বিচারপতি তোমার কথা শুনেনি, এত্ত সাহস?!!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৩৪:০৫ রাত
উজিরের ফোন আইনউজিরকেঃ
ভাই, দেখলেন আমি একটি রিকোয়েস্ট করলাম, আর বিচারপতি তা না রেখে মামলা অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিল! এটা কোন কথা হলো?!
আইনউজির- আমিও তো বুঝতে পারছি না, ওদের এত সাহস কি ভাবে হলো?!
উজির- আপনি নূতন বলে কি তারা সাহস করছে?! ওফ আপনিও নূতন অন্যদিকে আপনার মন্ত্রণালয়ের আগের ছোট উজিরও খাবার দাবারের দিকে চলে গেল! আমাদের কি হবে?! বিচারপতিরা কি আমাদের উপর ছড়ি ঘোরাতে থাকবে?!
আইনউজির- না না তা কেন, তারপরও আপনি মাহারাজার সাথে কথা বললে সবচেয়ে ভাল হয়। বিষয়টি গুরুতর!
উজিরের ফোন মহারাজাকেঃ
আপা, আমাদের কি হবে?!
মহারাজা- কি হবে মানে, তোমাকে তো উজিরই বানিয়ে দিলাম!
উজির- তা ঠিক, তা ঠিক আপা। কিন্তু আমি আপনার উজির অথচ একজন বিচারপতিকে আমার কথা মতো একটি রায় দিতে বললাম কিন্তু তিনি তা না রেখে মামলা অন্যদিকে পাঠিয়ে দিলেন! আমাদের কি তাহলে কোন দাম নেই?!
মহারাজা- তুমি কি বিচারপতিকে ফোনে অনুরোধ করেছিল?
উজির- জ্বি আপা, জ্বি আপা!
মহারাজা- আচ্ছা, তুমি কি উজির না পিয়ন?! আমার ছোট নেতা হুকুম দিলেই সবাই লাফিয়ে উঠে, আর তোমার ফোনে নাকি কিছু হয়নি! আমি তো তোমাদের স্মার্ট মনে করেই উজির বানিয়েছিলাম। কিন্তু এত আনস্মার্ট কাজ কিভাবে করো?
উজির- না, মানে?!
মহারাজা- তুমি বিচারপতিকে অনুরোধ করতে গেলে কেন? তুমি করবে হুকুম, অনুরোধ করার জন্যেই কি তোমাকে উজির বানিয়েছি?!
উজির- না, মানে আমি আইনউজির না তো, তাই...
মহারাজা- আরে আইনউজির হতে হবে কেন! গতবারের উজিরদের দেখোনি?! যার যা প্রয়োজন তা সে তার সুবিধা মতো সবাইকে হুকুম দিয়ে করিয়ে নিবে, কোন মন্ত্রণালয় তা ভাবা কি তোমার কাজ?!
উজির- ওহ, তাই তো!
মহারাজা- বিচারপতি বিচার করবে আমাদের মন মতো! কাদের মোল্লাদের ক্ষেত্রে দেখোনি, নিম্ম থেকে নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যন্ত আমাদের হুকুমের বাইরে রায় হয়েছে?!
উজির- না আপা হয়নি।
মহারাজা- খালেদার পুত্রের ক্ষেত্রে একজন দিতে চেষ্ঠা করেছে, তার পিছনে দূদক অটো লেগে গিয়েছে এবং এরপর আর কার ঘাড়ে মাথা দুটি যে আমাদের কথার বাইরে যাবে? দূদক এ্যাকটিভ হওয়ার পর দেখোনি দশট্রাক অস্ত্র মামলায় কেমন সুন্দর রায় চলে এসেছে?!
উজির- জ্বি আপা!
মহারাজা- ত্রাণের টাকায় প্রধানবিচারপতি সহ পাওয়া যায়, আর তুমি কিনা সামান্য বিচারপতি ম্যানেজ করতে পারো না! তোমাদের দিয়ে ৫বছর চালাবো কিভাবে?! এত কাঁচা হলে হয়!
উজির- না আপা আর ভুল হবে না, গত ৫বছর পুলিশ ও আদালত দিয়েই তো পুরো বিরোধী দলকে দৌঁড়ের রাখা হয়েছিল। এবারও তা চলবে। আর ভুল হবে না!
মহারাজা- যাও এবার মনে থাকে যেন!
পুরোটাই কাল্পনিক- উপরের কথপোকথনের সাথে রায় পক্ষে আনার জন্য আজ আওয়ামী মন্ত্রী কর্তৃক উচ্চ আদালতের বিচারপতিকে ফোন করার সাথে মিলাবেন না প্লিজ!
বিষয়: বিবিধ
২৫৮৭ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার পোষ্ট অনেক দিন পর পড়লাম। আপনার সেই পোষ্টের কথা মনে পড়ে মাঝে মধ্যে , নতুন পলাশী কি সন্নিকটে !!
আসলে বর্তমানে আমরা আছি পলাশী পরবর্তী সময়ে,এখন যা কিছু ঘটছে এবং ঘটবে তা পরাধীন গোলামী রাষ্ট্রের প্রতিচ্ছবি।
একটি সরব পলাশী ঘটে গেছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে। বিশ্বাসঘাতক জেনারেল মঈনের আঁতাতের নির্বাচন এবং পিলখানায় আর্মি অফিসারদের হত্যা মধ্য দিয়ে যে দেশ পরাধীন হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
পরবর্তীতে জনতার যত আন্দোলন হয়েছে তা সঅস্ত্র আন্দোলনের পথ তৈরি করে দিচ্ছে।
১৯ দল ,মজলুম জনতাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিদেশীদের পরামর্শ ও মন জুগিয়ে চলার মাধ্যমে।পৌত্তলিক সমাজের পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে তাহলে কারা স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্ব দিবে এই ভূখণ্ডে ???
আপু, আপনাকে ধন্যবাদ।
পুরো রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে দিল্লির পৌত্তলিকদের হাতে , যতই অস্বীকার করুন দেশ এখন একটি ভারতীয় পুতুল !!
আহহারে!
মহারাণীর যাবতীয় রক্ত তো সব ইউরোপ এম্রেরিকার হাওয়া বাসাতে মিশে একাকার হয়ে গেছে। ওখানকার ফ্রি স্টাইলের হাওয়া লেগে কি পরিমাণ রুচির ডেভেলপ হয়েছে তা এই নাদান জাতিরে বুঝানোর ক্ষেমতা কারই বা আছে?
বাঙ্গাল জাতি বলে এক্কান কথা!
ওখানের ডিওজি মশায়ের সাথে রক্তের ও আত্মার বন্ধনে যে নতুন জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে মহারানীর রক্ত সিলসিলার পরবর্তী জেনারেশনে বিপ্লব সূচিত হয়েছে সেই বিপ্লবের জ্যোতি থেকে কিছুই শিখাবার পারলো না!
এতোদিনের অভিযানে হাদারামগুলো এখনো মানিকে পরিনত হলো না?
মহারানীর মর্জি- মানিক চাই মানিক!!
এবার শুধু মানিক হলেই চলবে না, এক্কেবারে খাটি রত্নের মানিক দরকার।
প্রয়োজনে বিলাতী ডিওজি অথবা জার্মান শেফার্ড জাতের মোয়াল্লিম নিয়োগ দেয়া হবে।
হাদারামগুলারে আনুগত্যের বায়াত গ্রহণ করিয়ে কিভাবে শিকালান্ধরী করা যায় তার ব্যবস্থাপত্র নেয়ার জন্য প্রয়োজনে ল্যান্ডিয়ান দাদা বাবুদের থেকে কোম কোম গরম মধু বোতল জাত করা হবে।
বি. দ্র. গ্যাঞ্জাম খানের উল্লেখিত বয়ানের হাকিকত যদি কেউ বুঝবার না পারেন তহলে আল্লাহ বাচাইলো মোরে!
রিপোর্ট করুন
বিচার বিভাগে একজন মাহমুদুর রহমানের বড়য় প্রয়জন ।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
এটাই হল আমাদের বিচার ব্যবস্থা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমীন
শেখ হত্যা মামলায় আইনি লড়াই করার পুরষ্কার হিসাবে সিরাজুল হকের পুত্র আনিসুল হক ( প্রথম আলোর আনিসুল হকের সাথে আইনের আনিসুল হকের গোল বাঁধলে বিপদ আছে ! ) উজির-উল-আইন মনোনীত হয়েছেন ।
এই অসময়ে হঠাৎ করে বিচারক সাহেবদ্বয়ের আত্মমর্যাদাবোধ দেখে প্রীত হচ্ছি ।
চতুর্থ সংশোধনীর পর থেকে বিচারকদের মেরুদন্ড বলতে কিছু নাই। তার আগে সংসদের দুই- তৃতীয়াংশ সমর্থন ছাড়া বিচারক অপসারণ করা যেত না। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের সরাসরি প্রেসিডেন্ট তথা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা হয়েছে। যার ফল আজকের বাংলাদেশের অবস্থা।
চতুর্থ সংশোধনীর ফল পরবর্তী সকল সরকারই ভোগ করেছে।
যখন বিচার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে, তখন দেশ আর দেশ থাকেনা। যা এখন বাংলাদেশের অবস্থা।
আপনার এ লিখা মানিক মিঞাদের জন্য শাপ মোচন না হয়?
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন