ভারত-আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ কি আরেক ক্রিমিয়া হতে যাচ্ছে?!

লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ১৭ মার্চ, ২০১৪, ০৫:১৬:৫৭ বিকাল



প্রথমে তেমন আগ্রহী ছিলাম না। ক্রিমিয়া (Crimea) নামে যে একটি দেশ, প্রদেশ বা এরকম কিছু আছে তা জানতামই না। কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মুখে ইউক্রেনের স্বৈরশাসক রাশিয়ার পুতুল প্রেসিডেন্টের পালানোর পর বিশ্বব্যাপী যে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে সে কারণেই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী হলাম। ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেনের স্বৈরশাসক নিয়ে। সেখানে রাশিয়া কোত্থেকে আসলো, আবার ক্রিমিয়া, ক্রিমিয়া আলোচনা কেন, তা বুঝতে পারছিলাম না। ক্রিমিয়া কি তা বুঝার জন্য গুগলে সার্চ করে দেখলাম। তারপর সে বিষয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞজনের কয়েকটি লিখা পড়লাম। অনেক কিছু জানলাম। আমাদের দেশে যারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন তাদের সবারই মূল ফোকাস ছিল ক্রিমিয়া-ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া-আমেরিকার কথিত শীতলযুদ্ধ শুরু হয় কিনা। কিন্তু রাশিয়া, ইউক্রেন, ক্রিমিয়ার অতীত ইতিহাস, সেখানকার সরকারী দল ও পার্লামেন্টের আচরণ, সিদ্ধান্ত ইত্যাদি জানার পর আমার আশংকা ভিন্ন কিছু নিয়ে। সেই ইতিহাস ও ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ, ভারত ও ভারতের তল্পিবাহক আওয়ামী লীগ সরকার এবং অতীতের ভারত ও সিকিম সরকারের আচরণের সাথে কেমন যেন মিল যাচ্ছে!

কি হচ্ছে ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনে?!

সোভিয়েট ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ইউক্রেনের সরকার আস্তে আস্তে পারমানবিক শক্তিধর ইউক্রেনের সামরিক শক্তি ধ্বংস করে দেয়। ভাষা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সবকিছু আস্তে আস্তে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল করে ফেলে। নিজেদের শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকার পরও তথাকথিত আরো নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেন বিশেষ করে ক্রিমিয়ায় ঘাটি তৈরি করতে দেয় এবং রাশিয়ার বুদ্ধিতে নিজের সেনাবাহিনীকে দূর্বল করে ফেলে। দীর্ঘ সময় পর যখন জনগণ সচেতন হয়ে রাশিয়াপন্থী সেই স্বৈরশাসককে উৎখাত করে তখন ইউক্রেনের ভিতর থাকা রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের অংশ ক্রিমিয়াকে দখল করে নেয়। শুধু তাই নয় মূল ইউক্রেনের উপর হামলারও হুমকি দেয়। এরপর সেই রাশিয়ার ইচ্ছায় ক্রিমিয়ার রুশপন্থী প্রাদেশিক সরকারের পার্লামেন্ট ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে একিভূত হওয়ার বিল পাশ করে এবং তথাকথিত গণভোটের মাধ্যমে প্রায় ১০০% জনগণের মত সেদিকে আছে প্রমাণ করার মাধ্যমে একটি দেশকে পরাধীন করার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলে। সুক্ষভাবে দেখলে সবকিছু কেমন যেন আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মিলে যায়!

ভারতের সিকিম দখল ও রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল কি একই রকম?

ইউক্রেনের স্বৈরশাসক যতদিন রাশিয়ার কথামতো চলত ততদিন সবকিছু ঠিকঠাক, যখনই জনগণ নিজেদের জাতিয়তাবোধ নিয়ে জেগে উঠল তখনই রাশিয়া সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো। মূল ইউক্রেনকে চাপ দিতে রাশিয়া ইউক্রেনের একটি প্রদেশ ক্রিমিয়াকে প্রথমে দখল করে নিয়ে সেখানকার পুতুল পার্লামেন্ট ও সরকারের মাধ্যমে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঠিক যেমন লেন্দুপদর্জির সরকারের মাধ্যমে সিকিমের পার্লামেন্টে হয়েছিল!

রাশিয়া-ক্রিমিয়া-ইউক্রেনের সাথে বাংলাদেশ-আওয়ামী লীগ-ভারতের সাথে কোথায় যেন মিল?!

ইউক্রেন-ক্রিমিয়া-রাশিয়া নিয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করুন, সাথে আমাদের পাশের লেন্দুপদর্জি-সিকিম-ভারতের উদাহরণ তো আছেই। দেখা যাবে বাংলাদেশ-আওয়ামী লীগ-ভারতের সাথে কোথায় যেন খুবই মিল! ক্ষমতায় এসেই বিডিআর হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শুরু, আস্তে আস্তে সেনাবাহিনীর মৌলিক পরিবর্তন, এখন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সীমান্তে বিড়াল, কিন্তু দেশের ভিতরে জনগণকে হত্যায় বাঘ, তাদের কাজ যেন এখন সীমান্ত নয়, অবৈধ সরকারের নিরাপত্তার ব্যবস্থাই করা! বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের ভিতরে সবকিছুই এখন ভারতময়! বাংলাদেশের রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি সবকিছুই যেন কন্ট্রোল হয় অন্যদেশ থেকে, ভারতের হুকুম মেনে চলায় যেন বাংলাদেশের সরকারের মূল কাজ। ঠিক ইউক্রেনের মতো! ২০০৯ সাল থেকে ভারত প্রকাশ্য রাখঢাক ছাড়াই নেমে পড়ে। ভারতবান্ধব সরকারের মাধ্যমে গত পাঁচবছর ট্রানজিট, করিডোর, নদীর পানি সহ সবকিছু অবৈধভাবে নেয়ার পর এবার ভারতের সিদ্ধান্তে নির্বাচন নামের নাটকের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি পুতুল পার্লামেন্ট তৈরি যেন করা হয়েছে সেই ক্রিমিয়ার মতো! দেশ-বিদেশে অগ্রহণযোগ্য ও অবৈধ সরকারের জন্য নিজের স্বার্থে বিশ্বময় বৈধতার ফেরি করে বেড়াচ্ছে ভারত! কারণ বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য তাদের শেখ হাসিনাকে দরকার! ভারতের পরামর্শেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে এমন সব রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র, শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ সবকিছুই ভারতের ইচ্ছে মতো সাজানো! কেমন যেন সেই ক্রিমিয়া-ইউক্রেন-রাশিয়ার কৌশলের সাথে মিলে যাচ্ছে!

ক্রিমিয়া-ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রেক্ষিতে চিন্তা করলে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব কি অচিরেই হারিয়ে যাচ্ছে?

১৯৯০ সালে সোভিয়েট ইউনিয়নের পতনের পর স্বাধীন হওয়া ইউক্রেন দীর্ঘ প্রায় ২৫বছর পর এসে স্বার্বভৌমত্ব প্রকাশ্য হারাতে বসেছে। এমনকি তার একটি প্রদেশকে রাশিয়া জোর করে কিন্তু তথাকথিত পার্লামেন্ট ও নির্বাচনের নামে দখল করে নিচ্ছে কিন্তু ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও সরকার কিছুই করতে পারছে না। কারণ রাশিয়ার পরামর্শে ইউক্রেনেরই পুতুল সরকার আস্তে আস্তে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিজের দেশকে দূর্বল করে ফেলেছিল। অসচেতন জনগণ যখন সেই ষড়যন্ত্র ধরতে পারলো তখন আর তেমন কিছুই করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই শক্তি আর নেই। আমরাও কি সেই ধরনের অসচেতনতার চোরাবালিতে পড়ে গিয়েছি?! আগের গুলো বাদই দিলাম, শুধুমাত্র গত পাঁচবছরের আওয়ামী লীগ-ভারতের আচরণ ও কর্মকান্ড পর্যালোচনা করুন, ঠিক যেন সবকিছু মিলে যাচ্ছে ইউক্রেনের পুতুল সরকার ও রাশিয়ার আচরণ ও কর্মকান্ডের সাথে। খেয়াল করলে দেখা যাবে বাংলাদেশের বর্তমান সংসদ ও সরকারের সাথে রাশিয়ার প্রতি আজ্ঞাবহ ক্রিমিয়ার সংসদ ও সরকারের তেমন কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য একটিই সেখানে রাশিয়ার প্রতি আজ্ঞাবহ এখানে ভারতের প্রতি। বর্তমান তথাকথিত নির্বাচন, সংসদ, সরকারী দল, বিরোধী দল সবকিছু ভারতের পরামর্শে তৈরি। তাই ক্রিমিয়া-ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রেক্ষিতে চিন্তা করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি অচিরেই হারিয়ে যাচ্ছে? বা সে ধরনেরই কোন ষড়যন্ত্রের কবলে কি পড়েছে বাংলাদেশ?!

বিষয়: বিবিধ

২০৩০ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

193571
১৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
রাইয়ান লিখেছেন : ঘটনার পরম্পরা গুলো সাজালে কিন্তু সিকিম ভারত , ক্রিমিয়া ইউক্রেন , বাংলাদেশ ভারত পরিনতিগুলো একই দিকে যাচ্ছে ৷ ইতিহাসের গতি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা কি বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষের আছে ?
১৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৪০
144241
পুস্পিতা লিখেছেন : জনড়ণ সচেতন না হলে সেই পরিণতির দিকেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
193583
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮
আবু আশফাক লিখেছেন : এই মিল খুজতে খুজতে আমরা সময় পার করবো; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। এমন মিল খোজার লোক ক্রিমিয়াতেও আছে নিসন্দেহে; হায়দারাবাদেও ছিল; এমনকি মিল খোজার লোকেরাই সেখানে ক্ষমতায় ছিল। তারপরও বিলীন হয়েছে সেই হায়দারাবাদ; হচ্ছে ক্রিমিয়া।.........
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
144264
পুস্পিতা লিখেছেন : হুমম... মিল খুঁজে পেলে সাথে সাথে সচেতন হতে হবে। না হলে পরিণতি কি হয় তা অতীতেও দেখা গিয়েছে বর্তমানেও দেখা যাচ্ছে।
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৩৪
144388
সাদাচোখে লিখেছেন : প্রাকটিক্যালী - আবু আশফাক ভাই সত্যই বলেছেন। গত ১০০ বছরের ইতিহাসে কৃত্রিম জাতিস্বত্তা সৃষ্টিতে ও সে জাতির রাইটস রক্ষার নিমিত্তে আমরা হাজারো কাজ কারবার দেখেছি, হত্যা, গুম আর নির্যাতন ও সে সাথে কৃত্রিম বীর সৃষ্টি করতে ও দেখেছি। কিন্তু গণমানুষের ভাগ্য বদলায় নি।

আমরা বাংলাদেশীরা স্যেকুলারদের প্ররোচনায় ১৯৪৭ - ১৯৭১ এর মধ্যে তিনবার জাতীয়তা বদলিয়েছি, ৩ বার সংবিধান আর ৩ বার জাতীয়সংগীত। ফলাফল হিসাবে আমরা হয়েছি আরো নিগৃহীত, আরো নিষ্পেষিত।

অথচ তার বিপরীত চিত্র ১৪০০ বছর আগে মহান স্রষ্টা আমাদের বলেছেন 'তিনি মোহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে বিশ্বকে এক নতুন জাতি উপহার দিলেন, যার নাম দিলেন 'মুসলিম/মুসলমান'। আর আজ ১৪০০ বছর পরেও আমরা দেখছি আমাদের এ জাতিস্বত্তার কোন নড়চড় হয়নি - বলা হয়নি আজ হতে তোমরা মুসলিম নও - তোমরা এক্স ওয়াই জেড কিংবা অন্য কিছু।

অন্য দিকে সেই স্রষ্টা আমাদেরকে দিয়েছেন চমৎকার এক সংবিধান - যা শুধু জাতীয়তাবোধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিই নয় - তার সাথে দিয়েছে ব্যক্তিগত, সামাজিক, বৈশ্বিক ও পরকালীন বিষয়াদির গাইডলাইন। যা ১৪০০ বছরে পরিবর্তন করতে হয়নি, এ্যামেন্ডমেন্ট আনতে হয়নি, যার প্যারালাল কিছু নেই - যার কোন সংযোজন, বিয়োজন কিছুরই প্রয়োজন নেই।

সুতরাং আমার মনে হয়, জাতীয়তাবোধ এ যদি সচেতন হতেই হয়, কাউকে করতেই হয় - তবে তা শুরু করা উচিত মুসলিম জাতিস্বত্তা দিয়ে। জাতিস্বত্তার জন্য কোন আন্দোলন সংগ্রাম স্ট্রাগল কিংবা স্ট্রাইভ করতেই হয় তবে তা কৃত্রিম বাংলাদেশী জাতিস্বত্তার পরিবর্তে - মুসলিম জাতিস্বত্তার জন্য। শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ তম পরিবর্তিত সংবিধানের পরিবর্তে কোরআনের জন্য। এতে করে নিশ্চিত আমরা এ দুনিয়াতে প্রতারিত হবনা আর পুরুষ্কার হিসাবে আমরা এ পৃথিবীতে যেমন আমার ও আপনার অধিকার ফেরত পাবো, সন্মান ফেরত পাবো ঠিক তেমনি পরকালের জন্যও আমাদের পুরুষ্কার নিশ্চিত হবে।
আর এতে করে ধর্মনিরপেক্ষ, স্যেকুলার, মুনাফিক, কাফের, মুশরিক যে অভিধায়ই আমরা আমাদের অধিকার হরনকারীদের ডাকি কিংবা চিহ্নিত করিনা কেন - আমরা তাদের সাথে বুঝা পড়া করতে যেমন স্বচ্ছন্দ্য বোধ করবো - ঠিক তেমনি অধিকার রক্ষায় ডিভাইন সাপোর্ট ও স্যালভেশান ও পাব।
এ নিয়ে গত পরশু আমি একটা লিখা লিখেছিলাম - আপনাদের মতামত পেলে চিন্তার পরিশুদ্ধতা যাচাই করতে সুবিধা হত। ধন্যবাদ।
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:০২
144450
আবু আশফাক লিখেছেন : আপনার লেখাটির লিংক দিন @ সাদা চোখে।
193594
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : বিষয়টি খবু জটিল। আমাদের দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাবার জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে। ভারতও এই সুযোগে অনেক আবদার করে। যা কোন দিন প্রকাশিত হয় না।
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
144265
পুস্পিতা লিখেছেন : সময় থাকতে জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন।
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
144268
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : জনগন এখন গোপালগঞ্চের বাহিনীর ভয়ে চুপ করে বসে আছে।
193603
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০২
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : আপনার এই হাস্যকর যুুক্তি দেখে আমার সত্যি হাসি পাচ্ছে। কোথায় আগরতলা আর কোথায় চৌকির তলা। দুটাকে একই পাল্লায় মাপা হচ্ছে।

এখানে আদর্শের খেলা। আওয়ামী লীগ যা করছে তা স্রেফ ৭১-এ ভারতের ভূমিকার জন্য। এর বেশী কিছু নয়। তারা জাতীয়তাবাদী দল। তারা দেশকে ভালোবেসেই স্বাধীনতা এনেছে ভারতের কাছে বিকিয়ে যাবার জন্য নয়। সুতরাং স্বাধীন দেশে বাস করে এসব আবোল তাবোল না বকে ভালো হয়ে যান। আর ভালো না লাগলে পেয়ারে দোস্ত পাকিস্তানের দিকে পা বাড়ান।
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
144273
পুস্পিতা লিখেছেন : ক্রিমিয়াতেও একটি সংসদ ও সরকার আছে কিন্তু তারা রাশিয়ার হুকুমের আজ্ঞাবহ এবং তারা লেন্দুপদর্জির মতো সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েই রাশিয়ার সাথে বিলীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানেও বাংলাদেশে সেই ধরনের আজ্ঞাবহ একটি সংসদ ও সরকার রয়েছে। ভয় সেখানেই।
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩৫
144315
বেদনা মধুর লিখেছেন : শিশির@ লীগেরা স্বাধীনতার কথা বলে সেটা আমরা সবাই জানি যেমন আপনি বললেন। কিন্তু কাজে কর্মে লীগেরা সব সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং ভারতের পক্ষে কাজ করছে দেশের ভাল মানুষদেরকে মেরে ফেলছে যারা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে। তারপরেও আপনি বলবেন লীগেরা বাংলাদেশকে পছন্দ করে? শুধু একটা প্রমাণ দেন যেখানে লীগেরা ভারতের সুবিধা নয় বাংলাদেশের সুবিধার জন্য ভারতের আবদার রক্ষা করেনি। শুধু একটা। দিতে পারেব না? পারবেন না। আমি একশত টা প্রমাণ দিতে পারবো যেখানে লীগেরা বাংলাদেশের স্বার্থ ত্যাগ করেছে শুধু ভারতের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। আমি আবার বলছি আপনি শুধু একটি প্রমাণ দেন যে লিগেরা বাংলাদেশকে ভারতের চেয়ে বেশি ভালবাসে। পারবেন?
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৫০
144398
সাদাচোখে লিখেছেন : @ শিশির, আপনার কথায় প্রমান হয় - আওয়ামীলীগ মূলতঃ বাংলাদেশের ইজারাদার - তারা ভারতের কাছ হতে পাওয়া ইজারার শর্ত পূরন করে চলেছে। এর বেশী কিছু নয়।

আপনার ভারতের কাছে বিকিয়ে দেবার কথা পড়ে যা মনে হল - তা স্ববিরোধী কিংবা ৭১ এর চুক্তির বিরোধীতা। তবে আপনি যদি অন্য কোন তৃতীয় দেশের কাছে না বিকোবার কথা বলতেন - তাতে নিঃসন্দেহে আপনার সততা প্রকাশ হত।

কাউকে তৃতীয় দেশে যেতে পরামর্শ দেওয়াটা আজকের যুগে অজ্ঞতার সমার্থক বলে ধরা হয়।
193607
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ক্রিমিয়ার ইতিহাসে যা সবচেয়ে বড় সত্য এটি ছিল একটি স্বাধিন অঞ্চল। রাশিয়া বা ইউক্রাইন কারোই অংশ নয়। কিন্তু এই অঞ্চলের মুল অধিবাসি ক্রিমিয়ান তাতার যারা সবাই মুসলিম তাদের উচ্ছেদ করে সোভিয়েট আমলে পরিকল্পিতভাবে শ্বেতাঙ্গ রাশিয়ানদের বসান হয়। তারাই আজকে তথাকথিত গনভোট এ রাশিয়ান সেনাবাহিনীর পাহাড়ায় রাশিয়ার সাথে যুক্ত হতে চাচ্ছে। বাংলাদেশে বংশগত না হলেও মানসিক ভাবে বংশবদ যে ভারতপ্রেমি গোষ্ঠি এবং সাধারন মানুষের মধ্যে যে উদাসিনতার সৃষ্টি হয়েছে তাতে বাংলাদেশের একই পরিনিত অসম্ভব নয়।
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৭
144274
পুস্পিতা লিখেছেন : ক্রিমিয়ার সংসদ ও সরকারের আচরণের সাথে আমাদের দেশের সংসদ ও সরকারের খুবই মিল! আনুগত্য নিজের দেশের প্রতি নয় ভিনদেশের প্রতি। তাই ক্রিমিয়ার মতো একটি ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে এখানে চলছে।
193635
১৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
ফেরারী মন লিখেছেন : দেশটাকে তালেবান বানানোর পায়তারা করছেন নাকি? কেউ উপকার করলে তার যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়া উচিত। আপনারা না একেবারেই অকৃজ্ঞ পার্সোন। থাক আর কিছু বললাম না।
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:১২
144308
পুস্পিতা লিখেছেন : বর্তমান সংসদের সবাই তো ভারত কর্তৃক সিলেক্টেড। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ক্রিমিয়ার সংসদের মতো একটা প্রস্তাব পাশ করে ফেললে কেমন হয়?!
193658
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
বেদনা মধুর লিখেছেন : দেশ জনগণের উচিৎ স্বাধীনতা বিরোধী লীগের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানো।
193682
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২০
হতভাগা লিখেছেন : 'দীর্ঘ সময় পর যখন জনগণ সচেতন হয়ে রাশিয়াপন্থী সেই স্বৈরশাসককে উৎখাত করে তখন ইউক্রেনের ভিতর থাকা রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের অংশ ক্রিমিয়াকে দখল করে নেয়। ''

০ আমাদের মনে রাখতে হবে যে , ক্রিমিয়ার জনগন আর বাংলাদেশের জনগন এক না । ক্রিমিয়ার জনগনরা রাশিয়ার বিপক্ষে । আর বাংলাদেশের জনগন সবসময়ই বন্ধু ভারতের পক্ষে ।

ভারত যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে পাক - ভারত যুদ্ধ বলে তাতে বাংলাদেশের মানুষ কোন সমস্যা দেখে না ।

বাংলাদেশের মানুষ ক্রিমিয়ার মানুষের মত রাশিয়া তথা ভারত পরিপন্থী নয় , এরা ভারতবান্ধব ।

এটা গত ১৩ তারিখের টি২০ কনসার্টে ভালভাবেই তারা বুঝিয়ে দিয়েছে ।
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২২
144356
আহমদ মুসা লিখেছেন : কিসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জনগণ তথাকথিত বন্ধু রাষ্টের পক্ষে আছে বুঝলাম না। এটা কি কোন নিরপেক্ষ সংস্থার পক্ষ থেকে জরিপের ফলাফল? বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ যদি ভারতের পক্ষেই থাকতো তাহলে ৪৩ টি বছর কিভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে ঠিকে থাকছে?
বাংলাদেশের মানুষ যদি ভারতের পক্ষেই থাকতো তাহলে এদেশে ভারতের গোলাম দাসী হিসেবে আত্মবিকৃত আওমীদের ক্ষমতার কুরসিকে আকড়ে ধরে রাখার জন্য এভাবে পড়নের কাপড় চোপড় খুলে নগ্নভাবে নির্বাচনী তামাশা করার চেষ্টা করতো?
এই মুহুর্তে যদি গনভোটের আয়োজন করে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তার উপর তখন হয়তো দেখা যাবে ধুর্ত শিয়ালের স্বভাবের ভারতকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ট জনগণ প্রেসার ক্রিয়েট করতো্
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৫৫
144448
হতভাগা লিখেছেন : * তিতাস নদীকে মেরে ভারতের ওয়াগন পার করতে দেওয়া হয়েছে । বাংলাদেশের কোন বীর জনতা কি এর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে মাঠে নেমেছে ? নাকি চুপ মেরে বসে ছিল ?

* ফেলানীকে হত্যার পর এবং সেটার রায়ের পর বাংলাদেশের মানুষ কি ভারতীয় দুতাবাসের দিকে অবস্থা নিয়েছিল কাদের মোল্লার ফাসির পর সিমপ্যাথী দেখানোতে যেভাবে পাকিস্তান দুতাবাসের সামনে হাজির হয়েছিল ?

* অফিস থেকে সন্ধ্যায় যখন ঘরে ফিরেন তখন কোন চ্যানেল চলে ? আপনার হাতে রিমোট আছে , চয়েজও আপনার । কোন চ্যানেল দেখেন ? আপনাকে কি জোর করে বাধ্য করে আপনার সামনে বন্দুক নিয়ে দাড়িয়ে থাকে কেউ যে আমাদের চ্যানেলই তোকে দেখতে হবে ?

* ভারতে বেড়াতে গেলে পরিবার পরিজনদের জন্য হরেক রকম পণ্য কিনে আনেন । সেটা কি বাংলাদেশে পাওয়া যেত না ? ভারতে কি আপনাদের বাধ্য করা হয় যে, আমাদের দেশে এসেছিস , লাখ টাকার পন্য না কিনে যেতে পারবি না ?

* অসুস্থ হলেও সেই ভারতেই গমন । যে চিকিতসা বাংলাদেশেও সম্ভব শুধুমাত্র নিজের দেশের প্রতি নিজেদেরই অবিশ্বাসের কারণে বাইরের দেশে যাওয়া হয় । এক্ষেত্রে ব্যাংকক , সিঙ্গাপুরও তো ভারতের চেয়ে বেশী প্রাধান্য পাবার কথা । সেখানে না গিয়ে ভারতে যায় কেন বেশীর ভাগ ? ভারত কি বড় ধরনের কোন ডিসকাউন্ট দেয় এসব ক্ষেত্রে বিদেশী বিশেষ করে বাংলাদেশীদের জন্য ?

বাংলাদেশ কতটা ভারত নির্ভরশীল ও ভারতপ্রেমী তা বলে শেষ করা যাবে না ।

পরনির্ভরশীল দেশের স্বাধীন থাকাই উচিত নয় ।
কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য যে বর্তমান বিশ্বে এখন এক দেশ আরেক দেশকে দখল করে না , দখল করে তার বাজার । দখল করলে যে ভরনপোষনও করতে হবে এটার মত বড় রিস্ক কেউই নিতে চায় না । আর বাংলাদেশের মত সদা ক্যাচাল লেগে থাকা দেশকে নিয়ে নাক গলানো যায় , খেলা করা যায় , খেলা দেখা যায় ও মজা করা যায় ; দায়িত্ব নেওয়া যায় না ।
193686
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৬
হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : এখনো সময় আছে জনগণের হাতে। আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা বাঁচানোর সময় এখনো আছে। কিছু দিন পর আর সেই শক্তি এবং সুযোগ থাকবে না। লীগেরা যেভাবে দেশপ্রেমিক শেষ করে দিচ্ছে তাতে বেশি সময় হাতে নাই। বি এন পির কিছু নেতার কারণেই দেশটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এইসব নাতাকে বাদ দিতে হবে অথবা বি এন পিকে বাদ দিয়ে সর্ব দলীয় দেশপ্রেমিক দল করে আন্দোলন করতে হবে। লীগের মধ্যে কেও যদি দেশপ্রেমিক থাকে তাদেরকেও দলে ভিড়াতে হবে। আন্দোলন ছাড়া দেশ রক্ষা করা যাবে না।
১০
193707
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:১৪
কামরুল ইসলাম লিখেছেন : জনড়ণ সচেতন না হলে সেই পরিণতির দিকেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ।

বিশ্লেষনধর্মী সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
১১
193748
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৩১
আহমদ মুসা লিখেছেন : বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তথাকথিত মানবতা বিরোধী যুদ্ধপরধ ট্যারাবুনাল, পিলখানা ম্যাসাকার, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের অতি বাড়াবাড়ি ধরনের গোস্তাখী দেখে প্রতিটি সচেতন দেশপ্রেমিক মানুষের বিরক্তির উদ্রেক হচ্ছে। ভারত যদি মনে রাশিয়ানদের মত বাংলাদেশকেও তার অঙ্গরাজ্য বানানো সম্ভব হবে তবে সেটা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ধর্মীয় চেতনাবোধ, নিজস্ব সকীয়তা ইত্যাদি বিষয়গুলো যদি মুর্খের দেয়া তথ্যর উপর বিশ্লেষণ করে অগ্রসর হয়ে তবে মারাত্মক ভুল করবে। এমনিতেই ভারতীয়দের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হাজারো সমস্যা আছে যা তারা সমাধান করতে পারছে না। যদি বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্য বানানোর খায়েশ করে তা হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভবনা আছে। এজন্য তারা ধীরে ধীরে হয়তো বাংলাদেশকে তাদের আশ্রিত একটি দেশে পরিণত করার মিশনের অংশ হিসেবে আওমীদের আপততে গোলাম আর দাসী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
১২
193777
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:২৫
গেরিলা লিখেছেন : আজইরা কথা
১৩
195139
২০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
েনেসাঁ লিখেছেন : বিধর্মী থেকে মুসলমান হলেও, তার পূর্বের ধর্মের কিছু রীতিনীতি সে পালন করে থাকে। তাই ধর্ম নিরপেক্ষদের নিয়ে কোন বিশ্বাস নেই। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন।
১৪
198074
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:০৮
ভিশু লিখেছেন : ক্রিমিয়ার সাথে অনেকগুলো বিষয়ই প্রায় মিলে যায়! তবে ধরন হয়তো ভিন্ন! ওটা বেশ খোলামেলা(ওপেন), আর আমাদেরটা ওপেন-সিক্রেট! তাই এর জ্বালাও বেশি, স্থায়িত্বও ক্রনিক বলা যায়! ধন্যবাদ!
১৫
198244
২৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০৯
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : অত্ম হননের পথে-

ধীরে ধীরে হাটছে

মুখে হেমিলিয়নের বাঁশি-

পেছনে ঈঁদুর মিছিল

ডুববে সূর্যাস্তের হাতধরে-

বাংলা সাগরের বুকে

জাতি দেখবে-

ইতিহাসের মর্মান্তিক বাস্তব

সে উওম কি অধম-

তা বিবেকের উপলব্দি

সে ডুববে-

বিভ্রান্ত একঝাঁক মেধা নিয়ে

মগজ ধোলাইয়ের কারখানায়-

পরিশোধন করে

প্রতিবাদিরা উদভ্রান্তের মতো-

ক্যম্পাসের বাহিরে

তৃতীয় পক্ষ্য মানচিত্র নিয়ে-

নীল নকশা আঁকে

ঘোলা জলে-

মৎস্য শিকারের আশায় !

১৬
222442
১৭ মে ২০১৪ রাত ০১:১৬
ইসতিয়াক লিখেছেন : দেখা যাক কি হয়। মোদী নদী কোথায় গড়ায়। Nail Biting

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File