’ইসলামী জ্ঞানের অভাবেই জঙ্গি তৎপরতাসহ নানান বিভ্রান্তি’ ,লেখক: সৈয়দ হূমায়ুন কবির।
লিখেছেন লিখেছেন মনসুর আহামেদ ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৭:৩৯:৫৫ সন্ধ্যা
“ইসলাম” সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবেই উগ্রতা ও জঙ্গিতৎপরতাসহ বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি চলছে। সঠিক জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার ও প্রতিষ্ঠিত রাখার লক্ষ্যে ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালনই সকল বিভ্রান্তি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।
মুহাম্মাদ ইয়াছিনের পরিচালনায় “ইসলামী সমাজ” এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ মঙ্গলবার সকালে উগ্রতা ও জঙ্গীতৎপরতাসহ সকল অপতৎপরতা নির্মূল করে সু শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ‘জাতীয় ঐক্য গঠনে’ অনুষ্ঠিত “মানব বন্ধনে” “ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম’ হচ্ছে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত মানব জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন-বিধান সম্বলিত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠিত না থাকলে আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আল্লাহরই সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সময় ও অর্থ কুরবানীর মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার এবং প্রতিষ্ঠিত হলে প্রতিষ্ঠা রাখার চুড়ান্ত চেষ্টা করাই ঈমানদার মুসলিম ব্যাক্তিদের সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ ঈমানি ও নৈতিক দায়িত্ব। কোন ঈমানদার ব্যক্তি এ দায়িত্ব পালনে উদাসীন থাকতে পারে না। i s ccc
ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, মক্কা, আরব দেশ এবং সমগ্র পৃথিবীতে মানুষের জীবনে মানুষের সার্বভৌমত্ব ও মানব রচিত আইন-বিধান প্রতিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক আল্লাহর নির্দেশে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁরই সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদেরকে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের প্রতি ঈমান আনার, একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা গ্রহনের এবং তাঁকে আল্লাহর রাসূল মেনে একমাত্র তাঁরই শর্তহীন অনুসরণ ও অনুকরণের আহ্বান জানান, দাওয়াত দেন।
তিনি বলেন, জ্ঞানের ভিত্তিতে স্পষ্ট যে, মানুষের সার্বভৌমত্ব ও মানব রচিত ব্যবস্থার আনুগত্য স্বীকার করে এবং অধীনে থেকে ইসলামের আইন-বিধান পালনের মাধ্যমে যত আমলই করা হবে, তা গ্রহনযোগ্য হবে না বরং সকল আমলই বিনষ্ট হয়ে জাহান্নামই হবে ঠিকানা। এ সকল বিভ্রান্তি থেকে বাঁচার জন্য এবং উগ্রতা ও জঙ্গীতৎপরতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ সকল অপতৎপরতা নির্মূল করে মানুষের জীবনে সু শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে দল, মত নির্বিশেষে দেশবাসী সকলকে তিনি “ইসলামী সমাজে” শামিল হয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের আন্তরিক আহ্বান জানান।
বিষয়: বিবিধ
৯৩৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাহাঙ্গীর নগর UNIVERSITY এর শিবিরের
সভাপতি ছিলেন।
আব্দুর জব্বার এবং হূমায়ুন ভাই এক সাথে কাজ শুরু করেন। হাটি, হাটি, এক পা,দু,পা করে, অনেক দুর এগিয়েছে। মহা নবীর মক্কায়ী জীবনের, ১৩ বছরের মত কাজ করতে হবে। এখানে কাউকে মারা যাবেন। নীজেরা মার খাওয়া ছাড়া। জঙ্গী হওয়া যাবেনা।
কেবল ঈমানের উপর দাড়িয়ে থাকা। অনেক দিন পর, বক্তব্য শুনলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন