চিকিৎসক সাংবাদিক দ্বৈরথ : দায়ী ললনা?

লিখেছেন লিখেছেন ডাঃ নোমান ২১ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:০২:৫৪ সকাল

: তুমি প্রত্যেকদিন মিথ্যা কথা বল! মিথ্যা বলার পরিণাম কী জান?

: জানি বাবা, সারা জীবন হয় মন্ত্রী কিংবা সাংবাদিক হয়ে থাকতে হবে।

হয়ত ভাববেন ডাক্তার সম্প্রদায় হঠাত করে সাংবাদিকদের উপর গোস্বা হলো কেন? সলিমুল্লায় পিটালো রামেক এ পিটালো আবার পুঁচকে গুলো ফেবুতে তাদের পঁচিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। কারন কি? বাংলাদেশের অধিকাংশ সাংবাদিক সত না এটা একটা সত্য কথা কিন্তু ডাক্তাররা তাদের পিটিয়ে যে সত বানাচ্ছে এটা কিন্তু না। যে কোন অবস্থায় আইন উপেক্ষা করে কারো গায়ে হাত তোলাটা আমি সমর্থন করিনা কিন্তু উল্টাপাল্টা সংবাদ ছাপিয়ে যারা আরেকজনের ঘামের মুল্য না দিয়ে কাটতি বাড়ানোর চিন্তায় সবসময় মশগুল থাকে তাদের হাতের ঐ অবৈধ ক্যামেরাটা ভাংগাটাকে আমি সাপোর্ট করতেই পারি। সত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলছি এই পেশার লোকদের কাছে মানবিকতার কোন মূল্য নাই তারা টাকা ছাড়া কিছুই চেনে না টাকা না দিলে এরা গুরুত্বপূর্ণ খবরও হাইড করে আবার মিথ্যা খবরে রং চং মেখে বাজারে ছাড়ে এদের লক্ষ্য টাকা আর কাটতি। এদের কারনে আমাদের শিক্ষকরা এখন শেখায় কিভাবে এদের ঝামেলা থেকে দুরে থাকা যায় কোন সিরিয়াস রোগী যারা মারা যেতে পারেন বিশেষ করে যারা গ্রাম্য কোয়াকদের কাছে চিকিত্সা নিয়ে জীবন সায়াহ্নে আমাদের কাছে আসেন তাদের চিকিৎসা করতে বাঁধা করেন বা সর্বোচ্চ রেফার্ড কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসা ও না কারন মরলেই যে সাংঘাতিকরা তেড়ে আসবে সব দায় চাপাবে নির্দোষ ডাক্তারটির উপর। এক্সে ডাক্তার একবার এই ঝামেলার মধ্যে পড়ে সে আর জীবনে এই ধরনের কারো চিকিৎসা করবেনা এটা নিশ্চিত। অবস্থা কত ভয়ংকর বুঝতে পারছেন? কিছু ডাক্তার আছে যারা ভিজিট বেশী নেয় যারা দায়িত্বে অবহেলা করে এটা সব প্রফেশনই আছে দক্ষরা বেশী টাকা নেবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু যে এমবিবিএস ডাক্তার পঞ্চাশ টাকা ভিজিটে গ্রামে রোগী দেখছে তারা এদের হলুদ চোখ এড়িয়ে যায় তাদের অবৈধ ক্যামেরা সেখানে ক্লিক করেনা। তারা শুধু ডাক্তারদের নেগেটিভ ধারণা তৈরীতেই ব্যস্থ থাকেন। তাহলে ডাক্তাররা সম্মান দিয়ে তাদের সামনে গিয়ে পোজ দিবে না বলাই বাহুল্য। কিন্তু সাংবাদিক আর ডাক্তাদের কেন এই বিরোধ তা অনেক খুঁজেও পাইনি সর্বশেষ একটা তথ্য দেই অনেকেই হয়ত এর কারন খুঁজে পেতে পারেন তবে যারা পাবেন তাদের ব্যাপারে আপত্তি আছে কৌতুক থেকে কারন খুঁজতে নাই। একবার প্রথম আলোর নারীমঞ্চের একটা জরিপে মেয়েদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল স্বামী হিসেবে তারা কোন প্রফেশনের ছেলেদের পছন্দ করে? মাত্র এক পার্সেন্ট উত্তর দিয়েছিল সাংবাদিক! আর ডাক্তারদের পিছনে ললনাদের দৌড় অলম্পিকের দৌড়কেও যে হার মানাবে এ ব্যাপারে কি আর বলব নিজেই যখন ভুক্তভোগী!

বিষয়: বিবিধ

১২৮৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

211089
২১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : পিটাও হাম্বাদিক, লাগে টাকা দিবে গৌরী সেন। Angel Angel
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
159505
ডাঃ নোমান লিখেছেন : হা হা হা দিবে প্রেসিডেন্ট।
211114
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনার লিখাটা পুরাপুরি এক চোখা!!!
ডাক্তার দের বর্তমান আচরন যা তাতে মনে হয় বাংলাদেশের ডাক্তার রা আর কাউকে মানুষ বলে মনে করেন না। আমার ভারত,সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড এর হাসপাতালে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। সব চেয়ে খারাপ চিকিৎসা ও ব্যবহার বাংলাদেশেই পেয়েছি।
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
159506
ডাঃ নোমান লিখেছেন : ভারত সিংগাপুর বা থাইল্যান্ড এর ডাক্তার রোগী অনুপাত ডাক্তারদের সুযোগ সুবিধা আর বাংলাদেশ এক কথা নয়।তাদের দেশের শিক্ষক আর আমাদের দেশের শিক্ষকদের তুলনা করলে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার হবে সবুজ ভাই।
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
159524
হতভাগা লিখেছেন : ক্রমবর্ধিষ্ণু হারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীরা কি আমাদেরকে এক একজনকে বিশাল বিশাল কোটিপতি মনে করে ?
211133
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
হতভাগা লিখেছেন : ভুল চিকিতসা করেছে বলে যেভাবে সাংবাদিকরা ফলাও করে প্রচার করে , তাতে মনে হয় সঠিক চিকিতসাটা কি সেটা তারা সাংবাদিক হয়েই জানে !

তবে মুশকিলটা হল এই যে,এত জানলেও তারা কিন্তু রোগীর চিকিতসা করতে এগিয়ে আসে না ।

এত যে ডাক্তারের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করেন উনারা নিজের বা আপনজনদের চিকিতসা উনারা নিজেরাই করতে পারেন ।

আর ডাক্তারকে এত গালিগালাজ দেবার পর আবার সেই ডাক্তারকেই যখন দেখাতে যায় তখন কি উনাদের আগের সেই জোশ / ইগো মনে থাকে না ?
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৭
159540
ডাঃ নোমান লিখেছেন : রাজশাহী মেডিকেল এ মাইর খেয়ে তারা ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল এ চিকিৎসা নেয় ওখানে কি সাংবাদিকেরা চিকিৎসক হিসেবে চাকরী করে? ধন্যবাদ হতভাগা ভাই
211153
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩২
নূর আল আমিন লিখেছেন : হেহেহেহে
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৮
159541
ডাঃ নোমান লিখেছেন : হা হা হা হা
211169
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
সাদা লিখেছেন : গতকাল একজন ডাক্তারের নিকট গিয়েছিলাম হাটু ব্যথার কারনে।আগে থেকেই আপোয়্যান্মেন্ট নেওয়া ছিল।গিয়ে দেখি ডাক্তার সাহেব চেম্বারে নেই।রিসিপ্সনিষ্ট বল্লেন একটু বাইরে গেছেন এখনি চলে আসবে।অপেক্ষায় রইলাম ।আধা ঘন্টা পেরিয়ে গেল।ডাক্তার সাহেবের দেখা নেই।রিসিপশনিষ্ট আমার ব্যস্ততা দেখে ফোন দিলেন ।বল্লেন কিছুক্ষনের মধ্যেই চলে আসবে ।তারপর এক ঘন্টা জানালেন ওনি এখন ফার্মগেটে আছেন।আসতে আরো এক ঘন্টা লাগবে।কি আর করা।বেরিয়ে পড়লাম।হাটুতে ব্যথা ।হাটতেও পারছিনা আবারও রোদও প্রচুর।বসে থাকা এক রিকশাঅয়ালাকে বল্লাম ভাই যাবেন ওখানে ।প্রথমে বল্ল না যা যাবে না।অনেক অনুরোধ করে রাজি হলেও ভাড়া চাইলো দ্বিগুন।মনে মনে চিন্তা করলাম "শালা আমরা হইলাম আম পাবলিক।আমাদের কাছে ডাক্তার আর রিকশাঅয়ালা সব সমান।কেউ আমাদের মানুষ মনে করে না।"
২১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৫৩
159582
ডাঃ নোমান লিখেছেন : হ্যাঁ ভাই। কিছু এমন ডাক্তার আছে কিছু এমন সব জায়গাতেই আছে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি প্রিয় ভাই।
211235
২১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
কুয়াশা লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন@ সহ সকল ভাইকেই বলছি: প্রথমেই বলি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আমার একটা লেখা দেয়ার ইচ্ছা আছে। লেখাটা সম্পূর্ণ ভাবে ডাক্তারদের পক্ষে যাবে। তবে এতটুকৃু বলি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিকেলে প্রথম বাচ্চা হ্ওয়ার সময়। এটা মাত্র ৩মাস আগের কথা। গাইনি বিভাগে পুরুষের ঢোকা সম্পূর্ণ নিষেধ। আমার আম্মা আমার স্ত্রীর পাশে ছিল। আম্মা বলল "ডাক্তারা কাউকে মা ছাড়া কথা বলছে না। আমি আর কি বলল আমিও তাদের মা ডাকলাম।"
এছাড়া ডাক্তার/নার্সদের খারপ ব্যবহারের একটা কারণ খুজে পেয়েছি। আমাদের সরকারী হাসপাতাল গুলোতে যায় সাধারণত গরিব ও নিরক্ষর লোকেরা। রোগীর প্রচন্ড চাপ যার কারণে ডাক্তারা চায় দ্রুত সবাইকে সেবা দিতে হয় কিন্তু দেখা যায় রোগিরা একই কথা বার বার জিজ্ঞাসা করছে, কোন পরিবেশ না বুঝেই যেখানে সেখানে ডাক্তারকে বিরক্ত করে। ফলাফল অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তার/নার্সরা খারাপ ব্যবহার করে ফেলেন।
আমার বাচ্চাকে নিয়ে ১৫ দিনের ব্যবধানে ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ঘোরার সুয়োগ হয়েছে। কিন্তু কো্থাও ডাক্তার/নার্সকে খারপ ব্যবহার করতে দেখি নাই। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার নার্সকে কঠর হতে হয়। আর এই কঠোরতা্ও রোগির ভালোর জন্যই। যেমন আই সি ইউ, এন আই সি ইউ এর মত জাগায়।
সবাই ভাল থাকবেন। আমার জন্য্ও দোয়া করবেন।
২১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩২
159649
হতভাগা লিখেছেন : হাসপাতালে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে তা ডাক্তার বা নার্সরা না । তারা হল ৩য় ও চতুর্থশ্রেনীর কর্মচারীরা ।

হাসপাতালে এদের যে কি দাপট তা ভুক্তভোগীরা ভালই টের পায় । এদের দাপটের কারণ এদের চাকরি নন-ট্রান্সফারেবল ।

মেডিকেল কলেজেও দেখবেন যে লোকের কাছে আপনি কলেজের মাসের টাকা ফার্স্ট ইয়ারে দিয়েছেন , লাস্ট ইয়ারে গিয়েও তাকেই পাবেন একই কাজ করছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File