চট্টগ্রামে ইসলামী সমাজের গ্রেফ্তারকৃত ২৪ নেতা কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানের আহবান। আমীর, ইসলামী সমাজ।
লিখেছেন লিখেছেন মনসুর আহামেদ ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৬:৩১:১০ সন্ধ্যা
“ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উগ্রতা ও জঙ্গিবাদসহ যে কোন ধরনের অপতৎপরতা ইসলাম ও মানবতা বিরোধী চরম অপরাধ। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) শান্তিপূর্ণ ভাবে ইসলামের প্রচার এবং ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ গঠন করেছিলেন। দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানদারগণের সমাজ গঠনের প্রেক্ষিতে সকল প্রকারের বিরোধীতা ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে ধৈর্য ও ক্ষমাই ছিল আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর অনুসারী ঈমানদারগণের নীতি। তিনি আজ এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসলামী সমাজ” এর নেতা ও কর্মীরা আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অনুসরণ ও অনুকরণে ধৈর্য ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত দলমত নির্বিশেষে সকলকে দিয়ে যাচ্ছে। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে ঈমান ও ইসলামের শান্তিপূর্ণ দাওয়াতী সংগঠনের নাম “ইসলামী সমাজ”-এ কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, উগ্রতা ও জঙ্গীবাদসহ সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধেই ইসলামী সমাজের নেতা ও কর্মীদের দৃঢ় অবস্থান। তিনি আরও বলেন, ১৯৯৭ ইং সালের ১৭মে মুফতি আবদুল জাব্বার (রহঃ) এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত “ইসলামী সমাজ” এর নেতা কর্মীগণ আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতেই ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে আসছে। দাওয়াতী সংগঠন “ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতী কাজের অংশ হিসেবেই মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী এবং আমীর হোসাইন গত শুক্রবার ০৩/০২/২০১৭ইং ‘ইসলামী সমাজ’ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ দুইজন দায়িত্বশীলসহ গ্রেফতার হওয়া নেতা, কর্মীরা সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী এবং মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কর্ম-কান্ডের সাথে সম্পৃক্ত নন- একথার উল্লেখ করে তিনি তাদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আন্তরিক আহবান জানান। সকলের কল্যাণ কামনা করে তিনি বলেন, আল্লাহই আমাদের একমাত্র সহায় ও সাহায্যকারী আমরা তাঁর উপর পূর্ণ নির্ভর করেই ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে । আল্লাহ আমাদের সকলকে এ লক্ষ্যে কবুল করুন। আমীন!
বিষয়: বিবিধ
১২৬১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাতে সরকারও কিছু বলেনি।চালিয়ে যান/বাধা
বিপত্তি থাকবেই। ইনকিলাবে কেবলি সংবাদ এল
স্টাফ রিপোর্টার ইনকিলাব : চট্টগ্রামে ইসলামী সমাজের ২৪ নেতা কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে সংগঠনের আমির হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উগ্রতা ও জঙ্গিবাদসহ যে কোন ধরনের অপতৎপরতা ইসলাম ও মানবতা বিরোধী চরম অপরাধ। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) শান্তিপূর্ণ ভাবে ইসলামের প্রচার এবং ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ গঠন করেছিলেন। দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানদারগণের সমাজ গঠনের প্রেক্ষিতে সকল প্রকারের বিরোধিতা ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে ধৈর্য ও ক্ষমাই ছিল আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর অনুসারী ঈমানদারগণের নীতি।
‘ইসলামী সমাজ’ এর নেতা ও কর্মীরা ধৈর্য ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত দলমত নির্বিশেষে সকলকে দিয়ে যাচ্ছে। সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতি কাজের অংশ হিসেবেই চট্টগ্রামে মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী এবং আমীর হোসাইন গত শুক্রবার মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ দুইজন দায়িত্বশীলসহ গ্রেফতার হওয়া নেতা, কর্মীরা সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কর্মকা-ের সাথে সম্পৃক্ত নন এবং কোন প্রমাণও নেই। তিনি তাদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানান।
সৈয়দ হুমায়ুন কবীর বলেন, ইসলামী সমাজ জঙ্গিবাদবিরোধী দাওয়াতি কাজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই করে আসছে। পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ ও মিছিল করার সংখ্যা অগণিত। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তারা ইসলামী সমাজের প্রকাশ্য দাওয়াতি কাজ সম্পর্কে অবহিত। এর পরও পুলিশের নি¤œপর্যায়ের কোন কোন কর্মকর্তার ইসলামী সমাজের নেতা কর্মীদের জঙ্গি বলে গ্রেফতার করে আদালতে তা কখনও প্রমাণ করতে পারেনি। একই কারণে চট্টগ্রাম আদালত গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড মঞ্জুর করেনি। বরং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করে ৩ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করার কারণ প্রমাণ দিতে বলেছেন। অতএব আমাদের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার তার ভুল বুঝতে পারবেন এবং যথাযথ ভূমিকা নিবেন।
গত ২৭ নভেম্বর ইসলামী সমাজ প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করেছিল ।
এই মুর্তিটা প্রেস ক্লাবের কাছেই বসানো হয়েছে ।
বিষয়টা কি হুমায়ন কবীর হুজুরের নজরে এসেছে ? হেফাজত কিন্তু নিন্দা - পাল্টা নিন্দায় হেব্বি লাইম লাইটে এসে গেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন