না বলা কথাগুলো আজ জানিয়ে দিলাম তোমায়
লিখেছেন লিখেছেন পারভেজ ১২ জুন, ২০১৩, ১১:০০:৫১ সকাল
প্রিয়সী,
রাত্রি নিশিতে সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ঠিক তখনই আমি আমার দক্ষিণা জানালায় তোমার অস্পষ্ট চেহারার প্রতিচ্ছবি নিয়ে স্বপ্নের দেশে ব্যস্ত। এক সময় তোমাকে হারিয়ে ফেলি, আবার খুজে পাই। এমনই মুহুর্তে তোমার মায়াবি জাল থেকে বের হয়ে দু’এক লাইন লেখবো বলে অন্ধকার দূর করে আলো জালামাল। ভাল আছো নিশ্চয়ই। বাল থাকো এটাই কামনা করি। আজ বহু দিন হলো তোমার সাথে পরিচয় ঘটে আমার। তোমার খুব কাছে যেতে না পারলেও একেবারে দূরেও নই। কিন্তু তোমাকে জানতে বা বুঝতে আমার পক্ষে এখনো সম্ভব হয় নি। তোমাকে আমি বুহু রূপে দেখেছি। ঁ ৎ ধ মড়ড়ফ ওঈঊ ইৎবধশবৎ যাকে যখন যেখানে খুশি তোমার ইচ্ছে মত তৈরী করে নিতে পারো। তোমার এ দূরদর্শী কৌশল আমাকে আরো বেশি মুগ্ধ করে। কিছু ক্ষোভ আর হতাশার মাঝেও তাই বার বার ছুটে যাই তোমার আঙ্গিনায়।
এ যান্ত্রিক পৃথিবীর সব মানুষই আজ নিজেকে যান্ত্রিক রূপে স্বীকৃতি দিতে চায়। কিন্তু তাই বলে যে মানুষ একে অপরের থেকে এই এক যান্ত্রিক জীবনের অযুহাত দেখিয়ে সব সময় দূরে সরে থাকবে এটাও আবার মেনে নেয়ার মত নয়। আমি যেমন নিজেকে যান্ত্রিক মনে করি না ঠিক তেমনি তুমিও যান্ত্রিক নও। ইচ্ছে করলেই সময় দেয়া যায় বা নেয়া যায়। শুভু একটু অনুভূতির প্রয়োজন। এই বিশাল পৃথিবীতে একটা ছোট্ট শব্ধ আছে যে শব্দটি আমার কাজে সবচেয়ে অপ্রীয়, তা হলো ঝড়ৎৎু ।
প্রিয়সী, তোমার বর্ণনা দিতে গিয়ে হঠাৎ থমকে গেলাম। প্রায় আধা ঘণ্টা পার হলো। যোগ্যতম ভাষা খুজে পাচ্ছি না যা দিয়ে তোমার সুন্দর্য আর গুনের মহিমা ফুটিয়ে তুলবো। কারণ সে ভাষা আমি আজো শিখিনি। তবে অনবরত চেষ্টা করে যাচ্ছি। শুধু মনে মনে ভাবতে পারি। তারপরও ছোট্ট করে বলি তোমার থেকে চোখ ফেরানো যায়, কিন্তু মন ফেরানো যায় না। আমার এ মন শত কাজের মাঝেও কেন যেন তোমার ভাবনায় উতালা হয়ে থাকে। এ উতালা মন কোন সময় মানে না, যখন তখন তোমায় এনে দাড় করায় আমার মনমন্ধিরের দক্ষিণা জানালায়। ভয় হচ্ছে এই জন্য যে, তুমি আমার এ কথাগুলো কি ভাবে বিবেচনা করবে। হয়তো খারাপও লাগতে পারে। যাই ঘটুক আমি আজ নিরব থাকবো না। না বলা কথাগুলো আজ তোমায় জানিয়ে দিলাম। আশা করি বুঝেছ। বিশাল বর্ণনা লিখে তোমার সময় নষ্ট করতে চাইনি বলে খুবই সংক্ষেপ করলাম। তবুও এটুকু সময় নষ্ট করার জন্য ঝড়ৎৎু বলবোনা, কারণ এটা আমার অধিকার। অধিকার কেড়ে নেয়ার কোন এখতেয়ার তোমার নেই। ফুলের স্বার্থকতা তখনই, যখন কোন ভোমর এসে তার বুকে চেপে বসে মধু আহরণ করে।
মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার আঙ্গিনায় অযাচিত প্রবেশ করে ফেলিছি। কি করবো বলো, তোমার ভাবনা যে মন থেকে দূর করা আজ বড় কঠিন হয়ে পড়েছে। আমার দক্ষিণা জানালায় যে বাতাস বহে তাতে তোমার স্নিগ্ধ সুবাসে ছুটে আসি তোমার আঙ্গিনায়। যদি এ অযাচিত প্রবেশের দ- দিতে চাও তবে আমার দক্ষিণা জানালা না হয় চিরতরের মত বন্ধ করে দেবো। আলো-বাসাতহীন বদ্ধ ঘরে একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবো। উৎসর্গ করবো নিজেকে তোমার তরে। তখন আর অযাচিত প্রবেশ করবে না কেউ তোমার সাজানো আঙ্গিনায়।
সবশেষে বলি, জীবনের প্রায় অধ্যেক সময়তো পার করে এসেছো। এবার মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা অনুভূতিগুলোকে একটু মুক্তি দাও। একা একা আর কতদিন নিজেকে কষ্ট দেবে বলো। নিরব কষ্টগুলো কারো সাথে শেয়ার করো, ভালো লাগবে। আশা করি আমার এ পত্র খানি তোমাকে নতুন করে ভাবতে উ™ভুদ্ধ করবে। জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
ইতি-
বিষয়: বিবিধ
২৬২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন