ঈমানের ট্রানফিউশন
লিখেছেন লিখেছেন মনসুর আহামেদ ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৪২:০৫ সকাল
দেশের মানুষ ঈমানী শক্তি পায় শহীদদের রক্তদান থেকে। রক্তশূণ্য মুমুর্ষ রোগীকে বাঁচাতে হলে রক্তের ট্রানফিউশন জরুরী,নইলে সে বাঁচে না। তেমনি ঈমান-শূণ্য জাতিও ঈমানের ট্রানফিউশন চায়। নইলে সে জাতির মাঝেও ইসলাম বাঁচে না। জাতি সে ট্রানফিউশন পায় শহিদের রক্তের মাধ্যমে। তাই যে দেশে শহীদ জন্ম দিতে জানে না, সেদেশে ঈমানী বলে বলীয়ান মানুষ বেড়ে উঠে না। তখন বাড়ে আযাব,আসে ইসলামের পরাজয়। অধিকৃতি বাড়ে শয়তানী শক্তির। এজন্যই অতীতে মুসলিম শাসকগণ নিজ দেশের উপর কোন অমুসলীমদের হামলা না হলে নিজেরাই কাফের অধ্যুষিত দেশে হামলার লক্ষ্যে মুসলমানদের জিহাদে এবং সে জিহাদে শহীদ হতে উদ্বুদ্ধ করতো। তারা বিশ্বাস করতো, মহান আল্লাহর সুনজরে থাকার উপায় নিছক নামায-রোযা ও তাসবিহপাঠ নয়,বরং সেটি হলো জিহাদ। তাদের সে পবিত্র জিহাদ ছিল আল্লাহর জমিনকে শয়তানের খলিফাদের অবৈধ অধিকৃতি থেকে মুক্তিদানের। জিহাদ করতে করতেই তারা বাংলাদেশ অবধি এসেছে। নইলে কি বাংলাদেশের মানুষ পৌত্তলিক সেন রাজাদের কুফরি শাসন থেকে মুক্তি পেত? সুযোগ পেত কি ইসলামের পবিত্র ছায়া তলে আসার? কিন্তু সেদিন সেনা রাজরা বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত হলেও বাংলার মুসলমানদের ঘাড়ে আজ চেপে বসেছে তাদেরই অতি অনুগত খলিফারা। বিছমিল্লাহ,আল্লাহু আকবরের বদলে সরকারি শিবিরে মঙ্গলপ্রদীপের আগমণ কি সাক্ষ্যই দেয় না? নইলে কি আল্লাহ ও তাঁর মহান রাসূলের বিরুদ্ধে শয়তানের এজেন্টগণ এরূপ কুৎসিত কথা উচ্চারনের সুযোগ পেত? ইখতিয়ার বিন বখতিয়ার খিলজির মাত্র ১৭ জন সৈনিক যখন বাংলার মাটিতে অবস্থান নিয়েছিল তখনও তো তারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে এরূপ কুৎসিত ও অশ্রাব্য কথা বলার সাহস পেত? বরং তাদের আগমনের প্রথম দিন থেকেই তো প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল শরিয়তি শাসন। সভ্য আইন বলতে বখতিয়ার খিলজি একমাত্র শরিয়তি আইনই বুঝতেন। তখন কি বাংলায় শতকরা ৯০ জন মুসলমান ছিল? তবে কি বাংলাদেশের ১৫ কোটি মুসলমানের সম্মিলিত ঈমানকে শয়তান ও তার এজেন্টগণ ১৭ জন তুর্কি সৈনিকের চেয়েও দুর্বল মনে করে?
তথ্য সূএে:http://www.drfirozmahboobkamal.com
বিষয়: বিবিধ
৯৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন