উপলব্ধি

লিখেছেন লিখেছেন আত্মসমর্পিত ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:২৩:৪২ রাত

আমার ছোটভাইয়ের বরাত দিয়ে আবদুল হামিদ আল গাযালীর বর্ণিত একটি ঘটনা বলছি যা মিশরে হয়েছিলো:

"একব্যক্তির সন্তান যার অন্ধত্ব জন্মের পর থেকে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে পেতে ১২-১৩ বছরের দিক পূর্ণ অন্ধত্বে রূপ নিলো। আর সেই পিতা এই অন্ধ সন্তানকে মিশরের একটি জামিয়ায় ওয়াকফ করে দিলেন; যাতে ইসলাম শিক্ষা করতে পারে। আর আল্লাহর অশেষ রহমতে যখন এই সন্তান কুরআন হিফজ করতে শুরু করলো; সেই ছেলেটি ধীরে ধীরে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে শুরু করলো আর একপর্যায়ে ছেলেটি পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলো। আর এমতাবস্থায় তার পিতা ফিরে এলো আর তার সন্তানকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। তিনি বললেন আমি আমার অন্ধ সন্তানকে ওয়াকফ করেছি; দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন সন্তানকে নয়। আর তাকে নিয়ে ভর্তি করে দিলো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে।"

আমি কিছু বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিনিবন্ধ করার জন্য নিজেকেসহ সকল মুসলিম ভাইদের আহবান জানাই:

-আমরা আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করি এমন বস্তু যা আমরা নিজেরাই অপছন্দ করি,

-আমরা আমাদের সর্বোত্তম বস্তু সংরক্ষণ করি দুনিয়ার জন্য,

-আমাদের সর্বোত্তম মেধাবীদের পাঠাই বুয়েট, ঢাবি, ঢামেক, জাবি, আইইউটি প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,

-তাদের পাঠাই না পটিয়া, হাটহাজারী কিংবা তামিরুল মিল্লাতে।


ফলে, সংকটকালীন মুহূর্তে আমরা ভূগি সিদ্ধান্তহীনতা, নেতৃত্বশূণ্যতা আর দূরদর্শিতার অভাবে।

আল্লাহ্ আমাদের তখনই বিজয় দান করবেন; যখন আমরা আল্লাহর দ্বীনকে বিজয় দিবো; আখিরাহকে প্রধান্য দিবো দুনিয়ার উপর আর আল্লাহর ইচ্ছাকে নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতার উপর। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের উপলব্ধির তাওফীক দিন। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের বিজয়ের পূর্বশর্তসমূহ পূরণের তাওফীক দিন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File