যাদুকর আর মিডিয়ার কবলে বন্ধকী মস্তিষ্ক: বিজয় আদর্শেরই

লিখেছেন লিখেছেন আত্মসমর্পিত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৭:৫১:২৬ সকাল

পূর্ববর্তী জালিম শাসকেরা যাদুকর আর ভবিষ্যৎ বক্তাদের দিয়ে জনগণকে মন্ত্রমুগ্ধ রাখতো আর তা দ্বারা তাদের শাসণকে দীর্ঘায়িত করতো।

বর্তমান পৃথিবীর পরিক্রমায় ৯৬% বৈশ্বিক মিডিয়ার মালিকানা ইহুদীদের অর্থ্যাৎ মিডিয়ামোঘল তারা। আর মিডিয়া এমন এক অস্ত্র যা একজনের ঐ সকল ইন্দ্রীয় যা বাহ্যিক উপাত্ত গ্রহণ করে তা ব্যতিব্যস্ত রাখে। ফলে তার চিন্তাশক্তি বিনষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে তাদের স্ট্যাটাস ক্যু [Status Quo] বজায় রাখা সহজ হয়। আর, তাই একদা হলিউড মুভিতে প্রধান ভিলেন ছিলো জার্মানরা, কখনো জাপানীরা, কখনো রাশিয়ানরা, কখনো স্প্যানিশরা, কখনো মেক্সিকানরা আর কখনো আইরিশরা। আর বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভয়ানক ভিলেইন হলো মুসলিমরা। এটা সেই স্ট্যাটাস ক্যুরই অংশ।

আর, এই পরিক্রমায় আমাদের দেশে সাম্রাজ্যবাদীদের চাটুকারী আর মুশরিকদের অনুসারী কিছু মিডিয়া গড়ে উঠেছে। যা অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক,নাস্তিক, বামপন্থী আর সাম্রাজ্যবাদী চাটুকারদের অভয়ারণ্য। আর তাদের উপস্থাপনায় তারা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ায় মাস এন্ড মিডিয়া এডুকেশণের মৌলিক উপাদানকে (বার্তা [Message], মাধ্যম [Medium] আর সারকথা[Content] ) চাতুর্যের সাথে পরিবর্তন-পরিমার্জন আর ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে; তা অব্যাহত রাখে। আর মিডিয়াকে যে ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী যে পরিমান প্রাধান্য দিয়েছে সেই পরিমান সে ঝুঁকে পড়ে ওই মতের দিকে। আর বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের জীবনের করণীয়, বর্জণীয় আর দিকনির্দেশক হয়ে বসে আছে। ফলে তাদের ধোঁকা দেয়া সুচতুর এই সকল মিডিয়ার নিত্যদিনের কারবার।

একটা ছোট উদাহরণ দেই: মুসলিম আর চরমপন্থী এই দুটো এতটাই বিপরীতমূখী শব্দ যে ইংরেজীতে একটা কথন আছে Oxymoron এর মতো অর্থ্যাৎ বিপরীতার্থক শব্দের পাশাপাশি ব্যবহার । যেমন: স্হল বৈমানিক [Ground Pilot]। হাস্যকর !

আর মিডিয়া যে সকল মানুষের জীবনাচরণে জেঁকে বসেছে তাদের বোকা বানানো মিডিয়ার জন্য জলবৎ তরলং। আর এটা কেবল সম্ভব হয়েছে চিন্তাশক্তির দেউলিয়াত্ব আর বন্ধকী মস্তিষ্কের কল্যাণে। আর এ কারণেই হিটলারের এক প্রোপাগান্ডা মন্ত্রীর উক্তি উল্লেখ করলাম:

‘If you consistently repeat a lie it will appear as truth someday’

‘যদি তুমি লাগাতার মিথ্যাচার চালিয়ে যাও তবে তা একসময় সত্য মনে হবে’।


কিংবা

"If you're not careful the media will have you hating the people who are being oppressed and loving the people who are doing the oppressing."


সর্বশেষ, একটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি টানতে চাই, সারা পৃথিবী আজ যে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে তা আপাতঃদৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদ কিংবা মৌলবাদের বিরুদ্ধে বলে চাউর করলেও তাদের এ যুদ্ধ আদর্শিক। ইসলামের চিরসুন্দর আদর্শের বিপরীতে অপরাপর ভঙ্গুর আদর্শের নিরঙ্কুশ পরাজয়। আর কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধে সর্বস্ব ঢেলে দেয়া মানে শত্রু হিসেবে তাকে আমলে নেয়া। তবে, দুঃখজনক হলেও সত্যিই ইসলামের শত্রুদের সুনিশ্চিত পরাজয় আর ইসলামের অনিবার্য বিজয়ই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ।

আজ যারা ইসলামবিরোধিতা করছে তারা ফিরআউন-নমরূদের মতোই আস্তাকূঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আমাদের দেশে অনেকে দু’কলম সেক্যুলার পড়াশুণা করে ভাবে, বাপদাদার সুত্রে প্রাপ্ত এ ধর্ম তো কুসংস্কার আর Old Cliché [পুরনো গতানুগতিকতা]। অথচ পশ্চিমা সত্যানুসন্ধানীরা মুক্তির আবাহণে এই দ্বীনকেই গ্রহণ করছে। মূলধারার মিডিয়া যদি তার সিকিভাগ ও প্রচার করতো তবে আমাদের সাদাচামড়াপ্রীতির কারণে হলেও ভাবতাম; আহারে! আমাদের বাপ-দাদারা আমাদের কি অফুরন্ত নিয়ামতের ভান্ডারই না দিয়ে গেছেন।

গড্ডালিকা প্রবাহে যারা গা ভাসায় তারা সেই প্রবাহেই হারিয়ে যায়। আর আদর্শগত চিন্তার সৈনিকেরা ঠিকে থাকে। আর চূড়ান্ত দ্বন্ধ ছাড়া যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় তা আমাদের শত্রুদের চেয়ে আমরা ভাল জানি।

বিষয়: বিবিধ

১০৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File