রাষ্ট্রের কোন ধর্ম নাই তো জাতিরও কোন পিতা নাই
লিখেছেন লিখেছেন জিনাত ১৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:৫৬:০৫ সন্ধ্যা
" ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার"
বেশ! খুব ভাল কথা। তাইলে তো এইটাও বলা যায়-
জাতির কোন পিতা নাই"। পিতা যার যার, জাতি সবার"
ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম স্বীকৃতি দিলে নাকি অন্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়, কেন, একজন মুসলমান (বঙ্গবন্ধু) কে জাতির পিতা স্বীকৃতি দিলে তখন অন্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন হয় না?
পিতা হইলেন মুসলমান আর তার সন্তান একেকটা হইল একেক ধর্মের- এইটা কিছু হইল? নাকি আপনারা বুঝাতে চাচ্ছেন- বঙ্গবন্ধু আসলে মুসলমান ছিলেন না, উনি ছিলেন ধর্ম নিরপেক্ষ?
এইসব গাঁজাখুরি অজুহাত বাদ দিয়ে আসল কথা স্বীকার করুন, বলেন যে, ইসলাম শব্দটা শুনলেই আপনাদের গায়ে চুলকানি শুরু হয়ে যায়।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অধিকাংশ লোক যেটার পক্ষে রায় দেয় সেটাই হওয়া উচিত। গণ ভোট নিয়ে দেখেন- কত পার্সেন্ট লোক রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চায় আর কত পার্সেন্ট চায় না। জানি সেই সাহস আপনাদের হবে না। জনগণের ইচ্ছার চেয়ে দাদাদের ইচ্ছাই আপনাদের কাছে বড়। অথচ এই ভারতে প্রায় ২০% মুসলিম থাকার পরেও তারা তাদের দেশকে 'হিন্দুস্থান' নামে ডাকে? তখন কি ভারতীয় মুসলমান দের অধিকার ক্ষুন্ন করা হয় না? এগুলোর সব্ই হলো মুসলমান দের সাথে ভাওতাবাজির নমুনা। হিন্দু ধর্মে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পালনে কোন অধিকার্ই দেওয়া হয়নি, আর সেজন্যই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আজও গরু জবাই নিষিদ্ধ।
অথচ ইসলাম ধর্মে- সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একমাত্র ধর্মে কারো উপর বিন্দু মাত্র যুলুম করা হয়নি। আল্লাহ্ কোর্আন মাজীদে ঘোষণা করেন-লা ইকরা ফি দ্বীন "তোমরা দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি কর না". আছে অন্য কোনো ধর্মে এমন সুস্পষ্ট নির্দেশ? দেখাতে পারবে কেউ? মহানবী (সা বলেছেন "খবরদার! তোমরা সংখা লঘুর উপর নির্যাতন করো না। যদি তা করো তবে কাল কিয়ামতের ময়দানে আমার শাফায়েত বা সুপারিশ পাবে না".
আর আজ এই অকৃতজ্ঞ সংখালঘুরাই সেই মহান মানুষ টিকে শত নোংরা ভাষায় গালি দিতে দ্বিধা বোধ করছে না। সংখ্যালঘুতদর ই বা কি বলব মুসলমান নামধারীদের ই যা অবস্থা!
প্রকৃত পক্ষে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দের অধিকার দেওয়া হয়নি। একমাত্র ইসলামই পারে সুশাসন কায়েম করতে, সকল ধর্মের সকল মানুষকে নিরাপত্তা দিতে। ইসলাম ধর্মের শিক্ষাই হলো সকল ধর্মের সবাই মিলে একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ গঠন করা। ইসলাম যুক্তির ধর্ম, বিজ্ঞানের ধর্ম। এটা কোন অন্ধ আবেগের ধর্ম নয়। আর এই ধর্ম প্রচার হবে যুক্তি দিয়ে মানুষকে বুঝানোর মাধ্যমে, জোর জবরদস্তি করে নয়।
ও হ্যাঁ যা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সংখ্যালঘূ ভাই-বোনদের বলছি
নিজে এক ধর্মের হয়ে অন্য ধর্মের কাউকে পিতা হিসাবে গ্রহন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিন্তু আপনাকেই নিতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
২২৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন