আড্ডাখানা! তা না হলে সামান্য ক্রেস্ট থেকে কিভাবে চুরি করে?! ১৬ আনার মধ্যেই ১২ আনাই চুরি!
বাংলাদেশ আজ মহাচোরদের কবলে পড়েছে মুক্তিযুদ্ধের কথিত চেতনার নামে, কিন্তু দেশের মালিক জনগণ যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন! জনগণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখতে থাকবে কথিত জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্ন আর যখন জেগে উঠবে তখন দেখবে জাতির পিতার সাগরেদ চোরের হাতে নিঃস্ব এক বাংলাদেশ!
বিষয়: বিবিধ
১৯৪১ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চেতনা প্লাস চেতনা
দ্বিতীয়ত- এটি হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন বিষয় নয় । অনেকদিন আগের একটি পুরস্কার নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট । এই প্রতিবেদনটি শিরোনাম করার পূর্বে নিশ্চয়ই প্রথম আলো একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো । সম্ভবত গণজাগরণের প্রতি সরকারের আচরণ তাদেরকে এই ছোট্ট প্রতিশোধের সময় এনে দিয়েছে ।
তৃতীয়ত- মূসা ইব্রাহীম কে কেন্দ্র করে আওয়ামী চ্যানেলগুলোর আচরণও প্রথম আলোকে ক্ষুব্ধ করে থাকতে পারে ।
এগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত অনুধাবন । আপনার পোস্টের জন্য অভিনন্দন । যদিও আমার কোন পোস্টে ইদানিং আপনার কমেন্ট কেন দেখিনা বুঝলাম না ।
দেশে দিলেও সন্মান থাকত কিন্তু বিদেশিদের ভেজাল দিয়ে কি আরেকটি রেকর্ড করল????
চুরি এখন দেশপ্রেম।
চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ!
প্রভুভক্ত খুনশুটিতে কাটবে তোমার নিবিড় সময়।
তোমার জন্য বিড়ালই ঠিক,
বরং তুমি বিড়াল পোষো-
খাটিঁ জিনিস চিনতে তোমার ভুল হয়ে যায়,
খুজেঁ এবার পেয়েছো ঠিক দিক ঠিকানা।
লক্ষীসোনা, এখন তুমি বিড়াল এবং কুকুরপোষো।
লজ্জা কি নেই তোর!
চুরী হলেই বলবি কি তুই
কেষ্টা বেটাই চোর!
পুস্পিতা, বিডি ব্লগে আপনার লেখা দেখে ভাল লেগেছে। তবে অনেকদিন কোন পোস্ট দেখিনি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন