সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ্ প্রদত্ব কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় দেশ স্বাধীনের ৪৬বছরেও মানুষের জীবনে সুশাসন, ন্যায় বিচার ও মানবাধীকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
লিখেছেন লিখেছেন মনসুর আহামেদ ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৩:৩৯:১০ রাত
ইসলামী সমাজ” এর উদ্দ্যোগে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় ‘ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ্ প্রদত্ব কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় দেশ স্বাধীনের ৪৬ বছরেও মানুষের জীবনে সুশাসন, ন্যায় বিচার ও মানবাধীকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তিনি বলেন, মানব রচিত ব্যবস্থা গণতন্ত্র মেনে চলার মাধ্যমে জাতির মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের নিকট বন্ধী হয়ে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধেই অবস্থান গ্রহন করেছে, যার কারণে দুনিয়ায় মানুষের জীবনে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ ও অশান্তি এবং তাদের আখিরাতের জীবন হচ্ছে ধবংস। তিনি বলেন, মানুষের মনগড়া আইনের অধীনে সমাজ ও রাষ্ট্রের মানুষ বন্দি থাকায় তাদের জান, মাল ও ইজ্জতের নেই কোন নিরাপত্তা।
জনাব মাষ্টার আবদুল বাতেন এর সভাপতিত্বে, গাজীপুর জেলার টুঙ্গী থানাধীন মোল্লা প্লাজার সানাই কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ইসলামী সমাজ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, মানুষের সার্বভৌমত্ব ও মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নীতিগত ভাবে বিদ্রোহ করে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব এবং তাঁরই প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর আইন-বিধানের ভিত্তিতে সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনা করা হলেই মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে এবং মানুষের জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তাসহ সকল অধিকার নিশ্চিত হবে।
গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন কিংবা সসস্্র সংগ্রাম করে রাষ্ট্রীয় সাশন ক্ষমতা লাভের মাধ্যমে “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্ঠা আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। এ কথার উল্লেখ করে তিনি আরোও বলেন, মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে গঠিত সমাজ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ভাবে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে, “ঈমান ও ইসলাম” এর দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ গঠন আন্দোলনই সমাজ ও রাষ্ট্রে “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি। তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে ঈমানী দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ন হলে আল্লাহই ঈমানদারদেরকে রাষ্্রীয় শাসন ক্ষমতা দিবেন , আর তখনি মানুষের জীবনে “ইসলাম” এর আইন-বিধান চালু করা সম্ভব হবে। “ইসলামী সমাজ” এ লক্ষ্যেই ঈমানী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এ কথার উল্ল্যেখ করে তিনি, দল-মত নির্বিশেষে সকলকে “ইসলামী সমাজ” পরিচালিত ইসলাম প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহবান জানান। জনাব মোঃ ইউসুফ আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় আরোও বক্তব্য রাখেন, সর্ব জনাব, মোঃ সোলাইমান কবীর, মোহাম্মাদ ইয়াছিন, আবু জাফর মুহাম্মাদ ইকবাল প্রমূখ। পরিশেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভার সমাপ্তি করা হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩২১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভিতি রয়েছে। ওনারা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। মক্কায়ী জীবনের ১৩ বছর ছিল মার খাওয়ার সময়। কারো গায়ে হা তোলা যাবে না। শুধু দাওয়াত দেওয়া এবং সহ্য করা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন