সেক্যুলারিজমের মিথ্যে বুলি: আসছে ইসলামের বিজয়

লিখেছেন লিখেছেন আত্মসমর্পিত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৪৭:২৯ বিকাল

[একটু দীর্ঘ, ধৈর্যসহকারে পড়ার অনুরোধ]

১) গ্রীক আর রোমান দার্শনিকদের থেকে যে সেক্যুলারিজমের [ধর্মনিরপেক্ষবাদ] বুদ্ধিবৃত্তিক উৎস; শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ব্রিটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব হোলিয়েক। যে নিজে ছিলো সংশয়বাদী। সে বলেছিলো সেক্যুলারিজম ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ করে না বরং অন্য কোথাও আলোর উৎস থাকতে পারে এই ধারনায় বিশ্বাসী। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এই সেক্যুলারিজম একটি আপেক্ষিক মতবাদ। আর তার নিয়ম-নীতি জীবনের অভিজ্ঞতা, লব্ধ আর কৃত কর্মসমুহ থেকে নেয়া হবে। এখন প্রশ্ন হলো,

সেই বাছাইয়ের মানদন্ড কি?

সীমারেখা কি?

কিংবা কারা তা বাছাই করবে?

কেন তা সমান প্রতিভা আর বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন সমাজের অপরাপর মানুষেরা মানতে বাধ্য থাকবে?


এরূপ প্রশ্ন চাইলে টেনে বাড়ানো যায় অনেকদূর। যদি বিবর্তনবাদকে সামনে রেখে এগোই আর যদি 'ন্যাচারাল সিলেকশান' আর 'বায়োলজি' মানুষের ভাল-মন্দ নির্ধারণের উৎস হয় যেখানে মানবাচরণ হতে পারে মৌচাকের মৌমাছির মতো স্বার্থপর কিংবা সমুদ্রের বিশেষ জাতের হাঙ্গরের মতো যারা ভালবাসার প্রকাশ ঘটায় কামড়িয়ে, মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে; আর নৈতিকতা তো আপেক্ষিকতা সেখানে!

পশ্চিমাবিশ্বে একটি ধারনা বেশ চাউর তা হলো আপেক্ষিক নৈতিকতা [Objective Morality/ Relative Morality]। আর তার প্রায়োগিকতা আর ফলাফল নিয়ে একটি উদাহরণই যথেষ্ট: একসময়ের ঘৃণ্য সমকামিতাকে [Homo-sexuality] সেক্যুলার রাষ্ট্রগুলো আজ মানবাধিকার জ্ঞান করে। আপনাকে একটা সীমারেখা টানতেই হবে। কিন্তু কোথায়? কে টানবে?

"But most definitely you must draw a line and a fine line indeed."

২) এখানেই, সেক্যুলারিজম আর ধোপে ঠেকে না, অসার; যদিও শুনতে বেশ চমকপ্রদই লাগে। পশ্চিমাদের নৈতিকতার যে অধঃপতন তার কারণ কিন্তু এটাই। যদি গ্লোবালাইজেশানের কারণে এই অধঃপতন আজ বৈশ্বিক।

এবার, একটু দেখি ইউরোপীয় তথা পশ্চিমারা কেন সেক্যুলারিজমের দিকে ঝুঁকলেন? আগে ইউরোপের অধিকাংশ দেশই ছিলো চার্চশাসিত আর চার্চ স্বাভাবিকভাবেই খ্রিস্টধর্মেরই প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু ওখানেই গন্ডগোল। খ্রিস্টধর্ম যে নবীর নামের সাথে যুক্ত করা হয় সে নবী জিসাস ক্রাইস্ট কিংবা ঈসা আলাইহিস সালাম ছিলেন কেবল বনী ঈসরাইলের কওমের প্রতি প্রেরিত একজন নবী। আর তিনি খ্রিস্টবাদ প্রচার করেননি। যা প্রচার করেছেন তা হলো ইসলাম। আর খ্রিস্টবাদ হলো পলের প্রচারিত মতবাদ। জিসাসের বাণী অমোঘ সত্য ছিলো তবে তা ছিলো নির্দিষ্ট জাতির আর সময়ের জন্য; আর তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন সুসংবাদ [Gospel] অন্য একজন বার্তাবাহকের। আর সেই বার্তাবাহকই হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লহু আলাইহিস সালাম। অপরদিকে ইউরোপীয় রোমানরা পলের মতবাদকে গ্রীক প্যাগানিজমের সাথে আরো বিকৃতভাবে পরিবর্তন করে রাষ্টধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে; যাতে মূর্তিপূজায় রত জনগণ সহজে তা গ্রহণ করে। বাইবেল [ইনজীল] অনূদিত হয়েছিলো ল্যাটিনে সাথে যুক্ত হয়েছে ত্রিতত্ত্ববাদ যা বাইবেলের পূর্ববর্তী কিতাব ওল্ড টেস্টামেন্টের [তওরাহ্] শিক্ষাকেই অস্বীকার করে বসে; বহুত্ববাদীতা [Ploytheism] যুক্ত করে; যা একত্ববাদী সকল পূর্ববর্তী কিতাবের শিক্ষার বিকৃতি ঘটায়।

এসবের ফলে, আসমানী কিতাব হওয়া সত্ত্বেও বাইবেলের শিক্ষা উত্তীর্ণ হতে পারে নি তার বিকৃতি আর তা একটি নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর [বনী ইসরাইল] কিতাব বলে; যা বৈশ্বিকতা, সার্বজনীনতার সংজ্ঞায় উত্তীর্ণ নয়। ফলে চার্চশাসিত ইউরোপে দেখা দিলো বিভিন্ন সমস্যা; বিজ্ঞানের সাথে দ্বন্ধ-কুসংস্কারাচ্ছন্নতা ইত্যাদি। ফলে, বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাশীলরা ধীরে ধীরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধর্ম থেকে পৃথকীকরণের জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। বেশ সময় লাগলেও তারা ধর্ম আর রাষ্ট্রকে আলাদা করতে সমর্থ হয়েছিলো। আর শিল্পবিপ্লব, জ্ঞান-বিজ্ঞানমনস্কতা আর বস্তুবাদী উন্নয়ণে সফলতাও আসতে শুরু করলো। তবে, ধীরে ধীরে রক্ষণশীলতা বিলুপ্ত হওয়ায় আর নৈতিকতার কোন সুনির্দিষ্ট মানদন্ড আর সীমারেখা না থাকায় নৈতিক-আত্মিক তথা আধ্যাত্মিক উন্নয়ণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পেতে যে তলানীতে ঠেকেছে; তার উপলব্ধি দেরীতে হলেও পশ্চিমারা করতে শুরু করেছে। তাদের অনেকই সত্যিকার অর্থেই জীবনের উদ্দেশ্য [Purpose of Life], সৃষ্টির উদ্দেশ্য [Purpose of Creation] আর সত্যানুসন্ধিৎসু [Truth-seeker] হয়ে ভাবতে শুরু করেছে। অতিমাত্রিক ভোগবাদ, ইন্দ্রীয়সূখ খোঁজা আর বস্তুবাদ জর্জরিত জীবনগুলো যেনো তাদের নিজেদের কাছেই একাকীত্বের দ্বীপসম [Lonely Isle] মনে হতে শুরু করলো। এ কারনেই অনেক মেডিটেশান [Meditation], বুদ্ধবাদ [Buddism] আর পর্যটন [Tourism] এসবের মধ্যে শৃংখল ভাঙ্গতে চাইছে। যদিও এ প্রচেষ্টা ব্যর্থতা আর সাময়িক প্রলেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

৩) এবার আসি, ইসলাম প্রসঙ্গে। খ্রিস্টধর্মকে যেভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে আলাদা করা গেছে ইসলামী খিলাফাহ্ কিন্তু অতো সহজে বিলুপ্ত হয় নি। বরং বহির্শত্রুর ক্রমাগত ষড়যন্ত্র, জাতীয়তাবাদ আর দ্বীনের শিক্ষা থেকে দূরে সরে আসার পেছনে ঔপনৈবেশিক শাসণ তাতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আর উম্মাহ্’র সাথে চূড়ান্ত রকমের বিশ্বাসঘাতকতা করে সেই খিলাফাহ্ ধ্বংস করেন এক মুসলিম নামধারী মুনাফিক কামাল আতার্কুক যার জন্য উম্মাহ্’র কান্না এখনো থামে নি।

অনেকের খ্রিস্টধর্মের বিজ্ঞানের সাথে সংঘর্ষ আর কুসংস্কারাচ্ছন্নতার গতানুগতিকতা [Cliche] আর একই ধাঁচে [Painting off with same brush] ফেলার প্রবণতা বেশ প্রবল। অথচ বাগদাদ আর কর্ডোভার বিশ্বমানচিত্রে জ্ঞানবিজ্ঞানের নেতৃত্বদান সেই প্রবণতায় কুলুপ এটে দেয়। তথাপি, কিছুদিন আগে একজন আমাকে বলছিলেন যে আপনারা তো অমুক বিজ্ঞানীকে, দার্শনিককে মুরতাদ ঘোষণা করেন। জবাবে তাকে ঈমাম শাফিঈর একটি বিখ্যাত উক্তি উল্লেখ করেছিলাম:

"লোকজন ততক্ষণ অজ্ঞতায় নিমজ্জিত হয় নি আর নিজেদের মধ্যে মতবিরোধে লিপ্ত হয় নি; যতক্ষণ তারা আরবী ভাষা ছেড়ে দেয় নি আর আ্যরিস্টটলের ভাষার দিকে ঝুঁকে পড়ে নি।" [ সিয়ার আ'লাম আল-নুবালা - আয-যাহাবী: ১০:৭৪ এবং সউন আল-মানতিক - সুয়ুতী: পৃষ্ঠা-১৫]

অর্থ্যাৎ ইসলামে দর্শণ চর্চাকে কখনো উৎসাহিত করা হয় না। একটু খোলাসা করলেই বুঝবেন, ইসলামে বুদ্ধিবৃত্তি আর আধ্যাত্মিকতা উভয়ের চমৎকার সমন্বয় ঘটিয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে ভারসাম্য বিধানের সীমারেখা ও নির্ধারণ করে দিয়েছে যাতে বিপর্যয় রোধ করা যায়। যেমনটা পারে নি, খ্রিস্টানরা; যা তাদের বিশ্বাসের বুদ্ধিবৃত্তিক বিপর্যয় ঘটিয়েছে আর অপরদিকে ইহুদীরা যারা চরম বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষতা সাধন করলেও আধ্যাত্মিকতা থেকে দূরে সরে এসেছে। আর আমরা যেই সূরা ফাতিহা সলাতে পাঠ করি তার শেষ দুই আয়াহয় এই বিপর্যয় থেকে পানাহ চাই। অন্যথায়, ইসলামে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা সবসময়ই উৎসাহিত করা হয়েছে।

৪) পৃথিবীর মূলধারার তিনটি একত্ববাদী ধর্মের [ইহুদীবাদ, খ্রিস্টবাদ আর ইসলাম] উৎসই ঐশী। তবে, ইসলামের মাধ্যমেই পূর্ববর্তী দুটি বিশ্বাস সত্যায়িত, চূড়ান্তকরণ আর রহিত করা হয়েছে। আর, ইসলামের বিশ্বজনীনতা [Universality] বিশ্বস্রষ্টা স্বীকৃত।

আর, স্রষ্টার একত্ববাদের [Monotheism] উপর ভিত্তি করে অবতীর্ণ ঐশীবিধান [Divine Revealation]; যা আপেক্ষিক নয় বরং চূড়ান্ত মানদন্ড দ্বারা নির্ধারণ করে নৈতিকতা [Set of Morals] । যেখানে নৈতিকতা অর্জনের পদ্ধতি, প্রয়োগ আর সীমারেখা সুস্পষ্ট।

পশ্চিমা বিশ্বে, অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি যে নৈতিকতার মন্দা দেখা [Recession in Morality] দিয়েছে আর অপরাপর মতবাদ যেমন-মানবতাবাদ [Humanism], নাস্তিকতা [Atheism], সংশয়বাদ [Skeptics] যা সেক্যুলারিজমের আর ম্যাটেরিয়ালিজমের বাই প্রোডাক্ট; প্রশ্নের সন্মূখীন! তাই পশ্চিমা বিশ্বে মানুষ যে হারে ইসলামমূখী তার সিকিভাগ মূলধারার মিডিয়া প্রচার করেনা বলেই; পৃথিবীতে সামনের দিনগুলোতে পরিবর্তনের যে সুনামি আসছে তা অপরিণামদর্শী বিশ্বের অনেকেই জানে না। আর এই আদর্শগত পরাজয়ই আজ পশ্চিমাদের এতোটা উন্মত্ত করে তুলেছে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণে। আর পশ্চিমাবিশ্বে, বেশ জোরেশোরেই বিতন্ডা চলছে Secular Humanism নাকি Islam.

"It’s pretty serious study and debate going on! And the victory of Islam is on the horizon."

৫) অনেকেই বলে ইসলাম তরবারি দ্বারা কিংবা যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে স্পেন থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিলো। মানুষ চিন্তাশীল আর আদর্শের বুভুক্ষু এক সৃষ্টি। আদর্শশূণ্য কোন মতবাদ এতো বিস্তৃত অঞ্চল আর সময়কাল ধরে কেবল তরবারির জোরে ঠিকে থাকা অকল্পনীয়। বরং এর উল্টাটাই দেখা গেছে, তাতাররা মুসলিমনিধন করে মুসলিম ভূমি দখলের পর নিজেরাই ইসলাম গ্রহণ করে ওসমানী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আর ইন্দোনেশিয়ায় তো কেবল বণিক দলের ব্যবসায়িক সফরে ইসলাম প্রচারেই ইসলাম বিস্তৃতি লাভ করেছিলো। সঠিক ইতিহাস না জানার কারণেই মানুষ ইসলামের আদর্শগত চিন্তাকে একঘেঁয়ে [Stereotyped] ভাবে। কিন্তু একটা কথা আছে,

‘Always try to listen it from horse’s mouth.’

অর্থ্যাৎ সরাসরি বিশুদ্ধ উৎসের সন্ধানের অভাবেই তা হয় নি।

৬) আমার লিখা মূলতঃ সেক্যুলারিজম নিয়ে হলেও অনেক প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনেছি। এবার, দু’একটি বিষয়ের আলোকপাত করেই শেষ করবো ইনশা’আল্লহ্।

অনেকেই ঐশী কোন উৎসকে সরাসরি অস্বীকার করে বসে। এর কারণ, অতিমাত্রিক বস্তুবাদ, বিজ্ঞানের উৎকর্ষ আর ধর্ম থেকে পশ্চিমাদের দেখাদেখি প্রাচ্যের লোকজনেরও সরে আসা। এই সরে আসা সময়টাতেই কিন্তু দুটি বিশ্বযুদ্ধসহ অসংখ্য যুদ্ধবিগ্রহ, নৈতিক বিপর্যয় আর আধ্যাত্মিকশূণ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যাদের থিওলজি কিংবা ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশুণা আছে কিংবা নাই তাদের জন্যই বলি ঐশী বিধানের সুনির্দিষ্ট আর সুস্পষ্ট বৈশিষ্ঠ্য রয়েছে। এজন্য, সকল ধর্মের বিধানকে ঐ মানদন্ডে বিচার করলে ঐ বিধানটি ঐশী কিনা জানা যাবে। তবে, এজন্য একজন সত্যানুসন্ধিৎসুর উচিত নিষ্ঠাবান হওয়া আর যাচাই করা। পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের সত্যবিমূখ হওয়ার কারণ অহংকার [Arrogance] কিংবা অজ্ঞতা [Ignorance]। আর পশ্চিমাবিশ্বের চেয়ে প্রাচ্যে এ প্রবণতা বেশী।

৭) মূল প্রসঙ্গে, ফিরে আসি। সেক্যুলারিজম সংশয়বাদীদের [Skeptics and Agnostic] আপেক্ষিক এক মতবাদ যার প্রায়োগিকতা পশ্চিমা বিশ্বকে নৈতিক অধঃপতনের দিকে ধাবিত করেছে; সৃষ্টির উপর স্রষ্টার বিধানকেই অস্বীকার করে কিংবা স্রষ্টার জন্য তা যথার্থ ভাবে না।

আর ইসলাম বিশ্বস্রষ্টা অনুমোদিত একমাত্র জীবনব্যবস্থার ঐশী মানদন্ড; যার অনুসারীরা স্রষ্টার একত্ববাদের স্বীকৃতি আর বিধান পালনকেই অনস্বীকার্যতা আর সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্যই হিসেবে মানে।

পার্থক্য সুস্পষ্ট। সেক্যুলারিজম আর ইসলাম দুটি দুই মেরুতে; আর পরস্পরবিরোধী। একদল সৃষ্টির জন্য সৃষ্ট বিধান আর অপরদল সৃষ্টির উপর স্রষ্টার বিধান প্রয়োগের বৈশ্বিক সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

একসময়, বস্তুবাদী আর আত্মম্ভরী মানবসমাজের সেক্যুলার সমাজ চিন্তার বহুবিড়ম্বনা [Gimic of Thoughts] আর প্রবৃত্তির [Desire] তাড়নায় ঘূর্ণিপাক শেষে সরল কথাটা উপলব্ধি করবে:

‘Manufacturer knows best about what has been manufactured and Creator knows better about His creation’.

কিংবা বাইবেলের উক্তিটি:

“যারা তাদের প্রভুর সাথে তর্ক করে তাদের ধ্বংস নিশ্চিত। একটা মাটির পাত্র কি কখনও কামারের সাথে তর্ক করে? মাটি কি তাকে বলে, “থামো, তুমি ভুল করে বানাচ্ছ!” মাটির পাত্রটা কি অভিযোগ করে, “তুমি এতো খামখেয়ালি কেন?” কি বাজে ব্যপার হবে যদি একটা শিশু জন্ম নিয়েই তার বাবা-মাকে প্রশ্ন করে, “আমি জন্ম নিলাম কেন? আমাকে এরকম করে জন্ম দিলে কেন?” [Bible: Isaiah:45:9-10]

৮) আবারো, প্রসঙ্গচ্যুত।

অসাম্প্রদায়িকতার নামে কোন জনগোষ্ঠীর যাদের অধিকাংশের স্বতন্ত্র জীবনব্যবস্থা [দ্বীনে ইসলাম] রয়েছে তাদের উপর সেক্যুলারিজম [ধর্মনিরপেক্ষতা] চাপিয়ে দেয়া রীতিমতো বিপর্যয় ছাড়া আর কিছুই নয়। আর যেখানে সেক্যুলারিজমই ওই জীবনব্যবস্থার বিপরীতার্থক ব্যর্থ এক ধারনা। সাময়িকভাবে সাম্রাজ্যবাদী দখলদার আর ইসলামের শত্রুদের মদদে অসাম্প্রদায়িক চরমপন্থায় টুটি চেপে ধরার প্রচেষ্টা তো বুমেরাং আর ব্যর্থই হবে। যেখানে বৈশ্বিকভাবেই নাকানিচুবানি খাচ্ছে এই সাম্রাজ্যবাদী ইসলামবিরোধীরা।

৯) একটা সুসংবাদ দিয়েই শেষ করি, যেকোন দূর্গ অনেকদিন ঘিরে মুসলিমসৈন্যরা কোন কূলকিনারা করতে না পারা অবস্থায় যদি ওই জনপদের লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দিতো তখন ওই দূর্গের পতন দ্রুত হতো।[আস-শারিম আল-মাসলুল: পৃ:১১৬-১১৭-ইবনে তাইমিয়াহ্]

আর, ইসলামের গৌরবোজ্জল ইতিহাসের সাক্ষী এই জনপদে এরূপ সীমালঙ্গনের ধৃষ্টতা হয়েছে অপশক্তি আর ইসলামবিদ্বেষীদের তৎপরতায়; এই জনপদেও ইসলাম ফিরছে বিজয়ীর বেশে। বিইদনি’আল্লাহ।

[লিখার বিচ্ছিন্নভাবের জন্য দুঃখিত]

বিষয়: বিবিধ

১৫৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File