পতিতার মাধ্যমে "পবিত্র" হতে চাচ্ছেন বিচারপতি খায়রুল হক ও বিচারপতি ফজলে কবিররা?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২২ মার্চ, ২০১৪, ০৮:৫৯:০১ রাত
পবিত্র হতে চান পবিত্র?! কেন নয়?! পবিত্র কে না হতে চায়?! সবাই চায়! আমাদের দেশের বিখ্যাত (?!) কিছু মানুষও পবিত্র হতে চান! তারা যেমন তেমন মানুষ নয় বিশাল থেকে বিশালতর!
হুমম যাদের কথা বলছি তাদের ভিতর আছেন, ত্রাণের টাকা নিয়ে শেখ হাসিনার ইচ্ছায় কেয়ারটেকার সরকারের বিধান বাতিলের রায় দেয়া সাবেক প্রধানবিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, আরো আছেন শেখ হাসিনার ইচ্ছায় মাওলানা সাঈদী সহ জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায় দেয়া তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর, আরো আছেন মানবাধিকার (বাস্তবে আওয়ামী অধিকার!) কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এবং অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি প্রতিনিধি হিসেবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক! সাথে আইনমন্ত্রণালয়ের অনেক রথি মহারথিরা!
উপরের সবাইকে পবিত্র হওয়ার ট্রেনিং দিচ্ছেন যৌনকর্মী ফোরামের সভানেত্রী জয় শিখা। তিনি তার ট্রেনিং এর অংশ হিসেবে উপরোক্ত বিশাল বিশাল ব্যাক্তিত্বদের জ্ঞান দিয়েছেন এভাবে, "যৌন পেশাকে সন্মান দিতে হবে। কারণ যৌনকর্মীরা সমাজকে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করে। সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করেন। যৌনকর্মীরা আছে বলেই সমাজ আজও পবিত্র আছে। পুরুষ মানুষ যখন যৌন উত্তেজনায় দিশেহারা হয়ে পড়ে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তখন তারা যৌনকর্মীদের কাছে গিয়ে ‘পবিত্র’ হয়ে আসে।"
ট্রেইনার জয় শিখা ম্যাডাম খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছাত্র পেয়েছেন! ত্রাণের টাকার লোভে যিনি পুরো দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধ্বংসের রায় দেন, ফলশ্রুতিতে শত শত মানুষ নিহত হয়, ফ্যাসিবাদের পথ খুলে দেন সেই বিচারপতি খায়রুল হক এখন শুদ্ধ হতে চাচ্ছেন, তাই তিনি তার ব্যাক্তিত্ব অনুযায়ীই পবিত্র হওয়ার ট্রেনিং নিচ্ছেন যৌনকর্মী ফোরামের সভানেত্রীর কাছ থেকে! শুধু তাই নয় বিচারপতি খায়রুল সেই ট্রেনিং প্রোগ্রামের প্রধান ছাত্র (মানে সভাপতি!) জয় শিখা আরো পবিত্র করছেন, মাওলানা সাঈদী সহ নিরপরাধ জামায়াত নেতাদের অন্যায় ভাবে ফাঁসির রায় দেয়া তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরকেও!
বিচারপতি নামের কলঙ্ক এসব লোক তাদের যোগ্য ও ঠিক জায়গায় পৌঁছেছেন পবিত্র হওয়ার জন্য! এসব অসভ্যরা যাদের যোগ্য তারাই তাদের ট্রেনিং দিচ্ছেন এবং পবিত্র বলতে তারা যা বুঝে সে পথেই যেন যাচ্ছেন! ট্রেইনার জয় শিখার বক্তব্য শুনে তার শিক্ষার্থীরা কেউ প্রতিবাদ করেছেন বলে জানা যায় না বরং তারা খুশি মনে সায় দিয়েছেন এবং উৎসাহিত হয়েছেন!
বিচারপতি খায়রুল হক তো এখন আওয়ামী প্রদত্ত আইনকমিশনের চেয়ারম্যানও। আশা করি তিনি তার যোগ্য সঙ্গী ফজলে কবিরকেও সেই কমিশনের সদস্য করবেন (নাকি অলরেডি করে ফেলেছেন?) এবং অনতিবিলম্বে তাদের শিক্ষিকা জয় শিখার নির্দেশনা অনুযায়ী সমাজকে পবিত্র করার আইন তৈরি করে দিবেন এবং বাংলাদেশকে নিশ্চিত ধর্মনিরপেক্ষ রূপে তৈরি করার পথ সুগম করে দিবেন! শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এভাবেই পবিত্র হবে!
বিষয়: বিবিধ
২০৬০ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চরম বিনোদিত অথবা আমোদিত হইলাম উপরের সংবাদখানি পাঠ করিয়া। তবে খবরের সূত্রটি দিলে খবরটা আরো খামিরা হইতো বলিয়া আমি শিওর।
শিক্ষিকা ছাত্রদের মাঝে কি অদ্ভুত মিল!
--এই হল আজকের একটি খবর ।
আজ ২২/মার্চ/২০১৪, শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া পর্যালোচনা শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় মতামত প্রদান করতে গিয়ে যৌনকর্মীদের পক্ষে এভাবেই নিজের মতামত ব্যক্ত করে এক পতিতা-সর্দারনী"
'পবিত্র' শব্দটি একটি ধর্মীয় শব্দ । কিসে মানুষ পবিত্র হবে, আর কিসে অপবিত্র হবে, সে বিষয়ে বিধান দেবার অধিকার ধর্মেরই ।
হায়রে দূর্ভাগ্য ! সব সময় অপবিত্র অবস্থায় থাকা গণিকা আর পতিতারা আজ ফতোয়া দিচ্ছে গণিকাদের কাছে গিয়ে কীভাবে অপরিত্র থেকে পবিত্র হওয়া যায় । তা-ও আবার আইনমন্ত্রী, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, মানবাধকার কমিশনের সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সামনে দাঁড়িয়ে ।
এখন যদি চোরদের সর্দার ঘোষণা করে, চুরি করাই পবিত্র হবার উপায়, তাহলে ? ডাকাতদের সর্দার ঘোষণা করে, ডাকাতিই পবিত্র হবার উপায়, তাহলে ?
সমস্যা কিন্তু দু'টি আছে ।
এক. সংবিধানে স্পষ্টত লেখা আছে, রাষ্ট্র মদ, জুয়া এবং গণিকাবৃত্তি বিলোপের ব্যবস্থা করবে ।
দুই. দেশের ৯৫%-এর বেশী মানুষ পতিতা এবং পতিতাবৃত্তিকে ঘৃণা করে ।
ইসলাম বলেছে, তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না । নিঃসন্দেহে তা অশ্লীল, নোংরা এবং গর্হিত কর্ম ।
(সুরা ১৭ বনী ইসরাঈল, আয়াত ৩২ )
কোন মুসলিম পুরুষ বা মুসলিম নারীর এই অধিকার নেই যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল যখন কোন বিষয়ে ফয়সালা দেন, তখন তারা এর চেয়ে ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে । যে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে অমান্য করে সে স্পষ্টত বিভ্রান্ত । (সুরা ৩৩ আহযাব, আয়াত ৩৬ ) ।
ঘৃণিত পতিতাদের কাছে কি পবিত্র হওয়ার এই ফতোয়া কি ধার্মিক মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে ?
উপসংহারঃ সংবিধান এবং ধর্ম অনুযায়ী চিন্তা করার স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানই আমাদেরকে দিয়েছে ।
যে সব দেশে যেীন পেশা বৈধ সেসব দেশেও এইরকম সম্মেলন হয় কিনা সন্দেহ আছে। এই আমাদের দেশ
দালাল আর এজেন্টদের কাজই হলো তাদের পন্যের ব্যপক প্রচার প্রসার ঘটানো। নির্বিঘ্ন করা নিজেদের ব্যবসা। তারা তাদের ব্যবসার কাজই করছে।
জিবরাঈল আলাইহিস সালামের প্রশ্নের জবাবে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন: কিয়ামতের লক্ষণ হচ্ছে এই যে, দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে! আর নগ্ন পা ও উলঙ্গ শরীর বিশিষ্ট গরীব মেষ পালকদেরকে দেখতে পাবে যে, তারা সুউচ্চ দালান-কোঠায় বসে অহংকার করছে!'
মন্তব্য করতে লগইন করুন