তাওহীদুর রুবুবিয়্যা. ইসলামী সমাজ।
লিখেছেন লিখেছেন মনসুর আহামেদ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৩:১৩:১২ রাত
আল্লাহ্’র রুবুবিয়্যাতে তাওহীদ অর্থাৎ সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহ্’র, মানুষের নয়। এটাই আল্লাহ্’র প্রতি ঈমান। আল্লাহ্’র রুবুবিয়্যাতে তাওহীদ-এর ঘোষণা হচ্ছে- “রাব্বুনাল্লাহ্” অর্থাৎ আল্লাহ্ই আমাদের একমাত্র রব্ব-সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক, সার্বভৌম আইনদাতা, বিধানদাতা ও নিরংকুশ কর্তা, অন্য কেউ নয়। এছাড়া সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রক্ষাকর্তা, রিযিকদাতা, শৃংখলা বিধানকারী, পূর্ণতাদানকারী, হাশরের ময়দানে একত্রে জমাকারী এবং (সমগ্র সৃষ্টি জগৎ) নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আল্লাহ্ তা’য়ালাই হচ্ছেন এক ও অভিন্ন রব্ব। তিনি অফুরন্ত নেয়ামতের মাধ্যমে গোটা সৃষ্টি জগৎকে প্রতিপালন করছেন। মহান আল্লাহ্’র প্রতি আমরা সহ সমগ্র সৃষ্টির এ আক্বীদা পোষণের নামই হচ্ছে রুবুবিয়্যাতের তাওহীদ। মহান আল্লাহ্’ই যে একমাত্র রব্ব এ সম্পর্কে কালামে পাকে ইরশাদ হয়েছে-
“তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের রব্ব, সার্বভৌমত্ব তাঁরই, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।” (সূরা যুমার ৩৯:৬)
“তিনি আল্লাহ্, তোমাদের রব্ব, সকল কিছুর স্রষ্টা, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা কোন দিকে বিভ্রান্ত হচ্ছো ?” (সূরা মু’মিন ৪০:৬২)
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আমার রব্ব এবং তোমাদেরও রব্ব; কাজেই তোমরা তাঁরই ইবাদাত করো। এটিই সরল-সঠিক পথ।” (সূরা আলে ইমরান ৩:৫১, সূরা মারিয়াম ১৯:৩৬, সূরা যুখরুফ ৪৩:৬৪)
“আর তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ করেন না যে, তোমরা ফেরেশতা ও নবীদেরকে রব্ব রূপে গ্রহণ করো। তোমরা মুসলিম হওয়ার পর তিনি কি তোমাদেরকে কুফরীর নির্দেশ দিবেন?” (সূরা আলে ইমরান ৩:৮০)
সূরা আলে ইমরানের ৬৪নং আয়াতে আরো বিস্তারিতভাবে আল্লাহ্ ব্যতিত একাধিক রব্ব গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনের আরো অনেক সূরায় আল্লাহ্’র রুবুবিয়্যাত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে: সূরা ফাতিহা ১:২, সূরা আ’রাফ ৭:৫৪, সূরা মু’মিনুন ২৩:৮৬-৮৯, সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১০২, সূরা শুআরা ২৬:২৩-২৬, সূরা ইউসুফ ১২:৩৯-৪০, সূরা ত্ব-হা ২০:৪৯,৫০, সূরা আল-বাকারাহ ২:২১-২২, সূরা আন’আম ৬:২৩, সূরা আলে ইমরান ৩:১৯৩, সূরা হাদীদ ৫৭:৮, সূরা আ’রাফ ৭:৫৪, সূরা ইউনুস ১০:৩১-৩২, সূরা ইয়াসীন ৩৬:৮৩ ইত্যাদি।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন