ফ্ল্যাশ মব- নূতন নষ্টামির আমদানি?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২৫ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৩৮:৩১ সন্ধ্যা
ফ্ল্যাশ মব শব্দটির সাথে পরিচিত ছিলাম না। তথাকথিত বিভিন্ন সুশীল মিডিয়ায় রাস্তায় নারী-পুরুষের লাফালাফি টাইপের নাচের ছবি দেখে বুঝতে পারছিলাম না বিষয়টা! র্যাগ ডে বা পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা টাইপেরই কি কিছু? জানার জন্য wikipedia তে দেখলাম। হঠাৎ করে জনাকীর্ণ স্থানে খুবই স্বল্প সময়ের জন্যে অপ্রচলিত, দৃশ্যত উদ্দেশ্যহীন ভাবে তথাকথিত বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডের নাম নাকি ফ্ল্যাশ মব! বাংলাদেশে হঠাৎ করে এটির আমদানির উদ্দেশ্য নাকি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দলকে সাপোর্ট ও উৎসাহ দেয়া! উদ্দেশ্যহীন কর্মকান্ড দিয়ে কাউকে উৎসাহ দেয়া যায়?! কি আশ্চর্য চিন্তা!
রাজধানী সহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে তথাকথিত আধুনিকমনা তরুণ-তরুণীরা যেভাবে ফ্ল্যাশ মব আয়োজন করছে তাতে এটিকে বাংলাদেশে কিছুদিন থেকে চালু হওয়া হ্যালোইন হোয়াইট পার্টি ধরনেরই মনে হলো। উদ্দেশ্য যেন একটিই, যেনতেন ভাবে, যেকোন নামে বা স্টাইলে প্রকাশ্য নষ্টামির সুযোগ গ্রহণ করা ও তা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়া! তথাকথিত সুশীল মিডিয়া যেভাবে প্রচার করছে তাতে নিশ্চিত ধরে রাখা যায় ভবিষ্যতে এখন বিভিন্ন দিবস ও উপলক্ষকে কেন্দ্র করে রাস্তায় এসব নারী-পুরুষের লাফালাফি/নাচানাচি চালু হয়ে যাবে এবং তা সংস্কৃতির নামেই চালিয়ে দেয়া হবে। যেমন হচ্ছে পহেলা বৈশাখে!
বাংলাদেশের নূতন প্রজন্ম ভবিষ্যতে জাতিয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদিকে স্মরণ করবে ফ্ল্যাশ মব বা কথিত লাখো জনের গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে! দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নাগরিক অধিকার, ভোটাধিকার সবকিছু একদিকে লুন্ঠিত হতে থাকবে অন্যদিকে নূতন প্রজন্ম মজে থাকবে নাচ-গান-ফ্ল্যাশমব নিয়ে! দেশ চলে যাবে অন্যদেশের কব্জায় আর তরুণ-তরুণীরা চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে ৬ মিনিটের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে!
একদিকে প্রকাশ্য রাজপথে নাচ-গান-লাফালাফি দিয়ে তথাকথিত চেতনার বৃদ্ধি ঘটবে অন্যদিকে নিরবে, নিঃশব্দে দেশের স্বাধীনতা হারিয়ে যাবে। এটিই যেন আমাদের তথাকথিত চেতনাশীলদের উদ্দেশ্য। সে জন্য নূতন নূতন নষ্টামির আমদানি ও তাতে নূতন প্রজন্মকে ডুবিয়ে রাখা!
বিষয়: বিবিধ
৩৪৭৫ বার পঠিত, ৭১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
এ বিষয়ে আমার লেখা
পূর্বের লেখা: চার-ছক্কা হই হই, লজ্জা-শরম গেলো কই
http://lighthouse24.org/blog/post/viewPost/?postid=602
চার-ছক্কা হই হই, লজ্জা-শরম গেলো কই?
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/3264/umayerkhan/41448#.UzGQq6iSyTM
বিভাগীয় শহরের তথাকথিত আধুনিকমনা তরুণ-তরুণীরা গভির ষড়যন্ত্রের শিকার । এই চেতনাশীলদের ষড়যন্ত্রেকে প্রতিহত করে দিতে হবে , এই লেখাটা দিয়েই শুরু হোক তরুণ-তরুণীদের সচেতন করা ।
জাযাকল্লাহ খায়ের
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ। তবে আপনার উপর একটা মামলা আছে আপুমণি!
মেডাম! কমেন্টটা একটু ঝাঝালো হয়ে গেলো, তাই না? আসলে মাথায় সব সময় গ্যাঞ্জাম লেগে থাকে তো, তাই কি বোর্ড দিয়ে ভাল কিছু টাইপ করতে পারি না।
নতুন প্রজন্মের মাথা শেষ !
দুদিন আগে অনেক মনোযোগ দিয়ে ভিডিও গুলো দেখছিলাম আর ভাবছিলাম যে বাংলাদেশের তরুন রা আসলে কি ভালোবাসে। ইসলাম সম্বন্ধে সংখাগরিষ্ঠ মানুষের উদাসীনতা, সঠিক শিক্ষার অভাব এবং অল্প দামে পাওয়া পাশ্চত্য কালচার বাংলাদেশের সংস্কৃতিক চর্চাকে আমূল বদলে দিচ্ছে খুবই দ্রুত। অপরপক্ষে মুষ্টিমেয় ইসলামপ্রিয় মানুষের উদাসীনতাও কম দ্বায়ী নয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ৬০০ বছর শাসন করে ভারতীয় মুসলিমদের মনে ইসলামের প্রকৃত ভালোবাসা তৈরীতে অনেকটাই ব্যর্থ ইসলামপ্রিয় মুসলিমরা বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মুসলিমদের সামনে ইসলামে উপস্থাপন করতে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে ফলে সময়ের সাথে সাথে নতুন প্রজন্ম ছুটে চলেছে ফিরে না আসার জগতে। যেখান থেকে তাদের বের করে আনা শুধু কষ্টকর ই নয় দুসাধ্য। আর জন্য আমার মনেহয় বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ কম দ্বায়ী নয়। ইসলামকে সঠিবভাবে বুঝার ব্যর্থতা সমাজে ইসলাম প্রচারে বড় বাধা। আর সেখানে ইসলামী কালচার তো প্রচার আরো নগন্য। ইসলামের দাবীদারদের ভোগবাদী দৃষ্টিভংগী, সম্পদ মজুদের জন্য অধিক সময় ব্যয়, পার্থিব প্রতিষ্ঠলাভকে উদ্দেশ্য করেই চেষ্টায় অধিক সময় ব্যয়, যারা ইসলাম বুঝে বলে দাবী করে তাদেরকে ও ইসলামের দাওয়াতী কাজ থেকে দুরে রাখছে। অপরদিকে সামাজিক সমস্যার চেয়ে রাজনৈতিক সমস্যাকে অধিক গুরত্বারোপের ফলে রাজনৈতিক ময়দানে শক্তিক্ষয়ের ফলে সামাজিক সমস্যার জন্য বাস্তব পদক্ষেপের কালক্ষেপন সামাজিক অবক্ষয়কে দ্রুত খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের মানুষের মেজাজ বুঝে, তরুন সমাজের সমস্যাগুলোকে, সামাজিক সমস্যাগুলোকে নিয়ে বেশি চিন্তা না করে রাজনৈতিক সমস্যাকে নিয়ে অধিক সময় ব্যয় করলে, অদুর ভবিষ্যতে বাংলার জমিনে ইসলাম কায়েমের পরিবর্তে জাহেলিয়াত কায়েম অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে। তখন মক্কার হিজরত ছাড়া কোন গতান্তর থাকবেনা।
ফলে আমাদের চেতনা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে শুধু মাত্র ২১, ২৬ ও ১৬ তারিখের মধ্যেই। এভাবে কোনো জাতি টিকতে পারে না স্বকীয়তা নিয়ে।
পরে বুঝলাম নোংরামী আর অপসংস্কৃতির সয়লাব বসিয়ে দেয়ার এক ধরণের কর্মসূচী এটি।
প্রথম আলু পড়ুন আপডেট থাকুন..ফ্ল্যাশ মব এ অংশ নিন!...
শরীরের যত্ন নিন!...
আপনি ৭১ এর চেতনাধারী এবং গলায় গয়া কাশির চাদর জড়ীয়ে যে কোন কাজ করুন সেটা স্বাধীনতার চেতনার বহিপ্রকাশ হবে।
এটা মানতে চাইলে ভাল নইলে নব্য রাজাকার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন