ভারত-আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ কি আরেক ক্রিমিয়া হতে যাচ্ছে?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ১৭ মার্চ, ২০১৪, ০৫:১৬:৫৭ বিকাল
প্রথমে তেমন আগ্রহী ছিলাম না। ক্রিমিয়া (Crimea) নামে যে একটি দেশ, প্রদেশ বা এরকম কিছু আছে তা জানতামই না। কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মুখে ইউক্রেনের স্বৈরশাসক রাশিয়ার পুতুল প্রেসিডেন্টের পালানোর পর বিশ্বব্যাপী যে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে সে কারণেই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী হলাম। ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেনের স্বৈরশাসক নিয়ে। সেখানে রাশিয়া কোত্থেকে আসলো, আবার ক্রিমিয়া, ক্রিমিয়া আলোচনা কেন, তা বুঝতে পারছিলাম না। ক্রিমিয়া কি তা বুঝার জন্য গুগলে সার্চ করে দেখলাম। তারপর সে বিষয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞজনের কয়েকটি লিখা পড়লাম। অনেক কিছু জানলাম। আমাদের দেশে যারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন তাদের সবারই মূল ফোকাস ছিল ক্রিমিয়া-ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া-আমেরিকার কথিত শীতলযুদ্ধ শুরু হয় কিনা। কিন্তু রাশিয়া, ইউক্রেন, ক্রিমিয়ার অতীত ইতিহাস, সেখানকার সরকারী দল ও পার্লামেন্টের আচরণ, সিদ্ধান্ত ইত্যাদি জানার পর আমার আশংকা ভিন্ন কিছু নিয়ে। সেই ইতিহাস ও ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ, ভারত ও ভারতের তল্পিবাহক আওয়ামী লীগ সরকার এবং অতীতের ভারত ও সিকিম সরকারের আচরণের সাথে কেমন যেন মিল যাচ্ছে!
কি হচ্ছে ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনে?!
সোভিয়েট ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ইউক্রেনের সরকার আস্তে আস্তে পারমানবিক শক্তিধর ইউক্রেনের সামরিক শক্তি ধ্বংস করে দেয়। ভাষা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সবকিছু আস্তে আস্তে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল করে ফেলে। নিজেদের শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকার পরও তথাকথিত আরো নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেন বিশেষ করে ক্রিমিয়ায় ঘাটি তৈরি করতে দেয় এবং রাশিয়ার বুদ্ধিতে নিজের সেনাবাহিনীকে দূর্বল করে ফেলে। দীর্ঘ সময় পর যখন জনগণ সচেতন হয়ে রাশিয়াপন্থী সেই স্বৈরশাসককে উৎখাত করে তখন ইউক্রেনের ভিতর থাকা রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের অংশ ক্রিমিয়াকে দখল করে নেয়। শুধু তাই নয় মূল ইউক্রেনের উপর হামলারও হুমকি দেয়। এরপর সেই রাশিয়ার ইচ্ছায় ক্রিমিয়ার রুশপন্থী প্রাদেশিক সরকারের পার্লামেন্ট ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে একিভূত হওয়ার বিল পাশ করে এবং তথাকথিত গণভোটের মাধ্যমে প্রায় ১০০% জনগণের মত সেদিকে আছে প্রমাণ করার মাধ্যমে একটি দেশকে পরাধীন করার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলে। সুক্ষভাবে দেখলে সবকিছু কেমন যেন আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মিলে যায়!
ভারতের সিকিম দখল ও রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল কি একই রকম?
ইউক্রেনের স্বৈরশাসক যতদিন রাশিয়ার কথামতো চলত ততদিন সবকিছু ঠিকঠাক, যখনই জনগণ নিজেদের জাতিয়তাবোধ নিয়ে জেগে উঠল তখনই রাশিয়া সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো। মূল ইউক্রেনকে চাপ দিতে রাশিয়া ইউক্রেনের একটি প্রদেশ ক্রিমিয়াকে প্রথমে দখল করে নিয়ে সেখানকার পুতুল পার্লামেন্ট ও সরকারের মাধ্যমে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঠিক যেমন লেন্দুপদর্জির সরকারের মাধ্যমে সিকিমের পার্লামেন্টে হয়েছিল!
রাশিয়া-ক্রিমিয়া-ইউক্রেনের সাথে বাংলাদেশ-আওয়ামী লীগ-ভারতের সাথে কোথায় যেন মিল?!
ইউক্রেন-ক্রিমিয়া-রাশিয়া নিয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করুন, সাথে আমাদের পাশের লেন্দুপদর্জি-সিকিম-ভারতের উদাহরণ তো আছেই। দেখা যাবে বাংলাদেশ-আওয়ামী লীগ-ভারতের সাথে কোথায় যেন খুবই মিল! ক্ষমতায় এসেই বিডিআর হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শুরু, আস্তে আস্তে সেনাবাহিনীর মৌলিক পরিবর্তন, এখন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সীমান্তে বিড়াল, কিন্তু দেশের ভিতরে জনগণকে হত্যায় বাঘ, তাদের কাজ যেন এখন সীমান্ত নয়, অবৈধ সরকারের নিরাপত্তার ব্যবস্থাই করা! বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের ভিতরে সবকিছুই এখন ভারতময়! বাংলাদেশের রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি সবকিছুই যেন কন্ট্রোল হয় অন্যদেশ থেকে, ভারতের হুকুম মেনে চলায় যেন বাংলাদেশের সরকারের মূল কাজ। ঠিক ইউক্রেনের মতো! ২০০৯ সাল থেকে ভারত প্রকাশ্য রাখঢাক ছাড়াই নেমে পড়ে। ভারতবান্ধব সরকারের মাধ্যমে গত পাঁচবছর ট্রানজিট, করিডোর, নদীর পানি সহ সবকিছু অবৈধভাবে নেয়ার পর এবার ভারতের সিদ্ধান্তে নির্বাচন নামের নাটকের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি পুতুল পার্লামেন্ট তৈরি যেন করা হয়েছে সেই ক্রিমিয়ার মতো! দেশ-বিদেশে অগ্রহণযোগ্য ও অবৈধ সরকারের জন্য নিজের স্বার্থে বিশ্বময় বৈধতার ফেরি করে বেড়াচ্ছে ভারত! কারণ বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য তাদের শেখ হাসিনাকে দরকার! ভারতের পরামর্শেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে এমন সব রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র, শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ সবকিছুই ভারতের ইচ্ছে মতো সাজানো! কেমন যেন সেই ক্রিমিয়া-ইউক্রেন-রাশিয়ার কৌশলের সাথে মিলে যাচ্ছে!
ক্রিমিয়া-ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রেক্ষিতে চিন্তা করলে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব কি অচিরেই হারিয়ে যাচ্ছে?
১৯৯০ সালে সোভিয়েট ইউনিয়নের পতনের পর স্বাধীন হওয়া ইউক্রেন দীর্ঘ প্রায় ২৫বছর পর এসে স্বার্বভৌমত্ব প্রকাশ্য হারাতে বসেছে। এমনকি তার একটি প্রদেশকে রাশিয়া জোর করে কিন্তু তথাকথিত পার্লামেন্ট ও নির্বাচনের নামে দখল করে নিচ্ছে কিন্তু ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও সরকার কিছুই করতে পারছে না। কারণ রাশিয়ার পরামর্শে ইউক্রেনেরই পুতুল সরকার আস্তে আস্তে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিজের দেশকে দূর্বল করে ফেলেছিল। অসচেতন জনগণ যখন সেই ষড়যন্ত্র ধরতে পারলো তখন আর তেমন কিছুই করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই শক্তি আর নেই। আমরাও কি সেই ধরনের অসচেতনতার চোরাবালিতে পড়ে গিয়েছি?! আগের গুলো বাদই দিলাম, শুধুমাত্র গত পাঁচবছরের আওয়ামী লীগ-ভারতের আচরণ ও কর্মকান্ড পর্যালোচনা করুন, ঠিক যেন সবকিছু মিলে যাচ্ছে ইউক্রেনের পুতুল সরকার ও রাশিয়ার আচরণ ও কর্মকান্ডের সাথে। খেয়াল করলে দেখা যাবে বাংলাদেশের বর্তমান সংসদ ও সরকারের সাথে রাশিয়ার প্রতি আজ্ঞাবহ ক্রিমিয়ার সংসদ ও সরকারের তেমন কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য একটিই সেখানে রাশিয়ার প্রতি আজ্ঞাবহ এখানে ভারতের প্রতি। বর্তমান তথাকথিত নির্বাচন, সংসদ, সরকারী দল, বিরোধী দল সবকিছু ভারতের পরামর্শে তৈরি। তাই ক্রিমিয়া-ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রেক্ষিতে চিন্তা করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি অচিরেই হারিয়ে যাচ্ছে? বা সে ধরনেরই কোন ষড়যন্ত্রের কবলে কি পড়েছে বাংলাদেশ?!
বিষয়: বিবিধ
২০৬৬ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা বাংলাদেশীরা স্যেকুলারদের প্ররোচনায় ১৯৪৭ - ১৯৭১ এর মধ্যে তিনবার জাতীয়তা বদলিয়েছি, ৩ বার সংবিধান আর ৩ বার জাতীয়সংগীত। ফলাফল হিসাবে আমরা হয়েছি আরো নিগৃহীত, আরো নিষ্পেষিত।
অথচ তার বিপরীত চিত্র ১৪০০ বছর আগে মহান স্রষ্টা আমাদের বলেছেন 'তিনি মোহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে বিশ্বকে এক নতুন জাতি উপহার দিলেন, যার নাম দিলেন 'মুসলিম/মুসলমান'। আর আজ ১৪০০ বছর পরেও আমরা দেখছি আমাদের এ জাতিস্বত্তার কোন নড়চড় হয়নি - বলা হয়নি আজ হতে তোমরা মুসলিম নও - তোমরা এক্স ওয়াই জেড কিংবা অন্য কিছু।
অন্য দিকে সেই স্রষ্টা আমাদেরকে দিয়েছেন চমৎকার এক সংবিধান - যা শুধু জাতীয়তাবোধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিই নয় - তার সাথে দিয়েছে ব্যক্তিগত, সামাজিক, বৈশ্বিক ও পরকালীন বিষয়াদির গাইডলাইন। যা ১৪০০ বছরে পরিবর্তন করতে হয়নি, এ্যামেন্ডমেন্ট আনতে হয়নি, যার প্যারালাল কিছু নেই - যার কোন সংযোজন, বিয়োজন কিছুরই প্রয়োজন নেই।
সুতরাং আমার মনে হয়, জাতীয়তাবোধ এ যদি সচেতন হতেই হয়, কাউকে করতেই হয় - তবে তা শুরু করা উচিত মুসলিম জাতিস্বত্তা দিয়ে। জাতিস্বত্তার জন্য কোন আন্দোলন সংগ্রাম স্ট্রাগল কিংবা স্ট্রাইভ করতেই হয় তবে তা কৃত্রিম বাংলাদেশী জাতিস্বত্তার পরিবর্তে - মুসলিম জাতিস্বত্তার জন্য। শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ তম পরিবর্তিত সংবিধানের পরিবর্তে কোরআনের জন্য। এতে করে নিশ্চিত আমরা এ দুনিয়াতে প্রতারিত হবনা আর পুরুষ্কার হিসাবে আমরা এ পৃথিবীতে যেমন আমার ও আপনার অধিকার ফেরত পাবো, সন্মান ফেরত পাবো ঠিক তেমনি পরকালের জন্যও আমাদের পুরুষ্কার নিশ্চিত হবে।
আর এতে করে ধর্মনিরপেক্ষ, স্যেকুলার, মুনাফিক, কাফের, মুশরিক যে অভিধায়ই আমরা আমাদের অধিকার হরনকারীদের ডাকি কিংবা চিহ্নিত করিনা কেন - আমরা তাদের সাথে বুঝা পড়া করতে যেমন স্বচ্ছন্দ্য বোধ করবো - ঠিক তেমনি অধিকার রক্ষায় ডিভাইন সাপোর্ট ও স্যালভেশান ও পাব।
এ নিয়ে গত পরশু আমি একটা লিখা লিখেছিলাম - আপনাদের মতামত পেলে চিন্তার পরিশুদ্ধতা যাচাই করতে সুবিধা হত। ধন্যবাদ।
এখানে আদর্শের খেলা। আওয়ামী লীগ যা করছে তা স্রেফ ৭১-এ ভারতের ভূমিকার জন্য। এর বেশী কিছু নয়। তারা জাতীয়তাবাদী দল। তারা দেশকে ভালোবেসেই স্বাধীনতা এনেছে ভারতের কাছে বিকিয়ে যাবার জন্য নয়। সুতরাং স্বাধীন দেশে বাস করে এসব আবোল তাবোল না বকে ভালো হয়ে যান। আর ভালো না লাগলে পেয়ারে দোস্ত পাকিস্তানের দিকে পা বাড়ান।
আপনার ভারতের কাছে বিকিয়ে দেবার কথা পড়ে যা মনে হল - তা স্ববিরোধী কিংবা ৭১ এর চুক্তির বিরোধীতা। তবে আপনি যদি অন্য কোন তৃতীয় দেশের কাছে না বিকোবার কথা বলতেন - তাতে নিঃসন্দেহে আপনার সততা প্রকাশ হত।
কাউকে তৃতীয় দেশে যেতে পরামর্শ দেওয়াটা আজকের যুগে অজ্ঞতার সমার্থক বলে ধরা হয়।
০ আমাদের মনে রাখতে হবে যে , ক্রিমিয়ার জনগন আর বাংলাদেশের জনগন এক না । ক্রিমিয়ার জনগনরা রাশিয়ার বিপক্ষে । আর বাংলাদেশের জনগন সবসময়ই বন্ধু ভারতের পক্ষে ।
ভারত যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে পাক - ভারত যুদ্ধ বলে তাতে বাংলাদেশের মানুষ কোন সমস্যা দেখে না ।
বাংলাদেশের মানুষ ক্রিমিয়ার মানুষের মত রাশিয়া তথা ভারত পরিপন্থী নয় , এরা ভারতবান্ধব ।
এটা গত ১৩ তারিখের টি২০ কনসার্টে ভালভাবেই তারা বুঝিয়ে দিয়েছে ।
বাংলাদেশের মানুষ যদি ভারতের পক্ষেই থাকতো তাহলে এদেশে ভারতের গোলাম দাসী হিসেবে আত্মবিকৃত আওমীদের ক্ষমতার কুরসিকে আকড়ে ধরে রাখার জন্য এভাবে পড়নের কাপড় চোপড় খুলে নগ্নভাবে নির্বাচনী তামাশা করার চেষ্টা করতো?
এই মুহুর্তে যদি গনভোটের আয়োজন করে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তার উপর তখন হয়তো দেখা যাবে ধুর্ত শিয়ালের স্বভাবের ভারতকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ট জনগণ প্রেসার ক্রিয়েট করতো্
* ফেলানীকে হত্যার পর এবং সেটার রায়ের পর বাংলাদেশের মানুষ কি ভারতীয় দুতাবাসের দিকে অবস্থা নিয়েছিল কাদের মোল্লার ফাসির পর সিমপ্যাথী দেখানোতে যেভাবে পাকিস্তান দুতাবাসের সামনে হাজির হয়েছিল ?
* অফিস থেকে সন্ধ্যায় যখন ঘরে ফিরেন তখন কোন চ্যানেল চলে ? আপনার হাতে রিমোট আছে , চয়েজও আপনার । কোন চ্যানেল দেখেন ? আপনাকে কি জোর করে বাধ্য করে আপনার সামনে বন্দুক নিয়ে দাড়িয়ে থাকে কেউ যে আমাদের চ্যানেলই তোকে দেখতে হবে ?
* ভারতে বেড়াতে গেলে পরিবার পরিজনদের জন্য হরেক রকম পণ্য কিনে আনেন । সেটা কি বাংলাদেশে পাওয়া যেত না ? ভারতে কি আপনাদের বাধ্য করা হয় যে, আমাদের দেশে এসেছিস , লাখ টাকার পন্য না কিনে যেতে পারবি না ?
* অসুস্থ হলেও সেই ভারতেই গমন । যে চিকিতসা বাংলাদেশেও সম্ভব শুধুমাত্র নিজের দেশের প্রতি নিজেদেরই অবিশ্বাসের কারণে বাইরের দেশে যাওয়া হয় । এক্ষেত্রে ব্যাংকক , সিঙ্গাপুরও তো ভারতের চেয়ে বেশী প্রাধান্য পাবার কথা । সেখানে না গিয়ে ভারতে যায় কেন বেশীর ভাগ ? ভারত কি বড় ধরনের কোন ডিসকাউন্ট দেয় এসব ক্ষেত্রে বিদেশী বিশেষ করে বাংলাদেশীদের জন্য ?
বাংলাদেশ কতটা ভারত নির্ভরশীল ও ভারতপ্রেমী তা বলে শেষ করা যাবে না ।
পরনির্ভরশীল দেশের স্বাধীন থাকাই উচিত নয় ।
কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য যে বর্তমান বিশ্বে এখন এক দেশ আরেক দেশকে দখল করে না , দখল করে তার বাজার । দখল করলে যে ভরনপোষনও করতে হবে এটার মত বড় রিস্ক কেউই নিতে চায় না । আর বাংলাদেশের মত সদা ক্যাচাল লেগে থাকা দেশকে নিয়ে নাক গলানো যায় , খেলা করা যায় , খেলা দেখা যায় ও মজা করা যায় ; দায়িত্ব নেওয়া যায় না ।
বিশ্লেষনধর্মী সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ধীরে ধীরে হাটছে
মুখে হেমিলিয়নের বাঁশি-
পেছনে ঈঁদুর মিছিল
ডুববে সূর্যাস্তের হাতধরে-
বাংলা সাগরের বুকে
জাতি দেখবে-
ইতিহাসের মর্মান্তিক বাস্তব
সে উওম কি অধম-
তা বিবেকের উপলব্দি
সে ডুববে-
বিভ্রান্ত একঝাঁক মেধা নিয়ে
মগজ ধোলাইয়ের কারখানায়-
পরিশোধন করে
প্রতিবাদিরা উদভ্রান্তের মতো-
ক্যম্পাসের বাহিরে
তৃতীয় পক্ষ্য মানচিত্র নিয়ে-
নীল নকশা আঁকে
ঘোলা জলে-
মৎস্য শিকারের আশায় !
মন্তব্য করতে লগইন করুন