একটামাত্র এসাইনমেন্ট দিলাম তাতেই ফেল?! না, তোমার বেঁচে থাকার কোন অধিকারই নেই!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৪১:৫৩ দুপুর
এত পরিকল্পিত ভাবে ড্রামা সাজিয়ে তোমাদের মুক্ত করলাম জাওয়াহিরির তথাকথিত অডিও বার্তাকে যুক্তিযুক্ত করার জন্য আর তুমি নাকি ধরা পরো সামান্য টহল পুলিশের হাতে! হবে না, তোমাদের দিয়ে কিছুই হবে না। ১৯৯৮ সালে দুলাভাইকে দিয়ে তোমাদের মাঠে নামিয়েছিলাম ২০০১ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য। তখন পার হতে না পারলেও ২০০৮ সালে এসে তোমাদের দেখিয়ে বিদেশী বিশেষ করে পাশের দেশের বিশ্বাস নূতন ভাবে অর্জন করলাম এর মাধ্যমে চলে আসলাম সোজা ক্ষমতায়। এরপর ক্ষমতায় এসে তোমাদের কাউকেই ফাঁসি দিয়েছি? অথচ তোমাদের ফাঁসির রায় তো সেই বিএনপি আমলেই দেয়া হয়েছিল। গত পাঁচবছর তোমাদের কিছু হয়েছে? ফাঁসির রায় কার্যকর না করে বাঁচিয়ে রাখলাম পরবর্তীতে অনেকগুলো কাজে লাগানোর জন্য।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন নামের নাটকের পর তোমাদের কাজে লাগানোর উদ্দেশ্য একটামাত্র এসাইনমেন্ট দিলাম আর তাতেই নাকি তুমি ফেল! হবে না, তোমাদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না! আল কায়েদা নাটককে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য পুলিশ বলি দিয়ে তোমাদের মুক্ত করার ব্যবস্থা করেছি আর তুমি কিনা সেই পুলিশের হাতে ধরা পরো?! এখন তুমি বেঁচে থাকা মানে থলের বিড়াল বের হয়ে যাওয়া, তাই যাও এবার র্যাব নামের ডিজিটাল রক্ষীবাহিনীর হাতে এবং ক্রসফায়ার... হা. হা.. হা...
যাক, ঝামেলা শেষ হলো! কি বেকুব রে বাবা! পুলিশ ভ্যান থেকে চলে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করে দেয়ার পরও যে ধরা পরে তার বেঁচে থাকার কি কোন অধিকার থাকে?! তুমি বেঁচে থাকলে আল-কায়েদা নাটক নিয়ে পরিকল্পনার অনেক কিছু ফাঁস হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাই দুঃখিত আমার হাতে আর কোন বিকল্প নেই! ক্রসফায়ারই এখন একমাত্র উপায়। আমি চাইনা তোমাদের নিয়ে সব পরিকল্পনার কথা জনগণ জেনে যাক। এসব তথ্য আমি ও আমার ভারতের বাইরে কেউ জানুক তা আমি চাই না...!
বিষয়: বিবিধ
২৩২২ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে পুরো ঘটনাটি ক্রস ফায়ার হয়ে নতুন নাটকের জন্ম দিয়েছে। আসামীকে স্থানান্তর, পুলিশের ভ্যানে আক্রমণ, পুলিশের মৃত্যু, আবার আসামী গ্রেফতার, পুনরায় পুরষ্কার ঘোষণা, পুরষ্কারের টাকা পরিমান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, আসামী ক্রস ফায়ার এসব গুলোই নাটক।
আসামীকে ক্রস ফায়ারের দরকার কি ছিল তাকে তো এমনিতেই রসিতে লটকানো হত। ক্রস করা হয়েছে এই কারণে যে, সে জিবীত থাকলে রামায়নের মত কাহিনী তৈরী হবে। সরকারের শালার ফাটা বাঁশে চিপকানায় আটকা পড়বে, তাই তাকে মরতে হয়েছে। আপনার প্রতিবেদন সঠিক ও বস্তুনিষ্ট। সকল ব্লগার এই কথা বিশ্বাস করেছে।
ভাবতে অভাগ লাগে এসব নির্লজ্জ দাসগুলো এতো হাসাহাসি করে কেমনে? দাসত্বসূলভ মানসিকতার কারণেই কি? বিবেগবান স্বাধীনচেতা মানুষগুলো আজ আড়ালে আবডালে শুধু কেঁদে হয়রান! অথচ গোলাম দাসীগুলো ধার করা হিংস্র দাতগুলো বের করে অট্টহাসি দিচ্ছে। সেখানেও কিন্তু ভেজাল। দাতগুলোও তাদের নিজস্ব নয়। ল্যান্ডিয়ানদের লম্বা নখ ও হিংস্র দাত নিজের আঙ্গুলে ও মূখে ফিটিং করেছে।
এখন বাংলাদেশপন্থী জনগণকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এসব হিংস্র দাত ও লম্বা লম্বা ডামি নখগুলো উপড়ে ফেলবার জন্য। সামান্য টান দিলেই ঝড়ে পড়বে এসব নকল দাত ও নখ। কারণ এগুলো আসল নয়। এসব দাত ও নখের কোন শিকড় নেই। বিপরীতে বাংলাদেশপন্থী জনগনের রয়েছে শিকড়। মাটি্ মানুষের সাথেই রয়েছে তাদের সম্পর্ক। সুতরাং কোমড় বেধে জোরছে একটি হেচকা টান মারলেই কেল্লাফতে।
তাই হচ্ছে...
নিজেরা বেকায়দাতে পরে আলকায়েদা দেখান!
হা হা হা
আপনার কথাই ঠিক। না মারলে যে সব কিছু ফাঁস হয়ে যেত ।
এটাই বাস্তবতা
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন