মিডিয়া সন্ত্রাস: কিছু বিচ্ছিন্ন ভাবনা

লিখেছেন লিখেছেন আত্মসমর্পিত ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৩৩:০১ রাত

দাজ্জালের ফিতনাহ্ সবচেয়ে ভয়াবহ্ দিক হলো সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য মনে হওয়া। একটু উদাহরণ দিই: ইসরাইল যখন ট্যাংক নিয়ে ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব চালায়; তখন মিডিয়া একে বলে সীমান্ত প্রতিরক্ষা আর যখন ফিলিস্তিনি শিশুরা সেই ট্যাংকের দিকে ইট-পাথর ছুড়ে মারে তখন তাদেরকে বলা হয় উগ্রপন্থী। উল্লেখ্য, পৃথিবীতে এক জরিপমতে ৯৬% মিডিয়া ইহুদী মালিকানাধীন।

অনুরূপভাবে, আমাদের দেশের মিডিয়ার মিথ্যাচার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌছালেও এখানকার সাধারণ মানুষের অনেকেই মিডিয়ার কারসাজি নিয়ে তেমন কিছু জানে না অথচ মিডিয়াই তাদের অধিকাংশের পথনির্দেশক হয়ে বসে আছে।

এই সকল লোকগুলো এভাবেই দাজ্জালীয় ফিতনার মধ্যে পড়ে ঈমানহারা হচ্ছে। আর ভবিষ্যতেও এই মিডিয়া দাজ্জালের মিথ্যাচারকে সুশোভিত রাখবে। তাই একজন মুসলিমের চোখ-কান খোলা রেখে সঠিক উৎস থেকে সংবাদ সংগ্রহ আর বিরত থাকতে হবে।

যদি মিডিয়ার লোকজন নিজেরাই সন্দিহান থাকে যে, তারা সংবাদ পরিবেশণা করবে না প্রোপাগান্ডা তৈরী করবে; তখন জনগণের উপর এই ব্যাপারটুকু বুঝা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে আর সে অনুযায়ী তাদের সংবাদের উৎস নির্ণয় করা কর্তব্য হয়ে পড়ে।


রাস্তায় পুলিশের গোলাগুলি মুসলিমদের যতোটা না ক্ষতি করছে; তার চেয়ে বেশী করছে মিডিয়ার মিথ্যাচার, যাকে রীতিমতো তথ্যসন্ত্রাস বলা যায়। যার ফলে বিভ্রান্তি আর বিভক্তি বাড়ছে।

সংবাদ বিকৃতি আর মিথ্যাচারকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে অধিকাংশ মিডিয়া। আর এই সকল মিডিয়া আর প্রশাসণের উদ্দেশ্য ও পরিষ্কার। আজকের মতো সাধারণ মুসলিমদের জীবন-মরণ ইস্যুকে যে বা যারা জঙ্গি, জাময়াত শিবির আখ্যা দিচ্ছে তারা ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু।

আমেরিকা যখন ইরাকে পারমাণবিক অস্ত্র থাকার অপরাধে হামলা চালাল তখন ইরাক থেকে বার বার বলা হচ্ছিলো তাদের কাছে কোন পারমাণবিক অস্ত্র নাই । এক শ্রেনীর মুসলিম আমেরিকার তথ্য সন্ত্রাসের কাছে মজে গিয়ে এই অমানবিক হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিল না বরং নীরব থেকে আমেরিকা বিমান হামলায় ইরাকের হাজার হাজার নারী-শিশুর মৃত্যু পর্যবেক্ষণ করেছিল । পরে যখন আমেরিকা ইরাকে কিছুই পেলনা তখন তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বলা শুরু করল আমেরিকা নিপাত যাক কিন্তু ততদিনে সব শেষ । একইভাবে আমরা আফগানিস্তানেও দেখি । সারা বিশ্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী শক্তির তথ্য সন্ত্রাসের কাছে আমরা বার বার ধোঁকা খেয়ে যাচ্ছি। নাস্তিকদের শক্তিশালী মিডিয়ার কভারেজের মাধ্যমে মুসলমানদের সারা বিশ্বে সন্ত্রাস হিসাবে পরিচিত করাই ছিল মূল লক্ষ্য । অথচ আসল সন্ত্রাস কারা তা আমরা আফগানিস্তান-ফিলিস্তিন-কাশ্মীর-মিয়ানমার-ইরাকসহ বিশ্বের মজলুম মুসলিমদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি ।

ঠিক একি ভাবে সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজের মত বাংলাদেশের মুসলিম সমাজও ইসলাম বিরোধী শক্তির দখলের থাকা মিডিয়ার তথ্য সন্ত্রাসের কাছে জিম্মি । অতীতেরসহ গতকালকের মিডিয়ার কভারেজ দেখলেই আমরা বুঝতে পারি তারা কতোটা ভয়ানক রুপের অধিকারী ! মুসল্লীদের উপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি চালানোকে তারা কাভারেজ করেনি , তারা কভারেজ করেছে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মুসল্লীদের গর্জে উঠাকে । তারা কভারেজ করেনি এই বিক্ষোভ নাস্তিকদের বিচারের দাবীতে সমগ্র বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছিল , তারা মিথ্যাকে আলিঙ্গন করে প্রচার করেছে এই সমাবেশ জামায়াতের ছিল । তারা প্রচার করেনি ইসলামকে অবমাননাকারী নাস্তিকদের মুখোশ, তারা প্রচার করেছে সারা জীবন আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে গালি দিয়ে যাওয়া একজন নাস্তিকের জানাজা এবং তাকে সাচ্চা মুসলমান বানানোর কল্পিত কাহিনী । ধিক জানায় তোদের এই হলুদ সাংবাদিকতাকে , তোদের জন্য আল্লাহর ফয়সালা আসুক ।

ওহে নির্বোধ মুসলিম ! মিডিয়া সন্ত্রাসের কাছে আর কতো কাল এইভাবে ধোঁকা খেয়ে যাবে ?



বিষয়: বিবিধ

২২৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File